আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

নতুনরূপে চাঁদাবাজি


১ মে ২০২৫ ১৭:৫২

॥ সাইদুর রহমান রুমী ॥
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বন্ধ হওয়া চাঁদাবাজি আবার নবরূপে ফিরে এসেছে। ফুটপাত থেকে শুরু করে টার্মিনাল, বাজার-ঘাটসহ প্রতিটি জায়গায় শুরু হয়েছে চাঁদাবাজির মহোৎসব। বিভিন্ন গ্রুপ-গোষ্ঠীর নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি সমানতালে চললেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা প্রশ্নবিদ্ধ। অভিযোগের তীর মাঠপর্যায়ের আওয়ামী পল্টিবাজ চক্রের বিরুদ্ধেও।
চাঁদাবাজির সঙ্গে বড় দলের স্থানীয় নেতাদের সংশ্লিষ্টতা এখনো লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আগের মাফিয়াদের কাজে লাগানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। পরিবহন সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পুলিশ প্রশাসনের গুটিকয়েক অসাধু ব্যক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেদারসে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।
চাঁদাবাজিতে চেহারা বদল
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন সেক্টরে চাঁদাবাজিতে বর্তমানে নতুন নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে। একেক গ্রুপ একেক পরিচয় দিচ্ছে। গত ২৮ এপ্রিল সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, প্রতিদিনের মতো গুলিস্তান মোড় ও এর আশপাশের সড়কের ফুটপাত দখল করে আছেন হকাররা। দুপুর গড়াতেই মূল সড়কও দখলে চলে গেছে তাদের। যেন তিলধারণের জায়গা নেই। এ অবস্থায় চলাফেরায় ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারী ও গাড়ির চালকদের। কথা হয় ফুটপাতে গেঞ্জি বিক্রি করা আয়াত আলীর সাথে। সাংবাদিক পরিচয় দিতেই বলেন, স্যার ‘সরকার চেঞ্জ হয়ে গেল, কিন্তু গুলিস্তানের কোনো চেঞ্জ নাই।’ দীর্ঘ প্রায় দুই যুগেরও বেশি ঢাকায় ব্যবসা করা আয়াত জানান, একটু খোঁজ নিলেই আপনারা জানতে পারবেন এখন চাঁদাবাজি কাদের কাছে। আন্দোলনের পরপর কয়েক মাস শান্তিতে ছিলাম। কিন্তু আমাদের পোড়া কপাল। ফুটপাতে জুতা কিনতে আসা পল্টন এলাকায় কর্মরত মো. ইশতিয়াক জানান, চাঁদাবাজিই গুলিস্তানের ফুটপাত ও সড়কের এ দুরবস্থার জন্য দায়ী। ‘এইডা এখন আর কোনো রাস্তা নয়। চাঁদাবাজির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখেন হকারদের কে কত টাকা দিয়ে তারপর বসছে। চাঁদা দিয়ে যদি সরকারি জায়গায় ব্যবসা করতে হয়, তাহলে সরকারই চাঁদা নিয়ে হকারদের বসতে দিতে পারে।’ কত চাঁদা দেন, এ প্রসঙ্গে এক হকার জানান, ভাই টাকা ছাড়া কেউ এখানে বসতে পারে? আওয়ামী লীগ আমলে যা দেয়া লাগতো এখনো তা-ই দেওয়া লাগে, বরং আরো কিছু বাড়ছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই হকার জানান, তিনি ৫ আগস্টের পর নতুন করে পর্দা দিয়া ফুটপাতে দোকান বসিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নগদ এক লাখ টাকা গুইনা দিয়া তারপর এখানে বসছি। তবে যারা এককালীন নগদ টাকা দিতে পারেন না, তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে হপ্তা, মাসিক কিস্তিতে। আর চাঁদার টাকা দিতে না পারলে দোকান উচ্ছেদ করে সেখানে অন্য লোক বসানো হচ্ছে।’ এ চাঁদাবাজির সঙ্গে দেশের বর্তমান একটি বড় দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাই জড়িত বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে সম্প্রতি এক হকার অভিযোগ করার পর তাকে উল্টো মামলায় ফাঁসিয়ে জেল খাটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন গুলিস্তানের ওই হকার। গুলিস্তানের ফুটপাত ও সড়কে অবৈধভাবে যেসব দোকান বসিয়ে থেকে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করা হয়, সেগুলোর সংখ্যা কমপক্ষে তিন হাজার বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বন্ধ নেই পরিবহন টার্মিনালে চাঁদাবাজি
রাজধানীর জেলা-আন্তঃজেলা এবং অভ্যন্তরীণ প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবহন টার্মিনাল ও স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুই কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, সরকার পরিবর্তনের পর দলের নাম ভাঙিয়ে এসব পরিবহন টার্মিনাল ও স্ট্যান্ডে প্রতি মাসে সাড়ে ৬৬ কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজি চলছে। এ যেন বর্তমানে ওপেন সিক্রেট। দেশের পরিবহন খাতে আওয়ামী লীগ আমলের মাফিয়ারা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বর্তমান সুবিধাবাদী লোকদের কাজে লাগিয়ে নিজেরা নিরাপদ দূরত্বে থেকে এসব চাঁদাবাজির পরোক্ষ সুবিধা নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্র মতে, পরিবহন সাম্রাজ্য থেকে চাঁদাবাজির অবৈধ টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিদেশে পলাতক মাফিয়াদের কাছেও।
সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির নামের পাশাপাশি সমিতির নামেও পরিবহন সেক্টরে সারা বছর চাঁদাবাজি চলে। বিভিন্ন শ্রমিক-পরিবহন-মালিক সমিতির ব্যানারে সাধারণ বাস মালিক এবং স্ট্যান্ডে ড্রাইভার-মালিকদের চাঁদা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এর সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু অসাধু ব্যক্তি জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সময় চাঁদাবাজিতে টোকেন, রসিদ ও স্টিকার ব্যবহার করা হতো। হাতবদলের পর এখন নানা কৌশলে চাঁদাবাজি চলছে। এখন ধরা পড়ার ঝুঁকি এড়াতে চাঁদাবাজরা নৈশপ্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও লাইনম্যানের বেতন পরিশোধের নামে অভিনব পদ্ধতিতে চাঁদাবাজি করছে। চাঁদার টাকার লেনদেন হচ্ছে নগদ ও বিকাশ অ্যাপস ব্যবহার করে।
দীর্ঘদিন ধরে টার্মিনালের পর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন মার্কেট ও ফুটপাতকেন্দ্রিকও চাঁদাবাজি চলছে। এতকিছুর পরও কার্যত চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মহাখালীসহ আশপাশের সড়কগুলোয়ও চাঁদাবাজি চলছে। গাবতলী ও তেজগাঁও টার্মিনালকেন্দ্রিকও চাঁদাবাজি চলছে। ভুক্তভোগীরা জানান, পুলিশ এ সকল বিষয় দেখেও যেন না দেখার ভান করে। ফলে চাঁদাবাজরা কোনো ভয়ই পাচ্ছে না।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, অধিদপ্তরে এক প্রতিবেদন অনুসারে আওয়ামী লীগের শাসনামলে চাঁদাবাজির একটি ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সে সময় একটা টোকেন ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করতেন তারা। সেটির চিহ্ন রয়ে যেত কাগজে। হাসিনা পালিয়ে যাবার পর আস্তে আস্তে একটি অঙ্গ সংগঠনের নেতারা এ ব্যবস্থা দখলে নেন। তাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও চাঁদাবাজি করছেন। বর্তমানে রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, হিউম্যান হলার (লেগুনা) এবং অটোরিকশাসহ ৯৫ ধরনের টার্মিনাল এবং স্ট্যান্ড রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতেই রয়েছে ৬৬টি টার্মিনাল ও স্ট্যান্ড। এর মধ্যে আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ড ও ৩৭টি লেগুনা ও অটোস্ট্যান্ড রয়েছে। এছাড়া রয়েছে সাতটি স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড, পাঁচটি পিকআপস্ট্যান্ড, চারটি স্থানীয় ও চারটি অটোরিকশাস্ট্যান্ড, তিনটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাস্ট্যান্ড, দুটি ট্রাকস্ট্যান্ড এবং একটি মাইক্রোবাসস্ট্যান্ড। সূত্র মতে, এসব জায়গাগুলো হতে দৈনিক দুই কোটি ২১ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মধ্যে এক কোটি ১৭ লাখ টাকা চাঁদাবাজি হয় পরিবহন মালিক সমিতির নামে। সংস্থার পক্ষ থেকে এমন ১১ ধরনের পেমেন্টের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দূরপাল্লার ও মাঝারি পাল্লার বাস, ট্রাক, পিকআপ এবং কাভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, হিউম্যান হলার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা; এমনকি অটোরিকশাগুলো থেকেও দুর্বৃত্তরা চাঁদাবাজি করছে।
যশোর থেকে সবজিভর্তি ট্রাক নিয়ে প্রায়ই ঢাকায় আসেন চালক হাকিম মিয়া। যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত আসতে পথে তাকে চাঁদা দিতে হয়েছে অন্তত চারটি পয়েন্টে। যশোর থেকে নড়াইলে ঢোকার পর একবার চাঁদা দিতে হয়েছে স্থানীয় ইউনিয়নের কথা বলে। এরপর গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, তারপর ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ঢুকে ৪০ টাকা, ৫০ টাকা করে চাঁদা দেয়া লাগে। এখানেই শেষ নয়। সবজি নিয়ে কারওয়ান বাজারে পৌঁছানোর পর গাড়ি রাখার জন্য গুনতে হয় আরও দুইশ’ টাকা। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে কাঁচামাল নিয়ে প্রায়ই কারওয়ান বাজার আসা চালক শফিক জানান, আগে নিতো আওয়ামী লীগ ও পুলিশ, এখন নেয় অন্যরা। চাঁদার মাফ নেই। তবে হাসিনার পালানোর মহাসড়কে কয়েক মাস চাঁদাবাজি বন্ধ ছিল। তবে আগের চেয়ে চাঁদার পরিমাণ এবং স্পট কমেছে বলে জানান এ চালক।
এলাকাকেন্দ্রিক অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে চাঁদাবাজি
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিভিন্ন এলাকার খাসজমি ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সম্পদ, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ঝুট ব্যবসা, ফুটপাত, ড্রেন থেকে শুরু করে এলাকার ময়লা ব্যবসাসহ সর্বত্র চলছে চাঁদাবাজির প্রতিযোগিতা। দখল নিয়ে নানা ধরনের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। এক তথ্যে জানা যায়, এলাকায় এলাকায় শুধু অবৈধভাবে গড়ে তোলা বিভিন্ন দোকানপাট থেকে চাঁদা উঠছে মাসে কোটি কোটি টাকা। আর ঝুট ব্যবসা, ময়লা ব্যবসা থেকেও হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে অন্তত কোটি টাকা। আগে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের দখলে ছিল এসব অবৈধ বাণিজ্য। এখন একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নাম আসছে বেশি। স্থানীয় প্রভাবশালী ও তাদের সহযোগীরা এসবের নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক, ফুটপাতের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে হাজার হাজার দোকানপাট। এসব দোকান থেকে দৈনিক ২শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত কথিত ভাড়া-চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনোটির পজিশন বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকায়। কথা হয় মুগদা ঝিলপাড় হাসপাতালের পেছনে সরকারি জায়গায় গড়ে ওঠা দোকানদার ইমান আলীর সাথে। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ-যুবলীগের স্থানীয় নেতারা আগে দোকান ভাড়া এ্যাডভান্স নিত। কিন্তু তারা পালিয়ে গেলে কিছুদিন কাউকে কিছু দেয়া লাগেনি। কিন্তু এখন অন্য পার্টি চলে এসেছে। এরাই সব নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
কী বলছেন রাজনৈতিক নেতারা
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু গত ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপিতে চাঁদাবাজদের কোনো জায়গা নেই। কেউ যদি এ ধরনের কর্মকা-ে জড়ায়, তার দায় বিএনপি নেবে না।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান, মেম্বার হওয়ার জন্য লড়ছি না। আমরা লড়ছি, দুনিয়া ও আখিরাতের মুক্তির জন্য। আমরা চাঁদাবাজি, অসততা, দখলদারি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়ছি। কুরআনের আলোকে দরদি সমাজ গঠনের লক্ষ্যে লড়ছি আমরা। ক্ষমতার লড়াই নয়, মানবতার লড়াই করছি। মানবিক বাংলাদেশ চাই আমরা।’ গত ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের জুড়ীতে এক দাওয়াতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াতের আমীর।
গণঅভ্যুত্থানের পরও দেশে দখল ও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর। তিনি বলেন, আমরা আর আওয়ামী জামানার ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই না। সময় এসেছে, এবার যদি পরিবর্তন করতে না পারেন, পরে আফসোস করবেন।
পুলিশের বক্তব্য
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, চাঁদাবাজদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্সনীতি অনুসরণ করতে হবে। ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করতে হবে। ডিএমপির থানাগুলোকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্ববোধ ও আগ্রহ থেকে সকলকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি জানান, সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করলে পুলিশের প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ফিরে আসবে। চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।