![](images/1715780440Poribhon.jpg)
# প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি চললেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না
# সড়কেই বছরে দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৯০২ জনের মৃত্যু
॥ সৈয়দ খালিদ হোসেন ॥
সরকারের সড়ক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার চোখে পড়ুক বা নাই পড়ুক, রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের কাজলা টোলপ্লাজায় নিয়োজিত কর্মী এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষের চোখে ঠিকই পড়ছে কীভাবে প্রকাশ্যে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান থামিয়ে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। যারা পরিবহন থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে, তারা কিন্তু মূল হোতা নয়, মূল গডফাদাররা থাকছেন অদৃশ্য। তবে কারা এ চাঁদা তুলছেন, কারা নিচ্ছেন তার সবকিছুই জানেন আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিতরা। কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ নেই। এদিকে পুরো পরিবহন খাতেই চলছে নৈরাজ্য। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলের রাস্তার ৪০ শতাংশে সবসময় গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। ফলে রাস্তায় চলমান বাস, প্রাইভেট কারসহ অন্য পরিবহনের চলার পথ থাকে না। এতে সৃষ্টি হয় যানজটের। এ অবস্থা শুধু মতিঝিলেই নয়, বলা যায় সর্বত্র। এছাড়া ফিটনেসবিহীন বাস আর অদক্ষ্য চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোয় সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে তাজা প্রাণ। সর্বোপরি মালিক ও শ্রমিক সংগঠনে একচেটিয়া ক্ষমতা চর্চার পাশাপাশি নীতি করায়ত্ত করার মাধ্যমে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে খাতটিকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
পরিবহন বিষেশজ্ঞরা বলছেন, সড়কে চলতে বেশ কয়েকটি সমস্যা এখনো কাটেনি। কিছু কিছু সমস্যা সরকার চাইলেই কাটানো সম্ভব। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছা নেই বলেই কাটছে না। যেমন সড়কে চাঁদাবাজি হচ্ছে- এটা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত সবাই জানেন। এ চাঁদাবাজ কারা, তাও জানা রয়েছে প্রশাসনের। কীভাবে এদের শায়েস্তা করা যায়, তাও জানা রয়েছে। কিন্তু করা হচ্ছে না। ঢাকার সড়কে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা হয় গাড়ি। সেই গাড়ি পার্কিং করে অবৈধভাবে নেওয়া হয় টাকা। সড়কে দীর্ঘসময় ধরে পার্কিং থাকার কারণে যানজট লেগেই থাকে। এদিকে সড়কে দুর্ঘটনা কোনোভাবেই কমছে না। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে হলে ফিটনেসবিহীন গাড়ি শতভাগ সড়ক থেকে তুলে ফেলতে হবে। একইসঙ্গে অদক্ষ চালকদের হাতে গাড়ি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। চালক ও হেলপারদের টানা ডিউটি না দিয়ে বিশ্রামের সুযোগ দিতে হবে।
জানা গেছে, দেশের সড়ক পরিবহন সেক্টরে মালিক ও শ্রমিকদের প্রায় এক হাজার সংগঠন রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় সাতশটি সংগঠনই অবৈধ। এসব সংগঠন চলে চাঁদার টাকায়। এরা সড়কে নিয়মিত চাঁদাবাজি করছে। সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশের বেসরকারি খাতের বাস মালিক ও শ্রমিকরা বছরে প্রায় এক হাজার ৬০ কোটি টাকা চাঁদা বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিতে বাধ্য হন। ‘ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসে এ চিত্র। এতে আরও বলা হয়, সড়কে প্রায় ২৫ কোটি টাকা দলীয় পরিচয়ে চাঁদাবাজি হয় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে জানিয়ে বলা হয়, ‘এছাড়া রাজনৈতিক সমাবেশ, বিভিন্ন দিবস পালন, টার্মিনালের বাইরে (রাস্তায়) পার্কিং এবং সড়কের বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন ও টোকেন বাণিজ্যের জন্য বাস মালিক ও কর্মী-শ্রমিকরা চাঁদা বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দেয় বা দিতে বাধ্য হন।’ হাজার কোটি টাকা চাঁদার মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ বছরে ৯০০ কোটি টাকা নিবন্ধন ও সনদ গ্রহণ, হালনাগাদের জন্য ঘুষ হিসেবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) দিতে হয় বাস মালিক-শ্রমিকদের। গবেষণার বরাত দিয়ে টিআইবি জানায়, বাংলাদেশে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহন খাত আপাদমস্তক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। টিআইবি বলছে, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে মালিক-শ্রমিক সংগঠন ও সিন্ডিকেট এ খাতকে জিম্মি করে রেখেছে। ক্ষেত্রবিশেষে এ আঁতাতের সামনে সরকারও ক্ষমতাহীন হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। বাস পরিবহন খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির মূলে থাকা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও সিন্ডিকেটের ভূমিকা উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহন খাত আপাদমস্তক অনিয়ম-দুর্নীতিতে জর্জরিত। এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতায় বলীয়ান মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠনের আঁতাত। গবেষণালব্ধ তথ্যানুযায়ী, বাস কোম্পানির প্রায় ৯২ শতাংশের মালিক ও পরিচালনা পর্ষদের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে, ৮০ শতাংশ ক্ষমতাসীন দল ও বাকি ১২ শতাংশ অন্যান্য দলের।’ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিআরটিএকে অবশ্যই চাঁদা বা অনিয়ম বন্ধে দায়িত্ব নিতে হবে। অথচ সংগৃহীত চাঁদার বড় অংশই তারা পায়। বাসের নিবন্ধন, সনদ গ্রহণ এবং কাগজপত্র হালনাগাদ করতে ঘুষ দিতে হয়। এটি দেশীয় প্রবচন ‘বেড়ায় ক্ষেত খাওয়ার’ বড় উপমা। তাহলে কী করে বন্ধ হবে অনিয়ম ও যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি!
গণপরিবহনের সেবাগ্রহীতা তথা যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় অতিরিক্ত অর্থ। এছাড়া প্রতি বছর গণপরিবহন রক্ষণাবেক্ষণ খাতের খরচ ধরেই নির্ধারিত হয় বাসভাড়া। বিআরটিএকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় হাতে রাখলে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার না করলেও চলে। বাসের নিবন্ধন, সনদ গ্রহণ এবং কাগজপত্র হালনাগাদ করতে ঘুষ দিতে হয়। ফলে সড়কে দাবড়ে বেড়ায় ফিটনেসবিহীন ও রুট পারমিটবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি। এসব গাড়ির মালিক-চালকরা নিয়মিত চাঁদা দিয়ে গাড়ি চালান। ফলে তাদের আইনকানুন পরিপালনের বাধ্যবাধকতা নেই। আবার সরকারও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গাড়ি ও পরিবহন শ্রমিকদের ব্যবহার করে। তাই তাদের ‘ছাড়’ তো দিতেই হয়! চাঁদাবাজির দুষ্টচক্রের দৌরাত্ম্যের খেসারত শেষ পর্যন্ত দিতে হয় যাত্রীসাধারণকে। সাধারণ মানুষকেই চাঁদার বাড়তি বোঝা বইতে হয়। তাদের যাতায়াত ভাড়া যায় বেড়ে। আবার পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির প্রভাবে নিত্যপণ্যের দামও বেড়ে যায়।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সামছুল হক মনে করেন, পরিবহন খাতে বিশৃঙ্খলার মূল কারণ, যারা কর্তাব্যক্তি, যারা পরিকল্পনার দায়িত্বে আছেন, তারা পেশাদারি মনোভাব নিয়ে কাজটি করেন না। তাদের আসলে সেভাবে জবাবদিহিও করতে হয় না। আমি বলব, কর্তাব্যক্তিরা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন না করে শুধু সবার সহযোগিতার দরকার এমন কথা বলে বেড়ান। এভাবে দায় এড়ানোর কৌশল নেন তারা। পরিবহন খাতে সুশাসনের অভাব সরকারের সব সুন্দর অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে। এ খাতে অর্জনের চেয়ে বিশৃঙ্খলা বেশি। সঠিক পরিকল্পনা করা না গেলে, সুশাসন নিশ্চিত করতে না পারলে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।
সড়ক, রেল ও নৌপথে যানবাহন দুর্ঘটনায় গত এক বছরে (২০২৩) সাড়ে ৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সড়কপথেই দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৯০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রায় ১১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। সম্প্রতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে যানবাহন দুর্ঘটনার এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদায়ী ২০২৩ সালে ৬২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৯০২ জন নিহত এবং ১০৩৭২ জন আহত হয়েছে। একই সময় রেলপথে ৫২০টি দুর্ঘটনায় ৫১২ জন নিহত ও ৪৭৫ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ১৪৮টি দুর্ঘটনায় ৯১ জন নিহত, ১৫২ জন আহত এবং ১০৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। একই সময়ে ২০৩১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২১৫২ জন নিহত ও ১৩৩৯ জন আহত হয়েছে; যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৪৩ শতাংশ, নিহতের ২৭.২৩ শতাংশ ও আহতের ১২.৯০ শতাংশ। সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৬৯২৯টি দুর্ঘটনায় ৮৫০৫ জন নিহত এবং ১০৯৯৯ জন আহত হয়েছে। বিগত ৯ বছরে নিবন্ধিত যানবাহনের পাশাপাশি ছোট যানবাহন; বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের সংখ্যা ৪ থেকে ৫ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও থ্রি-হুইলার সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে অবাধে চলাচলের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানি বাড়ছে।
সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫২.৮৩ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা, ২০.৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.২৯ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ১১.৪ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৭ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেচিয়ে এবং ০.৬৮ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ বছর মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩৪.৮৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৮.৪১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৮.৫ শতাংশ ফিডার রোডে। এছাড়া সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৬.৩২ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.১১ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে, ০.৬৮ শতাংশ লেভেলক্রসিংয়ে হয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী আলাপকালে বলেন, বেপরোয়া গতি, বিপজ্জনক ওভারটেকিং, রাস্তাঘাটের নির্মাণ ত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, যানবাহন চালক ও মালিকের বেপরোয়া মনোভাব, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, লেভেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি, সড়কে চাঁদাবাজি, রাস্তার ওপর হাট-বাজার, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন চালানো, মালিকের অতিরিক্ত মুনাফার মানসিকতা, চালকের নিয়োগ ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট না থাকা, সড়কে আলোকসজ্জা না থাকায় দুর্ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা ঘটে। তিনি বলেন, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে সড়কে দ্রুতই শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
এদিকে রাজধানীতে প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও এখন পাড়া-মহল্লার গলিতেও যানজট দেখা যায়, বাদ যাচ্ছে না ভিআইপি সড়কও। এমনকি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও যানজট লেগে থাকছে। মূল সড়কে নামার মুখে দীর্ঘসময় যানজটে আটকে থাকতে দেখা যায় গাড়িগুলোকে। কোথাও কোথাও যেন ঘুরছিল না গাড়ির চাকা। এমন যানজটে নাকাল নগরবাসী। বিশেষ করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মিরপুর-১০, আগারগাঁও, কারওয়ানবাজার, সোনারগাঁও, সাতরাস্তা, মহাখালী, বনানী, কাকলী, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, গুলশান-১, গুলশান-২, লিংকরোড, প্রগতি সরণিসহ বিভিন্ন এলাকায় যানজটের চিত্র অনেকটাই ভয়াবহ।
এনা পরিবহনের স্বত্বাধিকারী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহর সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অদক্ষ চালকের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পরিবহন মালিক সমিতি চাইলেই ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে পারছে না, এটা সম্ভব সরকার কঠোর হলে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর কঠোর ভূমিকায় থাকলে ফিটনেস নেই এমন একটি গাড়িও সড়কে চলবে না। আর রাস্তার গাড়ি পার্কিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, দুই সিটি মিলে নতুন করে কোনো বাস টার্মিনাল নির্মাণ করতে পারেনি। সরকারের অনেক জমি পড়ে আছে, অনেক জমি অবৈধভাবে দখলে নেওয়া আছে, সরকার চাইলে এসব স্থানে বহুতল টার্মিনাল তৈরি করতে পারেন। কিন্তু করছেন না, ফলে যত্রতত্র পার্কিং করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের ইচ্ছা থাকলে পরিবহন খাতের অস্থিরতা ও নৈরাজ্য কমিয়ে আনা সম্ভব।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না
- ফিলিস্তিনিদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন : জাতিসংঘকে প্রধানমন্ত্রী
- দেশে গণতন্ত্র আইনের শাসন মানবাধিকার বলতে কিছু অবশিষ্ট নেই
- তিস্তা প্রকল্পেও দিল্লির বাগড়া?
- কোনো বিকল্প পথ নেই
- নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন
- ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ
- থামছে না রিজার্ভ পতন
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের একমাত্র রক্ষাকবচ হচ্ছে ইসলাম : মিয়া গোলাম পরওয়ার
- বিজেপি সরকার গঠন করতে পারবে না : কেজরিওয়াল