আলু শসা কাঁচামরিচ করলার দাম আকাশচুম্বী
স্টাফ রিপোর্টার : অস্থির পরিস্থিতি নিত্যপণ্যের বাজারে। অসৎ ব্যবসায়ীরা পণ্যের চাহিদা মাথায় রেখে ইচ্ছামাফিক পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। এতে ভুক্তভোগী সাধারণ ক্রেতার পকেট কাটা পড়লেও অধিক মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে এ অসাধু ব্যবসায়ীরা। ঈদুল আজহার এক সপ্তাহ আগেও করলার কেজি ছিল সর্বোচ্চ ৫০ টাকা। আর ঈদের দুদিন পর গত ১৯ জুন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, করলার কেজি ১০০ টাকা। অর্থাৎ কেজিপ্রতি বাড়ানো হয়েছে ৫০ টাকা। অসহায় ক্রেতাদের প্রশ্ন হচ্ছে এ এক সপ্তাহে দেশের পণ্যের ক্ষেতে বা বাজারে এমন কী অঘটনা ঘটলো যে করলার কেজি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিতে হবে। একই পরিস্থিতি শসার ক্ষেত্রেও। কয়েকদিন আগেও শসার কেজি ছিল সর্বোচ্চ ৪০ টাকা। ২০ থেকে ৩০ টাকায়ও শসা পাওয়া যেত। মান ও বাজারভেদে সর্বোচ্চ ভালোমানের শসার মূল্য ছিল ৪০ টাকা। কিন্তু সেই শসার কেজি তিনগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এখন আপনি বাজারে গিয়ে শসা কিনতে হলে দরকার হবে কেজি প্রতি ১২০ টাকা। বাজারের এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যাদের, তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন।
বাজারে গিয়ে অস্থিরতার ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে। গত ১৯ জুন বুধবার ঢাকার বাজারে এক কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। কোনো কোনো বাজারে মরিচের কেজি ৩০০ টাকা বিক্রি হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু ৫০ থেকে ৬০ টাকার কেজির মরিচের মূল্য কেন এত বাড়লো, এর নেপথ্যে কী রহস্য লুকিয়ে আছে, তা কি সরকারের দায়িত্বশীল কেউ নিশ্চিত হয়েছেন। ভোক্তাদের ভাষ্য, এ অস্থিরতার কোনো মানে হয় না, কাঁচামরিচের শত শত ট্রলার নদীতে ঢুবে যায়নি, মরিচের ক্ষেত্রেও কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দেয়নি, তাহলে কেন এত মূল্য বাড়ছে। তা খতিয়ে দেখার কেউ কি নেই?
এর বাইরেও অন্য সবকিছুর মূূল্য বেশি। কুরবানি ঈদের আগের আদা, রসুন ও পেঁয়াজসহ সব প্রয়োজনীয় মসলার মূল্য বেড়েছে। কিন্তু কেন বাড়লো? কুরবানির সময় গোশত খেতে মসলার চাহিদা বেড়েছে। তো পণ্যের চাহিদা বাড়লে তো কম মূল্যে বিক্রির সুযোগ থাকে, তাতে মোটের ওপর লাভ বাড়ে। কিন্তু বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যেখানে মূল্য বাড়ে চাহিদা বাড়লে। ফলে সব মসলার মূল্য বেড়েছে। কিন্তু কমার কোনো লক্ষণ নেই। সরকার আলুর মূল্য যা নির্ধারণ করে দিয়েছে তার দ্বিগুণেরও বেশি দামে তা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু যারা নির্ধারিত মূল্য দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে সরকারের কথায় আস্থা রাখছেন না সাধারণ মানুষ।
১৯ জুন সকালে বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ৩০ থেকে ৪০ টাকা বরবটির মূল্য এখন ৬০ টাকা। পেঁপে কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের জন্য কোনো সুখবর নেই। ক্রেতাদের অভিযোগ সিক্রিকেট করেই সব কিছুর মূল্য বাড়ানো হয়েছে। এ সিন্ডিকেট চক্রকে সরকার চেনে, কিন্তু ধরছে না, কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে স্বল্পআয়ের মানুষকে উচ্চমূল্যে পণ্য কিনতে হচ্ছে।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- রেল করিডোর পাচ্ছে ভারত
- শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি শীর্ষ বৈঠক দিল্লিতে
- বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
- দাওয়াই পাচ্ছে না সরকার
- বিএনপিতে কেন নন্দলাল বিতর্ক
- বড় বন্যার আশঙ্কা
- আওয়ামী লীগে অস্বস্তি-দ্বন্দ্ব
- পলাশী ট্র্যাজেডি দিবস ২৩ জুন
- সাংবাদিক, সংবাদপত্র ও মিডিয়ার ওপর জুলুম-নিপীড়ন বন্ধ করুন : মিয়া গোলাম পরওয়ার
- জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এদেশে কুরআনের সমাজ বিনির্মাণ : রফিকুল ইসলাম খান