নাটোরে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির মায়ের দাফন

নাটোর সংবাদদাতা : দুই দফা জানাযার নামায শেষে নাটোরের বড়াইগ্রামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের মা রোকেয়া বেগমের (৬৮) লাশের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর রোববার বিকাল পৌনে ৫টায় বড়াইগ্রামের শিবপুর তালিমুল কুরআন হাফিজিয়া মাদরাসা মাঠে দ্বিতীয় দফা জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম নিজেই এ জানাযায় ইমামতি করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ধানমন্ডি ঈদগাহ ময়দানে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের আমীর ও শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম বুলবুলের ইমামতিতে প্রথম দফা জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরহুমার লাশ তার নিজ গ্রাম নাটোরের বড়াইগ্রামের শিবপুরে আনা হয়।
বড়াইগ্রামের শিবপুরে জানাযার পূর্বে জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, মরহুমার ছেলে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, জামায়াতের রাজশাহী মহানগরী আমীর ড. কেরামত আলী, সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল, নওগাঁ জেলা আমীর আব্দুর রকিব, পাবনা জেলা আমীর আবু তালেব মণ্ডল, নাটোর জেলা আমীর ড. মীর নুরুল ইসলাম, নায়েবে আমীর অধ্যাপক ইউনুস আলী ও অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল হাকিম বক্তব্য রাখেন। জানাযায় ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সাদিক কাইয়ুম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মোহাইমেনুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগরী সভাপতি সিফাতুল্লাহ, বড়াইগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, সেক্রেটারি আবু বকর সিদ্দিক, শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্যরা এবং নাটোর, পাবনা ও নওগাঁ জেলা সভাপতিসহ জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের মা রোববার সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থান ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।