রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ১৩তম সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩১ ॥ ১৪ জিলহজ ১৪৪৫ হিজরী ॥ ২১ জুন ২০২৪

আনার, আজিজ, বেনজীর ও মিয়াকাণ্ডে বিব্রত

॥ সৈয়দ খালিদ হোসেন ॥
ভোটের মাঠে কার্যত কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের সব বিরোধীদল। ফলে হেসে-খেলে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে নতুন সরকার গঠন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের বয়স এখনো ছয় মাস হয়নি। মাত্র পাঁচ মাস ১১ দিন পার হলো। এ সময়ে রাজপথে সরকার পতনে বড় ধরনের কোনো কর্মসূচিই পালন করেনি বিরোধীদলগুলো। সে কারণে ছয় মাসের কম বয়সী এ সরকারের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উচ্ছ্বাস থাকার কথা, কিন্তু বাস্তবতা অনেকটাই ভিন্ন। সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও সরকারি দলের শীর্ষনেতাদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দূরে থাক, স্বস্তির ছিটেফোঁটাও নেই। উল্টো চরম অস্বস্তি দেখা যাচ্ছে। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ছাড়াও তৃণমূলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মুখেও কোনো আনন্দ নেই। বিরোধীদলগুলোর কঠোর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াই সরকারের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে।
কিন্তু কেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জনগণকে কাক্সিক্ষত সেবা দিতে ব্যর্থতা ও সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভূমিকা পালনকারী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সীমাহীন দুর্নীতির তথ্য ফাঁসে সরকারকে চরম বেকায়দায় ফেলেছে। বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে দিন যাচ্ছে সরকারের। একদিকে জনগণকে স্বস্তিতে রাখতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না সরকার; অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দিন দিন সরকারের অবস্থান দুর্বল হচ্ছে। গত নির্বাচনে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যায়নি, সেটি দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের কল্যাণে বিশ্ববাসী জানেন। ফলে সত্যিকারার্থে গণমানুষের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় থাকায় নৈতিকভাবে সরকারের দুর্বলতা কাজ করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পদে পদে ব্যর্থতা। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।
আনার, আজিজ, বেনজীর ও মিয়াকাণ্ডে বিব্রত
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার শিকার হন প্রতিবেশী দেশ ভারতে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেখানে এক নারীর টোপে তিনি ঘটনাস্থলে যান। হত্যার শিকার হওয়ার পর এ খুনের সঙ্গে জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারি ও অবৈধভাবে সোনার ব্যবসার সঙ্গে এমপির জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। এছাড়া ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ায় দলটির অভ্যন্তরীণ বিরোধীর মাত্রা সম্পর্কে শীর্ষ মহলের একটা আন্দাজ হয়েছে। এদিকে দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরের মাত্র দুদিনের মাথায় সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় অনেকটা আসমান থেকে মাটিতে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয় আওয়ামী শিবিরে। ডোনাল্ড লু এসে বলে গেলেন পেছনের সব ভুলে সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নেওয়া হবে, কিন্তু এর দুদিনের মাথায় এমন কী হলো যে সাবেক একজন সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে? লু সফরের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও সরকারের শুভাকাক্সক্ষীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছিল। তারা ছিল খুশিতে উল্লসিত, কিন্তু সেই খুশি টেকেনি দুদিনও। এরই মধ্যে জেনারেল (অব.) আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এলো। একই সময় সরকারকে আরেক দফায় বিব্রত করলো সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ। গণমাধ্যমের অনুসন্ধান তার বিপুল পরিমাণের অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। দুদকে তাকে তলবের পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে। সাবেক এ পুলিশ কর্মকর্তা সরকারের শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে পরিচিত, সরকারকে ক্ষতায় টিকিয়ে রাখতে তার যথেষ্ট অবদান ছিল; অনদিকে তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতা অপব্যবহার করে এসব অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এদিকে সরকারের অনুগত আরেক পুলিশ কর্মকর্তারও বিপুল সম্পদের তথ্য পেয়েছে দেশের প্রভাবশালী আরেকটি গণমাধ্যম। সম্প্রতি ওই গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে আসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিপুল পরিমাণে অবৈধ সম্পদের ভাণ্ডার। সরকারের আনুকূল্য পাওয়া এ পুলিশ কমিশনারের অবৈধ এসব সম্পদের তথ্য পাওয়ার পর সরকার অরেক দফাতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে। দিন যত যাচ্ছে একে একে সরকারের সামনে দুঃসংবাদ আসছে। এসব ঘটনায় সরকার দায় নেবে না বলে বক্তব্য দিয়ে এলেও জনগণ জানে পছন্দের বলেই এরা দীর্ঘসময় ধরে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পেরেছেন।
ঘোষণা দিয়েও নিত্যপণ্য মূল্য কমাতে ব্যর্থ
গত ১০ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হন তিনি। ওই বৈঠকে নিত্যপণ্য মূল্য কমিয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের এ বিষয়ে কঠোর হতে নির্দেশ দেন তিনি। এরপরও মন্ত্রিপরিষদের একাধিক বৈঠকে নিত্যপণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু এতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গত পাঁচ মাসে সেই নির্দেশনার সিকি ভাগও বাস্তবায়িত হয়নি। কমেনি কোনো পণ্যমূল্য, উল্টো বেড়েছে। চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আদা রসুন, আলু, মুরগি, মাছ-গোশতসহ সবকিছুর মূল্যই বেড়েছে। একবার যা বাড়ছে, তা আর কমার কোনো লক্ষণ নেই। মূল্যবৃদ্ধির নেপথ্যে কে বা কারা কলকাঠি নাড়ছেন, তা সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা জানেন, কিন্তু ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বা নেওয়াটা ঠিক মনে করছেন না। অথবা যারা কারসাজি করে অব্যাহতভাবে পণ্যমূল্য বাড়াচ্ছেন, তাদের হাত সরকারের হাতের চাইতেও বেশি শক্তিশালী। এ কারণে সরকার বার বার নির্দেশনা দিলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা সরকারের একটা বড় ব্যর্থতা। কারণ সাধারণ মানুষ যারা বাজারে যাচ্ছেন, তারা প্রতিদিনই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। দোকানিদের সঙ্গে উত্তেজিত বাক্যবিনিময় করছেন। সরকারকে নানা কথায় ধুয়ে দিচ্ছেন। বাজারের এ নাজুক পরিস্থিতির ভুক্তভোগী শুধু একা বিরোধীদলের কর্মী-সমর্থক বা ভোটাররা নন, বাজারের ঊর্ধ্বগতির ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও। তবে এখানে ব্যবধানটা হচ্ছে সরকারদলীয়দের হাতে নানাভাবে টাকা আসে, ফলে তাদের চাপ হলেও সাধারণ ভোক্তাদের তুলনায় অনেকটাই কম। নিত্যপণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণের এ ব্যর্থতায় সরকারকে ধীরে ধীরে আরও জনবিচ্ছিন্ন করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ কমায় টেনশন
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রতি মাসেই কমছে। আর এ কারণে সরকার আমদানি কমাতে কড়াকড়ি করছে। এতে ক্ষুব্ধ হচ্ছে, আমদানিকারকরা। আমদানি কম হলে সংকট দেখিয়ে পণ্যমূল্য আরও বাড়িয়ে দেওয়া সুযোগ তৈরি হয়। গত এক মাস আগে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের বাংলা ভার্সনে প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশের গত দুই মাসের আমদানি বিল পরিশোধের পর ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসার খবর প্রকাশ হওয়ায় পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, তাদের হিসাবে গ্রস বা মোট রিজার্ভ ২৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেয়া সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপের কারণে সামনে রিজার্ভ পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবশ্য মোট ২৩ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ দাবি করলেও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল বা আইএমএফের হিসেবে রিজার্ভ আছে ১৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন দুটি পদ্ধতিতে রিজার্ভ হিসাব করে থাকে। এর একটা হচ্ছে গ্রস বা মোট, অর্থাৎ যে পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা হাতে আছে, যা এখন ২৩.৭৭ বিলিয়ন ডলার। আরেকটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের পদ্ধতি বিপিএম৬। সে অনুযায়ী এখন রিজার্ভ ১৮.৩২ বিলিয়ন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবর এসেছে, এ রিজার্ভের মধ্যে এ মুহূর্তে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৩ বিলিয়ন ডলারের সামান্য কম। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএমএফের এসডিআর হিসেবে থাকা ডলারসহ সব ধরনের দায়দেনা শোধের জন্য জমা রাখা অর্থ বাদ দিয়ে রিজার্ভের যে হিসাব তৈরি করা হয়, সে অনুযায়ী এখনই ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৩ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা কম, যাকে গণমাধ্যমে নিট রিজার্ভ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কখনোই নিট রিজার্ভের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে না। বাংলাদেশে ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। কোভিড মহামারি পরবর্তী সময়ে হুট করে আমদানি ব্যয় ব্যাপক বেড়ে গেলে রিজার্ভ কমতে শুরু করে। এরপর আর কখনোই এটিকে ঊর্ধ্বমুখী করা যায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র অবশ্য বলছেন, গণমাধ্যমে নিট রিজার্ভ যেভাবে হিসাব করা হচ্ছে, সেটি সঠিক বলে তারা মনে করেন না। বর্তমানে যেসব ‘ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তাতে সামনে পরিস্থিতি ভালো হবে’ বলে মনে করেন তিনি। রিজার্ভের এ পরিস্থিতি মোটেও স্বাভাবিক নয়। ফলে সরকারের মধ্যে টেনশন রয়েছে। আর এজন্যই সরকার আমদানি কমিয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। যাতে অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য গণমাধ্যমে না আসে।
বাড়ছে খেলাপি, শূন্য হচ্ছে ব্যাংকগুলো
দিন যাচ্ছে আর বাড়ছে ঋণখেলাপি। ফলে ক্রমেই খালি হয়ে যাচ্ছে ব্যাংকগুলো। স্বাভাবিক লেনদেন করতে ব্যাংকগুলোকে টাকা ধার করতে হচ্ছে। গত ৬ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্য বলছে, তিন মাসেই ব্যাংকগুলোয় খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত মার্চের শেষে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৯ শতাংশ। দেশে এর আগে খেলাপি ঋণ বেড়ে কখনো এতটা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। ফলে মার্চ পর্যন্ত ৩ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে সরকারি-বেসরকারি, বিদেশি ও বিশেষায়িত সব ধরনের ব্যাংকেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে। খেলাপি ঋণ আদায়ে যেখানে তৎপর হওয়ার দরকার, সেখানে আরও বৃদ্ধির খবর সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলছে। যারা খেলাপি তারা কোনো না কোনোভাবে সরকারের লোক বা সরকারের প্রভাবশালীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ফলে তারা সময়মতো ঋণ পরিশোধ করছে না, অনেকে আবার ঋণ নিয়ে তা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। ফলে ব্যাংকিং খাতে সরকার হ-য-ব-র-ল অবস্থায় রয়েছে।
পাড়া-মহল্লায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চরমে
ভোট থেকে বিরোধীদলগুলো মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখাতে দলের পক্ষ থেকে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডামি প্রার্থী দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল দলীয় মনোনয়ন পাওয়া এমপিদের। ফলে তারা ভাই-স্ত্রী ও স্বজনদের ডামি প্রার্থী বানিয়েছেন। এছাড়া দলের অন্য যে কাউকে ভোটে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়, দলীয় বিধিনিষেধ না থাকায় আওয়ামী লীগের অনেকে ভোটে আসেন, এরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন, এ সংখ্যা ৬২ জনে দাঁড়ায়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাচনও দলীয় প্রতীকে না করে ওপেন করে দেয় আওয়ামী লীগ, সেখানেও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ দুই নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগে তৃণমূলে বিরোধ বৃদ্ধি পায়, ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ঘটে হামলা ও খুনের মতো ঘটনাও। এসব বিরোধ মেটাতে নানাভাবে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে সফল হয়নি দলটি। ফলে এ ব্যাপারেও দলটির শীর্ষ মহলে অস্বস্তি রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ঈদের আগে কয়েক দফায় বৈঠক করে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়েছে। গত ২০ জুন বৃহস্পতিবারও একটি যৌথসভা করেছে আওয়ামী লীগ। ওই সভায় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বেলা সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণ এবং ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদ্বয় অংশ নেন।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।