সংবাদপত্রের পাতা থেকে


২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০০

আহমদ আজিজ : দৈনিক দেশ রূপান্তরের ২০ নভেম্বরের প্রধান শিরোনাম, ‘লুটের অস্ত্র কিনছে অপরাধীরা!’ খবরে বলা হয়, থানা, পুলিশ ফাঁড়িসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ চিহ্নিত অপরাধীরা কিনছেন বলে আশঙ্কা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, সন্ত্রাসীদের হাতে আসা অস্ত্র দিয়ে নানা অপকর্ম হচ্ছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমন শঙ্কা থেকে পুলিশের উদ্বেগ আছে।
১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির দিন থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের স্থাপনায় হামলা, কারাগারের অভ্যন্তরে বন্দিদের বিদ্রোহ, পালিয়ে যাওয়া ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকাসহ সারা দেশে পুলিশের ৪৬০টি থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে
তখন সারা দেশে ৫ হাজার ৭৪৯টি অস্ত্র ও ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬০৯ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। এছাড়া টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার গ্যাস ক্যানিস্টার, কালার স্মোক গ্রেনেড ও ওয়াকিটকি লুট হয়। এর মধ্যে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৮২ রাউন্ড গুলি ও অন্যান্য উপকরণ, ৪ হাজার ৩১৭টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ওই সময় থানা ও সরকারি স্থাপনার বাইরে ব্যক্তিগত অস্ত্র লুটের ঘটনাও ঘটে।
‘সিঙ্গাপুরের নাগরিক দাবি করে সুরক্ষা চাইলেন এস আলম’ আজকের পত্রিকার ২০ নভেম্বরের প্রথম পাতার খবর এটি। খবরে বলা হয়, নিজেকে সিঙ্গাপুরের নাগরিক দাবি করে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ চুক্তির আলোকে এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম তার বিনিয়োগের সুরক্ষা চেয়েছেন। সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশি মামলা করতে পারেন। প্রয়োজনে অন্যান্য ব্যবস্থাও নেবে।
তাদের পক্ষে কুইন ইমানুয়েল উর্কুহার্ট অ্যান্ড সালিভান নামক এক আইনি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংককে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান মনসুর সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এস আলম গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। ওই সাক্ষাৎকারের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে কুইন ইমানুয়েল উর্কুহার্ট অ্যান্ড সালিভান।
চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, আহসান মনসুর এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জনসমক্ষে ভিত্তিহীন ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ বক্তব্য এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘ভীতি প্রদর্শনমূলক’। এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ভুল ও মানহানিকর।
‘আওয়ামী লীগ প্রশ্নে বিভক্ত অভ্যুত্থানের শরিকরা’- সমকালের ২০ নভেম্বরের প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সাড়ে তিন মাসের মাথায় তার দল আওয়ামী লীগ নিয়ে অভ্যুত্থানের শরিকদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের একটি বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দলকে আগামী নির্বাচনে চায় বিএনপি।’ এ নিয়েই অভ্যুথানের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
যদিও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেছেন, ভোটে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপিকে জড়িয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ঠিক নয়। আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে বিএনপি কখনোই সুপারিশ কিংবা প্রস্তাব দেয়নি।
দৈনিক যুগান্তরের ২০ নভেম্বরের প্রধান শিরোনাম, ‘আয়নাঘরের রূপকার ২২ কর্মকর্তা’Ñ পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। খবরে বলা হয়, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে উচ্চপদস্থ বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে হাসিনা সরকারের প্রতাপশালী প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিজিএফআই) ও র‌্যাবে নিযুক্ত ছিলেন এমন কর্মকর্তাদের নাম রয়েছে। যাদের বেশির ভাগ আলোচিত ‘আয়নাঘর’-এর রূপকার হিসেবে চিহ্নিত। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনেও জরুরি বার্তা পাঠাতে বলা হয়। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পাঠানো চিঠিতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক নয়াদিগন্তের ২০ নভেম্বরের শিরোনাম, ‘ভারতকে অবশ্যই ফিরিয়ে দিতে হবে হাসিনাকে, দি হিন্দুর সাথে সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস।’ খবরে বলা হয়, ভারতে পালিয়ে গিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, বিচারের মুখোমুখি করতে হাসিনাকে অবশ্যই বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে হবে ভারতকে। হাসিনাকে ফিরিয়ে না দিলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুব একটা সুখের সম্পর্ক তৈরি হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
‘কোথাও কিছু একটা ষড়যন্ত্র চলছে : তারেক রহমান’- প্রথম আলোর ২০ নভেম্বরের শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়, ১৯ নভেম্বর ঢাকায় আয়োজিত এক কর্মশলায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এমন মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি তার বক্তব্যে ‘ষড়যন্ত্রের বিষয়ে’ নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। বলেছেন, ‘‘আমরা প্রায়ই বলি, ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি। আপনারা নিশ্চয়ই গত কয়েক দিনের পত্র-পত্রিকার খবর থেকে বুঝতে পারছেন।… কোথাও কিছু একটা ষড়যন্ত্র চলছে। কাজেই জনগণকে সচেতন করতে হবে, জনগণকে পাশে রাখতে হবে, জনগণের পাশে থাকতে হবে।’
দৈনিক প্রথম আলোর ১৯ নভেম্বরের প্রথম পাতার খবর, ‘নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ কমানোর পক্ষে নয় বিএনপি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছরের জায়গায় চার বছর করার প্রস্তাব এসেছে বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন, এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়া হয়েছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বেশিরভাগ দল বলছে, তারা প্রস্তাবিত চার বছর মেয়াদের সঙ্গে একমত নয়। তবে কিছু দল নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ এক বছর কমানোর পক্ষে রয়েছে।
সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৯) ফাঁকে কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত ১৭ নভেম্বর রোববার এ ভিডিও সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করেছে আল-জাজিরা। সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, সাধারণত নিয়মিত সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। মানুষ সরকারের মেয়াদ কম চায়। সংবিধানে নতুন করে চার বছরের প্রস্তাব করা হচ্ছে।
‘দলের প্রার্থী হতে তৃণমূলের ভোটে জিতে আসতে হবে’- এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের ১৯নভেম্বরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী মনোনয়নে তৃণমূল পর্যায়ে ভোটের ব্যবস্থা চালু হতে পারে। এছাড়া দলে কমপক্ষে তিন বছর সদস্য না থাকলে প্রার্থী হওয়া যাবে না, এ বিধানটি আবার ফিরে আসতে পারে। জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে জোটভুক্ত দলগুলোর প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে সশস্ত্র বাহিনী।
দৈনিক সমকালের ১৯ নভেম্বরের প্রধান শিরোনাম ‘সব ক্ষেত্রে দখল আধিপত্য চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বহাল’। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্র্বর্তী সরকারের কিছু ইতিবাচক অর্জন থাকলেও তা প্রত্যাশার চেয়ে কম বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে, আইনশৃঙ্খলা অবনতির পাশাপাশি দখল, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারের সংস্কৃতি থেকে এখনো বের হওয়া যায়নি। পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিকাশ, দলীয়করণের বদলে আরেক দলীয়করণে প্রতিস্থাপন, ঢালাওভাবে শত শত মামলায় অসংখ্য ব্যক্তিকে আসামি করা, গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণের মতো বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চলমান।
‘তিন বিসিএস নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল পিএসসি’- এটি দৈনিক ইত্তেফাকের ১৯ নভেম্বরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনটি বিসিএস নিয়ে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি)। গতকাল (১৮ নভেম্বর) সোমবার প্রশ্নফাঁস নিয়ে কমিশনের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানিয়েছে, ৪৪তম বিসিএসে আগের ভাইভা বাতিল করা হয়েছে, নতুন করে নেওয়া হবে। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা পুনরায় তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল আবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। গত ৮ অক্টোবর মো. সোহরাব হোসাইনের কমিশন পদত্যাগ করে।
‘ওষুধের দামে রোগীর হাঁসফাঁস’- এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার ১৯ নভেম্বরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, প্রতি মাসেই মায়ের জন্য উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগের ওষুধ কেনেন সাভারের বাসিন্দা মতিউর রহমান। সঙ্গে কেনেন কিছু ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনও। মায়ের ওষুধের পেছনে তিন মাস আগেই তার মাসিক খরচ ছিল ৬ হাজার টাকা। ওষুধের দাম বাড়ার কারণে এখন সেই খরচ বেড়ে ৯ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। শুধু মতিউর নন, তার মতো অসংখ্য মানুষের মাসের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে ওষুধের দাম বাড়ায়, যদিও বাড়েনি আয়।
‘মুজিব শতবর্ষের টি-শার্ট এখন নিতে চায় না কেউ’- এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের ১৯ নভেম্বরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওপরে ‘মুজিব চিরন্তন’ লেখা কালো চামড়ার ঘড়ির বাক্স। ভেতরে কালো বেল্টের সোনালি সাদা ডায়ালের ঘড়িটির বিশেষত্ব এটিতে বাংলায় সময় লেখা। যাতে রয়েছে জ¦লজ¦লে মুজিব শতবর্ষের লোগো।
বিশেষভাবে অর্ডার দিয়ে বানানো টাইটানের এসব ঘড়ির প্রতিটির বাজার দাম ১৬ হাজার টাকা।
অন্তর্র্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে দৈনিক প্রথম আলোর ১৮ নভেম্বরের প্রথম পাতার খবর, ‘মানুষের আস্থা ফেরেনি, প্রত্যাশা অনেক’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্র্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পার হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো পুরোপুরি গুছিয়ে উঠতে পারেনি। একেবারে বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে তিন মাসের মাথায় দৃশ্যমান উন্নতি হলেও পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা এখনো ফেরেনি। উপরন্তু মানুষের প্রত্যাশ্যা বেড়েছে।
‘স্থবির ১৩৫২ উন্নয়ন প্রকল্প’- এটি দৈনিক যুগান্তরের ১৮ নভেম্বরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান ১৩৫২ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিরাজ করছে এক রকম স্থবিরতা। আর্থিক সংকট, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতিসহ নানা কারণে সৃষ্টি হয়েছে এমন পরিস্থিতি। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সার্বিকভাবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন এবং বৈদেশিক অর্থছাড়ের ক্ষেত্রে। ফলে কর্মসংস্থান, মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি, অর্থপ্রবাহের স্বাভাবিক গতি এবং প্রকল্পগুলো থেকে প্রত্যাশিত সুফল পাওয়ার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। পাশাপাশি প্রকল্পগুলোয় মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধির শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
‘প্রথম ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়ে দ্বিগুণ’- এটি দৈনিক সমকালের ১৮ নভেম্বরের প্রথম পাতার খরব। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে খেলাপি ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা বা ৯ শতাংশ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নেওয়া ঋণখেলাপি চিহ্নিত হতে শুরু করায় এভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইত্তেফাকের ১৮ নভেম্বরের প্রধান শিরোনাম ‘নির্বাচনী ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে নতুন ইসি কয়েক দিনের মধ্যে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। এটা আর থামবে না। এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে সেটা নির্ভর করবে কত তাড়াতাড়ি আমরা তার জন্য রেল লাইনগুলো বসিয়ে দিতে পারি, আর তা হবে রাজনৈতিক দলসমূহের ঐকমত্যের মাধ্যমে। সংস্কারের জন্য নির্বাচন কয়েক মাস বিলম্বিতও করা যেতে পারে। অন্তর্র্বর্তী সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে গতকাল রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি একথা বলেন।
‘বিএনপি-জামায়াতের ঐক্যে ফাটল ধরাতে তৎপর আ’লীগ’- এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের ১৮ নভেম্বরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াতের ঐক্যে ফাটল ধরানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। ক্ষমতায় থাকতে মাঠের প্রধানবিরোধী দল বিএনপিকে পাত্তা না দিয়ে উল্টো দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টায় মশগুল থাকতো আওয়ামী লীগ।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সেই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন স্বৈরসরকারের ভয়াবহ পতনের পর দলটির অবস্থান যখন শূন্যতে নেমে এসেছে, ঠিক তখনই বিএনপির সাথে তার রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠ মিত্র ও দুঃসময়ের সহযোগী জামায়াতের মধ্যে কীভাবে ফাটল ধরানো যায় সেই ছক কষছে আওয়ামী লীগ।
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রতিক্রিয়া নিয়ে দৈনিক আজকের পত্রিকার ১৮ নভেম্বরের প্রথম পাতার খবর, ‘ভোট নিয়ে অস্পষ্টতা দেখছে দলগুলো’। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য সন্তুষ্ট করতে পারেনি বিএনপিসহ নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দলগুলোকে। বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বললেও কোনো সময়ের ধারণা না দেওয়ায় এ নিয়ে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। এর ফলে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ও জটিলতা বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন দলগুলোর নেতারা।
‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য’- এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের ১৭ নভেম্বরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় ঢাকাকে তার সরকার পূর্ণ সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট। তিনি আরও বলেন, ‘আপনাকে জানানো গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি আমাদের সমর্থন পেয়েছেন।’
গতকাল রোববার (১৭ নভেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী। খবর বাসসের