২৮ অক্টোবরের খুনিদের বিচার ট্রাইব্যুনালে করতে হবে – অধ্যাপক হারুনুর রশিদ
১ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:১৬
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেছেন, ২৮ অক্টোবর জাতির জন্য এক দুঃখজনক দিন। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশপ্রেমিক নাগরিকদের সেদিন হত্যা করে এদেশের সার্বভৌমত্ব বিলিয়ে দিয়েছিল। স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এসব খুনিদের বিচার করতে হবে। প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
গত ২৮ অক্টোবর সোমবার রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ফেডারেশনের উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর সারা দেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় নির্মমভাবে শাহাদাতবরণকারী শহীদ হাবিবুর রহমান ও শহীদ রহুল আমিনসহ সকল শহীদ স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি লস্কর মো. তসলিম, কবির আহমদ, মনসুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মহিব্বুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন প্রমুখ।
অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেন, ২৮ অক্টোবর শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে কালোদিন। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার হুকুমে তার সন্ত্রাসীরা সেদিন আমাদের ভাইদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা সেদিন পশুর চাইতে নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা শুধু হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি। তারা লাশের ওপর উঠে উল্লাস করেছে। এ বর্বরতা পৃথিবীবাসী আর দেখেনি। তারা ২৭ অক্টোবর গাজীপুরে শ্রমিক কল্যাণের জেলা সভাপতি রহুল আমিনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ হত্যা মামলারগুলোর আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারে এসে সর্বপ্রথম এ মামলাগুলো প্রত্যাহার করেছে। কারণ সে নিজেই এসব মামলার প্রধান আসামি। তাই নিজেকে বাঁচানোর পাশাপাশি ও অন্য খুনিদের রক্ষার জন্য মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে।
লস্কর মো. তসলিম বলেন, ২৮ অক্টোবরের রক্তাক্ত দিনে প্রথম যে দুইজন ভাই শহীদ হলেন, তারা ছিলেন শ্রমিক। শ্রমিকরা যে আন্দোলনে সংগ্রামে সবসময় সামনের সাড়িতে থাকেÑ এটাই তার প্রমাণ।
কবির আহমদ বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার সন্ত্রাসীদের লগি-বৈঠা নিয়ে ঢাকায় আসার নির্দেশ দিয়েছে। তার আহŸান দেশের প্রতিটি মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছে। তারা পল্টনে জড়ো হয়ে জামায়াতের সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। হামলা প্রতিরোধ না করে পুলিশ সেদিন নীরবতা অবলম্বন করেছে।
অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার ঘোষণা মোতাবেক আওয়ামী সন্ত্রাসী হাজী সেলিম, সাহারা খাতুন ও ডা. ইকবালের নেতৃত্বে হাজার হাজার সন্ত্রাসীরা বিনা উসকানিতে জামায়াতের সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। তাদের লক্ষ্য ছিল জামায়াতের সমাবেশ ভÐুল করে দিয়ে জামায়াতের শীর্ষনেতৃবৃন্দকে হত্যা করা। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা তাদের হামলা জীবন দিয়ে রুখে দিয়েছে। তারা ২৮ অক্টোবরে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করতে না পেরে পরবর্তীতে অবৈধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
২৮ অক্টোবর অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশ