পণ্যমূল্যের আকস্মিক বৃদ্ধিতে নাখোশ ক্রেতাসাধারণ


২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৩০

স্টাফ রিপোর্টার : সপ্তাহজুড়ে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। সবজি ও মাছের মূল্য নতুন করে বাড়েনি। আগের সপ্তাহে বৃদ্ধি পাওয়ার পর এখন স্থিতিশীল রয়েছে। তবে দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে মাছ কেনা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন সবজির মূল্য কম থাকলেও হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা নাখোশ। তবে আশার দিক হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই মুদিবাজার স্থিতিশীল। পেঁয়াজ-আলুর মূল্য নাগালের মধ্যে। ডিমের মূল্য কমই রয়েছে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ওয়েটসাইটে দেওয়া তথ্য বলছে, গত এক মাসের ব্যবধানে চাল, ডাল, তেলসহ মুদিবাজার স্থিতিশীল রয়েছে। কোনো পণ্যের মূল্য কিছুটা (১/২ টাকা) বেড়েছে অথবা কিছু কমেছে। তবে সামগ্রিকভাবে সবজি ও মাছ ছাড়া অন্যসব পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।
ঢাকার বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে বিরক্ত হচ্ছেন ক্রেতারা কারণ প্রায় সব মাছের মূল্যই বেশি। বিশেষ করে দেশি জাতের মাছের মূল্য বেশি বেড়েছে। যেমন চিংড়ি, শিং, টেংরা, শোল ও পুঁটির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। দেশি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০০-৮৫০ টাকা। চাষের চিংড়ির দামও বেড়ে হয়েছে ৬৫০-৭৫০ টাকা। টেংরা ও শিং মাছ ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আগে যা ছিল ৫০০-৬০০ টাকার মধ্যে। শোল মাছের দাম বেড়ে ৮৫০ টাকায় পৌঁছেছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৫০-৮০০ টাকা। রুই ও কাতল মাছেও বেড়েছে ৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে তেলাপিয়া ও পাঙাশের মতো সাধারণ মাছের দাম তুলনামূলক স্থিতিশীল রয়েছে। ২০০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে খবর নিয়ে জানা গেছে, কেজিপ্রতি বেগুন আকারভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকা, পটোল ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, কুমড়া ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪০-৫০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা, রসুন ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে মুরগির বাজারে তুলনামূলক স্বস্তি লক্ষ করা গেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৮০ টাকায় নেমে এসেছে। সোনালি মুরগি ২৫০-২৭০ এবং দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের চেয়ে ২০-৩০ টাকা কম। এদিকে গরু ও খাসির গোশতের দাম স্থিতিশীল। তবে স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে রয়েছে। বাজারে, গরু ও খাসির গোশতের দামে তেমন পরিবর্তন না থাকলেও সাধারণ ভোক্তাদের নাগালের বাইরে রয়ে গেছে। গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা কেজিতে, খাসির ১,২৫০ ও ছাগলের ১,১০০ টাকা।
জানা গেছে, চালের মূল্য (নাজির/মিনিকেট) ৭২ থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে একই মূল্যে বিক্রি হয়েছিল। পাইজাম ও আটাশ চাল মানভেদে ৫৭ থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, এক মাস পূর্বেও একই মূল্যে বিক্রি হয়েছিল। আর মোটা চালের মূল্য ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই মানের চালের মূল্যও বাড়েনি। এক মাস আগেও ঠিক একই দামে বিক্রি হয়েছিল। মুদিবাজারের মধ্যে ডাল ও ভোজ্যতেলের মূল্যও অপরিবর্তিত রয়েছে।