রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ৮ম সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ॥ ৮ জিলকদ ১৪৪৫ হিজরী ॥ ১৭ মে ২০২৪

চীন ভারত যুক্তরাষ্ট্র কোন মুখী হবে সরকার : কৌশলগত নানা হিসাব প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরে

আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না

॥ ফারাহ মাসুম ॥
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার বাংলাদেশ সফরের পর আমেরিকার সহকারী পররাষ্ট্র সচিব ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আবার বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে। চীনা কর্মকর্তারা চুপচাপ ঢাকা ঘুরে যাওয়ার কারণে তা নিয়ে আলোচনা কমই হয়। তবে আগামী জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেইজিং সফরে যাওয়ার কর্মসূচি ঠিক হয়ে আছে। তার আগের মাস অর্থাৎ জুন মাসের ৪ তারিখে ভারতের পরবর্তী মেয়াদে কারা ক্ষমতায় আসবে, সেটি নির্ধারণে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এরপর শেখ হাসিনাকে দিল্লি সফরে যেতে হবে। এ নিয়ে প্রকাশ্য রাজনৈতিক আলোচনার আড়ালে আরো অনেক কৌশলগত সমীকরণের বিষয় সক্রিয় বলে মনে করা হচ্ছে। এ সমীকরণ অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ করে সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বক্তব্য রাখার কারণে। তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আমার পরে কে ক্ষমতায় আসবে, সেটি কি ঠিক করেছেন?’
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য শান্ত-নিস্তরঙ্গ রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে নতুন করে ঢেউ তুলেছে। অনেকে নানা হিসাব-নিকাশ করতে শুরু করেছেন। দৃশ্যপটের আড়ালে নানা তৎপরতাও দেখা যাচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফরকালে তাৎপর্যপূর্ণ নানা প্রস্তাবের পর ডোনাল্ড লু’র ঢাকা আগমনে এক ধরনের আতঙ্ক অনুভূত হচ্ছে বলে মনে হয় শাসক শিবিরে। সরকারের সেতুমন্ত্রী ও শাসকদলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের পরিষ্কার বলেছেন, মার্কিন স্যাংশন-ভিসানীতি এসব পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ। ....বিস্তারিত

ফিলিস্তিনিদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন : জাতিসংঘকে প্রধানমন্ত্রী

ইউএনবি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ইসরাইলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াইরত ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আরো কার্যকর ভূমিকা নিতে জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সবার জন্য; বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আরো কার্যকর ভূমিকা নেবে।’
গত বুধবার (১৫ মে) ‘আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা এবং বিশ্বের স্থানান্তরিত জনসংখ্যার সুযোগগুলো অন্বেষণ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে অনুষ্ঠানটি।
ইউএনএফপিএ’র সাথে বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এ বছর জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের (আইসিপিডি) ৩০তম বার্ষিকী।
শেখ হাসিনা বলেন, জনস্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে জনগণ; বিশেষ করে মা, শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। তিনি বলেন, ‘একই সাথে সংঘাত ও রাজনৈতিক কারণে দুর্দশাগ্রস্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি মনোযোগ দেয়াটাও জরুরি ....বিস্তারিত

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের গভীর উদ্বেগ

দেশে গণতন্ত্র আইনের শাসন মানবাধিকার বলতে কিছু অবশিষ্ট নেই

সরকার মূলত দেশকে একটি নির্বাচনহীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে  : ডা. শফিকুর রহমান
সোনার বাংলা রিপোর্ট : দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার বলতে কিছু অবশিষ্ট নেই। গত ১৪ মে মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের এক বৈঠকে দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে এ মতামত ব্যক্ত করা হয়। গত ১৩ মে সোমবার কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সরকার মূলত দেশকে একটি নির্বাচনহীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তারা নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেশকে একটি নির্বাচনহীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আমরা দেশে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিবর্তন চাই।
বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছে যে, দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার ও জনগণের ভোটাধিকার বলতে কিছু অবশিষ্ট নেই। সরকার ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। গত ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরকারি দলের অভ্যন্তরীণ সংঘাত, সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণে অর্ধশতাধিক লোক আহত ও যানবাহন ভাঙচুর এবং ভোট কারচুপি ও অনিয়মে জড়িত থাকায় ৩ জন প্রিসাইডিং অফিসার এবং ২ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে গ্রেফতারের ঘটনার মাধ্যমে জাতির সামনে আবারো প্রমাণ হয়েছে যে, দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। সরকার ....বিস্তারিত

ভারতের বিরোধিতায় সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর হয়নি

তিস্তা প্রকল্পেও দিল্লির বাগড়া?

॥ জামশেদ মেহ্দী॥
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল; বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের যে ৫টি জেলার জীবন-মরণ এবং সমৃদ্ধি যে প্রকল্পটির ওপর নির্ভরশীল, সেই প্রকল্পটিও অবশেষে ভূ-রাজনীতির শিকার হতে যাচ্ছে। এই ভূ-রাজনীতির শিকার হয়েছিল সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর। এবার ভূ-রাজনীতির শিকার হলো তিস্তা প্রকল্প। গত ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন বিষয়টি ভারতীয় ছুতানাতায় ঝুলে আছে। ২০১০ সালে ভারতের তৎকলীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং যখন ঢাকা সফরে আসেন, তখন তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির একটি খসড়া উভয় দেশের বিশেষজ্ঞরা তৈরি করেছিলেন। খসড়া চুক্তিতে ছিল যে, ভারতের সিকিম থেকে উৎপন্ন তিস্তা নদী ভারতের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবায় এসে যতটুকু পানি থাকে, সেই পানি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫০:৫০ অর্থাৎ সমভাগে বণ্টন করা হবে। যদিও সমভাগে বণ্টন করা হলেও বাংলাদেশ তিস্তার পানির ন্যায্য অংশ থেকে বঞ্চিত হতো। তৎসত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকার সেই চুক্তি স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত ছিল। শেষ মুহূর্তে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঠিকই ঢাকায় এলেন, কিন্তু তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো না। কারণ হিসেবে বলা হলো যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঢাকায় না আসায় তার সম্মতি ব্যতীত তিস্তা চুক্তি সই করা যাবে না। অজুহাত হিসেবে বলা হলো যে, যেহেতু তিস্তার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে প্রবাহিত, তাই পশ্চিমবঙ্গকে এ চুক্তিতে জড়িত না করা পর্যন্ত ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেই চুক্তি সই করতে পারে না। করলে সেটা নাকি ভারতীয় ....বিস্তারিত

কোনো বিকল্প পথ নেই

॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন জনগণের এ দাবি পূরণে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ সব বিরোধীদলের সিনিয়র নেতারাও চান ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- কেন এ চাওয়া পূরণ হচ্ছে না। বাধা কোথায়? এ প্রশ্নের উত্তর নেই কারো কাছে। সাপ্তাহিক সোনার বাংলার গত সংখ্যায় ‘ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক আসবে কবে?’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর পাঠকদের অনেকেই প্রশ্ন করেছেন- জাতির এ সংকট মোকাবিলায় জাতীয় নেতারা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন না কেন? বাধা কোথায়? একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এমন প্রতিক্রিয়া অনেক পাঠক জাতীয় নেতাদের কাছেও প্রকাশ করেছেন। রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নেতারাও বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন এবং তারাও আন্দোলনের অন্যতম বড় শক্তি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামপন্থী অন্যান্য এবং ডান-বাম সব আদর্শের রাজনৈতিক দলকে সাথে নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রশ্নে নীতিগতভাবে একমত। এ নিয়ে অনানুষ্ঠানিক কথা হয়েছে নেতাদের মধ্যে এমন দাবি করেছে একাধিক সূত্র।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিভাজন ভুলে সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। সেই বিভাজন থেকে সকলের বেরিয়ে আসা উচিত। বাংলাদেশের কল্যাণের জন্য এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সবার উচিত একসাথে কাজ করা।’
রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, মির্জা ....বিস্তারিত

সিন্ডিকেটে পরিবহন খাতে নৈরাজ্য

# প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি চললেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না
# সড়কেই বছরে দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৯০২ জনের মৃত্যু

॥ সৈয়দ খালিদ হোসেন ॥
সরকারের সড়ক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার চোখে পড়ুক বা নাই পড়ুক, রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের কাজলা টোলপ্লাজায় নিয়োজিত কর্মী এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষের চোখে ঠিকই পড়ছে কীভাবে প্রকাশ্যে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান থামিয়ে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। যারা পরিবহন থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে, তারা কিন্তু মূল হোতা নয়, মূল গডফাদাররা থাকছেন অদৃশ্য। তবে কারা এ চাঁদা তুলছেন, কারা নিচ্ছেন তার সবকিছুই জানেন আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিতরা। কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ নেই। এদিকে পুরো পরিবহন খাতেই চলছে নৈরাজ্য। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলের রাস্তার ৪০ শতাংশে সবসময় গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। ফলে রাস্তায় চলমান বাস, প্রাইভেট কারসহ অন্য পরিবহনের চলার পথ থাকে না। এতে সৃষ্টি হয় যানজটের। এ অবস্থা শুধু মতিঝিলেই নয়, বলা যায় সর্বত্র। এছাড়া ফিটনেসবিহীন বাস আর অদক্ষ্য চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোয় সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে তাজা প্রাণ। সর্বোপরি মালিক ও শ্রমিক সংগঠনে একচেটিয়া ক্ষমতা চর্চার পাশাপাশি নীতি করায়ত্ত করার মাধ্যমে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে খাতটিকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
পরিবহন বিষেশজ্ঞরা বলছেন, সড়কে চলতে বেশ কয়েকটি সমস্যা এখনো কাটেনি। কিছু কিছু সমস্যা সরকার চাইলেই কাটানো ....বিস্তারিত

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন

ডিম মুরগি মাছ আলু বেগুনসহ সবকিছুরই দাম বাড়ছে
স্টাফ রিপোর্টার : যারা ঘুষ-দুর্নীতি ও অন্যান্য অবৈধ পথে উপার্জন করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন, তাদের কথা ভিন্ন। কিন্তু যেসব নাগরিককে নির্ধারিত আয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে এবং যারা দরিদ্র ও স্বল্পআয়ের মানুষ, তারা নিত্যপণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। খরচের তালিকা কাটছাঁট করতে করতে এখন পিঠ ঠেকেছে দেয়ালে। আয় বাড়ছে না কিন্তু ব্যয় বেড়েই চলছে। দু’সপ্তাহ আগেও এক ডজন ডিমের মূল্য ছিল ১২০ টাকা, এখন সেই ডিমের মূল্য ১৫৫ টাকা। আলু কেজি ৬০ টাকা, অথচ বছরের পর বছর আলু বিক্রি হয়েছে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজিদরে। কোনো কারণ ছাড়াই গত বছর এ আলুর মূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। গত এক মাস আগেও আলুর মূল্য ছিল ৩৫ টাকা কেজি, এখন তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এ অবস্থাই চলছে সব নিত্যপণ্যের ক্ষেত্রে। দেখার যেন কেউ নেই। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা শুধু কথা বলে যাচ্ছেন, কিন্তু পণ্যমূল্য কমছেই না।
খবর নিয়ে জানা গেছে, নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তির কোনো লক্ষণই নেই। মাছ-গোশত, ডিম, সবজি ও মসলাসহ বেশিরভাগ পণ্যের দাম চড়া। এক কেজি বেগুনের দাম এখন ১০০-১২০ টাকা। কাঁকরোল-বরবটিরও দর একই। আর সজনে ডাঁটা বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা দরে। এমনকি সস্তা দামে পরিচিত পেঁপের কেজিও এখন ৮০ টাকা। পটোল আর ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০-৮০ টাকার মধ্যে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম এর ওপরে। গাজর-শসা ও টমেটোও ৮০-১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি ....বিস্তারিত

ইরানের চাবাহার বন্দর লিজ

ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ

সোনার বাংলা ডেস্ক : ইরানের চাবাহার সমুদ্রবন্দর পরিচালনায় তেহরানের সঙ্গে নয়াদিল্লির চুক্তিটি মোটেও ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিটি ঘোষণার সাথে সাথে ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এর একদিন পরই মার্কিন হুঁশিয়ারির প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ইরানের সঙ্গে এ প্রকল্পটি দুই অঞ্চলের জনগণের জন্যই বেশ মঙ্গলজনক বলে জোর দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, জনগণ এক্ষেত্রে কারো সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি মেনে নেবে না। গত ১৪ মে মঙ্গলবার জয়শঙ্করের লেখা ‘হোয়াই ভারত ম্যাটার্স’ বইয়ের বাংলা সংস্করণ প্রকাশ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারির জবাব দেন।
অনলাইন এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র নিজেই অতীতে চাবাহারের বৃহত্তর প্রাসঙ্গিকতার প্রশংসা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মার্কিন হুঁশিয়ারি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে জয়শঙ্কর বলেন, আমি তাদের মন্তব্য দেখেছি, তবে আমি মনে করি যোগাযোগ এবং এখানের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার কথা ভাবা উচিত। আমি মনে করি না কারো এ বিষয়ে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি রাখা উচিত।
তিনি আরো বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অতীতে কখনো এমন মন্তব্য প্রকাশ করেনি। আপনারা যদি চাবাহার বন্দরের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব মনোভাব লক্ষ করেন, দেখবেন তারা এর আগে চাবাহারের বৃহত্তর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশংসা করেছে।
গত ১৩ মে সোমবার ইরানের চাবাহার সমুদ্রবন্দর পরিচালনার জন্য ১০ বছরের একটি চুক্তি করেছে নয়াদিল্লি-তেহরান। এর কয়েক ....বিস্তারিত

থামছে না রিজার্ভ পতন

কমে ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রতিনিয়ত কমছেই। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) মার্চ ও এপ্রিল মাসের দায় মেটানোর পর বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট রিজার্ভ কমে ২ হাজার ৩৭৭ কোটি ডলারে (২৩.৭৭ বিলিয়ন) নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এখন ১ হাজার ৮৩২ কোটি ডলার (১৮.৩২ বিলিয়ন)। প্রকৃত বা ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা কম। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। রিজার্ভের পতন ঠেকানোর জন্য বর্তমান সরকারে ‘শ্যাম রাখি না কূল রাখি’ দশা। বিরহিনী এই রিজার্ভ এখন পতনের তলানীর দিকে ধাবমান। অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর অনেক পদক্ষেপ নিয়ে সরকার পতন থামাতে পারছে না।
সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে আকু বিল বাবদ রিজার্ভ থেকে ১৬৩ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। এরপর রিজার্ভ কমে যায়। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের দেয়া নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ১১ কোটি ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আইএমএফ ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ডলারে নামিয়েছে, যদিও এখন তা ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের কম। প্রতি মাসে দেশের আমদানি দায় মেটাতে এখন প্রায় ৫০০ কোটি ডলার প্রয়োজন হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত দুই মাসে ১৬৩ কোটি ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করেছে। ফলে রিজার্ভ কিছুটা কমেছে।
সামনের মাসে আইএমএফের ....বিস্তারিত

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের একমাত্র রক্ষাকবচ হচ্ছে ইসলাম : মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আধিপত্যবাদী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের করালগ্রাসে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি আজ চরম হুমকির মুখে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের একমাত্র রক্ষাকবচ হচ্ছে ইসলাম। অথচ এদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থায় ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকায় সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে, অন্যায় বেড়ে গেছে। সীমাহীন দুর্নীতির ফলে ব্যাংক লুট হচ্ছে, দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। দেশের জনগণ তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় এদেশের মাটি ও মানুষকে রক্ষা করতে জামায়াতে ইসলামীর রুকন প্রার্থীসহ সকল জনশক্তিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ইসলামী সমাজব্যবস্থার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে হবে। ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত ঢাকা মহানগরীর প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। আল্লাহর তাওহীদের দাওয়াত নিয়ে এ তিলোত্তমা নগরীর প্রত্যেক অলিগলি মুখরিত রাখতে হবে। জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে গত ১১ মে শনিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে রুকন (সদস্য) প্রার্থীদের নিয়ে দিনব্যাপী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসবকথা বলেন।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় মজলিসে ....বিস্তারিত

বিজেপি সরকার গঠন করতে পারবে না : কেজরিওয়াল

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি ২৩০টির বেশি আসন পাবে না। গত ১১ মে শনিবার অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত হয়ে নিজ দল আম আদমি পার্টির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এ কথা বলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইন্ডিয়া জোট কেন্দ্রে সরকার গঠন করবে এবং আম আদমি পার্টি সেই সরকারের অংশ হবে মন্তব্য করে কেজরিওয়াল বলেন, ‘কারামুক্ত হওয়ার পরবর্তী ২০ ঘণ্টায় আমি নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি জানতে পেরেছি যে, বিজেপি সরকার গঠন করতে পারবে না।’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হরিয়ানা, রাজস্থান, কর্ণাটক, দিল্লি, বিহার, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে বিজেপির লোকসভা আসন কমবে। কোনো রাজ্যেই তাদের আসন বাড়বে না। তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমার বিশ্লেষণ এবং এমনকি রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও বলছেন, বিজেপি ২২০ থেকে ২৩০টির বেশি আসন পাবে না। আগামী ৪ জুন মোদির সরকার গঠন হতে যাচ্ছে না।’ সংবাদ সম্মেলনে কেজরিওয়াল প্রতিশ্রুতি দেন যে, ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠন করলে দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হবে। এ সময় তিনি দেশবাসীকে ‘একনায়কতন্ত্র’ প্রতিরোধের আহ্বান জানান। দিল্লির এ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মোদি খুব বিপজ্জনক মিশন শুরু করেছেন। তিনি সব বিরোধী নেতাকে জেলে পাঠাবেন।’ সুপ্রিম কোর্ট জামিন দেওয়ার পর গত শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়া দিল্লির তিহার কারাগার থেকে মুক্তি পান কেজরিওয়াল। সংবাদ সম্মেলনে এ নেতা ....বিস্তারিত

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।