ছাত্রনেতারা কি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করছেন?
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০০
স্টাফ রিপোর্টার : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্তরা কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করবে না- এমন সিদ্ধান্তই ছিল শুরু থেকে। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলে ছাত্রনেতারা জানিয়েছেন, তারা রাষ্ট্র ও সমাজ সংস্কারে সময় দেবেন, কিন্তু রাজনৈতিক দলগঠন বা কার্যক্রমে থাকবেন না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এখনকার অবস্থাও প্রায় একই, তবে আন্দোলনে থাকা কেউ যদি রাজনীতিতে অংশ নিতে চায় বা রাজনৈতিক দল গঠন করে সেখানে সক্রিয় হতে চায়, সেটি হতেই পারে। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া দুই উপদেষ্টাসহ মোট তিন উপদেষ্টা একটি বড় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে গণমাধ্যমে এসেছে। ওই বৈঠকে রাজনৈতিক দল গঠন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয় ওই গণমাধ্যমের রিপোর্টে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্পৃক্তরা সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে অংশ নেবে না বলেই ধারণা দিয়েছেন।
ঢাকার একটি প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, দল গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে কাজ করছেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তারা মনে করেন, বিপ্লব পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে মানুষ নতুন রাজনৈতিক শক্তিকে দেখতে চায়। যারা অভ্যুত্থানের চেতনাকে লালন করবে এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশীদারিত্বে আগামীর বাংলাদেশকে গঠন করতে প্রস্তুত। দল, মত, ধর্ম ও পথের ঊর্ধ্বে উঠে যারা ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ প্রশ্নে কাজ করবে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন থাকবে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা গণমাধ্যমকে বলেন, অভ্যুত্থানে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের প্রাধান্য দিয়ে কমিটিগুলো গঠন করা হচ্ছে। আমরা মনে করি সরকার যে প্রক্রিয়ায় কাজ করছে সেখানে ছাত্রদের শক্তিকে সুসংগঠিত করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া কেউ যাতে সমন্বয়ক পরিচয়ে কোনো ইলিগ্যাল কাজ করতে না পারে। অনেক সময় তারা ইলিগ্যাল কাজ করলেও আমরা আইডেন্টিফাই করতে পারি না। আমাদের প্ল্যাটফর্মের নাম খারাপ হচ্ছে। তাই আমরা চাচ্ছি তাদের একটা ডেকোরামের মধ্যে নিয়ে আসতে। একটা চেইন অব কমান্ড তৈরি করা। নাগরিক কমিটির সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নাগরিক কমিটির সঙ্গে আমাদের কোনো এফিলিয়েশন নাই। শুরুতে লিয়াজোঁ কমিটি থেকে কয়েকজন এটি করেছে। তবে অফিসিয়ালি তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচনী ভাবনার বিষয়ে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এ সমন্বয়ক বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো ভাবনায় আমরা এখনো যাইনি। সম্মিলিতভাবে আমাদের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি। আমরা যেটি বিশ্বাস করি যে এটা অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম এবং আমরা এটিকে সেভাবে ট্রিট করবো। নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে নাগরিক কমিটির সঙ্গে সম্মিলিত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি সিভিল সোসাইটির কাজগুলোই করবে। কিন্তু এখান থেকে একটা অংশ যারা রাজনীতিতে আগ্রহী তারা মিলে একটি রাজনৈতিক দল হতে পারে।