পরিবারে দূরত্ব বাড়াচ্ছে মোবাইল আসক্তি


১৩ মার্চ ২০২৫ ১৬:৩১

॥ আসমা খাতুন ॥
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মনের দূরত্ব বাড়লে পরিবারের ভিত্তিই দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে তালাকের মতো ঘটনা বেড়ে যায় এবং পরিবারের বিভিন্ন প্রজন্মের সদস্যদের মধ্যে অমিল ও মতবিরোধ আর সহনীয় পর্যায়ে থাকে না। পারিবারিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমাজে শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বাড়লেও পারিবারিক সহিংসতা কমছে না। এর কারণ হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও আলোচনার অভাব। এর ফলে তাদের মধ্যে প্রত্যাশিত সহমর্মিতা দেখা যায় না এবং ছোট-খাটো বিষয়েও ঝগড়া লেগে যায়। বর্তমানে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ আলোচনা ও গল্প-গুজবের স্থান দখল করে নিচ্ছে ভার্চুয়ালজগৎ। এ অবস্থায় পারিবারিক কাঠামোকে দৃঢ় ও শক্তিশালী রাখতে ভার্চুয়ালজগতের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি হয়ে পড়েছে।
ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পেছনে মানুষ এখন অনেক বেশি সময় ব্যয় করছে। আমরা বলছি না, এ সবের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এর ব্যবহার হচ্ছে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি। পরিবারের সদস্যরা ইন্টারনেটের পেছনে অনেক বেশি সময় ব্যয় করায় বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। দূরত্ব বাড়ছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও। তরুণদের মাঝেই ভার্চুয়ালজগতের প্রতি ঝোঁক-প্রবণতা তুলনামূলক বেশি। এ কারণে তরুণ সমাজের মধ্যে এক ধরনের আত্মকেন্দ্রিকতা লক্ষ করা যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্ত তরুণরা এখন আর আগের মতো এক জায়গায় বসে গল্প-গুজব করতে খুব একটা আগ্রহী নয়। এর ফলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও মনের টান কমে যাচ্ছে।
দূরত্ব বাড়ছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে
ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর প্রতি আসক্তির কারণে অনেকেই পরিবারে সময় দেওয়ার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে সময় কাটানোকে বেশি আকর্ষণীয় মনে করে।
এসব কারণে অনেক ক্ষেত্রেই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়। এমনকি সাংসারিক যে ঝামেলা সহজেই মিটে যেতে পারতো, ইন্টারনেটের প্রতি আসক্তির কারণে তা আরও জটিল হয়ে পড়ে।
সাধারণত প্রতিটি জিনিসের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক থাকে। শুরুতে ইন্টারনেট ব্যবহারের উদ্দেশ্যও খারাপ ছিল না। কিন্তু এখন অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে সেটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা কখনোই ইন্টারনেট ব্যবহারের বিপক্ষে নই। তবে ব্যবহারের একটা সীমা-পরিসীমা থাকতে হবে। সেটা মেনে চলতে হবে। সঠিক উপায়ে ব্যবহার করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় থাকবে, যাতে পরিবারের সদস্যদের জন্য নির্ধারিত সময়ে ইন্টারনেট ভাগ বসাতে না পারে। আমাদের মনে রাখতে হবে পরিবার হচ্ছে একটি সমাজের মূল ভিত্তি। প্রতিটি পরিবারের ভূমিকা ও তৎপরতা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গোটা সমাজকেই প্রভাবিত করে। ফলে সমাজকে টিকিয়ে রাখতে হলে পারিবারিক কাঠামো টিকিয়ে রাখতে হবে। সুস্থ সমাজ গড়তে হলে, সুস্থ পরিবার গঠন করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে সমাজবিজ্ঞানীরা ইন্টারনেট তথা ভার্চুয়ালজগৎকে সুস্থ পরিবার গঠনের পথে অন্যতম প্রধান বাধা হিসেবে মনে করছেন।
তারা বলছেন, ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া একটি পরিবারের সদস্যদের নিজেদের মধ্যে এবং বাইরের জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে। পরিবার ও সমাজে বিদ্যমান সম্পর্কের ধরনকেই পুরোপুরি পাল্টে দিচ্ছে ইন্টারনেট তথা ভার্চুয়ালজগৎ। সমাজবিজ্ঞানীরা বার বারই বলছেন, সমাজকে টিকিয়ে রাখতে হলে সমাজে বিদ্যমান সুস্থ সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে এবং এ বিষয়ে সঠিক পরিকল্পনা থাকতে হবে। কারণ ইন্টারনেটের প্রতি অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতার পরিণামে পরিবার ও সমাজে সাংস্কৃতিক অবক্ষয় লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেকের মধ্যে ইসলামী সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে ধারণ করার মন-মানসিকতা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। কারণ হলো, ইন্টারনেট তথা ভার্চুয়ালজগতের মাধ্যমে সহজেই বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটছে। এর ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অল্প বয়সীরা। কারণ পরিবার ও সমাজব্যবস্থাকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করার আগেই তারা ইন্টারনেটের কারণে এমন এক নিয়ন্ত্রণহীন জগতে প্রবেশ করছে, যেখানে ভালো-মন্দের মধ্যে কোনো ধরনের সীমারেখা টানা হয়নি। ভার্চুয়ালজগৎ বা ইন্টারনেটে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাব বেশি থাকায় তা মুসলিম সংস্কৃতির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় শিশুরা বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অনেক সময় শিশুরা মোবাইলের বাটন চাপতে চাপতে নিজের অজান্তেই ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে পড়ছে এবং শিশুদের জন্য অনুপযোগী ছবি তথা দৃশ্য সামনে ভেসে উঠছে। তারা এমন সব অশালীন দৃশ্য দেখছে, যা ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত না হলে পূর্ণবয়স্ক হওয়ার আগে তাদের কল্পনায়ও আসত না। এক্ষেত্রে পরিবারে বড়দের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। শিশু-কিশোররা ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও তাতে বড়দের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। প্রয়োজনে ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে শিশু-কিশোরদের অনুপযোগী কোনো ছবি, দৃশ্য ও লেখা তাদের সামনে প্রদর্শিত না হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের মতো অনেক দেশের শিশুদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট করা হচ্ছে। শান্তির ধর্ম ইসলামকে অপব্যাখ্যার মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের সহিংসতার দিকে টানা হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে চলাকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। জীবন ও সমাজ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জনের আগেই বিপথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ইন্টারনেট বা ভার্চুয়ালজগতে সবসময় সক্রিয় থাকায় অনেকেই রাত জেগে এর পেছনে সময় ব্যয় করছে। এর ফলে বিশ্রাম ও ঘুমের জন্য নির্ধারিত সময় অপচয় হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে শরীর-মন ও পরিবারের ওপর। শুধু তাই নয়, স্থান ও কালের সীমাবদ্ধতা না থাকায় অনেকে বাসায় বসে অফিসের কাজ করছে, ব্যবসা-বাণিজ্য চালাচ্ছে। অনেকে অফিসের পাশাপাশি বাসাতে গিয়েই অফিসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকছে। এর অনেক ভালো দিক থাকলেও চূড়ান্তভাবে পরিবারের জন্য নির্ধারিত সময় কমে যাচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা এভাবেই নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময় ও কথোপকথনের সুযোগ হাতছাড়া করছে। পরিবারের অভিভাবক যখন পরিবারকে যথেষ্ট সময় না দিয়ে অন্যভাবে সময় কাটান, তখন পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য তা অত্যন্ত কষ্টকর বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করে।
অনেক ক্ষেত্রেই হতাশা থেকে ক্ষোভ জন্ম নেয় এবং পরিবারের অভিভাবকের প্রতি আকর্ষণ ও আনুগত্য কমে যায়। আর এ ধরনের প্রবণতা একবার শুরু হলে তা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে এবং কখনো কখনো পরিবার ভেঙেও যায়। পরিবার হলো মানসিক প্রশান্তি অর্জনের সবচেয়ে নিরাপদ ও নির্ঝঞ্ঝাট ক্ষেত্র। মানসিক প্রশান্তির এ ক্ষেত্রটিকে কোনোভাবেই নষ্ট করা ঠিক নয়। এ কারণে আমাদের সবাইকে পরিবার রক্ষায় সোচ্চার হতে হবে। পরিবারকে সময় দিতে হবে। একসঙ্গে বসে কথা বলতে হবে, সুখ-শান্তি ও দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে নিতে হবে। অকারণে ভার্চুয়ালজগৎ নিয়ে ব্যস্ত না থেকে পরিবার নিয়ে ব্যস্ত থাকলে সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুন্দর ও সুখময় হবে।
বর্তমানে পারস্পরিক সম্পর্কের মাধ্যম হয়ে উঠেছে ভার্চুয়ালজগৎ। এ কারণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে জীবন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ করা যাচ্ছে। বড়দের অভিজ্ঞতা ও নির্দেশনা অনেকের কাছেই আগের মতো গুরুত্ব পাচ্ছে না। আবেগের বশবর্তী হয়ে সঙ্গী নির্বাচনের প্রবণতাও দিনদিন বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে স্বামী বা স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও সামাজিক দিকগুলো বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না। অনভিজ্ঞ তরুণ-তরুণীরা জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের মতামতকে গুরুত্ব না দেওয়ায় তালাক বা বিচ্ছেদের মতো ঘটনা অনেক বেড়েছে। ইন্টারনেটভিত্তিক কথোপকথন কখনোই পারিবারিক বৈঠকগুলোর বিকল্প হতে পারে না। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা ও আকর্ষণ হচ্ছে পবিত্র। এ ভালোবাসা ও আকর্ষণের ভিত্তিতেই পারিবারিক সুখ নিশ্চিত হতে পারে।
আমরা ভার্চুয়ালজগতের প্রতি অতি আকর্ষণ ও অতি নির্ভরতার কারণে নানা সমস্যা সৃষ্টি হওয়া নিয়ে কথা বলছি। তবে একইসঙ্গে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে, ভার্চুয়ালজগতের প্রতি নির্ভরতা সৃষ্টির পেছনে যেসব বিষয় কাজ করে সেগুলোও চিহ্নিত করতে হবে। একটি পরিবারের অভিভাবকরা অর্থাৎ বাবা-মা উভয়ই যখন চাকরিজীবী হন, তখন তারা সন্তানদের বেশি সময় দেন না বা চাইলেও দিতে পারেন না। এ অবস্থায় সন্তানরা একাকিত্বে ভোগে। তারা সময় কাটাতে ভার্চুয়ালজগতের আশ্রয় নেয়। ইন্টারনেটে ঢুকে নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাক্সিক্ষত বন্ধু-বান্ধবীর খোঁজ করতে থাকে। বড়দের পরামর্শ ছাড়াই এ ধরনের জগতে প্রবেশ করার কারণে কখনো কখনো বড় ধরনের ধোঁকা খায় তারা।
সন্তানদের মন লেখাপড়ায় নেই
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্ত হওয়া এখন এতটাই সহজ যে, সব বয়সের মানুষই সেখানে তৎপরতা চালাতে পারে। এ অবস্থায় পরিবারের অভিভাবকদের সচেতনতা জরুরি। বাবা-মার উচিত সন্তানদের জন্য কিছু সময় ব্যয় করা যাতে তারা একাকিত্ব অনুভব না করে। বর্তমান যুগের ব্যস্ত জীবন পদ্ধতিতে বাবা-মায়েরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যে ভুলটি করেন, তা হলো, তারা সন্তানকে সবকিছুই দেন শুধু সময় ছাড়া। বাবা-মা সন্তানের জন্য বাড়ি-গাড়ি কেনেন, ভালো স্কুলে ভর্তি করেন, ভালো খাবার ও পোশাক দেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে যে সময় কাটানো দরকার, তাদের যে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দেয়া দরকার, সে কথা ভুলে যান। সন্তানরা স্কুল-কলেজে গিয়ে কী করছে, তার বন্ধু কে অথবা ইন্টারনেটে সে কাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলছে সেসব তথ্য বাবা-মায়েরা অনেক সময়ই জানেন না। এর ফলে বাবা-মায়ের অজান্তেই অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এ ধরনের প্রবণতা বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের মানুষের মতো ইরানিদের মধ্যেও দেখা যায়। এ কারণে এ নিয়ে দেশে ব্যাপক গবেষণা হচ্ছে।
গবেষণার অংশ হিসেবে পরিচালিত এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, ইরানের তেহরান, মাশহাদ, ইস্ফাহান, শিরাজ ও গিলান প্রদেশে বিয়ের প্রথম তিন বছরের মধ্যে যেসব তালাকের ঘটনা ঘটে এর ১৭ শতাংশই ঘটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাবে। জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাস্তবতার চেয়ে আবেগকে বেশি গুরুত্ব দেয়ার কারণেই পরবর্তীতে বিচ্ছেদের ঘটনা বেশি ঘটে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। অনেকেই আবার জীবনযাপনের সঠিক পদ্ধতি জানে না বা জানলেও তা প্রয়োগ করে না। এ কারণেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তালাকের ঘটনা ঘটে থাকে। অনেক সময় দেখা যায়, বিয়ের পর স্বামী বা স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি ঝোঁকে পড়ে। সাংসারিক সমস্যার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই কৃত্রিম সুখের সন্ধান করেন অনেক মানুষ।
এ অবস্থায় কেউ কেউ সুস্থ বিনোদনের সন্ধান করতে গিয়ে বিপথে চলে যান। স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটানোর চেয়ে তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় কাটানো বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়। এরপর তা এক ধরনের নেশায় পরিণত হয়। ফলে সাংসারিক যে ঝামেলা সহজেই মিটে যেতে পারতা তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও জটিল হয়ে পড়ে। তবে মনে রাখতে হবে, ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম আমাদের জন্য নানা সুযোগ এবং সম্ভাবনাও তৈরি করেছে। আমরা কীভাবে, কী উদ্দেশ্যে তা ব্যবহার করছি তার ওপর নির্ভর করে আমরা এ জগত থেকে উপকৃত হবো নাকি বিপদগ্রস্ত হবো। বাস্তবতা হলো, ভার্চুয়ালজগৎকে এড়িয়ে যাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কাজেই এ জগৎকে মেনে নিয়ে সচেতনভাবে তা ব্যবহার করতে হবে।