বাওয়ার কুমারজানীর বিদ্যালয়ের জন্মকথা
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:১৮
রুহুল আমিন ইমাম : আমি তখন আলোর দিশারী ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের দাওয়াতে ইসলামের আলোয় আলোকিত হওয়ার সাধনা করছি। সেই ১৯৯০ সালের কথা। বাওয়ার কুমারজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ বছরই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মির্জাপুর থানায় প্রথম ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ মাহফিল তৎকালীন শাখা সভাপতি আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজন করেন।
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানা সদরে বাওয়ার কুমারজানী গ্রামে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় ১৯৬৯ সালে হাজী মফিজ উদ্দিন নিজ বাড়ির বাংলাঘরে প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুরু করেন। আব্দুল বারী, জোয়াহের আলী এবং আব্দুস সামাদ তিনজন বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষাদান শুরু করলেও ১৯৭৩ সালে সরকারীকরণ করা হলে তিনজনের কেউ শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেননি। তবে এ গ্রামের শান্তি সরকার ১৯৭৩ সালে শিক্ষকতা শুরু করে টানা ৩৭ বছর এ স্কুলে শিক্ষাদান করেন। শান্তি সরকার এবং খলিলুর রহমান এ দুজন শিক্ষকের অনেক ছাত্র রয়েছে।
বাওয়ার কুমারজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হাজী মফিজ উদ্দিন বিপুল সম্পদের মালিক হয়েও সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি মেহমানদারি করতে পছন্দ করতেন। আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন। মাথায় বেতের টুপি পরতেন; হাতে রাখতেন বেতের বাঁকা লাঠি। দোতলা বাড়ি থাকলেও তিনি বসবাস করতেন দুচালা একটি ঘরে। তিনি নিজে একটি ফ্যান কিনে ব্যবহার করেননি অথচ দুই হাত উজাড় করে দান করতেন এবং মানুষকে খাওয়াতেন। এ গ্রামের প্রথম মসজিদ তিনি নির্মাণ করেন। বর্তমানে এ গ্রামে ১১টি মসজিদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় এবং নান্দনিক। (বার্তা প্রেরক: ওয়াশিংটন ডিসি আমেরিকা প্রবাসী)।