বিচারের আগে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নয়
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০০
॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
‘ভণ্ডামি তোমারই নাম আওয়ামী লীগ’, ‘বাংলাদেশের ফেরাউনের পতন হয়েছে’- বহুল প্রচলিত এ কথাগুলো বিগত দেড় দশকের হাসিনার শাসনে অনেকেই হয়তো ভুলেই গেছেন। নয়তো ভয়ে কেউ মুখে আনেননি। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতারণা ও ভণ্ডামি প্রসঙ্গে একসময়ের আওয়ামী লীগের মুখপত্র হিসেবে পরিচিত দৈনিক ইত্তেফাকে খন্দকার আবদুল হামিদ স্পষ্টভাষীর প্রথম উক্তিটি এবং আওয়ামী লীগের আবদুল মালেক উকিল লন্ডন সফরকালে শেখ মুজিব সরকারের পতনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ফেরাউনের পতন কথাটি বলেছিলেন। সময়ের ব্যবধানে এদেশের মানুষ শেখ হাসিনার পতনের পর মন্তব্য করেছে, ‘লেডি হিটলারের পতন হয়েছে।’ কেউ কেউ অবশ্য লেডি ফেরাউনও বলেছেন। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, লুটপাটের রাজত্ব কায়মে করেছে। অবশ্য বিরোধীদলে থেকেও তারা হত্যা, সন্ত্রাস, তথ্যসন্ত্রাসের মাধ্যমে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করায় চ্যাম্পিয়ন। সরকারকে সহযোগিতার বদলে এক দিনের জন্যও শান্তিতে থাকতে না দেয়ার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ স্বঘোষিত বিরোধীদল আওয়ামী লীগ। এমন আগ্রাসী চরিত্রের ফ্যাসিবাদী একটি দল ছাত্র-জনতার রোষে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছে। তারা কতটা ভয়ংকর রূপে ফিরে আসার ষড়যন্ত্র করতে পারে, তা সম্প্রতি ফাঁস হওয়া পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার টেলিফোন আলাপের মাধ্যমে দেশের মানুষ জানতে পেরেছে। তাদের মধ্যে কোনো অপরাধবোধ নেই, কোনো অনুশোচনা নেই। আলাপের প্রতিটি শব্দ যেন হিংসার আগুন, মিথ্যার বেসারতি আর জনবিরোধী ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের আগ্রাসী বাণ।
হাসিনার দেড় দশকের দুঃশাসন থেকে জাতিকে যারা মুক্তি দিয়েছেন, সেই বীর ছাত্র-জনতা সতর্ক ও সাবধান না হলে সুযোগ পেলেই আওয়ামী লীগ তাদের হত্যা করবে, দেশটাকে আবার ব্যধভূমিতে পরিণত করবে। ইতিহাস সচেতন কারো অজানা নয়, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশকে আওয়ামী একদলীয় বাকশালের নাগপাশ থেকে যেসব বীর সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা মুক্তি করেছিলেন, তাদের করুণ পরিণতির কথা। তারা জাতিকে মুক্তি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অন্যের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের একটি অংশ প্রথমে ক্ষমতা নেয়, তারপর একজন মেজর জেনারেল দায়িত্ব নিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ পরিচালনা শুরু করেছিলেন। সুযোগসন্ধানী ষড়যন্ত্রকারীরা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এরপরের ইতিহাস প্রতিবেশী ভারতের ষড়যন্ত্রে আবারও স্বৈরশাসন। তারপর স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার সুযোগ ভোগকারী রাজনৈতিক নেতৃত্ব ১৯৭৫-এর বীরদের কীভাবে ঘাতকের হাতে তুলে দিয়ে নিজেরা দায়মুক্তি দিতে মেতে উঠেছিলেন এবং এর পরিণতি কারো অজানা নয়।
সেই কুবাতাস কী আবার আসছে? সংস্কারের আগে নির্বাচনের কথা যারা বলছেন, তারা কী সেই দুঃসময়কেই আমন্ত্রণ যাচ্ছেন না? যদি তা-ই না হবে, তাহলে কেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা ভুলে পতিত স্বৈরাচার হাসিনার চেতনার লালনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে- এ প্রশ্ন মানুষের মুখে মুখে। মিডিয়ায় প্রতিদিন আসছে দখল, চাঁদাবজি ও সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়া এবং সন্ত্রাস, দুর্নীতির কথা। কিন্তু সেই পুরানা চিত্র ও চরিত্রের বাংলাদেশের জন্য তো দুই হাজার মানুষ প্রাণ দেয়নি, প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আহত হয়নি। তাই তো এ রক্তঋণ শোধ করতে প্রয়োজন আমূল পরিবর্তন। বৈপ্লবিক সংস্কার।
সেই পথে প্রতি পদক্ষেপে বাধা সৃষ্টি করবে পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার দোসররাÑ এটাই স্বাভাবিক। তারা এ কাজে ব্যবহার করবে লুটপাটের মাধ্যমে অর্জিত টাকা। ইতোমধ্যে সেই লক্ষণ সুস্পষ্ট হচ্ছে। দেশের অনেক রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতাদের বক্তব্য শুনে বোঝার উপায় নেই, ‘তিনি আওয়ামী লীগের মুখপাত্র নাকি…। এমন দোদিল বান্দা হলে চলবে না, জনগণের আকাক্সক্ষার পক্ষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। সংস্কার ও আওয়ামী লীগের সব অপকর্মের বিচারের আগে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা। কারণ ইতিহাস সাক্ষী, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার গণতন্ত্র হত্যা, ভোটাধিকার হরণের মতো অভিযোগ থাকার পরও অতীতের কোনো রাজনৈতিক সরকার আওয়ামী লীগকে বিচারের কাঠগাড়ায় দাঁড় করাতে পারেনি। তাই বার বার এ ফ্যাসিস্ট অপশক্তি জাতির ঘাড়ে সওয়ার হয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পদ লুট করার সুযোগ পেয়েছে। এবার আর সেই সুযোগ দেয়ার পক্ষে নয় জনগণ। অবশ্য মূলধারার সব রাজনৈতিক দল ও নেতা এবং উপদেষ্টাদের অনেকেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ডিএনএ’র পরীক্ষা শেষে মন্তব্য করেছেন, ‘বিচারের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ নেই।’
আগে বিচার, পরে অন্য চিন্তা
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচারের আগে পুনর্বাসনের সুযোগ নেই বলে মতামত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান লন্ডন সফরের আগে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনায় বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ দেশকে একটা জাহান্নামে পরিণত করেছিল। সেই আওয়ামী লীগ এখন মাথা উঁচু করার চেষ্টা করছে। ১৯৯৬ সালে অতীতের অপরাধের জন্য তারা হাতজোড় করে বিনাশর্তে মাফ চেয়ে বলেছিল, আমাদের একবার ক্ষমতায় আসার সুযোগ দিয়ে দেশপ্রেম প্রকাশের সুযোগ দিন। জনগণ তাদের সেই সুযোগ দিয়েছিল, সেবার ক্ষমতায় এসে তারা কাঁড়ি কাঁড়ি লাশ উপহার দিয়েছিল। তাদের দলীয় প্রধান বলেছিলেন, কেউ যদি তাদের দলের একটা লাশ ফেলে, তাহলে তারা ১০টা লাশ ফেলবেন। অবাক করা বিষয়, দেশের প্রধান নির্বাহী বিনা বিচারে লাশ ফেলার কথা বলেছেন। এবার বলেননি, কিন্তু করেছেন। জাতির ওপর রাগ মেটাতে নিরীহ মানুষকে হত্যার পর লাশ পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন। তারা নাকি আবার এদেশে রাজনীতি ও নির্বাচন করতে চায়। দৃশ্যত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দল ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তাদের কর্মফল পেয়েছেন। তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। তার সঙ্গী-সাথীরা পালানোর চেষ্টায় আছেন। কেউ চুরি করে পালিয়েছেন, কেউ পালাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। একজন মানুষ হিসেবে এর থেকে মৃত্যু শ্রেয় ছিল। কোনো রাজনীতিবিদের জন্য পালানো মানায় না। রাজনীতি করবেন রাজকীয় মন নিয়ে, দেশের জন্য। রাজকীয় মন ও দেশের জন্য রাজনীতি করলে আপনাকে পালাতে হবে কেন? চোর-ডাকাত, খুনি, লুটেরা, ধর্ষক, গুমকারীরা পালায়। কোনো ভালো মানুষ পালায় না।’ এছাড়া গত ১৭ নভেম্বর লন্ডনের রয়েল রিজেন্সিতে কোয়ালিশন ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস ইন বাংলাদেশে এক ‘সিভিক রিসিপশন’-এ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আত্মস্বীকৃত ফ্যাসিস্ট। এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। ১৬ বছর দেশের মানুষের সাথে আওয়ামী লীগ যে আচরণ করেছে, তার জন্য তাদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ গত ১৫ থেকে ১৬ বছরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে ফেলেছে। একটা ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়ে গণতন্ত্রের আকাক্সক্ষাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে বিএনপিসহ অনেকগুলো রাজনৈতিক দল দীর্ঘ ১৫ বছর লড়াই ও সংগ্রাম করেছে। একটি বিপ্লবের পর এ সরকার এসেছে এবং এ বিপ্লবের যারা প্রধান চালিকাশক্তি ছিল ছাত্ররা, তারা এ সরকারের সঙ্গে যুক্ত আছে। সুতরাং এর বৈশিষ্ট্য কিন্তু অন্যান্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো নয়। তাকে বিশ্লেষণ করতে হলে, পর্যালোচনা করতে হলে আমাদের সে দিকটি লক্ষ রাখতে হবে। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ছয়টি কমিটি করেছে সংস্কারের জন্য। তারা কাজও শুরু করেছে। তার মধ্যে নির্বাচনব্যবস্থাকে সংস্কার, সংবিধান সংস্কার ও অন্য বিষয়গুলো রয়েছে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের একটু সহনশীল হয়ে এ সংস্কারের বিষয়গুলো যেন তারা শেষ করতে পারে, সেই সময়টুকু আমাদের তাদের দেওয়া উচিত। বাংলাদেশের মানুষের সহনশীলতার অভাব আছে। সবাই মুহূর্তের মধ্যে ভাবছে, তিন মাসেই সবকিছু সুন্দর হয়ে যাবে। এত সোজা তো নয়, একটা ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বের করে নিয়ে আসা।’
দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতার বক্তব্যের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। ছাত্র-জনতাও তাদের সাথে আছেন। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, ষড়যন্ত্রকারীরাও বসে নেই। লুটপাটের টাকা এবং প্রতিবেশী ভারত তাদের সাথে। ইতোমধ্যে তার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
লুটপাটের টাকা এবং ভারত আওয়ামী লীগের শক্তি
লুটপাটের টাকা এবং ভারত আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের শক্তি। হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে থেকে সেখান থেকে ফোনে নির্দেশনা দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছেন। ভারতের মোদি সরকার তাদের গদি মিডিয়া ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালাচ্ছে। গত ১৮ নভেম্বর সোমবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে কথিত ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা হারানো দল আওয়ামী লীগের সমাবেশে বাধা প্রদান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে পতিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের ফেভারে ভারতীয় এক সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সমাবেশে হামলার কথা শোনা যাচ্ছে। সেখানকার সহিংসতার খবর উদ্বেগজনক। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নারীদের ওপর হামলা, সাংবাদিকদের আটকসহ তাদের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। ওই সাংবাদিক আরও জানতে চান, বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটি বাদ দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে, এ বিষয়ে আপনারা কী ভাবছেন? জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, আমি এ বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলবÑ যদি দেখি যে এ বিষয়ে কোনো কিছু বলার আছে।’
এ কথা কারো অজানা নয় গত দেড় দশক আওয়ামী লীগ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কীভাবে অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিল। তার পরিণতিতে জনরোষে তারা দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। বিদেশের মাটিতে বসে এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করার ফ্যাসিবাদী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। সেই দল করে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ। এটা কি ইউরোপ-আমেরিকার মতো উদার গণতান্ত্রিক দেশেও সম্ভব। তাহলে ইতালিতে মুসোলিনির ফ্যাসবাদী দল এবং জার্মানিতে হিটলারের নাৎসি পার্টিকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হয় না কেন?’ যে দলের হাতে এখনো নিরীহ জনগণের রক্তের দাগ লেগে আছে, সেই দলের পক্ষে এমন সাফাই গাওয়া কী মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়?
আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস ব্রিফিংয়ের প্রশ্নেরই প্রতিধ্বনি শোনা গেছে ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকায় নেয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকারে। তিনি কী উত্তর দিয়েছেন, তা তুলে ধরা হলো- ‘সংখ্যালঘুদের নিয়ে, এটা একটা প্রোপাগান্ডা, যা বিশ্বজুড়ে চলছে। ড. ইউনূস দ্য হিন্দুকে আরও জানিয়েছেন, ‘(ভারতের) প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমার প্রথম ফোনকল হয় (১৬ আগস্ট)। এ সময়ে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে এবং আরও অনেক কিছু। জবাবে আমি তাকে খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি, এটা একটা প্রোপাগান্ডা। অনেক সাংবাদিক এখানে (বাংলাদেশে) এসেছিলেন। উত্তেজনা নিয়ে কিছু রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু মিডিয়ায় যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, তেমন নয়।’ তিনি হাসিনাসহ সব অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করার কথাও বলেছেন।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের ক্ষমতার অপব্যবহার, খুন-গুম, লুটপাটের বিচার আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের দাবি। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী আচরণ সংশোধন এবং অতীত আচরণের জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং বিচারের আগে রাজনীতে পুনর্বাসনের প্রশ্নই আসে না।