রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ১৩তম সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩১ ॥ ১৪ জিলহজ ১৪৪৫ হিজরী ॥ ২১ জুন ২০২৪

॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
 যুক্তিবিদ্যার একটি অতি সাধারণ সূত্র হলো, ‘কারণ ছাড়া কোনো কাজ বা ঘটনা সংঘটিত হয় না।’ কিন্তু  বাস্তবতা হলো, সেই কারণ খুব সহজে নির্ণয় করা যায় না। তাই বিষয়টি সহজে বুঝতে না পেরে সকলে নানা বিতর্ক শুরু করে। যেমন বিএনপিতে সম্প্রতি শুরু হয়েছে, নন্দলাল বিতর্ক। যদিও আসল কারণ অনেকেরই অজানা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রায় দুই দশক ধরে ক্ষমতার বাইরে আছে। কিন্তু জনমত জরিপ বলে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখনো বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলের সমর্থক। দেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা এবং অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা বর্তমান থাকলে এতটা সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা তাদের জন্য ছিল অসম্ভব। রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, একটি রাজনৈতিক দলের জন্য জনসমর্থন নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। কিন্তু এ কথাও সত্য, এ জনসমর্থন কাজে লাগানোর দায়িত্ব পালনে প্রয়োজন ত্যাগী, কৌশলী, বিচক্ষণ, দক্ষ, সাহসী ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব।  কখন কোন কর্মসূচি ঘোষণা করলে ক্ষমতাসীন সরকার যত স্বৈরাচারীই হোক না কেন- বেকায়দায় পড়বে, তা বোঝার মতো দক্ষতা ও বিচক্ষণতা থাকতে হবে। সাথে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বাধার মোকাবিলায় কী কৌশল নিতে হবে, তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে হয়। আবার এ কথাও সত্য, মাঠে নামার পর অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে চরম খেসারত দিতে হয়। যে খেসারত দিতে হয়েছে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ্দৌলাকে। ঐতিহাসিকরা মনে করেন, পলাশীর যুদ্ধে নবাব মীর জাফর আলী খাঁ, ইয়ার লতিফ, রায়দুলর্ভদের বিশ্বাসঘাতকতার ইঙ্গিত পাওয়ার পর যদি তিনি তাদের বন্দি করে নিজে প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব গ্রহণের সাহস দেখাতে পারতেন, তাহলে ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হতো। দেশের রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির হঠাৎ বিভিন্ন কমিটি ভেঙে দেয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে দলের নেতাদের এক অংশ দাবি করছে, দলকে ব্যর্থ নেতৃত্বমুক্ত করতেই এমন সাহসী উদ্যোগ নিয়েছেন নীতিনির্ধারকরা। আবার ভিন্নমত পোষণকারীরা বলছেন, মিটিং ও কাউন্সিল ছাড়া সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটি বিলুপ্ত করা আত্মঘাতী। এ কাজ যারা করছেন, তাদের আয়নায় নিজের মুখটা একবার দেখা উচিত। তারা মনে করেন, আন্দোলনে ব্যর্থতার দায় নীতিনির্ধারকদেরও কম নয়। গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বাদপড়া নেতাদের অনেকে অসন্তুষ্ট, কেউ কেউ হতবাক হন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, শিগগিরই অন্যান্য কমিটি ভেঙে দিয়ে পুনর্গঠন করা হবে। তবে হঠাৎ করে একসঙ্গে এতগুলো কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে জ্যেষ্ঠ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে কিছু জানতেন না বলে অনেকের দাবি। অবশ্য সদ্য বিলুপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম কমিটি বিলুপ্তিকে ‘দল পুনর্গঠনের চলমান প্রক্রিয়া’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া সব পদই পরিবর্তনশীল। আমাকে দলের স্বার্থে, আন্দোলনের স্বার্থে যখন যেখানে কাজে লাগাবে, আমি সেখানেই কাজ করব। প্রথম কথা হচ্ছে, সব কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। আমরা আগেই করতে চেয়েছিলাম। ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি মনে করেছেন, এখনই সুবিধাজনক সময়। তাছাড়া আমরা আন্দোলন উপযোগী নেতৃত্ব আনতে চাই।’ এখন প্রশ্ন হলোÑ তাহলে কেন এ বিতর্ক এবং এর নেপথ্যের আসল কারণ কী? এ প্রশ্নের উত্তরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা বলেন, দলকে নন্দলালমুক্ত করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
 কেন নন্দলাল বিতর্ক
বিএনপি ও ছাত্রদলের আট মহানগর কমিটিসহ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। কিন্তু ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল মহানগরসহ একসঙ্গে মোট ৯টি কমিটি বিলুপ্তির কোনো কারণ উল্লেখ করেনি বিএনপি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিগত আন্দোলনে ব্যর্থতার নিরিখে নতুন করে দল পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বড় আকারে এ সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একের পর এক আন্দোলনে বিপর্যয়ের পর দলের বিভিন্ন পর্যায়ে নানা দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের পর বিগত আন্দোলনে বিভিন্ন মহানগর বিএনপিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর ব্যর্থতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। এর মধ্যে আন্দোলনে ছাত্রদল ও যুবদলের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ছিল। এ দুই সংগঠন বিএনপির আন্দোলনের ‘ভ্যানগার্ড’। কিন্তু মাঠের আন্দোলনে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সেই ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করতে পারছেন না, কর্মী সমর্থকদের পুলিশ ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের হামলার মুখে রেখে একজন নেতার ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’- এ নীতির একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে যা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানেরও নজর এড়ায়নি। মাঠে নেমে এমন কৌশল গ্রহণের চেয়ে অন্য কোনো কৌশল নেয়া দরকারÑ যাতে সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না। কিন্তু বর্তমান অনেক নেতার মধ্যে সেই প্রজ্ঞা ও সাহসের অভাব দলকে ডোবাচ্ছে। স্বৈরচারবিরোধী আন্দোলন গা বাঁচিয়ে করা যায় না। এমন আন্দোলনে ‘ডু অর ডাই’ মনোভাব নিয়ে কাজ করার মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন। কিন্তু দলে নন্দলাল টাইপের নেতার সংখ্যা বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ব্যঙ্গ কবিতা ‘নন্দলাল’ এর আবৃত্তি করে শোনান, “নন্দলাল তো একদা একটা করিল ভীষণ পণ/স্বদেশের তরে যে করেই হোক, রাখিবেই সে জীবন/সকলে বলিল, “আহা হা, কর কী, কর কী, নন্দলাল?”/নন্দ বলিল, “বসিয়া বসিয়া রহিব কি চিরকাল?/আমি না করিলে কে করিবে আর উদ্ধার এই দেশ?”/তখন সকলে বলিল- “বাহবা, বাহবা, বাহবা, বেশ।”/নন্দর ভাই কলেরায় মরে, দেখিবে তারে কে বা ?/সকলে বলিল, “যাও না নন্দ, করো না ভায়ের সেবা।”/নন্দ বলিল, “ভায়ের জন্য জীবনটা যদি দিই-/না হয় দিলাম, কিন্তু, অভাগা দেশের হইবে কী?/বাঁচাটা আমার অতি দরকার, ভেবে দেখি চারিদিক”/তখন সকলে বলিল- “হাঁ হাঁ হাঁ, তা বটে, তা বটে, ঠিক।”/নন্দ একদা হঠাৎ একটা কাগজ করিল বাহির-/গালি দিয়া সবে গদ্যে পদ্যে বিদ্যা করিল জাহির।/পড়িল ধন্য, দেশের জন্য নন্দ খাটিয়া খুন-/লেখে যত তার দ্বিগুণ ঘুমায়, খায় তার দশ গুণ।/খাইতে ধরিল লুচি আর ছোঁকা, সন্দেশ থাল-থাল-/তখন সকলে বলিল- “বাহবা বাহবা, বাহবা নন্দলাল।”/নন্দ একদা কাগজেতে এক সাহেবকে দেয় গালি;/সাহেব আসিয়া গলাটি তাহার টিপিয়া ধরিল খালি;/নন্দ বলিল, “আ-হা-হা! কর কি, কর কি! ছাড় না ছাই,/কি হবে দেশের, গলাটিপুনিতে আমি যদি মারা যাই?/বলো কি’ বিঘৎ নাকে দিব খত যা বলো করিব তাহা।”/তখন সকলে বলিল “বাহবা বাহবা, বাহবা বাহা!”/নন্দ বাড়ির হ’ত না বাহির, কোথা কি ঘটে কি জানি,/চড়িত না গাড়ি, কি জানি কখন উল্টায় গাড়িখানি।/নৌকা ফি-সন ডুবিছে ভীষণ, রেলে ‘কলিসন’ হয়,/হাঁটতে সর্প, কুকুর আর গাড়ি-চাপা পড়া ভয়।/তাই শুয়ে শুয়ে কষ্টে বাঁচিয়া রহিল নন্দলাল,/সকলে বলিল- ‘ভ্যালা রে নন্দ, বেঁচে থাক চিরকাল’।
বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করে বলে, ‘নন্দলাল ফন্দলাল কিছূ নয়, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি পুনর্গঠন করার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে, নতুন কমিটি করার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত রাখতে।’ কাউন্সিল-মিটিং না করে কেন এমন করা হচ্ছেÑ এ প্রশ্নের উত্তরে সূত্রটি জানায়, ‘এ মিটিং হচ্ছে, পরামর্শও করা হচ্ছে। অনলাইনে মিটিং করেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিন্ধান্তেই গঠনতন্ত্র মেনেই সবকিছু করা হচ্ছে। আর কাউন্সিল করার মতো পরিবেশ কি এ স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আছে?’
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, বিগত আন্দোলনে কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ের নেতাদের কার কী ভূমিকা ছিল, সে বিষয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন যায় লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। তার আগ্রহে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। সেটির ভিত্তিতেই তিনি কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। তবে এ লক্ষ্যে তারেক রহমান কিছুদিন ধরে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেন। সর্বশেষ গত ১৩ জুন রাতে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার আগে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে পৃথক ভার্চুয়াল সভা করেন। সেখানে নেতাদের নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে তাকে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশ নেয়া নেতারা। কারো ব্যর্থতা-সফলতার প্রশ্ন এ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত নয়। যারা এ কথা বলছে, তাদের কেউ না বুঝে বলছে আবার অনেকে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে বলছে।
ব্যর্থতার কারণে কমিটি বিলুপ্ত করা হচ্ছে না
যুবদলের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম বলেন, ‘ব্যর্থতার জন্য কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে মনে করি না। দলকে গতিশীল করার জন্য এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আর বিএনপি তো আন্দোলনে ব্যর্থ হয়নি। রাষ্ট্রযন্ত্রের এত নির্যাতনের মধ্যেও বিএনপি মাঠে ছিল। মানুষ যে ভোট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, এটি তো বিএনপির আন্দোলনেরই সাফল্য।’ দলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, কোনো কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ থাকলে তা ভেঙে দেওয়া হবে। আর যেসব কমিটির মেয়াদ আছে, কিন্তু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বিগত আন্দোলনের মাঠে নিষ্ক্রিয় ছিলেন, তাঁদের সরিয়ে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এমন নেতাদের একটি তালিকা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে রয়েছে। ওই সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি, নির্বাহী কমিটি, জেলা ও মহানগর কমিটিসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠনের কাজও তার বিবেচনায় রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মহানগরের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পরও আহ্বায়ক হিসেবে শাহাদাত হোসেনের নাম শোনা যাচ্ছে। তার সঙ্গে বিএনপির জ্যেষ্ঠ সদস্য এরশাদ উল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিমুর রহমান, এস এম সাইফুল ইসলাম ও আবুল হাশেমের নামও আলোচিত হচ্ছে। শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘দলীয় হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা তা-ই মেনে নেব। আমি নিজেও দীর্ঘদিন থেকে চাচ্ছি কেন্দ্রীয় কমিটিতে যেতে।’
বিগত আন্দোলনে ছাত্রদলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর গত ১ মার্চ রাকিবুল ইসলামকে সভাপতি ও নাছির উদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের সাত সদস্যের আংশিক কমিটি দেওয়া হয়। ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন  বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, সব কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। আমরা আগেই করতে চেয়েছিলাম। ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি মনে করেছেন, এখনই সুবিধাজনক সময়। তাছাড়া আমরা আন্দোলন উপযোগী নেতৃত্ব আনতে চাই।’ বিএনপির নেতৃত্ব মনে করে দেশের মানুষের কষ্ট দূর করতে এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফল করাই তাদের লক্ষ্য। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিয়ম শেষে স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিয়ম
গত ১৭ জুন সোমবার খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিয়ম করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, বরকতউল্লা বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা  ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। প্রতি বছরই আমরা ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে একত্রিত হই। কিন্তু এখানে রাজনীতি নিয়ে আলাপ করি না। আমাদের নেত্রীও রাজনীতি নিয়ে আলাপ করেন না। আজকেও তাই হয়েছে। আজকে যে ঈদ, তা দেশবাসী আনন্দের সঙ্গে পালন করতে পারেনি। সবাই কষ্টে আছে। আমরা সবাই কষ্টে আছি। আমাদের নেত্রীও এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’  ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিএনপি ও সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া সব দলের নেতাকর্মীদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’



অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।