জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি


৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০০

স্টাফ রিপোর্টার : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নবগঠিত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এএমএম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন এ কমিশনের অপর চার নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমান মাসুদ, বেগম তাহমিদা আহমদ ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ নিয়মিত অফিস করছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর ইতোমধ্যে প্রথম ইসি সভাও সেরে ফেলেছে নয়া নির্বাচন কমিশন। কমিশন আগামী বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের চিন্তা করছে। ওই সময়ের আগেই তালিকা প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে খড়সা তালিকা প্রকাশ করা হবে। এতে নতুন করে অন্তত ১৭ লাখ ভোটার যুক্ত হবে।
গত ২ ডিসেম্বর সোমবার নতুন কমিশনের প্রথম সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনালের (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি জানান, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামী মার্চে তালিকা প্রকাশের পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তালিকায় ১৭ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হবে। প্রথম সভায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি, জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণ বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানিয়েছেন, জানুয়ারির ২ তারিখে আইন অনুযায়ী প্রতি বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদের খসড়া প্রস্তুত করে প্রকাশ করা হয়। এ খসড়া তালিকা প্রকাশ করার পর কেউ যদি মনে করে সে খসড়া তালিকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তখন তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ভোটার হওয়ার যোগ্য হলে ভোটার হিসেবে গণ্য করা হয়। এ কাজ শেষ করতে হয় মার্চের ২ তারিখের মধ্যে বা তার আগে। কারণ ২ তারিখে এ সংশোধনী বা আমাদের ডাটাবেজে আগের যে তথ্য থাকে, তার আলোকে তারা (যাদের প্রতি বছর ১ জানুয়ারিতে ১৮ বছর পূর্ণ হয়) ওই বছরেই ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়। এ কাজটা আমাদের সামনে করতে হবে। এ বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এর বাইরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য কী কী প্রস্তুতি প্রয়োজন, সে প্রস্তুতি সম্পর্কে আমরা কমিশনকে অবহিত করেছি।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে ইসি সচিবালয়ের কী প্রস্তুতি আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশন যদি আমাদের বলে, তাহলে আমাদের সেটা করতে হবে। তবে আমাদের প্রস্তুতির কথা যদি বলেন, তাহলে ঠিক এ মূহূর্তে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না যে প্রস্তুতি আছে কি না। কমিশন যেভাবে চাইবে, সেভাবে আমাদের কাজ শেষ করতে হবে এবং সে প্রস্তুতি আমাদের গ্রহণ করতে হবে। আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ করতে হলে আমাদের কী করতে হবে- এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।