সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকীকরণের আহ্বান শিবিরের


২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩৯

সম্প্রতি দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিকীকরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পতনের পর থেকে অনলাইন মাধ্যমে তারা বিভিন্নভাবে হুংকার দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা গোপনে থেকে মিছিল-মিটিং করার চেষ্টা করছে। তারা টার্গেট কিলিংয়ের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়েছে। এ সময় মানববন্ধনে শিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মু. মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী, তথ্য সম্পাদক সৈয়দ সুমনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, বিগত দুই-তিন মাস যাবত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে অবনতির দিকে যাচ্ছে। আমরা অনতিবিলম্বে সরকারের যে সব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা রয়েছে, আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত যেসকল বাহিনী রয়েছে, তাদের আরও সক্রিয় হয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
সরকারকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত দুই মাসে ৩৩৬টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে। প্রায় ৭৯৭টি ছিনতাই এবং ১০৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জুলাই বিপ্লবোত্তর যেভাবে ভালোভাবে পরিচালিত হওয়ার কথা, সেক্ষেত্রে যথেষ্ট অনমনীয় এবং ঢিলেঢালাভাব আমরা সরকারের পক্ষ থেকে দেখতে পাচ্ছি। আমরা সরকারকে বলছি, আপনারা অনতিবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিবির সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, প্রতিটি এলাকায় নিজ উদ্যোগে একেকটি কমিউনিটি গড়ে তুলুন।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চিহ্নিত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পতনের পর থেকে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে তারা বিভিন্নভাবে হুংকার দেয়ার চেষ্টা করছে। তারা গোপনে থেকে মিছিল-মিটিং করার চেষ্টা করছে। তারা টার্গেট কিলিং করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের অতিদ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গণহত্যার সাথে জড়িত ছিল। গণহত্যার সাথে যারা জড়িত ছিল, তাদের গ্রেফতারের পরে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। গতকাল (২৩ ফেব্রুয়ারি রোববার) পর্যন্ত ৭২৩ জন ফ্যাসিবাদের দোসরকে আদালত কর্তৃক জামিন দেয়া হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে শঙ্কিত। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।