স্টাফ রিপোর্টার : গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতনের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের মেয়াদও দুই মাস ছুঁইছুঁই, কিন্তু প্রশাসনে থেকেই যাচ্ছে সেই আওয়ামী র্ভত। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে পতিত হাসিনার সেই অনুগতরাই রয়েছেন। ফলে একদিকে যেভাবে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শঙ্কা রয়েছে; অন্যদিকে এসব আমলা ভুল পরামর্শ দিয়ে উপদেষ্টাদের বিতর্কিত করার শঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইতোমধ্যে সরকার প্রায় দুই মাস সময় পেয়েছে। এটা মোটেও কম সময় নয়। এ সময়েও প্রশাসনে দুর্বৃত্তায়নের খোলসমুক্ত করতে পারেনি সরকার। ফলে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অন্যদিকে কাজের গতি ফিরছে না। কারণ ঘুরেফিরে বিগত সরকারের আস্থাভাজনদেরই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরে কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। যারা কখনোই বর্তমান সরকারের সফলতা চাইবে না।
প্রশাসনে বঞ্চিত ব্যক্তিদের পাশাপাশি বঞ্চিত সেজে কিছু সুবিধাভোগী, বিতর্কিত ও দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাও পদোন্নতি পেয়ে যাচ্ছেন। পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে এমন ব্যক্তিও রয়েছেন, যার বিরুদ্ধে অপরাধে জড়ানোর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়েছিল। এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা চলছে- এমন কর্মকর্তাও পদোন্নতি পেয়েছেন।
ঘুরেফিরে হাসিনা সরকারের সময়ে সুবিধাভোগীরাই এখনো রয়েছেন ভালো অবস্থানে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে নানা সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার। এটা ভালো দিক। সরকারের এ সংস্কার কার্যক্রম চলতে থাকুক, তাতে আপত্তি নেই। তবে সংস্কারের আশায় বসে না থেকে এখনই সরকারের প্রতিটি বিভাগে কাজের গতি বাড়ানো উচিত। তারা দেখছেন, সরকারি সংস্থাগুলোয় কাজের গতি বাড়ছে না। কেমন যেন এক ধরনের স্থবিরতা চলছে। অভিজ্ঞরা মনে করেন, ইচ্ছা করেই কর্মকর্তারা কাজের গতি কমিয়ে দিয়েছেন।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- সংস্কারের মাধ্যমে পরিবর্তনই প্রত্যাশা
- অনিয়ম-দুর্নীতিতে বিশৃঙ্খল ঢাকার যানজট পরিস্থিতি
- ফ্যাসিস্ট আ’লীগকে রাজনীতির মাঠে চায় না জনগণ
- পাকিস্তানে লালগালিচা সংবর্ধনা জাকির নায়েককে
- বাংলাদেশের ইতিহাসের স্মরণীয় নাম আব্বাস আলী খান
- রাঙামাটিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহতদের জামায়াতের আর্থিক সহায়তা বিতরণ
- ডেঙ্গুর তীব্রতা বাড়ছেই
- আশুলিয়ায় শ্রমিক হতাহতে জামায়াতের উদ্বেগ
- বেসামাল নিত্যপণ্যের বাজার