![](images/1718263269Cat.jpg)
॥ অধ্যাপক শামসুজ্জামান মতীন ॥
হঠাৎ এলো একদিন,
মিউ-মিউ, ম্যাও-ম্যাও সুর তুলে
বাউন্ডারি ঘেরা গেট পেরিয়ে
কে শুনেছে, কে শুনেছে? সবার আগে
নূহা শুনেছে-বিতর্কের
মীমাংসা অবশেষে। দুজনই শুনেছে।
যেন দুজনের প্রস্তুতি ছিল দুজনেরই।
গেটের ভেতরে, লনে দুজনেই খেলছিল আনমনে বিড়ালছানাটির মাথায় হাত বুলিয়ে। আদরে আদরে বিড়ালটা চোখ মুছে, ছানাও সোহাগে ম্যাও-ম্যাও করতে থাকলো যেন কতকালের আদরমাখা সে চারটে হাত।
‘বসবাসের’ কক্ষগুলো থেকে বেরিয়ে এলেন দাদা, দাদু, আব্বা, আম্মা এবং আটজন নাতি-নাতনির কাফেলা সবাই দীনি এলেম পালনকারী। ‘বসবাসের’ সার্বিক পরিবেশটাই এমন। দাদাÑ প্রিয়নবীর প্রাসঙ্গিক হাদিস শোনালেন। দরদী নবী (সা.)-এর চাদরে ঘুমচ্ছিল এক বিড়াল। ওর ঘুমের ব্যাঘাত না হয়, সেজন্য তিনি (সা.) চাদরের ওই অংশটি কেটে চাদর তুলে নিলেন। নবী (সা.) একদিন ঘনিষ্ঠ সাহাবীদের নসিহত করছেন। এমন সময় গুরুত্বপূর্ণ একজন সম্মানিত সাহাবীর কোলে চাদরে মুড়িয়ে রাখা বিড়াল ম্যাও করে উঠলো। সাহাবী বিব্রতবোধ করতে থাকলেন, হুজুর (সা.) হেসে বললেন, আজ থেকে তোমার নাম হলো আবু হুরায়রা (বিড়ালের পিতা)।
গাঢ় গভীর কর্তৃত্ববাদী এ সংসারের কর্ত্রী দাদু বলেন, এ রকম হাদিস আরো আছে, এখন তো বিড়ালছানা হয়ে গেল নবীজির (সা.) দীক্ষায় আবু হুরায়রা। তবে তোমরা ছোট্ট নামের ব্যবহার করবে পিশু, মিশু। সবাই আবেগের তাড়নে উচ্ছ্বসিত হয়ে নাম এবং ডাক শুরু হয়ে গেল মিশু। গোড়া বুদ্ধির কর্তৃত্ববাদী দাদু বললেন, শোন হে সোনামণির দল মিশুকে নিয়ে একটা নৈতিক এবং আইনিক সমস্যার সমাধানে যেতে হবে। বিড়ালছানাটির তত্ত্বাবধায়ক কে? কীভাবে আমরা পেলাম?
ধর্মীয় এবং আদর্শিক নির্দেশনায় একটি বিজ্ঞপ্তি গেটের বাইরে ঝুলিয়ে দাও, অন্তত তিনদিন। অতঃপর হবে সিদ্ধান্ত।
পরিকল্পনা মোতাবেক ছোট লেখা, বড় হরফে ‘একটি বিড়ালছানা পাওয়া গেছে, ছানাটি যার তিনি যেন নিয়ে যান’।
নিয়মানুযায়ী তিন দিন, প্রয়োজনে সাতদিন। সেদিন বিকেলেই হাসতে হাসতে ক্ষ্যাপা বশির, ছেলেটি একমুখী, প্রচণ্ড জেদি বলে ওকে খুবই স্নেহ করে বিশেষ সময় সুযোগে ডাকি ক্ষ্যাপা বশির, ওই বিড়ালছানাটি গেটের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে। ওদের বিড়াল বাচ্চা দিয়েছে তিনটিÑ আমরা আদর যত্ন করে লালন করবো ভেবে আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে গেছে। সোনামণির দল আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠলো এবং বশিরকে মিষ্টি মুখ করিয়ে দিল। বশির আমার তৃতীয় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার সাদিকের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেই থেকে বিড়ালছানাটি মিশু হয়ে গেল।
দুধভাত, মাছভাত বিড়ালের প্রধান এবং পছন্দের খাদ্য।
আনন্দের আতিশয্যে ওরা খাওয়ায়, অতিযত্ন নিচ্ছে ওর পরিচর্যাকারীর দল। আটজন ওর সেবায় নিয়োজিত। সবচেয়ে ছোট্ট সদস্য আয়িশা কোলে বসেই তোলপাড় করছে। মূল দায়িত্ব নূহা আর রাহির। কিন্তু সবাইকেই অংশ নিতে হবে। দু-একদিনের মধ্যেই বোঝা গেল, দুধে ভাতে নয়, মাছে ভাতে বাঙালি মিশু। শুধু মাছ মুখটা হাসিতে আরো উচ্ছল করে রাখে।
এমনি করে মিশু হয়ে গেল এ পরিবারের এক উজ্জ্বল আর উজ্জ্বল সদস্য।
মাছে ভাতে বাঙালি মিশু ক্রমে হয়ে উঠলো দুর্বার দুরন্ত। সে এখন আট সোনামণির সঙ্গে খেলে, লাফায়, ছোট শিশুর মতো নয়জনই খাই-দাই ভুলে খেলায় মত্ত হয়ে ওঠে। আমরা বড়র দল করিডোরে বসে ভোগ করি। আত্মতৃপ্তিতে হৃদয়মন হয়ে ওঠে সিক্ত। মিশুকে পর্যাপ্ত খাওয়ানো হয়। কিন্তু দাদু, মা, এরা নূহা রাহি, নূরীন, উজু, নাফিসা, হাম্যা সুমো, আয়িশা, চেঁচামেচি করতে থাকে, ‘খেয়ে যাও, খেয়ে যাও’। এমনিভাবেই চলছে। ইতোমধ্যে যার যার প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার প্রস্তুতি চলে। কখন যে ছুটি হবে, ভেবে ভেবে কচিমন মলিন হয়ে উঠে।
দাদু এগিয়ে এলেন, মা এগিয়ে এলেন, আদরের মিশুর যত্নে কোনো ব্যাঘাত হবে না- প্রতিশ্রুতিতে আশ^স্ত নূহ-রাহি। মিশু খেলছে আপন চাহিদার- ইঁদুরের পেছনে দৌড়ঝাঁপ, তেলে পোকা নিয়ে হালকা খেলা, আর দৌড়ে দাদু, মা’র এবং সিয়ামের মার পায়ে লেজ নেড়ে আদর জানায় আরো খেতে চায়। মাছে ভাতে বাঙালি, মাছ না পাওয়া পর্যন্ত ম্যাও-ম্যাও করে- ক্রমে স্বর চড়ে যায়। সাংসারিক কাজকাম বন্ধ রেখে ওর চাহিদা পূরণে ব্যস্ত- ভাতের সাথে মাখানো মাছের অংশটুকু খেয়ে চোখ বন্ধ করে সটান শুয়ে পড়ে আর গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
আশ্চর্য! ইঁদুরের লাফালাফি- ঝাঁপাঝাঁপি ইঁদুরসর্বস্ব কক্ষগুলো হঠাৎ ইঁদুরহীন কক্ষে পরিণত হয়ে যায়।
আয়েশামণি ছাড়া অষ্টম রত্নের কেউ দুপুর পর্যন্ত বাসায় থাকে না। মিশু এখন হাহাকারে আছে। শুধু মাছে ভাতে কি আর পেট ভরে- খেলার পেট ভরে কী করে?
গেট খোলার শব্দে মিশু লাফাতে থাকে- ভাই-বন্ধুদের আগমনের ঘণ্টায়। মিশুকে দেখতে নূহা-রাহির মায়েরা রাশাসহ বন্ধুর দল। মিশু এখন আনন্দে নাচতে শুরু করলো। জাম, নারিকেল আর বিশাল মেহগনির স্নিগ্ধ ছায়া আঙিনাজুড়ে। খেলা এখন মধ্যমাঠেÑ নিশ^াস নেয়ার সময়। দাদু ডাকছেন, মা ধমকাচ্ছেন, ‘খেয়ে যাও, খেয়ে যাও’। কে শোনে কার কথা। অতঃপর দাদু ধরে নিয়ে যান খাবার টেবিলে। ‘খাওয়ায়ে দাওÑ উঃ সময় নেই’। সিয়ামের আম্মা পানি নিয়ে আস বলেই দে-ছুট।
চলছে এমনিভাবেÑ ক্রমে মিশু খামচাতে/খাবলাতে লাফায়- নূহা-রাহিদের ভীত ভাব দেখে ওর আনন্দ আরো বেড়ে যায়, চলছে কিছুদিন।
একদিন নূহা ভয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে- ওর হাতে খামচেছে- রক্ত বের হয়েছে। সবাই হতভম্ব। নূহার আব্বা শহরের নামিদামি ক্লিনিক (প্রাইভেট হাসপাতাল) এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর, বড় বড় ডাক্তারদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ কাজ করতে করতে এখন অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছে। হাসপাতাল থেকে ছুটে এলো। সর্বনাশ তিন দিন ইনজেকশন দিতে হবে। রাগে, ক্ষোভে, দুঃখে মিশুর আর খেলা- আলাপচারিতা রইলো না। দ্বিতীয় দিন মিশু সবাইকে মিউ-মিউ ডাকে। আমরা সবাই তখন সতর্ক হয়ে গেলাম। মিশুর সুসমাচারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়ে গেল। আদর স্নেহের আড়ালে, অবিশ্বাস, ওর তুলতুলে নরম গায়ে মোনাফিকে মতো বিচরণ করছে। দু-একদিন ভালোই যাচ্ছে- আবার সুযোগ পেলেই মারছে টর্নেডো রেমালার আঘাত। সে আঘাত থেকে আদর, যত্ন, সোহাগের কর্ত্রী দাদুকে, দুদিন পর দাদাকে। আরো দুদিন পর আদর যত্নের দ্বিতীয় প্রধান সোহাগ মাতাকেও মিশু ছাড় দেয়নি। এমনি পরিবারের প্রতি সদস্যকেই মিশু তিন দিনের ইনজেকশনের আওতায় নিয়ে এসেছে এবং লাগাম ছাড়া আনন্দোল্লাসে মেতে উঠেছে। প্রথম দিন রাগে, দুঃখে, দাদু, মা, সিয়ামের আম্মা কেউ খেতে দেয়নি। মিশু গাল ফুলিয়ে যেন বলছে, ‘নূহা-রাহিদের খেতে দাও আমাকে দেবে না কেন? আমি কি ওদের নবম ভাই নই’। অতঃপর লেজ ফুলিয়ে দুলিয়ে এমনি আকুতি জানায় যে, বরফের পাহাড়ও গলে যায়।
মিশুর আত্মকথন : আমার দাদুর গাড়ি আছে। প্রায় সপ্তাহে সবাই মিলে বেড়াতে যায়। ফিরে আসে রাতে। আমাকে বাসায় রেখে যায়। আমি ইঁদুর-চিকার পাহারা দিই। আমার কি যেতে ইচ্ছে হয় না? ভাবি আর আবেগে কাঁদতে থাকি। নূহা-রাহি অবশ্য নিয়ে যেতে চায়- তবে অনিবার্য কারণে যাওয়া হয়ে ওঠে না। আমি ভাবি- আমি যে ভীন জাতি। ‘বসবাসে’র বড় সদস্যগণ কি যেন ফিস্ফাস্ করে- একটা ষড়যন্ত্রের আভাস পাই। দু-একদিনের মধ্যে বেড়াতে যাবেÑ আমাকেও নিয়ে যাবে। এই প্রথম আমার গাড়িতে চড়ার শখ মিটতে যাচ্ছে। আমার এ জীবনে এত আনন্দ আর পাই নাই। খাই-দাই আজ ভুলে গেছি। অন্যদিনের চেয়ে আমার আদর আর সোহাগ অনেক বেশি পরিমাণে সবাই করছে। আমার সে যে কি আনন্দ, এখন খেতেও ইচ্ছে হচ্ছে না, পেট ভরে গেছে। আমার সবচেয়ে কাছের নূহা-রাহি আমাকে কোলে তুলে নেয়।
অতঃপর আমরা গাড়িতে উঠলাম- চালকের আসনে নূহামণির আব্বু। যাত্রা শুরু হয়ে গেল। বাসার থেকে বের হয়ে ডান দিকে যেতেই তেল নেয়ার দোকান- গাড়িতে তেল নেয়া হলো- আদরের বন্যায়- চোখে আমার কান্না। কোলে বসে সবদিক তীর্যকভাবে দেখছি- সবার চোখেই পানি- আমার বোধোদয় হচ্ছে না। আনন্দের আতিশয্যে সবাই কি কাঁদে। হঠাৎ গাড়িটি একপাশে দাঁড়ালো- গাড়ির চালককে এখন মনে হচ্ছে আস্ত হিংস্র দানব- নূহা-রাহির কোল থেকে কারাগারের জল্লাদের মতো জোর করে আমাকে তুলে নিলো- সবার চোখে মুখে ভয়াবহ বিষাদ- পানি গড়িয়ে পড়ছে চোখ বেয়ে- একটি ধ্বনি উঠলো ‘আল্লাহু আকবার’ একটা মুহূর্ত, আর কিছুই জানি না। নোংরা, দুর্গন্ধ, পচে যাওয়া কালো পানি নর্দমায় ভরে আছে। না, জ্ঞান হারাইনি। অনেক কষ্টে, অনেক যত্নে, সারা রাতের প্রচেষ্টায় পরদিন রোদের তাপ চোখে মুখে লাগায় বুঝতে পারলাম স্বজনরা আমাকে ফেলে গেছেন- মহান আল্লাহ তার সৃষ্টিকুলে মানুষকে বানিয়েছেন সর্বশ্রেষ্ঠ- প্রয়োজনে তাঁরা যে কত হিংস্র দয়ামায়াহীন হতে পারে তার উদাহরণ আমার এ ঘটনা। এ পৃথিবীতে একমাত্র নূহা, রাহি, দাদু, দাদা, মা ছাড়া কাউকে চিনি না- বাড়ি ঘরও ওই একটাই- ‘বসবাস’ যার নাম ...
যথারীতি আমরা অনেক রাতে কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরলাম- সবাই কাঁদছি- নূহা, রাহি, আমি আমি তো শিশুর মতো ডুকরে ডুকরে কাঁদছি- দৃশ্যত কঠিন মনের অধিকারী দাদুর চোখও ছলছলে, গড়িয়ে পড়ছে পানি। সময় চলছে তার নিয়মে- কষ্টের সময় আবার যেতে চায় না, অনেক দীর্ঘ, এক ঘণ্টা একশত বিশ মিনিটে।
মিশু প্রতিরাতে সবার শোয়ার পর তার স্থান দু’টো। (এক) নূহামণির সোফা (দুই) আমার খাটের বাইরে কার্ণিশে। আজ কতবার যে ঘুমের ঘোরে দেখছি ভুলে, মিশু ঘুমুচ্ছে নেশাগ্রস্তের মতো। পরদিন সকাল থেকেই মিশু নেই, শূন্য এদিক, ওদিক, চারদিক না নেই, কোথাও নেই- ‘বসবাসের’ বাসাতে নেই। এই অভাবনীয় হিংস্রতার জন্য বাসার সবাই সবাইকে দোষারোপ করছি।
মা’র খেয়ে, তাড়া পেয়ে মিশু ইাঁটছে নিজস্ব নিরিখে ‘বসবাসের’ আঙিনায় পৌঁছতে। পেটে ক্ষুধা, সবাই তো শুধু ধাওয়া দিচ্ছে, খাওয়া তো দিচ্ছে না কেউ। ভাতে মাছের বাঙালি মিশুকে কে খেতে দেবে। মহান আল্লাহ তায়ালার ওপর পূর্ণ ভরসা রেখে, হাঁটতে হাঁটতে জিরানি দিতে দিতে আসছে নিজ আঙিনায়। ক্লান্তি অবসাদে জ্ঞান হারানোর েশষ সীমায়, তবে ঘুম আর আসছে না। খাওয়ার আকুতিতে কেউ একজন মায়া করে এক টুকরো রুটি ছুঁড়ে দিলো- তাই চিবাতে চিবাতে- ঢলতে ঢলতে টলতে টলতে এক চোখ বুজে অতি কষ্টে, অতি যত্নে চলছে মিশু- উদ্দেশ্য নিজ আঙিনা- শরীরের সব শক্তি ব্যয়ে আসছে। টর্নেডো রেমালের আঘাতে বিধ্বস্ত ‘বসবাসের’ বাসীবৃন্দের মনও হাহাকারে ক্ষতবিক্ষত বিদীর্ণ রক্তাক্ত।
উৎকীর্ণ, উৎকণ্ঠিত, সদাসতর্ক সংবেদনশীল দাদুর দিকে সবাই তাকিয়ে আছি। ক্ষীণ হলেও আশা- মরে না যেয়ে থাকলে মিশু আসবেই। মিশুকে ছুড়ে ফেলা হয়েছে এক কিলোমিটার দূরে। ইতোমধ্যে যার যার মতো মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে মোনাজাত করছি, আমৃত্যু ওকে আর কিছু বলব না।
কেটে গেল দুই রাত, দুইদিন। আশাও আমাদের স্তিমিত হয়ে আসছে- শুধু বুকে আছে ওর স্মৃতি।
বড়র দল, আমরা তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করি প্রায় নিয়মিত- ফরজ নামায আদায়ে মসজিদে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এমনি অবস্থায় বাসার কর্ত্রী উত্তেজিত কণ্ঠে চাপা চিৎকারে বলে উঠলেন, এই নূহা-রাহি শুনেছ অস্পষ্ট ধ্বনিতে কাতরাচ্ছে ম্যাও-ম্যাও... তিন দিন না খেতে পেয়ে মিশুর কণ্ঠ জড়িয়েÑ গেছে নূহা-রাহি সুদ্ধ ‘বসবাসে’র বাসীবৃন্দ উত্তেজিত হয়ে উঠছে। গেটের বাইরে এক কোণে গুঁজুমুজু ধরে ধুঁকছে মিশু। পিট পিট করে আনন্দে আহ্লাদিত মিশুকে না শিশুকে কোলে তুলে নিলো সবচেয়ে বেশি দাবিদার নূহামণি।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- কুরবানির ইতিহাস ও তাৎপর্য
- আরাফাতের দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত
- জায়নবাদ এবং তার সখা
- নতজানু
- বখতে নসরের চোখ
- আবুল খায়ের নাঈমুদ্দীন-এর দুটি কবিতা
- চাঁদের জোসনা
- আলম শামস-এর একগুচ্ছ
- বিদ্রোহী কবি সম্রাট
- সাফা মারওয়া
- ঈদের নামায
- কুরবানি ঈদের পূর্বপ্রস্তুতি
- আনুগত্য ও ত্যাগের মহিমায় হযরত ইব্রাহীম (আ.) ও তার পরিবার
- কুরবানি ঈদের রান্না
- সংসার
- হজ মহাসম্মেলন
- বিদায় হজের ভাষণ
- ঈদ ভাবনায় আঁকা জীবন
- কুরবানির শিক্ষা