কমতে শুরু করেছে চালের মূল্য
১৫ মে ২০২৫ ১৫:১৪
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি মিলতে শুরু করেছে। গত কয়েক মাস ধরে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় আলুর মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। এখনো খুচরা বাজারে ১০০ টাকায় মিলে ৫ কেজি আলু। অথচ ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কোল্ডস্টোরেজে সংরক্ষিত আলুর ক্রয়মূল্যসহ দাম দাঁড়াতো কেজিপ্রতি ১৩ টাকা। অথচ সেই আলু ভোক্তার কাছে বিক্রি করা হতো ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। চাহিদার অতিরিক্ত উৎপাদনের দেশে কেন আলুর এ মূল্য নেওয়া হতো, এর কোনো ব্যাখ্যা তখন সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর আলুর মূল্য কমে যাওয়ার পর বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। দীর্ঘদিন সবজির মূল্য ছিল খুবই কম, মাঝে মৌসুম না থাকার কারণে মূল্যবৃদ্ধি পেলেও এখন আবার কমতে শুরু করেছে। সবচেয়ে সুখবর হচ্ছে বাঙালির অনিবার্য নিত্যপণ্য চাল এর মূল্য কমতে শুরু করেছে।
সবজির মূল্য কমতে শুরু করেছে
বাজারে খবর নিয়ে জানা গেছে, এক কেজি শসার মূল্য এখনো ৬০ টাকা। নতুন সরকার আসার পর মূল্য ছিল ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা। রোজার সময় শসার ব্যবহার বাড়লেও মূল্য তুলনামূলক বাড়েনি। কিন্তু পরবর্তীতে মূল্য বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত দাঁড়িয়েছিল। এখন আবার কমতে শুরু করেছে। তবে তা সহনশীল পর্যায়ে আসেনি। অন্যান্য সবজির মধ্যে বাজারে প্রতি কেজি পটোল ৫০-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, টমেটো মানভেদে ৪০-৫০ টাকা, চালকুমড়া প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কচুরমুখী ১০০-১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সজনে ডাঁটা কেজি ১০০-১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দেশি পেঁয়াজ মানভেদে প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি নতুন রসুন ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২০০-২২০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০-১১৫ টাকা, দেশি চিকন মসুর ডাল ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কমছে চালের মূল্য
ডায়মন্ড, মঞ্জুর, রশিদ প্রভৃতি ব্র্যান্ডের নতুন মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও এ চালের কেজি ৮৮ থেকে ৯০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে অন্যান্য চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। বাজারে নতুন চাল আসা শুরু করেছে। ফলে দাম কমেছে সরু তথা মিনিকেট চালের। গত দুই সপ্তাহে ধরনভেদে এ চালের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা কমেছে।
বেড়েছে ডিমের দাম, তবে মুরগির দাম স্থিতিশীল
সপ্তাহের ব্যবধানে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতি ডজন ডিম ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচাবাজারে ডিম ব্যবসায়ীরা জানান, দাম একটু বেশি, আমরা বেশি দামে ডিম কিনছি এখন। তবে ডিমের দাম বাড়লেও মুরগির দাম স্থিতিশীল। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭০-১৮০ টাকা এবং সোনালি মুরগি মানভেদে ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর গোশত প্রতি কেজি ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কেজিপ্রতি রুই ৩০০-৪৫০ টাকা, টেংরা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, ঘেরের তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, পাঙাস মাছ ১৩০-১৫০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৪৫০-৬৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা, মাঝারি ভেটকি ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।