সংবাদ শিরোনামঃ

তুরস্কে জনতার বিজয় ** এরদোগানের নেতৃত্বে তুরস্কের জনগণ রুখে দিল সেনা অভ্যুত্থান ** সঙ্কট নিরসনে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য ** ২০ দলীয় জোট ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র ** তুর্কী গণপ্রতিরোধে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান ** রফতানি বাণিজ্যের নতুন চ্যালেঞ্জ : রাজনৈতিক অস্থিরতা ** মানবতাবাদী বিশ্ব ও সন্ত্রাসবাদী বিশ্বের মাঝখানে মুসলমানদের দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে ** সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে প্রয়োজন দলমত নির্বিশেষে সবার ঐক্য : নজরুল ইসলাম খান ** তুর্কী জনগণকে অভিনন্দন ** জাতীয় স্বার্থ বনাম হুকুম তামিল করার দৌড়ঝাঁপ ** এ শিক্ষা আমাদের কোথায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ** দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজেও হরিলুটের অভিযোগ ** দুর্ভোগের আরেক নাম পাইকগাছার কপিলমুনি শহর ** কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট : সেবা কার্যক্রম ব্যাহত ** কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা ** ইসলামী সংস্কৃতির আলোকেই হোক ঈদ আনন্দ ** বাংলা ভাগের জন্য মুসলমানরা নন হিন্দুরাই দায়ী ** কবির বিশ্বাস ** সানজিদা তাহসিনা বেঁচে থাকবে সবার মাঝে ** জাতির নিকট রেখে গেলেন অনেক প্রশ্ন **

ঢাকা, শুক্রবার, ৭ শ্রাবণ ১৪২৩, ১৬ শাওয়াল ১৪৩৭, ২২ জুলাই ২০১৬

আ ত্ম ক থা

কবির বিশ্বাস

আল মাহমুদ

আমি মার্কসিস্ট ছিলাম। এ বিশ্বাস থেকে সরে আসার পিছনে সামগ্রিকভাবে ধর্মগ্রন্থই যে মূল কারণ তা আমি বলবো না। তবে ধর্মগ্রন্থ একটা বিরাট ব্যাপার ছিলো। আমি রক্ষণশীল ধর্মের পরিবার থেকে এসেছি। খুব ছোট সময়ে আমার মধ্যে ধর্ম-প্রবণতা ছিলো। তবে ব্যাপারটা সহসাই ঘটেনি। পড়াশুনার মধ্য দিয়েই ঘটেছে। আমি  ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে জন্মেছি। এ শহরে তৎকালীন কম্যুনিস্টদের একটা লাইব্রেরি ছিলো ‘লালমোহন পাঠাগার’, সেই পাঠাগারেই আমি বস্তুতান্ত্রিক জগৎ সম্পর্কে একটা ধর্ম-দৃষ্টিভঙ্গীর বাইরেও যে একটা অন্য দৃষ্টিভঙ্গী আছে সেটার সাথে পরিচিত হই। তখন আমার বয়স কম ছিল। ক্লাস-এইট নাইনে পড়ি। কবিতা লিখতে শুরু করি ক্লাস সেভেন থেকে। কবি হিসেবে আমি কখনো খুব সিরিয়াসলি আমার সমাজতান্ত্রিক ধারণা কাজে লাগাতে পেরেছি, তা আমি বলবো না। সমাজতান্ত্রিক বিশ্বাসের প্রতিফলন খানিকটা হয়েছে, সোনালি কাবিন এবং আমার প্রথম দিককার কবিতা। রোমান্টিক চিন্তা চেতনার মধ্য দিয়েই ঘটেছে। আমি কবিতা করে তোলার চেষ্টা করেছি। যদিও আমাদের পরিবার ধর্মীয় ও রক্ষণশীল, তবে বাবা-চাচারা কাব্যচর্চা সঙ্গীত চর্চা তাদের যৌবনকালে শুরু করেছিলেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় বক্তৃতা করতে গেলে ফার্সি বয়াত আবৃত্তি করতেন। তাদের নিকট থেকেই কাব্যপাঠের যে রীতি থেকে গেছে তা পরবর্তী প্রজন্ম গ্রহণ করেছে। রবীন্দ্রনাথের বই আমি ছোট সময়েই আমার বাড়িতে দেখেছি এবং যখন নজরুলকে নিয়ে বাংলায় হইচই পড়ে গেলো তখন নজরুলের অগ্নিবীণা আমি বাড়িতে দেখেছি। সওগাত, মাহে নও এসব পত্রিকা আমাদের বাড়িতে আসতো। একটা সাহিত্যের পরিবেশ আমাদের বাড়িতে ছিলো।

 à¦†à¦®à¦¿ একজন কবি এবং বিশ্বাসী কবি। আমাকে অনেকে প্রশ্ন করে একজন কবি হয়ে ধর্মের গণ্ডিতে বাঁধা পড়লে আন্তর্জাতিকতাবোধ অর্জন করা কি সম্ভব?  তাদের উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্য পরিষ্কার- আমার বিশ্বাস এক্ষেত্রে কোন বাধা নয়। পৃথিবীতে এখন প্রায় দেড়শত কোটি মুসলমান বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে। এটা আন্তর্জাতিকতার বাধা কী করে হতে পারে? এত বড় একটা বিশ্বাস এত বড় করে ছড়িয়ে আছে, এটার একটা মূল্য তোমাকে দিতেই হবে। আমি মনে করি, এটাও এক ধরনের আন্তর্জাতিকতা। আমি একজন মুসলমান, মরক্কোতে একজন মুসলমান আমার মতো, কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন মুসলমান আছে এটাওতো পরস্পরকে জানার একটা আন্তর্জাতিকতা। এর মানে এই নয়, আমার আন্তর্জাতিকতাবোধ কেবল মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। আমি মুসলমান আমার লেখায় আমার দেখা মানবসমাজ সভ্যতার কথা আমি লিখেছি। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পবিত্র বাণী । যে কোন ধর্ম-বর্ণের মানুষ যদি মাত্র একবার পবিত্র কুরআন শরীফ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করেন তাহলে তিনি উপলব্ধি করবেন এ গ্রন্থ তার সাথে কথা বলছে, তার কথাই বলছে, এ পবিত্র গ্রন্থ কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কল্যাণের জন্য নয় গোটা মানবজাতির জন্য নাজিল করেছেন বিশ্ব জাহানের ¯à§à¦°à¦·à§à¦Ÿà¦¾ আল্লাহতায়ালা। এ গ্রন্থের কোথাও বলা হয়নি “ও আরব। ও বাঙালি।” সব সময় বলা হয়েছে মানব সভ্যতা বা মানব সমাজ।

নাস্তিক অবিশ্বাসীদের কথা আমি বলতে পারবো না। তবে একজন বিশ্বাসী মানুষ যখন এ পবিত্র গ্রন্থ পাঠ করেন, তখন তার কাছে মনে হয়, মনে হবে বাইরে থেকে কেউ বলছে  এটা আমার বোধ, অবিশ্বাসীদের মনে নাও হতে পারে। মোটামুটি একজন পড়ুয়া লোক হিসেবে যখন আমি পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠ করেছি মনে হয়েছে কমান্ড-এর মতো বলছে। এটা না কোনো কবিতা, না কোনো ভাষাগত আর্টের বই। এটার যেন কেমন একটা আলাদা ভয়েস। যখনই বলা হচ্ছে বাইরে থেকে বলা হচ্ছে, একটু উঁচু জায়গা  থেকে বলা হচ্ছে। যেমন, আকাশ সম্পর্কে যখন বলা হচ্ছে তখন বলছে না ‘একটি আকাশ’, যখনই বলা হচ্ছে মনে হচ্ছে যেন অনেকগুলো আকাশ। আমি এই পবিত্র গ্রন্থ পড়েই  তো মুসলমান। এ পবিত্র গ্রন্থটি নিজেই এতটা আন্তর্জাতিক যে কোনো জাতরেখা মানছে না, কোনো  দেয়াল স্বীকার করছে না এবং সমস্ত জাতিগত সম্প্রদায়গত দেয়াল ভেঙে ফেলার বিপ্লবী আহবান জানাচ্ছে।

মানবসমাজের যে-গতি যে-কালে মানব সমাজ পদচারণা করে চলে আসছে তার মোড়ে মোড়ে পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো তাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছে। কোনো সময় কোনো রাসূলের উপর একটি পুরো গ্রন্থ এসেছে, আবার কোনো নবীর উপর একটি পুরো ধর্মগ্রন্থ আসেনি, হয়তো কয়েকটা মাত্র নির্দেশ এসেছে। নবী রাসূল (আ.)গণ আল্লাহর প্রদর্শিত পন্থায় মানব সমাজকে একটা সভ্যতার দিকে নিয়ে এসেছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বশেষ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর মাধ্যমে মানব জাতির জন্য নাজিল করেছেন সর্বশেষ পবিত্রগ্রন্থ আল কুরআন। এ পবিত্র গ্রন্থ এমন এক সমাজে নাজিল হয়েছে, যেখানে মানুষ একেবারে পশুস্তরে ছিলো। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ  (সা.) অক্ষর-জ্ঞানহীন একজন পবিত্র মানুষ, তাঁর ওপর নাজিল করা হয়েছে পবিত্র কুরআন। শ্রুতিধর হিসেবে তিনি পবিত্র কালাম ধরেছেন এবং তা মানুষের কাছে বিবৃত করেছেন।

পবিত্র কুরআনের প্রথম বাণী : “ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযি অর্থাৎ আল্লাহর নামে পাঠ করো।” আর কোনো ধর্মগ্রন্থ পাঠের  শুরুতে এমন নির্দেশ দেয়নি। কারণ পাঠের শুরু হয়েছে সামন্ততন্ত্রের ধ্বংসের পর যখন ধনবাদের উত্থান ঘটেছে। কুরআন এই নির্দেশের মাধ্যমে  সচেতনভাবে ধনতন্ত্রকে নাকচ করেছে। পবিত্র কুরআন সুদকে হারাম ঘোষণা করেছে। কারণ সুদ ছাড়া ধনতন্ত্র বা পুঁজিবাদ দাঁড়াতে পারে না।

লেখক : বাংলা সাহিত্যের এই সময়ের প্রধান কবি।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।