ইরানের চাবাহার বন্দর লিজ
ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ
সোনার বাংলা ডেস্ক : ইরানের চাবাহার সমুদ্রবন্দর পরিচালনায় তেহরানের সঙ্গে নয়াদিল্লির চুক্তিটি মোটেও ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিটি ঘোষণার সাথে সাথে ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এর একদিন পরই মার্কিন হুঁশিয়ারির প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ইরানের সঙ্গে এ প্রকল্পটি দুই অঞ্চলের জনগণের জন্যই বেশ মঙ্গলজনক বলে জোর দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, জনগণ এক্ষেত্রে কারো সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি মেনে নেবে না। গত ১৪ মে মঙ্গলবার জয়শঙ্করের লেখা ‘হোয়াই ভারত ম্যাটার্স’ বইয়ের বাংলা সংস্করণ প্রকাশ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারির জবাব দেন।
অনলাইন এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র নিজেই অতীতে চাবাহারের বৃহত্তর প্রাসঙ্গিকতার প্রশংসা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মার্কিন হুঁশিয়ারি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে জয়শঙ্কর বলেন, আমি তাদের মন্তব্য দেখেছি, তবে আমি মনে করি যোগাযোগ এবং এখানের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার কথা ভাবা উচিত। আমি মনে করি না কারো এ বিষয়ে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি রাখা উচিত।
তিনি আরো বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অতীতে কখনো এমন মন্তব্য প্রকাশ করেনি। আপনারা যদি চাবাহার বন্দরের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব মনোভাব লক্ষ করেন, দেখবেন তারা এর আগে চাবাহারের বৃহত্তর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশংসা করেছে।
গত ১৩ মে সোমবার ইরানের চাবাহার সমুদ্রবন্দর পরিচালনার জন্য ১০ বছরের একটি চুক্তি করেছে নয়াদিল্লি-তেহরান। এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে কোনো দেশ ব্যবসায়িক চুক্তিতে গেলে তারা সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে। তিনি আরো বলেছেন, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় এখনো কার্যকর। এসব নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করা হবে।
নাম উল্লেখ না করে ভারতকে সতর্ক করে বেদান্ত বলেন, যারাই ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি করবে, তাদের মনে রাখা উচিত যে তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা পড়ার পথ খুলে দিচ্ছে।
ভারত মূলত মধ্য এশিয়ার বাজারে নিজস্ব পণ্য স্বল্প খরচে আফগানিস্তান দিয়ে পাঠানোর জন্য বন্দরটি লীজ নিয়েছে দীর্ঘদিনপূর্বেই। সম্প্রতি চাবাহার বন্দরটির উন্নয়নের জন্য তারা ইরানের সাথে চুক্তি করেছে। রাজনৈতিক কৌশলগত দিক দিয়ে ইরানের চাবাহার পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত গাওয়াদার বন্দরনগরীর নিকটবর্তী। গাওয়াদার বিমানবন্দর নির্মাণ ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে এখানে চীনের বিনিয়োগ একচ্ছত্র। এজন্য চাবাহার বন্দর লীজের নামে উন্নয়নের চুক্তি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জন্যই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবুও যুক্তরাষ্ট্রের একটি আজ্ঞাবহ মিত্র হিসেবে চাবাহারে ভারতের অনুপ্রবেশ যুক্তরাষ্ট্র একটু সন্দেহের চোখে দেখছে।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না
- ফিলিস্তিনিদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন : জাতিসংঘকে প্রধানমন্ত্রী
- দেশে গণতন্ত্র আইনের শাসন মানবাধিকার বলতে কিছু অবশিষ্ট নেই
- তিস্তা প্রকল্পেও দিল্লির বাগড়া?
- কোনো বিকল্প পথ নেই
- সিন্ডিকেটে পরিবহন খাতে নৈরাজ্য
- নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন
- থামছে না রিজার্ভ পতন
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের একমাত্র রক্ষাকবচ হচ্ছে ইসলাম : মিয়া গোলাম পরওয়ার
- বিজেপি সরকার গঠন করতে পারবে না : কেজরিওয়াল