অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত হচ্ছে
দাওয়াই পাচ্ছে না সরকার
॥ উসমান ফারুক ॥
জেঁকে বসা একাধিক সমস্যা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে দেশের অর্থনীতি। এতে সীমিত ও নির্ধারিত আয়ের মানুষ এখন হিমশিম খাচ্ছেন সংসার চালাতে। আয় না বাড়লেও মূল্যস্ফীতির জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে প্রতিনিয়ত খরচের ফর্দ ছোট করে ফেলছেন। খাবার তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে মাছ-গোশত। এতে জীবন পার হলেও পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন নিম্নআয়ের ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। সরকারি হিসাবে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের নিচে থাকার দাবি করলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা বলছেন, প্রকৃত মূল্যস্ফীতি ২০ শতাংশের ওপরে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি তার চেয়েও বেশি। সরকারি হিসাবেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখন ১৫ শতাংশের ঘরে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির মতো সমস্যার সঙ্গে গত দুই বছর ধরে অর্থনীতিকে দুর্বিষহ করে তুলেছে রিজার্ভ পতন, টাকার মান কমে যাওয়া, বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ আশাব্যঞ্জক না হওয়া ও খেলাপি ঋণের উচ্চহার। অর্থনীতির এত সমস্যার দাওয়াই পাওয়া যাচ্ছে না সরকারের কাছে। শুধু মুখভর্তি প্রতিশ্রুতি দিলেও সমাধান আসেনি এখনো। উল্টো ঘনীভূত হচ্ছে সংকট।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, আইএমএফের কাছে গিয়েও সমাধান হয়নি অর্থনীতির। দুর্নীতি বন্ধের বিপরীতে শুধু নীতিমালা পরিবর্তন করায় সমস্যা বেড়েই চলছে। হুন্ডি বন্ধ করতে না পারায় প্রায় ১০ লাখের বেশি বিদেশি বাংলাদেশে কাজ করে অবৈধভাবে ডলার নিয়ে যাচ্ছে। একদিকে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে অবৈধভাবে ডলার চলে যাচ্ছে সীমান্তের ওপারে। এভাবে সংকটের মাত্রা এতটাই গভীর যে, এবারের বাজেটের আকার খুব বেশি বাড়াতে পারেনি সরকার।
বিশেষ গোষ্ঠীকে কর ছাড় দেওয়ায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না সরকারি প্রতিষ্ঠান। বাজেট বাস্তবায়নে সরকারকে এখন দেশি ও বিদেশি ঋণ খুঁজতে হচ্ছে। দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ পেলেও বিদেশি প্রতিষ্ঠান সেভাবে সাড়া দিচ্ছে না। সরকারি ছত্রছায়ায় লালিত ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না। প্রায় দুই লাখ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংক খাত এখন তারল্য সংকটে ভুগছে।
তারা বলছেন, সমস্যা সংকুল অর্থনীতির এ অবস্থার উন্নতির একমাত্র দাওয়াই হচ্ছে গণতন্ত্র ফেরানো। তাহলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো জবাবদিহির আওতায় আসবে। অর্থনীতি পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা স্বেচ্ছাচারিতা করছেন নীতি নিয়ে। নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে বিকিয়ে দিচ্ছে অল্প দামে। এর সুবিধা নিচ্ছে একটি গোষ্ঠী। তারা এ দুর্যোগেও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
আইএমএফের কাছে গিয়েই সুফল আসেনি
অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে দুই বছর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। আর্থিক খাতের সংস্কারের শর্তে চার দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে সংস্থাটি। সেই সংস্কারের ধারা শুরু করার দেড় বছর পার করেছে বাংলাদেশ। তারপরও আর্থিক সমস্যাটি কেটে যায়নি। উল্টো দীর্ঘায়িত হয়েছে।
আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্য দিয়ে পার করছে গত দুই বছর। জ¦ালানি খাতে ভর্তুকি কমানোর নামে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে তেল ও গ্যাসের দাম। এতে বেড়েছে বিদ্যুতের দামও। ব্যবসায় ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পণ্য মূল্য বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
জ্বালানি খাতে অনিয়ম, অপচয়, তেল চুরি ও দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলেই ভর্তুকি কমানো যেত। এতে জ¦ালানি তেলের দাম এক লাফে এতটা বাড়ত না বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। সেদিকে নজর না দিয়ে সব দায় চাপানো হয়েছে ভোক্তার ওপর। এতে সমস্যা আরো বেড়েছে। খরচ বেড়ে গিয়ে মূল্যস্ফীতির ফাঁদে পড়েছে বাংলাদেশ। সেই ফাঁদ থেকে বের হতে পারছে না গত দুই বছর ধরে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থনীতির মূল সমস্যা সুশাসন ও স্বচ্ছতা না বাড়িয়ে অন্য কোথাও সমাধান খোঁজা হচ্ছে। এ কারণে মূল সমস্যা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। ব্যাংক খাতের সংস্কারের যে শর্ত দিয়েছে আইএমএফ, তা বাস্তবায়নে খুবই ধীরগতিতে চলছে সরকার। অন্যদিকে রাজস্ব আদায় ব্যবস্থা পুরোটা অনলাইন করা ও বড় শিল্পগোষ্ঠীর কর ছাড় দেওয়া বন্ধ করার মতো পরামর্শ মানছে না সরকার। ফলে আইএমএফ যে উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে ঋণ দিয়েছে, তা সহসা পূরণ হচ্ছে না। কয়েক বছর পর ঋণের অর্থ ফেরত নিয়ে যাবে সংস্থাটি। তারাও এমনভাবে কাজ করছে, যেন নিজেদের ঋণটুকু ফেরত নিতে পারে। এতে সংস্থাটির ঋণ বাণিজ্য টিকে থাকবে।
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসছে না
দুর্যোগের কাছে যাওয়া বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে কয়েকটি লোকদেখানো উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। এর মধ্যে ছিল কম দামে ভোগ্যপণ্যর বিক্রি বাড়ানো, বাজার মনিটরিং করা। কিন্তু এসব উদ্যোগ তেমন কোনো কাজে লাগেনি। বাজার সিন্ডিকেট কখনো চাল নিয়ে, কখনো ডিম, কখনো মসলা ও চিনির দাম নিয়ে কারসাজি করেছে। লুট করেছে সাধারণ মানুষের আয়। কিন্তু তাদের কাউকেই বড় ধরনের কোনো শাস্তির আওতায় আনেনি সরকার। এতে বেপরোয়া ব্যবসায়ীদের একটি গোষ্ঠী এখনো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদের পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম একটি পত্রিকার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দেশে বর্তমানে দুটি মূল সমস্যা বিদ্যমান। একটি হলো, দেশের রিজার্ভ সংকট কাটছে না। আরেকটি হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি বাড়তি অবস্থায় স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি ও বাস্তবতাকে স্বীকার করেই বাজেটটি করা হয়েছে। বাজেট এর চেয়ে বড় করা সম্ভব ছিল না।
অর্থনীতির এমন সমস্যা নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদও বলেছেন, সমস্যা সমাধানে সরকারের নীতি কাজ করছে না। গত সপ্তাহে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি বলেন, অব্যাহত মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক রিজার্ভের পতন, রাজস্ব সংগ্রহের স্বল্পতা, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সপ্রবাহের স্থবিরতা, অর্থ পাচার, ব্যাংকিং খাতের বিশৃঙ্খলা, সর্বব্যাপী দুর্নীতি ও সরকারি ব্যয়ের অনিয়ম-অপচয়, জবাবদিহিহীনতার সংস্কৃতি এবং বৈদেশিক অভ্যন্তরীণ খাতের ঋণের সুদ পরিশোধের ক্রমবর্ধমান দায় অর্থনীতিতে আছে।
তিনি বলেন, এ পরিস্থিতির সীমাবদ্ধতার মধ্যে প্রস্তাবিত বাজেটকে বাস্তবসম্মত যেমন বলা যায়, আবার যূপকাষ্ঠে বাঁধা বলির পশু বলেও মনে হতে পারে (ইংরেজিতে যাকে সেক্রিফিস্যাল ল্যাম্ব বলে), যার হাত-পা বাঁধা, নড়াচড়া করার খুব সুযোগ নেই। অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সংকোচনমূলক বাজেটের বিকল্প নেই।
মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতার জন্য সামাজিক সুরক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ব্যয় যোগান দেওয়া কঠিন হয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি।
কমেনি অর্থ পাচার
দেশ থেকে যে পরিমাণ প্রবাসী বিদেশে যাচ্ছেন, সে তুলনায় দেশে আসছে না প্রবাসী আয়। এই আয় চলে যাচ্ছে অর্থ পাচারকারীদের হাতে। এভাবে হুন্ডি বন্ধ না হওয়ায় টাকা পাচার বন্ধ হচ্ছে না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রিজার্ভ সংকটে যেখানে টাকার মান নিয়মিত আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করার কথা, সেখানে কৃত্রিমভাবে টাকার মান ধরে রাখা হয়েছে। এভাবেই দুর্নীতিবাজদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে টাকা পাচারে।
বাংলাদেশিদের পাচার করা টাকায় সমৃদ্ধ হচ্ছে ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, আমেরিকা, কানাডার মতো দেশগুলো। এখন সেই তালিকায় যোগ হয়েছে ভারত, আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো। নিয়মিত পত্রিকায় প্রকাশ হচ্ছে এসব খবর। অর্থ পাচার নিয়ে কাজ করা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির ২০০৬-২০২০ পর্যন্ত হিসাবে বলছে, ওই সময় দেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা এবং প্রতি বছর পাচার হয় প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা। অথচ দেশে আটটি প্রতিষ্ঠান এ টাকা পাচার ঠেকানোর জন্য কাজ করছে। দিন শেষে তাদের কাজের ফল শূন্য। রাষ্ট্রীয় এসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন একই সরকারের অধীনে থাকায় কর্মচারীদের মধ্যে একটি অংশ দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে গেছে।
গরিব দেশ থেকেও বিদেশিরা অবৈধভাবে নিয়ে যাচ্ছে ডলার
অর্থনীতির আরেক অন্ধকার দিক হচ্ছে, বাংলাদেশে কাজ করা ১০ লাখের বেশি অবৈধ বিদেশি। এ দুঃসময়েও বাংলাদেশ থেেেক হুন্ডির মাধ্যমে প্রতি বছরে ১০ বিলিয়ন বা এক হাজার কোটি ডলার নিয়ে যাচ্ছে। যদিও দেশে কতজন বিদেশি অবৈধভাবে কাজ করছে তার সঠিক হিসাব নেই। ২০২০ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) তথ্য মতে, ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৭৯ জন। কিন্তু অবৈধভাবে কাজ করছে প্রায় ১০ লাখ বিদেশি। উন্নয়নমূলক কাজ বেড়েছে ফলে বিদেশি আসাও বেড়েছে এ তিন বছরে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক প্রেসিডেন্ট সামির সাত্তার ২০২৩ সালের জুলাই মাসে এক সেমিনারে বলেছিলেন, প্রতি বছর বিদেশিরা নিয়ে যাচ্ছে ১০ বিলিয়ন ডলারের মতো। এ অবৈধ বিদেশিদের বিতাড়িত করলেই কিন্তু প্রায় ১০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়ে যায়। অবৈধ বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক রয়েছে ভারতের নাগরিক। ভারতের পত্রিকার তথ্যানুযায়ী, ভারতে রেমিট্যান্স পাঠানোয় বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।
বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনও ২০২২ সালে বলেছিলেন, ভারতের নাগরিকরা বাংলাদেশের কাজ করে। ভারতে রেমিট্যান্সে পাঠাতে বাংলাদেশের অবদান রয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, গত অর্থবছরে ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স গেছে ভারতে, যা দেশের বাইরে যাওয়া রেমিট্যান্সের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতির সমস্যার সমাধান সবাইকে নিয়ে করতে হবে। শ্রীলঙ্কা ও প্রতিবেশী দেশ ভারতও সব রাজনৈতিক দল মিলে অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধান করছে। আর্থিকভাবে বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়ায় আফগানিস্তান ও পাকিস্তান এভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এ কারণে এসব দেশের মূল্যস্ফীতি কমে যাচ্ছে। তাদের মূদ্রার মান বাড়ছে। কিন্তু তার বিপরীতে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। কমছে টাকার মান। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা থাকলে সেখানে কোনো নতুন বিনিয়োগ হয় না। বিনিয়োগকারীরা আস্থায় নিতে পারে না। এতে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হয় না। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যার দাওয়াই রয়েছে রাজনীতিবিদদের কাছে। প্রধান বিরোধীদলসহ সব দল এক টেবিলে বসতে পারলেই কেবল তা সম্ভব। এটি করতে হবে সরকারকেই।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- রেল করিডোর পাচ্ছে ভারত
- শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি শীর্ষ বৈঠক দিল্লিতে
- বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
- বিএনপিতে কেন নন্দলাল বিতর্ক
- বড় বন্যার আশঙ্কা
- আওয়ামী লীগে অস্বস্তি-দ্বন্দ্ব
- অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার
- পলাশী ট্র্যাজেডি দিবস ২৩ জুন
- সাংবাদিক, সংবাদপত্র ও মিডিয়ার ওপর জুলুম-নিপীড়ন বন্ধ করুন : মিয়া গোলাম পরওয়ার
- জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এদেশে কুরআনের সমাজ বিনির্মাণ : রফিকুল ইসলাম খান