সংবাদ শিরোনামঃ

তুরস্কে জনতার বিজয় ** এরদোগানের নেতৃত্বে তুরস্কের জনগণ রুখে দিল সেনা অভ্যুত্থান ** সঙ্কট নিরসনে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য ** ২০ দলীয় জোট ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র ** তুর্কী গণপ্রতিরোধে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান ** রফতানি বাণিজ্যের নতুন চ্যালেঞ্জ : রাজনৈতিক অস্থিরতা ** মানবতাবাদী বিশ্ব ও সন্ত্রাসবাদী বিশ্বের মাঝখানে মুসলমানদের দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে ** সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে প্রয়োজন দলমত নির্বিশেষে সবার ঐক্য : নজরুল ইসলাম খান ** তুর্কী জনগণকে অভিনন্দন ** জাতীয় স্বার্থ বনাম হুকুম তামিল করার দৌড়ঝাঁপ ** এ শিক্ষা আমাদের কোথায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ** দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজেও হরিলুটের অভিযোগ ** দুর্ভোগের আরেক নাম পাইকগাছার কপিলমুনি শহর ** কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট : সেবা কার্যক্রম ব্যাহত ** কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা ** ইসলামী সংস্কৃতির আলোকেই হোক ঈদ আনন্দ ** বাংলা ভাগের জন্য মুসলমানরা নন হিন্দুরাই দায়ী ** কবির বিশ্বাস ** সানজিদা তাহসিনা বেঁচে থাকবে সবার মাঝে ** জাতির নিকট রেখে গেলেন অনেক প্রশ্ন **

ঢাকা, শুক্রবার, ৭ শ্রাবণ ১৪২৩, ১৬ শাওয়াল ১৪৩৭, ২২ জুলাই ২০১৬

তৌহিদুর রহমান
ঝির ঝির করে বয়ে গেছে ভৈরবের একটি শাখা ‘খয়ের হুদা’ গ্রামের পাশ দিয়ে।  বড় ঘাট, মুচি ঘাট, মালসা দোয়া আরো অনেক খণ্ড খণ্ড নামে এ আধমরা নদীটি এখনো না মরে বেঁচে আছে। অনেক ইতিহাসের সাক্ষী সুখ-দুঃখের কত কথা তার বুকে জমা।

জন্মের শুরু থেকেই তার কিনারে দাঁড়িয়ে আছে বট গাছটি। সেও সাক্ষী অনেক ইতিহাসের। দিন-ক্ষণ-মাস পেরিয়ে কেটেছে কত বছর। ঘটেছে কত ঘটনা। কোনটা ক্ষণিকের আর কোনটা চিরকালের স্মরণ রাখার যোগ্য।

এমন একটা ঘটনা ঘটে গেল এইতো বছর পাঁচেক আগে। মনে আছে সবারই। বটগাছটা সে শোক আজও কাটিয়ে উঠতে পারিনি। নদীটিও তার পর থেকে শুকাতে শুরু করেছে। তবুও গ্রামের সহজ সরল মানুষের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে তারা এখনো।

গ্রামে অভাব বলে কোন জিনিস ছিল না। কিন্তু নিতাইয়ের অভাব কোন দিন কাটেনি। দু’ছেলে, এক মেয়ে ও বউ, এ নিয়ে ছোট সংসার নিতাইয়ের। টানাটানির সংসারে প্রাইমারি স্কুল পেরিয়ে হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীতে পা দিয়েছিল নিতাইয়ের বড় ছেলে নিশিকান্ত রায়। কিন্তু অচিরেই পাঠ চুকিয়ে সংসারের হাল ধরতে হয়েছিল তাকে।

বাবার পুরানো পেশায়ই নিয়োজিত হলো সে। ভাঙা চোরা দোকান ঘরটা কিছুটা গোছ-গাছ করে একদিন সকাল বেলা ধুপ জ্বেলে দিয়ে কাজ শুরু করে দিল। দা, কাস্তে, হাল, ফাল পুড়ানো বা তৈরির জন্য গ্রামের লোকের আর তিন মাইল দূরের শহরে যেতে হয় না।

ছোট ভাই তপনের সহযোগিতায় কাজ-কাম ভালোই চালিয়ে যেতে লাগল নিশিকান্ত। নগদ কাজের খদ্দের খুব কম। নগত যা আয় হয় তা দিয়ে নিত্যদিনের নুন তেলটার খরচ চলে। আর ঠিকে কাজের বিনিময়ে বছরে যা ধান-খন্দ পায় তা দিয়ে টেনে টুনে ছ’মাস চলে। বাকী ছ’মাস খেয়ে না খেয়ে কোনমতে গড়িয়ে যায়।

নিতাই ছেলেদের কাজে সহযোগিতা বা অন্য কোন কাজ-কাম তেমন একটা করে না। তবে কিছু একটা করে। নিতাইয়ের সমস্ত কাজের হিসাব রক্ষক ঐ বটগাছটা। প্রতিদিন বটগাছটার তলায় বসে সে বিড় বিড় করে কি সব বলে। পৃথিবীর কেউ তার খবর না রাখলেও বটগাছটি ঠিকই নিতাইয়ের ব্যালেন্সসিট মিলিয়ে রেখেছে।

এক, দুই, তিন করে অনেক দিন কেটেছে, বটগাছের অসংখ্য পাতা ঝরেছে, ভৈরবের পানি অনেক শুকিয়েছে। কিন্তু নিতাইয়ের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি কখনো। ধর্মপ্রাণ মুসলিম অধ্যুষিত অসাম্প্রদায়িক এই গ্রামে নিতাই রায় একমাত্র হিন্দু। তাই হয়তো তার কাজে কেউ বাঁধাও সৃষ্টি করেনি কোনদিন। তবে নিতাই যে কারো কাজে-কামে একদম লাগত না এমনও নয়।

কোন আমলে সে তার এক আত্মীয়ের কাছে গুণকীর্তন কিছু শিখেছিল। তার পর থেকে সে গ্রামের মানুষের কম উপকার করেনি। তার ওষুধ বা তাবিজ-তুমার নেয়নি এ তল্লাটে এমন লোক খুব কমই আছে। রোগ সারুক বা না সারুক সেটা বড় কথা নয়।

উপকৃত হয়ে অনেকেই সাধাসাধি করেছে বহুবার কিন্তু নিতাই কোনদিন কারো কাছ থেকে পাঁচটি পয়সা পর্যন্ত নেইনি। এদিকে নিশিকান্তের একার ইনকামে সংসার আর চলে না। ইতোমধ্যে মা-ছেলে, ছেলে-বাপে, ভায়ে-ভায়ে, ঝগড়া-ঝাটি হয়ে গেছে বেশ কবার।

বাপের সাথে ঝগড়া করে নিশিকান্ত ক’দিন বাড়ি থেকে চলেও গিয়েছিল। খাবার সময় বাড়িতে এসে নিতাই খাবার চাইলে বউয়ের গালী গালাজ ও ছেলেদের ঠাট্টা বিদ্রƒà¦ª প্রায়ই তাকে শুনতে হতো। এতদসত্ত্বেও নিতাই বটতলা যাওয়া কোনদিন বন্ধ করেনি।

কয়েক দিনের একটানা বৃষ্টি। কাজ-কাম কিছু নেই। নিশিকান্ত চুপচাপ বসেছিল। দু’দিন দানা পানি কিছুই জোটেনি। নিতাই বাড়ি ফিরে দেখলো ছোট মেয়েটি ভাত ভাত করে কাঁদছে।

নিশিকান্ত অগ্নিমূর্তি হয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করল তার কাছে টাকা পয়সা কিছু আছে কিনা?

নিতাই দুপা পিছিয়ে গিয়ে মৃদু স্বরে বলল, না।

নিশিকান্ত বলল, তবে কেন প্রতিদিন বটতলা গিয়ে বসে থাকো?

নিতাইও একটু উত্তেজিত হয়ে বলল, সে কৈফিয়ৎ কি তোমার কাছে দিতে হবে?

হঠাৎ ঘরের মধ্যে থেকে নিতাইয়ের স্ত্রী খেকিয়ে উঠল, ডেলাকানা মিনসে, ভাত দেয়ার মুরোদ নেই আবার বড় বড় কথা।

তপন বারান্দায় পাশেই খুঁটিতে হেলান দিয়ে বসেছিল। তপন কি যেন বলতে যাচ্ছিল কিন্তু নিশিকান্ত আবার চেচিয়ে উঠল, বাবা, কাল থেকে তুমি আর বটতলায় যাবে না।

ছেলের সাথে সুর মিলিয়ে প্রমিলা বলল, হ্যা, কাল থেকে হাতল ধরবে, বুঝলে হাতল। দোকান না চালালে পেট চলবে না।

নিতাই উঠানের একপাশে কুলগাছ তলায় দাঁড়িয়ে তখন ভিচ্ছিল। কোথা থেকে একটা নেড়ি কুকুর ছুটে এসে তার কাপড়ের মধ্যে মাথা গুঁজে দিল। সরে দাঁড়ালো সে। কিছুক্ষণ সবাই চুপ।

প্রমিলা মুখ খুলল, যাও, চান করে এস।

নিতাই দেখলো চান না করলে আজ রাত বাইরেই কাটাতে হবে। অগত্যা গামছাটা টেনে নিয়ে নদীর দিকে পা বাড়াল। ফিরে এসে দেখল, সবাই শুয়ে পড়েছে। নিশিকান্ত তখনও মাথায় হাত দিয়ে বসেছিল। বাবাকে দেখে পিছন ফিরে বসল। নিতাই কাপড় পাল্টে ভিজে কাপড় দু’টো চালে গুঁজে দিল। একটু দাঁড়িয়ে কি যেন ভাবল। তার পর খেজুরের পাতার পাটিটা টেনে নিয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়ল।

পরের দিন সকালে নিতাই যথারীতি চান করে তৈরি। মা দুগগা দুগগা বলে কপালে দু’হাত ঠেকিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল।

কোথায় যাচ্ছ? শোন। প্রমিলা বলল।

প্রমিলার কথা যেন নিতাইয়ের কান পর্যন্ত পৌঁছল না। সে দ্রুত পায়ে হাঁটতে লাগল বটগাছের দিকে।

নিশিকান্ত লাফ দিয়ে নেমে বাবাকে অনুসরণ করল। নিতাই সোজা বটগাছ তলায় গিয়ে আসনটা একটু ঝেড়ে নিল। তারপর কিছুক্ষণ বিড় বিড় করে কি সব মন্ত্র পাঠ করতে করতে কপালে দু’হাত ঠেকালো। বসে পড়েও দু’হাত কপালে ঠেকিয়ে উপুড় হয়ে বেশ মিনিট পাঁচ ছয় কাটিয়ে দিল। তারপর সোজা হয়ে আসনের উপর দুপা তুলে দিয়ে সুর করে কি যেন বলতে লাগল।

ইতোমধ্যে নিশিকান্ত বটগাছের বিপরীতে এসে দাঁড়িয়েছে। বাবার কার্যকলাপ দেখার জন্য সে আরো একটু সরে গেল। বাবা যেন না দেখে সেরূপ সাবধানতা অবলম্বনে গেল। কান খাড়া করে ঠায় দাঁড়িয়ে রইল।

নিশিকান্ত দেখল, তার বাবা নিতাই দু’চোখ বন্ধ করে সুর করে বলছে ‘ভগবান, তোর প্রেমের রশি দিয়ে আমারে তুলে নে।’

১০/১৫ মিনিট ধরে একই আবৃত্তি শুনতে পেল নিশিকান্ত। পরের দিনও উভয়ে উভয়ের অগোচরে একই স্থানে হাজির।

নিশিকান্ত আবার মনোযোগ দিল বাবার মন্ত্র পাঠে। সেই একই আওয়াজ তার কানে ভেসে এল। ‘ভগবান তোর প্রেমের রশি দিয়ে আমারে তুলে নে।’ নিশিকান্ত এর হেতু কি কিছুই বুঝল না। কিন্তু যা বুঝল তার কিছুই প্রকাশ করল না।

পরদিন সকালে সে এক গাছি রশি নিয়ে বাবার আসনের উপরের সোজা বটগাছের একটি ডালে উঠে প্রায় সারাক্ষণ চুপচাপ বসে রইল আর তার বাবার বাক্যপাঠ ও অন্যান্য ক্রিয়া-কর্ম দেখতে লাগল।

নিতাই পূর্বেকার মতো তার সমস্ত মন্ত্রপাঠ সমাপ্ত করে ‘ভগবান তোর প্রেমের রশি দিয়ে আমারে তুলে নে।’ বলতে শুরু করল। এভাবে চলল প্রায় সারাদিন। দুপুর পার হয়ে বিকেলও গড়িয়ে গেল।

নিশিকান্ত বাবাকে একটু জব্দ করতে চাইল। সে রশিটার আগায় একটা ফাঁস তৈরি করে আস্তে আস্তে রশিটি নামিয়ে দিয়ে বলতে শুরু করল ‘আমি প্রেমের রশি ফেলেছি তুই গলায় পরে নে।’

নিতাই প্রথমে ভুত দেখার মতো চমকে উঠল। পরে উলুক ফুলুক করে কয়েক বার এদকি সেদিক তাকাল কিন্তু কিছু তার চোখে পড়ল না। গাছের নীচে আলো আঁধারীতে রশিটাও তার চোখ এড়িয়ে গেল। নিতাই আবার সুর করে পূর্বের মতো সেই একই কথা শুরু করে দিল।

নিশিকান্ত এবার রশিটি অনেক নীচে নামিয়ে প্রায় বাবার মুখ বরাবর ধরে বাবার সুরের প্রতি উত্তর শুরু করে দিল। নিতাই ভাবল এতদিন পরে ভগবান তার দিকে চোখ তুলে তাকিয়েছে।

ভগবানের সান্নিধ্য পাওয়ার আনন্দে তার চোখ দুটো ছল ছল করে উঠল। সে কয়েক বার মা দুগগা দুগগা বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। উপুড় হয়ে কয়েকবার ভগবানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল। তার চোখে স্ত্রী, পুত্র, কন্যার ছবি বার বার ভেসে উঠতে লাগল। একবার সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে আসার কথা মনে পড়লো। পরক্ষণেই ভগবান নারাজ হবেন ভেবে থেমে গেল।

নিশিকান্তের বিকৃত কণ্ঠের সুর সন্ধ্যার পূর্বমুহূর্তে নিতাইকে ক্রমেই বিমোহিত করতে লাগল। তার ভিতরের শক্তিটা ক্রমেই তাকে সাহস দিতে লাগল। নিতাই ভাবল ফিরে কি লাভ। সংসারে তার কেউ তো সুদৃষ্টিতে দেখে না। অতএব ভগবানের সান্নিধ্য পাওয়াই শ্রেয়। আর এমন ভাগ্য পৃথিবীতে ক’জনেরই বা হয়। স্বয়ং ভগবানের সাথে সে পরজীবনে পাড়ি জমাচ্ছে, এটা কম কথা নয়! এবার তার চোখ মুখ আনন্দে চিকিচিক করে উঠল।

উঠে দাঁড়াল নিতাই। বার বার লক্ষ্য করল দড়িটার উৎস প্রান্তের দিকে কিন্তু কিছুই দেখতে পেল না। আবার সেই আওয়াজ। নিতাই আসন থেকে উঠল। পায়চারী করল কিছুক্ষণ। কি যেন ভাবল। অবশেষে দড়িটার কাছে এসে দাঁড়াল।

নিতাই দড়িটা হাতে নিল। কয়েক বার টানাটানি করল। কিন্তু ভাবল সবই ভগবানের লিলাখেলা। আস্তে আস্তে সে ফাঁসটা বাড়াল। গলায় ঢুকাল আবার বের করল। আবার ঢুকাল।

নিশিকান্ত এবার ধীরে ধীরে দড়িতে টান দিল।

খুক খুক করে বেশম লাগার মতো কয়েকটা কাশি বেরিয়ে এল নিতাইয়ের মুখ দিয়ে। ততক্ষণে নিতাইয়ের পা মাটি থেকে কিছুটা উপরে উঠে গেছে। শ্বাস প্রশ্বাস আর চলছে না। দু’হাতে রশিটাকে ছিঁড়তে চেষ্টা করল কিন্তু পারল না। নিশিকান্ত তার অকম্মা বাবা বেশ জব্দ হয়েছে মনে করে দু’এক মিনিট পর রশিটা ছেড়ে দিল।

কিন্তু নিতাই পা আর রাখল না মাটিতে, দেহটা এলিয়ে দিয়ে গড়িয়ে পড়ল মাটিতে। নিশিকান্ত পড়ি মরি নেমে এসে বাবার গলার ফাঁসটা একটু ঢিল করে দিল। গরুর নিশ্বাস ছাড়ার মতো ফোস করে একটা শব্দ বেরিয়ে এল নিতাইয়ের মুখ দিয়ে।

নিশিকান্ত ডাক দিল, বাবা।

নিতাইয়ের মুখ দিয়ে একটা অস্পষ্ট আওয়াজ বেরিয়ে এল, ‘বাবা আমি স্বর্গে যাচ্ছি।’

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।