প্রতিটি ঘরে দীনের দাওয়াত সম্প্রসারণের কোনো বিকল্প নেই : মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন


২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০০

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের ২০২৫-২৬ কার্যকালের জন্য মজলিসে শূরার সদস্য নির্বাচন, শপথ এবং ২৫ সদস্যবিশিষ্ট কর্মপরিষদ গঠন সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের পুনর্নির্বাচিত আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় গত ১৭ নভেম্বর রোববার রাত ৮টায় রাজধানীর মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মহানগরী মজলিসে শূরার ১ম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ আব্দুর রব। অধিবেশনে মজলিসে শূরার নির্বাচিত সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুর রহমান মূসা ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফাকে নায়েবে আমীর এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমকে সেক্রেটারি, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দিন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাতকে সহকারী সেক্রেটারি করে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট মহানগরীর কর্মপরিষদ গঠন করা হয়। মহিলাদের নিয়ে পৃথক মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরা এবং মহানগরী মহিলা কর্মপরিষদ গঠন করা হয়েছে। নির্বাচিত ও মনোনীত শূরা সদস্যদের শপথ কার্যক্রম পরিচালনা করেন মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
শপথ-পরবর্তী সভাপতির বক্তব্যে সেলিম উদ্দিন বলেন, দায়িত্ব কোনো উপভোগের বিষয় নয় বা তা চেয়ে নেওয়ারও সুযোগ নেই, বরং তা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। আর দায়িত্ব এসে গেলেও তা উপেক্ষা করা যাবে না। আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে এবং দীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে দায়িত্বশীলদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে টেকসই ও অর্থবহ করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দীন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা প্রত্যেক নবী-রাসূলগণের অত্যাবশ্যকীয় ছিল। শেষ নবী মুহাম্মাদুর রাসূলূল্লাহ (সা.) একই দায়িত্ব নিয়ে প্রেরিত হয়েছিলেন। আসহাবে রাসূলগণও একই দায়িত্ব পালন করে গেছেন। সে ধারাহিকতায় তা এখন আমাদের ওপর বর্তেছে। তাই দীনকে বিজয়ী করতে হলে ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের প্রতিটি ঘরে দাওয়াত সম্প্রসারণের কোন বিকল্প নেই। নিজেদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা বৃদ্ধি এবং নেতৃত্বের গুণাবলী সৃষ্টির জন্য প্রত্যেককে হতে হবে অধ্যবসায়ী। তাহলেই দীনের বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। তিনি দীন বিজয়ের লক্ষ্যে সকলকে ময়দানে অবিচল থাকার আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।