পুনর্বাসনের অপকৌশলে ফ্যাসিবাদীরা

অতিথি লেখক
২২ মে ২০২৫ ১৭:০৭

সরদার আবদুর রহমান

॥ সরদার আবদুর রহমান ॥
শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অভ্যুত্থানের ৯ মাসের মাথায় এসে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলো। এর ফলে দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা দলটি প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে কোনো প্রকার কার্যক্রম চালানোর অধিকার হারালো।
এ নিষেধাজ্ঞা আরোপে কেউ কি অভিযোগ তুলতে পারবেন যে, এভাবে একটি রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার ‘হরণ’ করা ঠিক হয়নি? পারবেন না। কেননা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগেই ঐ আওয়ামী লীগ এবং তাদের জোট আরেকটি গণতান্ত্রিক দল ও তার ছাত্র সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে গেজেট প্রকাশ করেছিল। ফলে তাদের খোঁড়া গর্তেই তাদের নিপতিত হতে হয়েছে। তবে প্রকাশ্যে কার্যক্রম পরিচালনার ওপর এ নিষেধাজ্ঞার ফলে কি ফ্যাসিবাদিরা বসে থাকবে? তারা কি বিকল্প পন্থা অনুসন্ধান করবে না? বলাবাহুল্য, তারা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রক্রিয়ায় এবং রকমারি কৌশলে পুনর্বাসনে তৎপর থাকবে, এতে সন্দেহ নেই।
ফ্যাসিবাদের চরিত্র : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘ফ্যাসিবাদ’ শব্দটি নতুন শোনায়। এর আগে এদেশের মানুষ ‘একদলীয়’ শাসন, ‘স্বৈরশাসন’ ইত্যাদির কথা শুনেছে। তবে ‘ফ্যাসিবাদী শাসন’ সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা একে প্রধানত ‘গণতন্ত্রের বিরোধীশক্তি’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে থাকেন। বলা হয়, ফ্যাসিবাদ নিজেকে প্রথমে অরাজনৈতিক বা নিরপেক্ষ বা জনগণের সেবক হিসেবে উপস্থাপন করবে, কিন্তু একটু জায়গা পেয়ে বসতে পারলে প্রথমেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে। তখন মানুষের কাছে কোনো বিকল্প থাকবে না এবং ফ্যাসিবাদ সবসময়ই নিজের প্রয়োজনীয়তা বাড়াবে। তারা সবসময়ই একটা সংকট সৃষ্টি করবে এবং সমাজকে সবসময় ভয়, ঘৃণা এবং হতাশায় ব্যস্ত রাখবে। আরো বলা হয়, ফ্যাসিবাদী নেতাদের সবচেয়ে বড় কৌশল হচ্ছে মিথ্যার রাজনীতি। তারা সবাই মিথ্যাবাদী এবং তাই ফ্যাসিবাদ আসবে স্বাধীনতা অথবা গণতন্ত্রের বেশে। তারা জানে কীভাবে ‘রেটরিক’ বা চাপাবাজিকে কাজে লাগাতে হয়, আবেগকে ব্যবহার করতে হয়, কীভাবে স্লোগানের ব্যবহার করতে হয়। তাদের শুধু প্রয়োজন প্রোপাগান্ডা। দেখা যায়, পতিত, বিতাড়িত ও পলাতক শাসক দলটির মধ্যে ওপরের সব বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান ছিল। শীর্ষ থেকে তৃণমূল অবধি এ চরিত্র একক রূপ নিয়ে জাতিকে এক নিপীড়নের জাঁতাকলে আটকে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠার ফলে এবং এর ওপরে নিষেধাজ্ঞার সর্বব্যাপী দাবিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মেনে নিয়েছে এবং তারই পরিণত সিদ্ধান্তে একদসম্পর্কিত সরকারি গেজেট প্রকাশ।
নিষেধাজ্ঞার গেজেট : গত ১২ মে সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রকাশিত এ গেজেটে ৭টি অভিযোগ আনা হয়। এগুলো হলো-
প্রথমত: যেহেতু ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
দ্বিতীয়ত: ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসীকার্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তৃতীয়ত: উল্লিখিত অপরাধসমূহের অভিযোগে এসব সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহুসংখ্যক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
চতুর্থত: এসকল মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বাংলাদেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার লক্ষ্যে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ সাল- পরবর্তী সময়ে এসব সংগঠন কর্তৃক গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানিমূলক মিছিল আয়োজন, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং ভিনদেশে পলাতক তাদের নেত্রীসহ অন্য নেতাকর্মী কর্তৃক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপরাধমূলক বক্তব্য প্রদান, ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের প্রচেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে।
পঞ্চমত: এসকল কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে, দলটি এবং এর সকল অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতি সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
ষষ্ঠত: সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, এসব সংগঠন রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ জনমনে ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
সপ্তমত: সরকার যুক্তিসংগতভাবে মনে করে, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯-এর ধারা-১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটি এবং এর সকল অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সমীচীন।
সেহেতু এসব সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এসব সংগঠন কর্তৃক যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
এ গেজেট প্রকাশের পর রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ কোণঠাসা অবস্থায় পতিত হয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে অবস্থানকারী ‘অবৈধভাবে’ আশ্রয় নেয়া বহিরাগতদের বহিষ্কার করার উদ্যোগ নেয়ায় নতুন করে বিপাকে পড়েছেন আওয়ামী লীগের শত শত নেতা-কর্মী। এখন এরা ‘না ঘরকা না ঘাটকা’ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। দেশে ফিরলেও তাদের বিচারের মুখে পড়তে হবে। এমতাবস্থায় কিছুসংখ্যক হয়তো অন্য দেশে ঠাঁই নিতে পারেন, কিন্তু বেশিরভাগই হয় ভারতের জেলে নতুবা বাংলাদেশের জেলের খাবার খেতে বাধ্য হবেন। অপরদিকে বাংলাদেশের মধ্যে থাকা আওয়ামী লীগের সহযোগীদের জন্য বিকল্প কী হতে পারে, সেটিও তাদের ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিকল্পের সন্ধান : এমতাবস্থায় রাজনৈতিকভাবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা আওয়ামী লীগের লোকদের সামনে দুরূহ হয়ে পড়েছে। এজন্য তারা যা করতে পারেন-
দলের প্রতাপশালী অংশটি বিদেশেই স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তুলবে।
প্রভাবশালী একটি অংশ বাংলাদেশে জেলের ঘানি টানাকেই নিয়তি বলে মেনে নেবে।
অপেক্ষাকৃত দুর্বল অংশটি বিভিন্ন দলের মধ্যে ঠাঁই নেয়ার চেষ্টা করবে। এ সংখ্যা খুব কম হবে না।
দেশে অবস্থানকারী কট্টর অংশটি যেকোনো প্রকারে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মতৎপরতার সঙ্গে যুক্ত থেকে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সচেষ্ট হবে।
ক্ষুদ্র একটা অংশ পলাতকদের ইন্ধনে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে চাপে রাখতে চাইবে।
যে অংশটি বিভিন্ন দলের মধ্যে ঠাঁই নেয়ার চেষ্টায় আছে তাদের জন্য অন্যতম প্রধান দল বিএনপি ইতোমধ্যে নিজেদের দরোজা উন্মুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এক নেতা পথ বাতলে দিয়ে বলেছেন, ‘সমাজে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি, কখনো রাজনৈতিকভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করেননি, বিএনপির কার্যক্রমকে প্রতিহত কিংবা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেননি, বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেননি, পারলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন- তাদের সদস্য করতে বাধা নেই। এ জায়গায় খুব সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সমাজে অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিত, যাঁরা সমাজে অসামাজিক কাজে লিপ্ত, যাদের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নেই, এসব লোককে যথাসম্ভব বাইরে রাখার চেষ্টা করবেন।’
কিন্তু এ মানদণ্ড কীভাবে কার্যকর হবে, অর্থের লেনদেন কাজ করবে কিনা- এর নিশ্চয়তা কে দেবে? ইতোমধ্যে ঠিকাদার, শিল্প-কারখানার মালিক, ব্যবসায়ী প্রভৃতি লোকেরা কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাদের তাদের ‘জিম্মাদার’ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে সম্পদের পাহারাদার নিযুক্ত করে রেখেছে। এভাবে বিত্তবৈভব রক্ষার আয়োজন করে ফেলেছে।
এদিকে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকা অংশটি মাঝেমধ্যে ঝটিকা মিছিল বের করছে। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষুদ্রাকারের মিছিল হচ্ছে। নেতাকর্মীদের সক্রিয় করে মাঠে নামানোর চেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা। এজন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মিটিং করে দেশে থাকা বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে তারা। মাঝেমধ্যে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অডিও মিটিং করে নেতাকর্মীদের চরম মাত্রায় উসকানি দিচ্ছেন। তবে এর বড়রকম কোনো প্রভাব রাজনীতিতে পড়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
সাংস্কৃতিক ফোরামে আশ্রয়
এ কথা সত্য যে, পতিত সরকার দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্ষমতায়নকালে সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যমের জগতে বেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করে রেখেছে। যেটি এখন পর্যন্ত অক্ষত আছে বলেই মনে হয়। এ ফোরামের আশ্রয়ে তারা নিজেদের আড়াল করে রাখার এবং অবস্থান সংহত রাখার প্রয়াস চালাবেন বলে মনে করা যেতে পারে। বিশেষ করে ‘সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট’ নামের ফোরামটি বেশ শক্তিশালী এবং কমবেশি সারা দেশে এর শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে আছে। বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন মিলিয়ে এ জোটের অন্তর্ভুক্ত আছে ১৫৩টি পৃথক পৃথক সংগঠন। বিভিন্ন ধর্মনিরপেক্ষবাদী ও বামপন্থি ধারার লোকজন এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন যে ১৪ দলীয় জোট ছিল, এ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট তারই প্রতিভূ। এটি এতটাই রাজনৈতিকভাবে আনুগত্যশীল জোট যে, তারা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিজয়কে নিজেদের বিজয় বলে মনে করেন। ২০২৪ সালের সর্বশেষ নির্বাচনের প্রাক্কালে এ জোটের সাধারণ সম্পাদক এক বিবৃতিতে দাবি করে, ‘শেখ হাসিনার বিকল্প আমাদের কাছে নেই। নৌকাকে বিজয়ী করতে না পারলে দেশ আবার পাকিস্তানপন্থী হবে।’
নির্বাচন শেষে সংগঠনটির সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ্ এক বিবৃতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান। বিবৃতিতে তার দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রশংসা করে আগামীতে তা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এতে বোঝা গেল যে, এটি একটি কট্টরপন্থী জোট, যারা বাংলাদেশ মানেই আওয়ামী লীগ- এ কথা মনেপ্রাণে গেঁথে রাখে। আর বর্তমান ‘পলায়নপর’ পরিস্থিতিতে এ জোটের আশ্রয়ে তারা অবস্থান নিয়ে থাকবে এবং ফ্যাসিবাদী শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশায় দিন গুনবে। এছাড়া সারা দেশে আওয়ামীপন্থি পেশাজীবীদের শত শত সংগঠন বিদ্যমান। এর সদস্যরা ভেতরে ভেতরে সংগঠিত থেকে শক্তি অর্জনের চেষ্টা করছে। এ পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং সকল প্রকার নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের নিষ্ক্রিয় ও জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলার কোনো বিকল্প নেই।