রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ৮ম সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ॥ ৮ জিলকদ ১৪৪৫ হিজরী ॥ ১৭ মে ২০২৪

ভারতের বিরোধিতায় সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর হয়নি

তিস্তা প্রকল্পেও দিল্লির বাগড়া?

॥ জামশেদ মেহ্দী॥
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল; বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের যে ৫টি জেলার জীবন-মরণ এবং সমৃদ্ধি যে প্রকল্পটির ওপর নির্ভরশীল, সেই প্রকল্পটিও অবশেষে ভূ-রাজনীতির শিকার হতে যাচ্ছে। এই ভূ-রাজনীতির শিকার হয়েছিল সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর। এবার ভূ-রাজনীতির শিকার হলো তিস্তা প্রকল্প। গত ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন বিষয়টি ভারতীয় ছুতানাতায় ঝুলে আছে। ২০১০ সালে ভারতের তৎকলীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং যখন ঢাকা সফরে আসেন, তখন তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির একটি খসড়া উভয় দেশের বিশেষজ্ঞরা তৈরি করেছিলেন। খসড়া চুক্তিতে ছিল যে, ভারতের সিকিম থেকে উৎপন্ন তিস্তা নদী ভারতের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবায় এসে যতটুকু পানি থাকে, সেই পানি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫০:৫০ অর্থাৎ সমভাগে বণ্টন করা হবে। যদিও সমভাগে বণ্টন করা হলেও বাংলাদেশ তিস্তার পানির ন্যায্য অংশ থেকে বঞ্চিত হতো। তৎসত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকার সেই চুক্তি স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত ছিল। শেষ মুহূর্তে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঠিকই ঢাকায় এলেন, কিন্তু তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো না। কারণ হিসেবে বলা হলো যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঢাকায় না আসায় তার সম্মতি ব্যতীত তিস্তা চুক্তি সই করা যাবে না। অজুহাত হিসেবে বলা হলো যে, যেহেতু তিস্তার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে প্রবাহিত, তাই পশ্চিমবঙ্গকে এ চুক্তিতে জড়িত না করা পর্যন্ত ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেই চুক্তি সই করতে পারে না। করলে সেটা নাকি ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী হবে। এ যুক্তিতে আজ ১৩ বছর হলো তিস্তা চুক্তি ঝুলে আছে। ৯ মণ তেলও জুটছে না আর রাধাও নাচছে না।
যদিও বাংলাদেশের বিবেকবান বুদ্ধিজীবী সমাজ সবসময় বলে আসছেন যে, ভারত এ চুক্তি সই করবে না, কিন্তু আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-মিনিস্টাররা আজ হবে, কাল হবে বলে বছরের পর বছর ধরে সময়ক্ষেপণ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের নদী বিশেষজ্ঞরা ভারতের সংবিধানের একাধিক অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের অনুমোদন ছাড়াও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তা চুক্তি বা এ ধরনের চুক্তি করতে পারে। আসলে মমতা ব্যানার্জির দোহাই দিয়ে ভারত বাংলাদেশের সামনে ১৩ বছর ধরে মুলা ঝুলিয়ে রেখেছেন।
যখন এটি স্পষ্ট হয়ে গেল যে, তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে, তখন বাংলাদেশ সরকার এ সমস্যা সমাধানে বিকল্প ব্যবস্থা সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়ার জন্য চীনের শরণাপন্ন হয়। বাংলাদেশের অনুরোধে ২০১৯ সালে চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি তিস্তা নদীর ওপর একটি সমীক্ষা তথা জরিপ পরিচালনা করে। এ জরিপ পরিচালনা করার সময় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চীনা কোম্পানিকে সাহায্য করে। এ জরিপ সম্পন্ন হওয়ার পর চীন একটি প্রকল্প তৈরি করে। এটিই বহুল আলোচিত তিস্তা প্রকল্প নামে পরিচিত।
প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্পে রয়েছে তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশে গভীর খনন করা, বাঁধ নির্মাণ করা এবং একটি বিশাল জলাধার নির্মাণ করা। তিস্তা প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হলে এ প্রকল্পকে ঘিরে উত্তরাঞ্চলে গড়ে উঠবে একটি নতুন জনপদ। এ প্রকল্প সম্পর্কে সরকার চীনের কাছে সরাসরি কোনো কমিটমেন্ট না করলেও বাংলাদেশ সরকার যে প্রকল্পটি অনুমোদন করবে, সেটি আকার-ইঙ্গিতে জানিয়ে দেয়। বাংলাদেশ সরকারের মনোভাব বুঝতে পেরে ২০২২ সালে বাংলাদেশে তৎকালীন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জি মিং লালমনিরহাট পরিদর্শনে যান এবং তিনি সরেজমিন পরিদর্শনের পর প্রাথমিক অনুমোদন দেন। অতঃপর এ প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয় ‘তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রজেক্ট’। প্রথমিকভাবে এ প্রজেক্টের বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয় ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার বা ১১০ কোটি মার্কিন ডলার। এ অর্থ বরাদ্দ করার জন্য বাংলাদেশের ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন চীনের সাথে আলাপ-আলোচনা শুরু করে। চীনের প্রজেক্ট রিপোর্টে বলা হয় যে, এ প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হলে রংপুর বিভাগের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। বাংলাদেশ দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর উভয় পাশে একাধিক গ্রোথ সেন্টার নির্মিত হবে। এছাড়া তিস্তার সমগ্র বাংলাদেশ অংশের পলি অপসারণ করা হবে এবং বর্ষাকালে ভারত পানি ছেড়ে দিলেও যাতে করে রংপুর অঞ্চলে বন্যা না হয়, সেই ব্যবস্থা করা হবে। এ প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হলে উত্তরবঙ্গের যে ৫টি জেলার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে, সেই ৫টি জেলা হলো- গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী এবং রংপুর।
বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে চীন তাদের প্রজেক্ট রিপোর্ট সংশোধন করে এবং খরচ হ্রাস সম্পর্কিত সংশোধনী রিপোর্ট ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর সরকারের নিকট পেশ করে।
এর মধ্যেই গুঞ্জন শোনা যায় যে, ভারত চীনের উদ্যোগে নির্মিতব্য তিস্তা প্রজেক্ট নিয়ে অস্বস্তির মধ্যে আছে। তারা নাকি সেই অস্বস্তি বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েও দিয়েছে। এ খবর পেয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা নড়েচড়ে বসেন। সাংবাদিকরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহলি সাবরিনকে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রশ্ন করেন যে, কবে থেকে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে? উত্তরে সেহলি সাবরিন বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের (৭ জানুয়ারির নির্বাচন) পর ইস্যুটি টেকআপ করা হবে। এ পর্যায়ে সাংবাদিকরা আবার প্রশ্ন করেন- শোনা যাচ্ছে যে, ভারত নাকি চীনা অর্থায়নে এবং তাদের কারিগরি সহায়তায় এ প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হোক, সেটা চায় না। তখন সেহলি সাবরিন বলেন, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেবে, সেটি নির্ভর করবে ভূ-রাজনীতির ওপর। তখনই বাংলাদেশের পোড় খাওয়া দেশপ্রেমিক বিশেষজ্ঞরা বুঝেছিলেন, তিস্তা প্রজেক্টটি ঝুলে যাচ্ছে।
তিস্তা প্রজেক্ট সম্পর্কে ভারতীয় পত্রপত্রিকায় বলা হয় যে, তিস্তা প্রজেক্ট যেখানে শেষ হবে, সেটি ভারতের সবচেয়ে সংবেনদশীল এলাকা চিকেন নেক বা শিলিগুড়ি করিডোর থেকে খুব বেশি দূরে নয়। চিকেন নেকের অদূরে চীনা অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে এমন বিশাল একটি প্রজেক্ট এবং একটি জনপদ অনেকটা ভারতের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলার শামিল।
তাই দেখা গেল যে, নির্বাচন শেষ হওয়ার ৪ মাসের মধ্যেও এ প্রজেক্ট নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের আর কোনো কথা নেই। এমন একটি অবস্থার মধ্যে ঘোষণা করা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা সহসা ঢাকায় আসছেন। বলা হয় যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরসূচি ফাইনালাইজ করবেন।
সেই পররাষ্ট্র সচিব কোয়াত্রা ঠিকই ঢাকায় এলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। অতঃপর সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তিস্তায় আমরা একটি বৃহৎ প্রকল্প নিয়েছি। ভারত সেখানে অর্থায়ন করতে চায়। ভারতীয় সহায়তা নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা হয়েছে। তিস্তা প্রকল্পটি আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী হবে। সেই প্রয়োজন যেন পূরণ হয়, সেটি ভারতকে বলা হয়েছে।
কথায় বলে, আকলমন্দকে লিয়ে ইশারাই কাফি। অর্থাৎ জ্ঞানীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। যে মুহূর্তে চীনের সামগ্রিক তত্ত্বাবধান ও অর্থায়নে তিস্তা প্রজেক্টটি শুরু হতে যাচ্ছে, ঠিক তখন ভারত বাগড়া দিয়েছে। পোড় খাওয়া মানুষ আশঙ্কা করছেন যে, তিস্তা প্রজেক্টের পরিণতি যেন সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দরের পরিণতি না হয়।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ২০০৬ সালে চীনের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ চলছিল। ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের মেয়াদ শেষ হয়। তারপর থেকেই সোনাদিয়ার গভীর সমুদ্রবন্দর প্রজেক্টটি ঝুলে যায়। ঐ সময় বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবী এবং বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হলে বঙ্গোপসাগর তথা ভারত মহাসাগরে চীনের নেভিগেশন সহজ হয়ে যেত। আর বাংলাদেশও এর ফলে বিরাটভাবে উপকৃত হতো।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সোনাদিয়া ব্যাকসিটে চলে যায়। তখন থেকে ভারত পর্দার অন্তরালে সোনাদিয়া প্রজেক্টে বাগড়া দিতে থাকে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেইজিং সফর করেন। এ সফরকালে সোনাদিয়া নিয়ে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। ২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকালে সোনাদিয়া ইস্যুটি দুই সরকারপ্রধানের আলোচ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়। অবশেষে ভারতের বিরোধিতার কারণে সোনাদিয়ার পরিবর্তে মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সোনাদিয়া নির্মাণ করতো চীন। এখন মাতারবাড়ী নির্মাণ করবে মূলত জাপান এবং তার সাথে ভারত।
একই খেলা শুরু হয়েছে তিস্তা প্রজেক্টেও। আসলে ভারত ২০১৯ সাল থেকেই পর্দার অন্তরাল থেকে সুতা নাড়ছে। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে অবশ্যই ভারতের সাথে সমঝোতা করা হবে (ডেইলি স্টার অনলাইন)। ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর ইউএনবি পরিবেশিত সংবাদ মোতাবেক ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জি মিং এক সেমিনারে বলেন, ‘তিনি ব্যক্তিগতভাবে কনসার্নড যে, তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ সরকার বাইরের চাপে অবস্থান পরিবর্তন করে কিনা।’
গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেন, বাংলাদেশ চাইলে তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে তৈরি আছে চীন। ওয়াকিবহাল মহল বলেন, এতদিন পর ভারত হঠাৎ করে প্রকাশ্যে তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চাচ্ছে কেন? বাংলাদেশের পানির প্রয়োজন যদি তারা সত্যিই উপলব্ধি করে থাকে, তাহলে তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশের ন্যায্য পানি সরবরাহে রাজি হলেই তো সব ল্যাঠা চুকে যায়। তাহলে সেই ২৫ বছর আগে থেকে; বিশেষ করে ২০১০ সাল থেকে কেন তিস্তা চুক্তি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে? ভারত চলতি মে মাসে অর্থায়নের যে কথা বলছে, সেটি আসলে চীনের বাড়া ভাতে ছাই দেওয়ার শামিল। তিস্তা প্রজেক্টকেও ভারত সোনাদিয়ার ভাগ্য বরণ করতে বাধ্য করবে। এতে চীনের কোনো ক্ষতি হবে না। ক্ষতি হবে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েক কোটি মানুষের।
হয়তো তিস্তা প্রজেক্ট ভারতীয় বাগড়ার ফলে ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ভারসাম্যের নীতি প্রচণ্ড হোঁচট খাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। বাংলাদেশে আমেরিকার প্রভাব বিস্তারের বিরোধিতায় চীন, রাশিয়া ও ভারত একমত ছিল। কিন্তু এখন শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নিয়ে চীন-ভারতের কূটনৈতিক লড়াই। এ লড়াইয়ে দুই জায়ান্টের মধ্যখানে আওয়ামী লীগ সরকার। ভবিষ্যতে কী আছে, সেটি ভবিতব্যই জানে।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।