মানুষের গুপ্ত ক্যান্সার!


৬ মার্চ ২০২৫ ১৩:০৭

হযরত নূহ (আ.) একবার একটি কালো কুৎসিত কুকুরকে দেখতে পেয়ে ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সাথে সাথে আল্লাহর নির্দেশে কুকুরটির জবান খুলে গেল।
মানুষের মতোই সে বলে উঠল, হে নূহ! তুমি আমার কুৎসিত আকৃতি দেখে ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিলে। কিন্তু তুমি কি জানো না যে, আল্লাহই আমাকে এ আকৃতি দিয়েছেন।
মনে রেখো এ সৃষ্টির পেছনে যদি আমার সামান্যতম দখল থাকত, তবে কিছুতেই আমি এ আকৃতি মেনে নিতাম না। বরং কুকুর হওয়াটাই পছন্দ করতাম না।
কুকুরের মুখে এ কথা শুনে নূহ (আ.)-এর অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত হলো। অনুশোচনায় তিনি অস্থির হয়ে পড়লেন। এমনকি মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতে লাগলেন। [সূত্র: নুজহাতুল মাজালিস]।
তিনি কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন, হে প্রভু! আমাকে মাফ করে দাও। না বুঝে তোমার সৃষ্টিকে নিয়ে ঠাট্টা করেছি।
সেই অপরাধের অনুশোচনা করে আবদুল গাফফার দীর্ঘ দশ বছর আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করেছেন। তিনি এত বেশি কাঁদতেন যে, চোখের পানি পড়ে পড়ে তাঁর চিবুকের নিচে দাগ পড়ে গিয়েছিল। লোকজন এ অবস্থা দেখে তাঁকে নূহ ডাকতে শুরু করে। আরবি ভাষায় ‘নূহ’ অর্থ যে ক্রন্দন করে।
একবার ভাবুন সামান্য একটি কুকুর সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করার কোনো সুযোগ নাই, সেখানে সৃষ্টির সেরা মানুষ তথা (আশরাফুল মাখলুকাত) বনী আদম তাকে আমরা কীভাবে সমালোচনা করি, আমরা নিজের দোষ দেখি না পরের দোষ দেখি, এটাও একটা গুপ্ত ক্যান্সার।
আমরা একে অন্যকে দেখে বলতে থাকি, ওমুক কালো, তমুক খাটো, মোটা, চিকন, হাত ছোট, নাক বোচা, মুখ বড়, শুধু ফর্সা চেহারা ভালো না, আরও অনেক কিছু এইসব বলা বন্ধ করুন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। ইন্টারনেট।