সংবাদ শিরোনামঃ

তুরস্কে জনতার বিজয় ** এরদোগানের নেতৃত্বে তুরস্কের জনগণ রুখে দিল সেনা অভ্যুত্থান ** সঙ্কট নিরসনে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য ** ২০ দলীয় জোট ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র ** তুর্কী গণপ্রতিরোধে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান ** রফতানি বাণিজ্যের নতুন চ্যালেঞ্জ : রাজনৈতিক অস্থিরতা ** মানবতাবাদী বিশ্ব ও সন্ত্রাসবাদী বিশ্বের মাঝখানে মুসলমানদের দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে ** সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে প্রয়োজন দলমত নির্বিশেষে সবার ঐক্য : নজরুল ইসলাম খান ** তুর্কী জনগণকে অভিনন্দন ** জাতীয় স্বার্থ বনাম হুকুম তামিল করার দৌড়ঝাঁপ ** এ শিক্ষা আমাদের কোথায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ** দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজেও হরিলুটের অভিযোগ ** দুর্ভোগের আরেক নাম পাইকগাছার কপিলমুনি শহর ** কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট : সেবা কার্যক্রম ব্যাহত ** কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা ** ইসলামী সংস্কৃতির আলোকেই হোক ঈদ আনন্দ ** বাংলা ভাগের জন্য মুসলমানরা নন হিন্দুরাই দায়ী ** কবির বিশ্বাস ** সানজিদা তাহসিনা বেঁচে থাকবে সবার মাঝে ** জাতির নিকট রেখে গেলেন অনেক প্রশ্ন **

ঢাকা, শুক্রবার, ৭ শ্রাবণ ১৪২৩, ১৬ শাওয়াল ১৪৩৭, ২২ জুলাই ২০১৬

শরীফ আবদুল গোফরান
অশ্বদিয়ার হালিম মাস্টার একজন দুঃখী মানুষ। নামটা যেমন তার হালিম, তেমনি দুঃখের শেষ ছিল না। সে ছিল দেখতে ছোটখাটো। দুর্বল, ভীতু। এ মানুষটি এক সময় গাঁয়ের স্কুলে মাস্টারি করতেন। কিন্তু ছেলেরা তার কথা মোটেও শুনতো না। ক্লাসে ভিষণ গণ্ডগোল করতো। হেড মাস্টার আকবর আলী একসময় হালিম মাস্টারকে ডেকে বললেন, এভাবে তো চলতে পারে না। আপনি বরং কাল থেকে আর ক্লাস নেবেন না। কেরানি স্যারকে সহযোগিতা করবেন। ওটাই আপনার চাকরি।

হালিম মাস্টার এতে খুব দুঃখ পেলেন। তিনি চাকরি ছেড়ে দিলেন। একথা শুনে স্ত্রীও তাকে বকাঝকা দেয়। তার একমাত্র ছেলে মালেক গ্রামের ডানপিটে দুষ্টু ছেলে। তার অত্যাচারে গ্রামের লোক জর্জরিত। একে মারছে, তাকে ধরছে, দূর থেকে ঢিল মেরে পালাচ্ছে। মাঝে মাঝে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওপারেও যায়। তখনই কেবল গাঁয়ের লোকেরা একটু শান্তি পায়, স্বস্তিতে থাকে। কিন্তু তাকে সামলানোর সাধ্য হালিম মাস্টারেরও নেই। অথচ তার জন্য লোকে এসে হালিম মাস্টারকে অপমান করে যায়। তিনি মাথা নিচু করে এসব নীরবে হজম করেন। তাকে কেউ পাত্তা দেয় না। একা একা থাকেন তিনি। এভাবে থাকতে থাকতে নিজে নিজে নানা কথা বলেন। কখনো আপন মনে হাসেন, কখনো মন খারাপ করে বসে থাকেন। মাঝে মাঝে হতাশ হয়ে বলেন, আল্লাহ আর কতো সইবো, আমি তো আর সইতে পারছি না।

রমজান মাস প্রায় শেষের দিকে। চারদিকে ঈদের আমেজ। মুসলিম পরিবারের সকল ছেলেমেয়েরা নতুন জামা কাপড় কেনাকাটা নিয়ে মহাব্যস্ত। বাজার থেকে আনা ওইসব নতুন কাপড় বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আনন্দের যেন আর শেষ নেই। মাত্র তিন চারদিন পরই তো ঈদ। সবাই ঈদে নতুন জামা-কাপড় পরবে। সেমাই খাবে, কোরমা খাবে, পোলাও খাবে। বন্ধুদের সাথে কোলাকুলি করবে। এ বাড়ি ও বাড়ি বেড়াবে। কতো যে মজা করবে।

আজ সাতাশ রমজান রাত। মন্দার বাড়ির সাবুর মা সেহেরির আয়োজন করতে উঠেছেন। চুলায় চড়িয়ে দিয়েছেন ভাত। পাতিলে টগ বগ করে উতরাচ্ছে ভাত, রান্না শেষ হলে সাবুকে ও ঘুম থেকে জাগাবে সেহরি খেতে। বাবা বাজার থেকে আজ বোয়াল মাছ এনেছেন। মা বোয়াল মাছ দিয়ে বেগুন তরকারি রান্না করছেন। সাবু ঘুমানোর আগে মাকে বলেছে, মা আমিতো সেহেরি খাবো। কাল রোজা রাখবো। মা বললেন, নারে বাপ ছোটদের রোজা রাখতে নেই। শরীর খারাপ করবে। আরো বড় হলে রোজা রাখবে। সাবু বলে, নাগো মা, মক্তবের হুজুর বলেছেন, রোজা না রাখলে আল্লাহ গুনাহ দেবেন। মা বলেন, ঠিক আছে বাপ, সেহেরির সময় তোমাকে জাগাবো। হঠাৎ সাবুর বাবা ঘর থেকে বাঘ বাঘ বলে চিৎকার কর উঠলো, মা রান্না ঘর থেকে দৌড়ায়ে গেলেন। সাবুর বাপের চিৎকারে চারদিকে শোরগোল পড়ে গেলো।

গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে দৌড়ে এলেন সাবুদের বাড়িতে। সাবুর মা চিৎকার দিয়ে দিয়ে ডাকছে, সাবুরে সাবু বাপ তুই কই গেলি। দেখেন সাবু বিছানায় নেই। বাবা মাথায় হাত দিয়ে বিলাপ করছে। হায়রে আমার ছেলেরে বাঘে নিয়ে গেলো। মাও বিলাপ করছে। কিন্তু কেউ তা বিশ্বাস করতে পারছে না। বাঘ কোথা থেকে আসবে? আবার কেউ কেউ বলছে, বাঘ আসতেও পারে। কারণ বড়বাড়ির পেছনের জঙ্গলে বাঘ থাকতে পারে। বড়দের মুখে শুনেছি এক সময় নাকি ওই জঙ্গলে বড় বড় হিংস্র বাঘ থাকতো। বুড়ো মানুষদেরকে পর্যন্ত ধরে নিয়ে হজম করে ফেলতো। গাঁয়ের লোকেরা এক সময় গোটা জঙ্গল ঘেরাও করে অনেক বাঘ মেরে ফেলেছে। হয়তো এখনো দু’একটা বুড়ো বাঘ বেঁচে থাকতে পারে। এটা তাদেরই কাণ্ড হতে পারে। গোটা গাঁয়ের মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লো।

আবার কার ঘরে বাঘ পড়ে। কার সর্বনাশ হয়, চিন্তায় পড়ে গেলেন গ্রামের মোমিন মেম্বার। থানা সদরে খবর দেয়া হলো। ওসি সাহেব আসছেন। তিনি আসার আগে গ্রামের সব লোক এক হয়ে বৈঠক করলেন। বৈঠকে বসেছেন গ্রামের বড় বড় মাতব্বর। সাবুর বাবা হাতেম আলীকে সবাই জিজ্ঞেস করলেন, বাঘটা তুমি কেমন দেখেছ?

-না, আমি দেখিনি। তবে বাঘের মতো দৌড়ে যেতে দেখেছি। মোমিন মেম্বার খিঁচিয়ে উঠলেন, তাহলে বাঘ বাঘ বলে চিল্লাচিল্লি করলি কেন?

হাতেম আলী বললেন, আপনার বাড়িতে বাঘ পড়লে আপনিও চিল্লাতেন। কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করতে পারলো না। এদিকে গ্রামের এক যুবক উল্লসিত হয়ে বললো, হাতেম আলী বাঘ দেখেনি বলে গ্রামে বাঘ পড়েনি! কী বলছ তোমরা? অ্যাঁ! তাহলে হাতেম আলীর পোলাডার কী হলো! কে নিলো তার পোলাডারে। মোমিন মেম্বার বললেন, আসলে তা না! আমাদের একটু ভাবতে হবে। ব্যাপারটা কী।

যুবকটি বললো, অত ভাবাভাবির কি আছে? বাঘটিকে মেরে ফেললেই তো হয়। ল্যাটা চুকে যাবে।

মোমিন মেম্বার গম্ভীর স্বরে বললেন, আরে বাবা তুমি বললেই কি হলো! বন্যপ্রাণী মারা আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। এজন্য তোমাদের তো কিছু হবে না। আমাকে এর জবাব দিতে হবে। যুবকটি উত্তেজিত হয়ে বললো, মানে খুনি, চোর, ডাকাত, হিংস্র জীবজন্তু সবার সাথেই আমাদের এক সঙ্গে থাকতে হবে? গ্রামের এ নীতি এভাবে পালটে দিতে চান আপনি?

মোমিন মেম্বার বললেন, আরে বাবা এতো উত্তেজিত হয়ো না। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। ওসি সাহেবকে খবর দেয়া হয়েছে, যে কোনো সময় তিনি এসে পড়বেন। যুবকটি অধৈর্য বিরক্ত! তার সাথে একমত হলো আরো কিছু যুবক। তারা বললো, ওসি সাহেব আসতে আসতে যদি আরো কোনো ঘটনা ঘটে যায় তখন কী করবেন?

মোমিন মেম্বার বললেন, ঠিক আছে, তোমাদের যার ঘরে যা আছে, লাঠি, বল্লম, সড়কি, টর্চ, কাছি তা দিয়ে রাতে পাহারার ব্যবস্থা করো। তোমরা যুবকরাই এ কাজে সহযোগিতা করবে। তবে হ্যাঁ, দ্যাখো বাঘ যেন মারা না পড়ে। আমাদের বদনাম হয়ে যাবে তাহলে।

এক যুবক উত্তেজিত হয়ে বললো, বাঘ ধরতে গিয়ে মানুষ মারা গেলে বোধ হয় তত বদনাম হবে না, তাই না মেম্বার সাব?

মেম্বার বললেন, আরে বাবা বুঝতে চাও না কেন? বাঘ আন্তর্জাতিক প্রাণী। আমাদের এই অশ্বদিয়ার মানুষতো তা নয়। বাঘ মরলে সারাদেশে খবর হয়ে যাবে। পত্রিকায় ছাপা হবে। মামলা হব। মকদ্দমা হবে। গ্রামের মুখে চুনকালি পড়বে। ব্যাপারটা একটু বোঝার চেষ্টা কর বাবু। তোমরা যুবক, রক্ত গরম। এসব বুঝতে তোমাদের সময় লাগবে।

রাতে গ্রামের যুবকরা পাহারা দিতে বের হয়েছে। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে মোমিন মেম্বার। আকাশে আজ চাঁদের আলো নেই। সন্ধ্যা রাত থেকেই অন্ধকার।  বাঘ আসে ভোর রাতে সেহেরির সময়। টর্চ বা হ্যারিকেন তাদের ভরসা। দশ বছর আগে গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা হয়েছিল। তা থেকে একমাত্র আইউব আলি বিদ্যুৎ নিয়েছে। তাদের রাইস মিল আছে। কিন্তু গোটা অশ্বদিয়া গ্রামের আর কোথাও আলো নেই। হ্যারিকেনের আলোয় যুবকরা বসে। মোমিন মেম্বার তিনটি দলে যুবকদের ভাগ করে দিলেন। প্রত্যেক দলে লাঠি, সড়কি, কাছি ও একটি করে টর্চ এবং বাঁশ দেয়া হলো। তিনি বললেন, বেশি সাহস দেখাবার দরকার নেই। বাঘের গন্ধ পেলে বাঁশি বাজালেই চলবে। বাঁশির আওয়াজ শুনলেই বাঘ হটে যাবে। খুব সাবধান। সব সময় মনে রাখবে বাঘ আমাদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান।

যুবকরা অবাক হয়ে গেলো। তারা বললো, তা কী করে হয় মেম্বার সাব?

মোমিন মেম্বার বললেন, হয় হয়, সবই হয়। এই পৃথিবীর কতটুকু দেখেছিস, কতটুকু পড়েছিস, অ্যাঁ?

এক যুবক হঠাৎ বলে উঠলো, শুনেছি, গায়ে শক্তি যাদের বেশি থাকে তাদের নাকি বুদ্ধি কম থাকে।

মেম্বার বললেন, ঘোড়ার ডিম। তোদের দোষ কী জানিস, তোরা সব আধা আধা শুনতে পাস। পুরোটা জানার চেষ্টা কর। জিম করবেট পড়েছিস?

এক যুবক জিজ্ঞেস করল, সেটা আবার কী? মেম্বার বললেন, অ্যাঁ, তাইতো বলছি। শোন, জিম করবেট হলেন একজন বাঘ বিশেষজ্ঞ। বাঘ যে বুদ্ধিমান এ রায় তারই।

তারপর যুবকরা চুপ হয়ে গেলো।

মোমিন মেম্বার বললেন, তোদের অত ভাবতে হবে না। এবার তোরা বেরিয়ে পড়। বড় বাড়ির পেছনে জঙ্গল। এই জঙ্গলেই নাকি বাঘের বসবাস। ওদিক থেকেই বাঘের আগমন ঘটতে পারে। অতএব ভারী দলটা এদিকেই গেলো।

মাঝারি দলটা গেলো উত্তরে ধোপা বাড়ির পেছনে। মোমিন মেম্বার তিনজনকে নিয়ে রইলেন বড় রাস্তার মাথায়।

গভীর রাত। বসে থাকতে থাকতে মোমিন মেম্বারের ঝিমুনি এসে গেলো। হঠাৎ কচি গলার কান্নার শব্দ ধড়মড় করে উঠে বসলেন তিনি। হাতঘড়িতে তাকিয়ে দেখলেন ২টা বাজে। তার সাথের তিন যুবক রাস্তার মোড়ের বড় আমগাছটার তলায় শুয়ে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। লাঠি দিয়ে খোঁচা মেরে ওদের তুললেন। বললেন, শুনতে পাচ্ছিস কচি গলার কান্নার শব্দ?

ঘুমের ঘোর তখনও ওদের কাটেনি। কিছু বোঝার আগেই ঘোরের মধ্যে তিনজন বলে উঠলো, হ্যাঁ, হ্যাঁ কান্নার শব্দ শুনতে পাচ্ছি। মোমিন মেম্বার ওদের ঘুমের বহর দেখে রেগে গেলেন। বললেন, গাধারা বসে আছিস এখনও? বাঁশি বাজা। ঢুলতে ঢুলতে তিনজন বাঁশি বাজাতে লাগলো। মোমিন মেম্বারও বাঁশি ফুঁ দিলেন। আর অমনি সদর রাস্তার পশ্চিম পাশে ঈদগাহ মাঠের বড় বটগাছটার নিচে দেখা গেলো ইয়া বড় এক বাঘ। কিন্তু তার মুখে কোনো শিকার নেই। শিকারটা হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। মোমিন মেম্বার লাফিয়ে উঠলেন। টর্চের আলো ফেলেন বাঘের গায়ে। বাঘ ফিরে তাকালো তারপর হঠাৎই মুখের শিকার ফেলে দিয়ে গড় গড় করে আওয়াজ করে দে ছুট। তার চারজন বাঘের পিছু পিছু খানিকটা গেলেন। বারবার টর্চের আলো ফেলে দেখেন, বাঘের নিচের অংশ অনেকটা মানুষের মতো কিন্তু মুখটা বাঘের মুখ। তখন তাদের সন্দেহ হলো বাঘটা দ্রুত ছুটে অন্ধকারে বড় বাড়ির পেছনের জঙ্গলে গা ঢাকা দিল। বাঘের এভাবে শিকার ফেলে পালানো দেখে তাদের বুঝতে বাকি রইল না যে, এটা বাঘ নয়। একজন মানুষরূপী বাঘ।

এরই মধ্যে তাদের চিৎকার শুনে গ্রামের সব মানুষ বড় বাড়ির জঙ্গল ঘেরাও করলো। মোমিন মেম্বার গ্রামের লোকদের বললেন, সকাল পর্যন্ত জঙ্গলটা ঘেরাও করে রাখুন। দিনের আলোতেই তাকে ধরতে হবে। একজনকে সাইকেল নিয়ে থানায় পাঠানো হলো।

ভোর হয়েছে। পাখির কিচির মিচির শব্দ। বড়বাড়ির চারদিক ঘেরাও করে আছে শত শত লোক। সবাই লাঠি, সড়কি, কোঁচ, টেটা, বল্লম তাক করে আছে। ইতোমধ্যে থানার ওসি ফোর্স নিয়ে হাজির। তিনি বললেন, খবরদার কেউ বাঘটাকে মারবে না। আমরা তাকে অক্ষত ধরতে চাই।

ওসি সাহেব ফাঁকা গুলি ছুঁড়লেন। অমনি একটা মুখোশ পরা যুবক দু’হাত ওপরে তুলে জঙ্গল থেকে বের হয়ে এলো। পুলিশ বন্দুক তাক করে রাখলো তার দিকে। সে আস্তে আস্তে কাছে এলো, অমনি সবাই জড়িয়ে ধরলো তাকে।

ওসিও মোমিন মেম্বার কাছে এলেন। টান দিয়ে তার মুখোশটা খুলে ফেললেন। একি! এতো বাঘ নয়। এ হলো মন্দার বাড়ির হালিম মাস্টারে ছেলে মালেক। ওসি সাহেব দু’ঘা বসাতেই সে সব খুলে বলতে লাগলো। তার সাথে একটি ছেলেধরা দল কাজ করে। সে গভীর রাতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের চুরি করে বড়বাড়ির জঙ্গলে নিয়ে এলে রাতের মধ্যেই তার সহযোগীরা অতি সন্তর্পণে এসব ছেলেমেয়েদের সীমান্তের ওপার নিয়ে যায়। সাবুর মার ছেলেটার ভাগ্যেও তাই ঘটেছে। এবার গ্রামের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এলো। মালেককে বেদম মারপিট করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে মানুষ যে যার ঘরে ফিরে গেলো।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।