নতুন নতুন ষড়যন্ত্র : সেনাসমর্থিত সরকারের আয়োজন : অতি সক্রিয় প্রতিবেশী বলয় : বিভাজনে বিপর্যয়
১ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৩
॥ ফারাহ মাসুম ॥
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আগস্ট বিপ্লবের পক্ষের বৃহত্তম দল বিএনপির মধ্যে সৃষ্ট দূরত্বে নানা ধরনের বিপর্যয়কর সম্ভাবনার কথা জানা যাচ্ছে। সর্বশেষ এ দূরত্ব সৃষ্টি হয় শেখ হাসিনার পদত্যাগের ব্যাপারে অসত্য বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গের দায়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবিকে ঘিরে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ দাবির সাথে একমত পোষণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে।
এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে ৭ মাসের মধ্যে সংস্কার করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব মর্মে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের একটি বক্তব্যে দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। তবে সংস্কারের প্রতিবেদন পাওয়ার আগে অন্তর্বর্র্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে চান না।
এদিকে বিএনপির দলীয় সূত্র থেকে আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে, নির্বাচনের ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা না দিলে নভেম্বর মাসেই বিএনপির পক্ষ থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। এর মধ্যে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া একটি বক্তব্য বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এতে তিনি কোনো দলের নাম উল্লেখ না করেই জানান যে, আগস্ট বিপ্লবের পর সবাই একটি জাতীয় সরকারের পক্ষে থাকলেও একটি বড় দলের বিরোধিতার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে সেই বড় দল এখনো জাতীয় সরকার চাইছে না। তারা দ্রুত নির্বাচন দিয়ে অন্তর্বর্র্তী সরকারের বিদায় কামনা করছে।
যদিও বিপ্লবের পক্ষের অনেক দল মনে করে যে, ফ্যাসিবাদ যেভাবে আবার ক্ষমতায় ফেরার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, তাতে বিপরীত রাজনৈতিক শক্তির সমর্থন ছাড়া রাষ্ট্র সংস্কার ও জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা বেশ কঠিন হবে।
আন্দোলন করলে কী হতে পারে
বিএনপি সত্যি সত্যি যদি দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে, তাহলে কী হতে পারে? যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক কার্নেগি ফাউন্ডেশনের এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে কিছু তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কার কেমন হবে, কীভাবে এবং কোন ধারায় সেগুলো বাস্তবায়িত হবে এবং কখন ও কোন পদ্ধতিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটি সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ঐতিহাসিকভাবে এ ধরনের পরিবর্তন দুটি উপায়ে ভেঙে পড়তে পারে। অভ্যুত্থান, স্বৈরাচারী বেসামরিক নেতাদের ক্ষমতা দখল এবং আন্তঃদলীয় অচলাবস্থা ও অভিজাত ক্ষমতার লড়াই একটি বিপ্লবী সরকার উত্তর-গণতান্ত্রিক গঠনকে আটকে দিতে পারে। এটি এক ধরনের স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে; এমনকি রাষ্ট্রকে ভাঙনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। বিকল্পভাবে গণবিক্ষোভ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সহিংসতা বৈধতার সংকট সৃষ্টি করে বিপ্লব-উত্তর সরকারের কার্যকরী নতুন প্রতিষ্ঠান নির্মাণের ক্ষমতাকে দুর্বল করতে পারে। এ চ্যালেঞ্জগুলো বিপজ্জনকভাবে সাম্প্রদায়িক বা রাস্তার সহিংসতা দমনে নেতাদের জনশৃঙ্খলার নামে কর্তৃত্ববাদকে দ্বিগুণ করার জন্য একটি প্রেরণা (বা অজুহাত) প্রদান করতে পারে।’
এ ধরনের ইঙ্গিত কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে পাওয়া যাচ্ছিল। কার্নেগি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন পড়ে মনে হচ্ছে, এটি প্রভাবশালী বিদেশি ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে সম্ভাবনা বা বিকল্প হিসেবে চিন্তা করা হচ্ছে। একটি সূত্রের বক্তব্য অনুসারে, বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামলে সেনাসমর্থিত নতুন সরকার বা সরাসরি সামরিক সরকার ক্ষমতায় চলে আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র প্রথমটিকে অন্তর্বর্তী সরকার ভেঙে যাওয়ার বিকল্প হিসেবে নিলেও প্রতিবেশী দেশ ভারত দ্বিতীয়টিকে উত্তম বিবেচনা করে।
এই সূত্র মতে, প্রতিবেশী দেশটি ফ্যাসিবাদী শক্তিকে সরাসরি প্রশ্রয় দিয়ে এলেও তারা পতিত সরকারকে আবার ক্ষমতায় ফেরানো যাবে- এমনটি মনে করে না। তাদের ধারণা, দেড় দশক ধরে হাসিনা সরকারকে চাপ দিয়ে যেসব চুক্তি করানো হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবর্তন করা হলে সেসব বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখা যাবে। সেইসাথে বাংলাদেশের সব ধরনের প্রশাসনে ভারত মনোভাবাপন্ন হিন্দু মুসলিম যাদের অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে তারা গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত থাকতে পারবে।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নতুন যেকোনো পরিবর্তন বাংলাদেশে সংস্কার ও অদূর ভবিষ্যতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে সম্ভাবনা সামনে এসেছে, সেটিকে বিলম্বিত করতে পারে। সারা দেশে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আগের দেড় দশকে রাজনৈতিক কারণে দেয়া মামলা ও শাস্তি তুলে নেয়ার যে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে সেটিও ভেঙে যেতে পারে। সেইসাথে ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক শক্তির গণহত্যা দুর্নীতি অর্থ লুটপাট ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য মানবনতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ যেসব বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে, সেগুলোও অচল হয়ে পড়তে পারে। এককথায় বিপ্লবের সুফল বেহাত হয়ে যেতে পারে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাড়াও অন্তর্বর্র্তী সরকার ও বিপ্লবের পক্ষের অন্য রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতের সাথে দূরত্ব তৈরির জন্য নানা ধরনের তৎপরতা চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ এ কাজে ব্যয় করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। এক্ষেত্রে আগস্ট বিপ্লবের পক্ষের রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের পদে থাকা একজন ফ্যাসিস্ট অলিগার্ক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার সহযোগীরা বাংলাদেশ থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার বাইরে পাচার করে নিয়ে গেছে। যার ১০ বিলিয়ন ডলারই নিয়ে গেছে এস আলম একা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করায় ফ্যাসিবাদী অলিগার্ক বিপ্লবের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তির ওপর বিনিয়োগ করা শুরু করেছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, অন্তর্বর্তী সরকার সার্বিকভাবে সামরিক ও নিরাপত্তা প্রশাসনকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করণের জন্য দলনিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিএনপি ও জামায়াত মনোভাবাপন্ন কর্মকর্তাদের বসিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এ ঘরানার শিক্ষকরা সাধারণভাবে ভিসি ও প্রোভিসি পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর অস্থিরতার কারণে সেনাসমর্থিত সরকার এলে সেসব নিয়োগ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।
তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য
নতুন পরিস্থিতি নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান একটি জাতীয় দৈনিকের সাথে সাক্ষাৎকারে তাৎপর্যপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন। তার মতে, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় ছেদ বিশৃঙ্খলা উসকে দিতে পারে। তিনি মূলত বিপ্লবী সরকার গঠনের পরিবর্তে সাংবিধানিক যেটুকু ধারাবাহিকতা এখনো বজায় রয়েছে, সেটি অব্যাহত রাখার পক্ষে। তার মতো অনেকে মনে করেন, এটি সরকারের ওপর সেনা প্রভাব প্রচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রয়োজন।
হোসেন জিল্লুর রহমান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের থাকা না থাকা নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার মুখ্য দিক হচ্ছে, স্থিতিশীলতার ন্যূনতম পরিবেশ নিশ্চিত করা, যাতে জনগণের এ মুহূর্তের চাহিদা মেটানোর কাজ ও মধ্যম মেয়াদে সংস্কারের লক্ষ্য পূরণের কাজ সমান্তরাল ও কার্যকরভাবে এগোতে পারে। যে সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় আমরা এ মুহূর্তে আছি, সেখানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় ছেদ তৈরি প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দেবে, যা অপ্রয়োজনীয় বিশৃঙ্খলাকেই উসকে দিতে পারে। রাষ্ট্রপতি পদে এখন যিনি আসীন আছেন, তার যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বিষয়টিও একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ। এর উত্তরও পরিষ্কার। যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা দুই মাপকাঠিতে তিনি যোগ্য নন। যৌক্তিক সময়ে তার বিদায় অবধারিত এবং এ ব্যাপারে দ্বিমতের কোনো সুযোগ নেই; কিন্তু রাজনৈতিক উত্তরণের টেকসই ও কার্যকারিতার বিবেচনায় এ মুহূর্তে পদে আসীন ব্যক্তির যোগ্যতার চেয়ে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বহুগুণ বেশি বিবেচ্য বিষয়। তবে পদে আসীন ব্যক্তির কোনো হঠকারী প্রচেষ্টার দিকে তীক্ষè নজর রাখাও জরুরি। একটি বিষয় এখানে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি একটি লক্ষ্য হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার ভারসাম্য। যার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, রাষ্ট্রপতি পদটির দায়িত্ব ও ক্ষমতার একটি কার্যকর পর্যালোচনা ও সঠিক করণীয় নির্ধারণ। এটি নিয়ে জনপরিসরে জাতীয় আলোচনা বেগবান করা জরুরি।’
হোসেন জিল্লুর আরো একটি বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘হাসিনা সরকারের পতন প্রচেষ্টায় একটি সর্বদলীয় দিক থাকলেও এটা সত্য যে, রাজনৈতিক দলগুলো এবং এ মুহূর্তে তৎপর ও মাঠে থাকা নানা গোষ্ঠী নিজ নিজ ধারণা ও চাওয়া প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টায় নিয়োজিত আছে। এটা স্বাভাবিক এবং অপ্রত্যাশিতও নয়। প্রতিটি দল ও গোষ্ঠীর সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ও চাহিদা থাকতেই পারে; কিন্তু গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যক্ষ ও নীরব সমর্থনদানকারী সব গোষ্ঠী ও ব্যক্তির সর্বজনীন আকাক্সক্ষাকে ধ্রুবতারার মতো সামনে রাখা এ মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি। তিনটি আকাক্সক্ষা এখানে সর্বজনীন। প্রথমত, দৈনন্দিন সমস্যার সহনীয় সমাধান ও সমাধানের দৃশ্যমান ও কার্যকর চেষ্টা। দ্বিতীয়ত, স্থিতিশীল পরিবেশ ও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে অন বোর্ড রাখতে কার্যকর বয়ান নির্মাণ। এটি শুধু সদিচ্ছা প্রকাশ করার ব্যাপার নয়। এক অর্থে এটি একটি সক্ষম ও বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক হ্যান্ডলিংয়ের ব্যাপার। তৃতীয়ত, টেকসই ও নৈতিকতার ছাপ আছে এমন রাজনৈতিক উত্তরণের রোডম্যাপ তৈরি। অন্তর্বর্তী সরকার আলাদা আলাদা অনেক উদ্যোগ নিচ্ছে; কিন্তু এসব উদ্যোগ সামগ্রিক কোনো আস্থার পরিবেশ তৈরি করছে বলে মনে হয় না। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের স্টাইল দৃশ্যত আমলা, বিশেষজ্ঞ ও ছাত্রদের ওপর অতি নির্ভরশীলতার ঘেরাটোপে ঘুরপাক খাচ্ছে।’
হোসেন জিল্লুর মনে করেন, ‘এখন দরকার একটি রাজনৈতিক রোডম্যাপ তৈরি করা, যা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট করা যেতে পারে। সরকারের মেয়াদ নিয়ে অনেক কথা, অনেক বিতর্ক রয়েছে। শুরু থেকেই যৌক্তিক মেয়াদের কথা বলা হয়েছে। তবে ওই যৌক্তিক সময় কী? যৌক্তিকতার কোনো কেতাবি বোঝাপড়া এখানে গ্রহণযোগ্য হবে না। জনআকাক্সক্ষাসংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট ও সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া না গেলে যৌক্তিক মেয়াদের মানে বদলে যাবে। এই মেয়াদ আরও ছোট হয়ে আসবে।’
স্থানীয় সরকার নিয়ে হোসেন জিল্লুর রহমানের পর্যবেক্ষণ বেশ মূল্য রাখে। তিনি বলেছেন, আমাদের নতুন করে চিন্তাভাবনা করা উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে যেকোনো পর্যায়ের অন্তত একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত। এটি একটি পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে এক্ষেত্রে প্রথমেই দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের যে বিধান ২০১৪ সালে নিয়ে আসা হয়, তা বাতিল করতে হবে। আর নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতার ধারাগুলো আলোচনা করে সংশোধন করতে হবে। যাতে অত্যাচারী, খুনের আসামি ও দুর্নীতিবাজেরা সুযোগ না পায়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সফল আয়োজন জাতীয় নির্বাচনের একটি প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’
বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক শক্তির মধ্যে যে বিভাজনকে একটি পক্ষ উসকে দিতে চাইছে, তা দূরে রাখার ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো বিবেচনা করা যেতে পারে। তা না হলে বিপ্লবের বিরোধীশক্তি ক্রমেই আবার শক্তি অর্জন করতে থাকবে। কোনো রাজনৈতিক দলের সে প্রচেষ্টার গুটি হওয়া উচিত নয়।