ফ্যাসিবাদী হাসিনার দুর্নীতির কঠোর বিচার করতে হবে
১৪ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০০
॥ একেএম রফিকুন্নবী ॥
স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে সব জায়গায় দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল। নিজে, পরিবার, এমপি-মন্ত্রী; এমনকি তার ঘরের পিয়নেরও ৪০০ কোটি টাকার হিসাব হাসিনা নিজেই প্রকাশ করেছেন। সে এখন আমেরিকার বাসিন্দা। কথায় বলে দুর্নীতির আখড়ার খবরে ঘোড়াও হাসে।
আমরা এমন দেশ চাই না। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে নতুন স্বাধীন দেশ বানালো গত ৫ আগস্ট। দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যেখানে হাত দেয়া হচ্ছে, সেখানেই দুর্নীতির শত শত কোটি টাকা। এ গরিব দেশের এমপি-মন্ত্রীরা এত টাকা পেল কোথায়? প্রকল্প নিয়েছে, টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু কাজ না করেই অসৎ কর্মচারী-কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সব টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। জনগণের কোনো কাজে আসেনি প্রকল্পগুলো থেকে।
কোনো কোনো জায়গায় শত শত কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে ব্যক্তি, এমপি-মন্ত্রীর স্বার্থে। সড়ক, রেলপথে জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা করা হয়নি। গত কয়েকদিন পূর্বে রেল উপদেষ্টা জানালেন, রেলের প্রয়োজনীয়তাহীন জায়গায় রেলসেতু করে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে প্রয়োজন ছাড়া। এগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের সাজার আওতায় আনতে হবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে। দুর্নীতি ওপর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। এক মন্ত্রী তো ৬০০ বাড়ি কিনেছেন তিনটি দেশে। দুর্নীতির টাকা সবই কিন্তু দেশের জনগণের। আমরা জনগণ যাব কোথায়। স্বয়ং দুর্নীতি বিভাগের পরিচালকের কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে। রক্ষক যদি ভক্ষক হয়, তবে দেশের দুর্নীতিবাজদের ধরবে কারা?
দেশের ৩০০ এমপি পলাতক। তারা জনগণের কাজ না করে দুর্নীতি করে টাকা কামাই করেছে। ফলে দেশ ছেড়েছে। কেউবা বেগমপাড়ায় বাড়ি করেছে। তাদের দেশদরদ বলে কিছু নেই। এদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে। শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
ব্যাংকপাড়া তো দুর্নীতির কারণে টাকা নেই, হাহাকার অবস্থা। গ্রাহক তাদের জমানো টাকা ব্যাংক থেকে ওঠাতে পারছে না। ব্যাংকের জমানো টাকা অবৈধভাবে উঠিয়ে নিয়েছে। নাম-ঠিকানাবিহীন কোম্পানির নামে ব্যাংকের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় কোটি কোটি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে। ঘরবাড়ি বানিয়েছে। জনগণের টাকা নিয়ে নিজে ফুর্তি করে বেড়াচ্ছে। কোনো দায়দায়িত্বের বালাই নেই, দুনিয়া ও আখিরাতের ভয় নেই। জবাবদিহির তোয়াক্কা করছে না।
সালমান এফ রহমান, এস আলম, সিকদার গ্রুপ, পিকে হালদারসহ অসংখ্য ব্যবসায়ী ভুয়া হিসাব খুলে ব্যাংক লুটপাট করেছে। তারা এমনিভাবে ঋণ নেয়ার কথা বলে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। এস আলম একাই ইসলামী ব্যাংককে ফতুর করে লাখকোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সবই জনগণের টাকা। তারা এ টাকা খেয়ে মরতে পারবে, তা কিন্তু নয়। তারা দেশের ক্ষতি করেছে। নিজেরও যে লাভ করেছে, তা কিন্তু নয়। এ অবৈধ টাকার হিসাব দেশের জনগণের কাছে দিতে হবে। আখিরাতে তো দিতেই হবে। কোনো ছাড় পাওয়া যাবে না। মহান আল্লাহ সবকিছুই দেখেন এবং খোলা কিতাবে লিখে রাখছেন।
দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, দেশের আইন কার্যকরী করার কাজ করা তাদের দায়িত্ব। কিন্তু আইন কার্যকর করতে গিয়ে পুলিশপ্রধান, র্যাবপ্রধান সবাই টাকা কামাইয়ের হাতিয়ার বানিয়েছে পুলিশ বিভাগকে। ইতোমধ্যে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা, র্যাবপ্রধানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেউবা বিদেশে পালিয়ে গেছে। সবাইকেই আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক সাজার ব্যবস্থা করতে হবে। টাকা উদ্ধার করতে হবে। কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। পুলিশ বিভাগের মানুষের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও তারা মানুষের টাকা ছিনতাই করে, ভয় দেখিয়ে জোর করে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঘর করেছে। রিসোর্ট করেছে। বিদেশে বাড়ি বানিয়েছে। ছেলেমেয়ে, বউকে বিদেশে থাকার ব্যবস্থা করেছে। সবই দুর্নীতির এক জ¦লন্ত উদাহরণ। আমরা জনগণ এদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। এদের টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা চাই। জনগণের কাছে তাদের হাজির করে প্রকাশ্যে ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে আইন মেনেই। ভবিষ্যতে যাতে সরকারি লোক জনগণের টাকা চুরি করতে সাহস না পায়। পুলিশের ওপর থেকে থানা পর্যন্ত সব অফিসারের সম্পদের হিসাব নিতে হবে। সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মানুষের লোভ-লালসা, নারীলিপ্সা, টাকার লিপ্সা অমানুষ বানিয়ে দেয়। দীর্ঘ ৫৩ বছর ঢাকায় থাকার কারণে বহু লোকের সাথে মেশার সুযোগ হয়েছে। এমপি-মন্ত্রী, বিচারপতি, জজ-ব্যারিস্টার, প্রধানমন্ত্রী সবার সাথেই দেখা করার, কথা বলার সুযোগ হয়েছে। কারো সাথেই অবৈধ স্বার্থে কথা বলিনি। মহান আল্লাহ তো ভালোই রেখেছেন। ছেলেমেয়ে, বউ, নাতি-নাতনিকে নিয়ে সুখেই জীবনযাপন করার সুযোগ দিয়েছেন। টাকার প্রাচুর্য না থাকলেও সম্মানের প্রাচুর্য আল্লাহ দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ।
বৈধ-অবৈধ ক্ষমতা পেলেই জনগণের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে চাঁদাবাজি করে মানুষের হক নষ্ট করার মানসিকতা অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থের চেয়ে জনগণের স্বার্থের গুরুত্ব দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে- আপনার-আমার সব কাজ পর্যবেক্ষণের জন্য মহান আল্লাহ আমাদের সাথে তাঁর দুজন ফেরেশতা নিয়োগ করে রেখেছেন। একজন ভালো কাজ পর্যবেক্ষণ করেন, আরেকজন মন্দ কাজ পর্যবেক্ষণ করেন এবং লিখে রাখেন। পরকালে বিচারের দিন এ কর্মকাণ্ড প্রদর্শন করে আমাদের জান্নাত-জাহান্নাম নির্ধারিত হবে। জান্নাতে যারা যাবে, তাদের কোনো অভাব বলে কিছু থাকবে না। খাওয়া-পরা সাধ আহ্লাদ, চাওয়া-পাওয়া সব কিছুই পাওয়া যাবে। আর জাহান্নামিরা পাবে গরম তপ্ত গলিত লাশের গন্ধযুক্ত পানি, আগুন আর আগুনে পুড়ে ছারখার হবে তাদের শরীর, গায়ের গোশত ঝরে পড়বে, কিন্তু জীবন শেষ হবে না। এ জীবনের আর শেষ নেই। যেমন জান্নাতিদের সুখেরও কোনো শেষ নেই। আমরা বুদ্ধিমানরা স্বল্পদিনের অবৈধ আয়ের চেয়ে সীমাহীন জীবনের জন্য জান্নাতই পেতে চাই এবং এর জন্য ভালো কাজের সাথে থাকবো। মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকব। কোনোভাবেই ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, দুর্নীতির কাছেও যাব নাÑ এটা মানুষের কামনা-বাসনা হওয়া উচিত।
দুনিয়ায় যদি লক্ষ করেন পানিতে থাকা অসংখ্য প্রাণী পরিশ্রম ছাড়াই মহান আল্লাহ তাদের পালন এবং খাওয়া দেন। আপনি যদি লক্ষ করেন জলহস্তি এবং ডাঙায় হাতির পাল দেখবেন, কত বড় দেহ নিয়ে তারা পানিতে এবং ডাঙায় বসবাস করছে। খাওয়া-দাওয়া করছে। বংশ বিস্তার করছে, কোনো বাধা ছাড়াই। আল্লাহ মহান। সবই তাঁর অধীনে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে।
কর্মজীবনে প্রায় ৪৫ বছর। ঢাকা শহরের অলিগলি, বঙ্গভবন, গণভবন থেকে শুরু করে ৫ তারা হোটেল আর রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা মহান আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা রহম করেছেন মক্কা-মদীনাসহ ইউরোপ-আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দেখার। তাদের খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, যানবাহন, সময় কাজে লাগানোর সঠিক পদ্ধতি অনুধাবন করার। সবই যেন যন্ত্রের গতিতে চলে। কারো প্রতি তাদের লক্ষ্য করার সময় নেই। প্রত্যেকেই তার নিজের কাজে ব্যস্ত। দুর্নীতি, কারো টাকা মেরে খাওয়া, চাঁদাবাজি করার কোনো সুযোগ নেই।
আমাদের দুর্ভাগ্য চলাফেরার জন্য যানবাহন, ট্রেন, গাড়ি, বিমানের টিকিট নিতে চাঁদাবাজি, দুর্নীতির খপ্পরে পড়তে হয়। খুবই লজ্জাজনজক। এর প্রতিকার আমাদেরই করতে হবে। আমরা যারা সচেতন, আমরা যারা জনগণের কথা ভাবি, আমরা যারা কাজের বিনিময়ে দুনিয়ায় ও আখিরাতে আল্লাহর কৃপা পেতে চাই। মাত্র ৩ মাস অতিবাহিত হলো বাংলাদেশে একটি বিপ্লব হতে আমরা দেখলাম। অসাধারণ, অকল্পনীয় এক আসমানি বাণী নিয়ে মহান আল্লাহ এ দেশের দুর্নীতিবাজদের পরাস্ত করে ছোট-বড়, নারী-পুরুষ, তরুণ-যুবকরা আবাবিল পাখির মতো চাঁদাবাজ দুর্নীতিপরায়ণ এমপি-মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর দফতর তছনছ করে দিল। প্রাণের ভয়ে স্বৈরাচারী হাসিনা জীবন নিয়ে তার প্রিয় মোদির দেশে পালিয়ে গেল। ৩০০ এমপি-মন্ত্রী, ছোট-বড় নেতা, পাতিনেতা কারো দেখা নেই। গ্রাম-গঞ্জ, শহর-বন্দরে। সবই মহান আল্লাহর অপরিসীম ক্ষমতার দাপট। আল্লাহ যে আমাদের অভিভাবক আর তিনিই আমাদের সাহায্যকারী, তা বাংলাদেশের মানুষ দেখতে পেল।
এখনো মাঝে মাঝে হুঙ্কারের ঘোষণা হাসিনা দিয়ে থাকে, যা সবই ভুয়া, তাদের কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য। স্বৈরাচারী হাসিনার শাসন যে আর বাংলাদেশে চলবে না, তা ১০ নভেম্বর দেখা গেল। কাউকেই পাওয়া গেল না নূর হোসেন চত্বরে। জনতার ঢল। ছাত্র-জনতা মিছিলে মিছিলে দুর্নীতিবাজ হাসিনা ও তার দোসরদের জানিয়ে দিল, তোমাদের আর বাংলাদেশে স্থান নেই। এখন চুরি করা টাকা ফেরত আনার পালা।
আগস্টের ছাত্র-জনতার গণভ্যুত্থানের পর মহান আল্লাহ বাংলাদেশে একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্মঠ। সাধারণ জনগণের বন্ধু। ৮৪ বছরের ত্যাগী যুবক মানবিকতার। ভুলভ্রান্তি থাকবেই। আমরা দেশটাকে খাদের কিনারা থেকে মুক্ত করার সুযোগ পেয়েছি। দলমত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে চেষ্টা করতে হবে এ সরকারের সাফল্য কামনা করা।
ইতোমধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ হাসিনাবিরোধী সব দল-মত এক হয়েছে দেশ ভালোর পথে নেয়ার জন্য। আমরা এর সফলতা কামনা করি। ভুলত্রুটি হলে মিডিয়া ও পত্রিকার মাধ্যমে তুলে ধরে ভুল সংশোধনের সুযোগ করে দেয়া। ইতোমধ্যে সাংবাদিক নির্যাতনমূলক আইন বাতিল হয়েছে। জেল থেকে মানুষ মুক্তি পাচ্ছে। সংস্কারের কাজ চলছে। সময় তো কিছু লাগবেই। ৫৩ বছরের জঞ্জালে ভরা থেকে দেশটাকে সামনে এগোতে হলে সংস্কারের বিকল্প নেই। উপদেষ্টাদের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। তাই তাদের হাতে বিচার বিভাগ, পুলিশ বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, স্বাস্থ্য বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সর্বক্ষেত্রে সংস্কারের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। দলীয় এজেন্ডা আপাতত রেখে দেশের জন্য, জাতির জন্য, ধর্ম-বর্ণভেদে সবাইকে দেশ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে।
মহান আল্লাহ আমাদের আগস্ট বিপ্লব ঘটাতে সাহায্য করায় আজ আমরা মুক্ত অবস্থায় চলতে পারছি। দুর্নীতিবাজ হাসিনা দেশটাকে কারাগারে রূপান্তরিত করেছিল। হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে লাখ লাখ লোককে কারাগারে নিক্ষেপ করে দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর কারাগারে রেখেছিল। জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ হাজার হাজার নেতা কর্মীকে জেল-জুলুমের শিকার হতে হয়েছে। আমরাও তা থেকে বাদ পড়িনি।
জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ টানা ৫ বছর ৩ মন্ত্রণালয় দুর্নীতিমুক্তভাবে চালিয়ে বাংলাদেশে উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন। তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে রশিতে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ উদ্যোক্তা মীর কাসেম আলীকেও ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে, যা এ দেশের মানুষকে ব্যথিত করেছিল। মহান আল্লাহ তাদের জীবন বৃথা যেতে দেননি। মহান আল্লাহ শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধসহ প্রায় ২০০০ শহীদ ও আহত প্রায় ৩০ হাজার মানুষের আহাজারিও কবুল করেছেন।
আগস্ট বিপ্লবের জন্য তাদের জীবন দেওয়াটাও আল্লাহ কবুল করেছেন। আয়নাঘরের নির্যাতনও আল্লাহ কবুল করেছেন। আর সাধারণ মানুষের আহাজারি আল্লাহ কবুল করেছেন। সাধারণ রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে ছোট-বড় সৎ ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী পেশাজীবীর দোয়াও আল্লাহ কবুল করেই ছাত্র-জনতার বিপ্লব ঘটানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। দেশটা স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ হাসিনামুক্ত হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
আমরা মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। আগামী দিনের দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
লেখক : সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।