বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, সকল নবী-রাসূলগণই দীন কায়েমের এ মহান কাজে নিয়োজিত ছিলেন। কেউ দীনকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কায়েম করতে সক্ষম হয়েছেন, কেউ হননি। কিন্তু সকলেই দীন কায়েমের প্রচেষ্টায় আপসহীন ছিলেন। ইসলামী আন্দোলনের বিজয়ে আমাদের যেকোনো ত্যাগ-কুরবানি প্রদর্শনের আগ্রহ ইচ্ছা থাকা জরুরি। এ-ধারা চলমান এমনকি সাহাবীগণের মাঝেও এমন কোনো সাহাবী খুঁজে পাওয়া যায় না, যিনি ইকামতে দীনের কাজ হতে বিরত ছিলেন। সাহাবীগণ জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর কাজে সকলেই ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো এদেশে কুরআনের সমাজ বিনির্মাণ করা। ইকামতে দীনের বিজয়ের জন্য আমরা সে লক্ষ্যেই যাবতীয় প্রচেষ্টা সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি।
গত ১৮ জুন মঙ্গলবার ঈদুল আজহা-পরবর্তী সময়ে নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায় সাধারণ জনতার সাথে সৌজন্যতা বিনিময়কালে উপস্থিত নেতাকর্মীদের এসব কথা বলেন। পরে তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২২৩তম শহীদ আনিসুর রহমানের বাড়িতে যান এবং শহীদের পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন। ১৩ এপ্রিল ২০১৫ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মু. কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পরের দিন হরতাল চলাকালে পুলিশের নির্যাতনে শাহাদাতবরণ করেন মাওলানা ভাসানী কলেজের মেধাবী ছাত্র ও সংগঠনের সাথী মো. আনিসুর রহমান। তিনি সিরাজগঞ্জে জেলার উল্লাপাড়া সদর উপজেলার পারকুল গয়হাজায় জন্মগ্রহণ করেন। এরপর তিনি জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের ছোট ভাই মো. শাহ আলমের ইন্তেকালের খবর শুনে তার পরিবারের সাথে সাক্ষাতে ছুটে যান। শাহ আলম মাস্টার গত ১০ জুন সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে পরবর্তীতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পরিবারের সাথে সাক্ষাৎকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, তার পিতা হাবিবুর রহমানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। জননেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করেনÑ আল্লাহ যেন তার নেক আমলসমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতবাসী করেন এবং নিজ পরিবারের সদস্যদের ধৈর্যধারণ করার তাওফিক দান করেন।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ত্যাগ ও কুরবানির চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ইসলামী সমাজ কায়েমের পথে এগিয়ে যেতে হবে। হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ডাকে ইসলামকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে সাহাবারা বদরের প্রান্তরে একত্রিত হয়ে বাতিলের বিপক্ষে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছিলেন। একইভাবে বাংলাদেশে ইকামতে দীনের আন্দোলনে যদি আমরা সে বিশ্বাস লালন করে সামনে অগ্রসর হতে পারি, তাহলে মহান আল্লাহ আমাদেরও বিজয় দান করবেন, ইনশাআল্লাহ। ইসলামী আন্দোলনের কুরআনিক পরিভাষা হচ্ছে ‘জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ’। একাজে অংশগ্রহণ প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের অপরিহার্য দাবি। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এ মহান কাজ শুধুমাত্র আমাদের ওপর ফরজই নয়, এটি ফরজে আইন তথা অবশ্যই পালনীয় বিষয়।
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) ওহি পাওয়ার পর তার বিশ্রামের সুযোগ হয়নি। অতএব আমাদেরও বসে থাকার সময় নেই। যেহেতু ইসলামী আন্দোলন ঈমানের অপরিহার্য দাবি, তাই আসুন সবাই মিলে ইসলামী আন্দোলনের কাজে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- রেল করিডোর পাচ্ছে ভারত
- শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি শীর্ষ বৈঠক দিল্লিতে
- বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
- দাওয়াই পাচ্ছে না সরকার
- বিএনপিতে কেন নন্দলাল বিতর্ক
- বড় বন্যার আশঙ্কা
- আওয়ামী লীগে অস্বস্তি-দ্বন্দ্ব
- অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার
- পলাশী ট্র্যাজেডি দিবস ২৩ জুন
- সাংবাদিক, সংবাদপত্র ও মিডিয়ার ওপর জুলুম-নিপীড়ন বন্ধ করুন : মিয়া গোলাম পরওয়ার