জাহেলিয়াত দূর করতে প্রয়োজন আলোকিত আদর্শের আলোকে সংস্কার

হারুন ইবনে শাহাদাত
১৬ মে ২০২৫ ১৫:৫৭

জাহেলিয়াত দূর করতে প্রয়োজন আলোকিত আদর্শের আলোকে সংস্কার

॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
৩৬ জুলাই বিপ্লবের পর সবচেয়ে আলোচিত বিষয় রাষ্ট্র সংস্কার। কেন বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে, বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে তার ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম করে আটকে রাখার গোপন বন্দিশালা আয়নাঘর পরিদর্শনকালে মন্তব্য করেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ সর্বক্ষেত্রে আইয়্যামে জাহেলিয়াত কায়েম করেছিল।’
পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, জাহেলিয়াতের বর্বর অন্ধকার দূর করা আলো ছাড়া সম্ভব নয়। এ আলো জ্বালাতেই প্রয়োজন আলোকিত আদর্শের আলোকে সংস্কার। সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীর বেশি চলে গেলেও আলোকিত আদর্শের আলোকিত রাষ্ট্র তারা পাননি। তাই বার বার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে দুর্বল মানুষের অধিকার। অথচ রাষ্ট্র ও সরকার গঠনের চিরায়ত আকাক্সক্ষা হলো, সমাজের সবল, দুর্বল, ধর্ম-বর্ণ সকল মানুষের জান-মাল, সম্মান এবং জন্মগত মৌলিক অধিকার রক্ষা ও চাহিদাগুলো পূরণের গ্যারান্টি। আমাদের দেশে বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যাকে বলা যায়, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, হত্যা, খুন, গুম, ধর্ষণ, ঘুষ, সুদ ও বাজার সিন্ডিকেটসহ সকল জুলুমবাজের জুলুম থেকে জনগণকে রক্ষা করা এবং তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, বিবাহসহ সকল মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। মানবসভ্যতার ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যখনই শক্তিশালী কোনো ব্যক্তি-গোষ্ঠী বা একদল মানুষ, ‘জোর যার মুল্লুক তার’ অপনীতি প্রয়োগ করে রাষ্ট্রক্ষমতা অথবা সমাজের কর্তৃত্ব লাভ করেছে, আল্লাহর বান্দারের মৌলিক অধিকার ও মৌলিক চাহিদাগুলো হরণ করে নিজেরা প্রভুত্ব কায়েম করেছে, তখনই মানবতার মুক্তির বার্তা নিয়ে মহামানবরা এগিয়ে এসেছেন। মানবসভ্যতার ইতিহাস বিশ্লেষণ করে ইতিহাসবিদ, সমাজবিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদরা দেখিয়েছেন, মহামানবদের মধ্যে আছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মনোনীত নবী ও রাসূল সা.গণ এবং তাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত মানবদরদি সাধারণ মানুষ। আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বশেষ প্রেরিত নবী ও রাসূল ছিলেন হযরত মুহাম্মদ সা.। তারপর আর কোনো নবী ও রাসূল আসবেন না। তবে সমাজ সংস্কারক মহামানবরা আসবেন। তারা রাসূল সা.-এর রেখে যাওয়া আদর্শ ইসলাম এবং এর আলোকে প্রণীত মাকাসিদ আল শরিয়াহর আলোকে জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর করে একটি সুন্দর, সৌন্দর্যময় মানবকল্যাণমূলক সমাজ, দেশ ও পৃথিবী উপহার দেবেন। এজন্য মাকাসিদ আল শরিয়াহর পারিভাষিক অর্থ অনেক চিন্তাবিদ করেছেন, ‘শরিয়াহর সৌন্দর্য, যদিও এর শাব্দিক অর্থ শরিয়াহর উদ্দেশ্য।’
এ জাতির প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ১১টি সংস্কার কমিশনের সংস্কারে এ সৌন্দর্যের প্রতিফলন থাকবে। যদিও অধিকাংশ কমিশন তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে। কিন্তু সুপারিশের আলোক রাষ্ট্র সংস্কার এখনো শুরু হয়নি। সুপারিশ যাচাই-বাছাই করে পরে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। সেই সিদ্ধান্তে বা সংস্কারে মাকাসিদ আল শরিয়াহর প্রতিফলন এ জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রত্যাশা। এ প্রত্যাশার মাঝে ধর্মান্ধতা বা অন্য কোনো গন্ধ যদি কেউ তালাশ করতে চান, তারা আসলে বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। কারণ জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন মানবাধিকার সনদসহ মানবতার কল্যাণ চিন্তায় প্রণীত সকল সংস্কারেই আল্লাহ প্রদত্ত বিধানের প্রতিফলন আছে। যেখানে মানুষ নিজের সুবিধামতো এর ব্যত্যয় ঘটিয়েছে, সেখানেই পক্ষপাতের অভিযোগ সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু আল্লাহ প্রদত্ত বিধানের আলোকে প্রণীত মানবাধিকার সনদে সেই অভিযোগ নেই।
অধিকারের উৎস ভিন্ন নয়
অনেকে মনে করেন, বস্তুবাদী ও ধর্মীয় চিন্তাধারায় অধিকারের উৎস ভিন্ন। অথচ যারা অধিকারের ধর্মীয় উৎস স্বীকার করেন না, সেই তারাও বিশ্বাস করেন যে, অধিকারের জন্ম মানুষের বিবেক এবং প্রজ্ঞা থেকে, যা ব্যক্তি এবং সামাজিক জীবনে শুভ ও অশুভের মধ্যে পার্থক্য অনুধাবনে সক্ষম। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জাঁ জ্যাক রুশো তার ‘এমিল’ (ঊসরষব) গ্রন্থে বিবেককে বর্ণনা করেছেন খোদার অমর প্রেরণা, খোদার উৎস থেকে আসা কণ্ঠস্বর এবং শুভ ও অশুভর কল্যাণকামী ও সত্যনিষ্ঠ বিচারক হিসেবে। অন্যদিকে নবী-রাসূলের আ.-এর অনুসারীরা বিশ্বাস করেন যে, নবীরা মানুষকে ওইসব অধিকার সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন আল্লাহর নির্দেশেই। এ প্রসঙ্গে হুজ্জাতুল ইসলাম মুহাম্মাদ জাভেদ হুজ্জাতি কিরমানি মনে করেন, ‘এ দুটি পর্যবেক্ষণ পরস্পরবিরোধী নয়, বরং বাস্তবে একে অপরের পরিপূরক।’ তিনি তার এ উক্তির ব্যাখ্যা করে বলেছেন, প্রথম সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণার মূল কাঠামোটি হলো মানবজাতির ঐক্য। এ পর্যবেক্ষণ কেবল যে ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ তাই নয়, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এটির উদ্ভব হয়েছে ধর্ম থেকেই। মানবজাতিকে সাধারণভাবে যখন ‘হে জনগণ!, ‘হে মানবসকল!, ‘হে মানবজাতি! বলে সম্বোধন করা হচ্ছে, তখন স্পষ্টতই কুরআনের ‘সকল মানুষ সমান’ এই সূক্ষ্ম দৃষ্টিই প্রকাশ পাচ্ছে। ‘হে মানুষ! আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী থেকে, পরে তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে- যাতে তোমরা একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পরো।’ (সূরা আল-হুজুরাত : ১৩)।
কুরআনের পবিত্র এ বাণী ওই ধারণার যথার্থতা প্রমাণ করে। এ প্রসঙ্গে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সবাই আদমের সন্তান আর আদম মাটির তৈরি।’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অবসানের পর গৃহীত সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণায় পরিবারকে একক সত্তা হিসেবে গ্রহণের বিষয়টিও ওই সময়ের জনমানস এবং একটি আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। মানুষের অস্তিত্বের বাস্তবতার ভিত্তিতেই তার ঐক্যের বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও আমরা ইসলামী ও পাশ্চাত্যের মানবাধিকার ব্যবস্থার মধ্যে সাজুয্য খুঁজে পাই। ইসলামেও পরিবারকে অভিন্ন লাভ-ক্ষতির শরিক একটি একক সত্তা হিসেবে দেখা হয়। ইরানের বিশিষ্ট কবি শেখ সাদী যেমনটা বলেন, ‘আদম সন্তান পরস্পরে এক দেহের অঙ্গ/সৃষ্টির উৎসে তাদের উপাদান যে অভিন্ন/কালের দুর্বিপাকে ব্যথিত হয় যদি একটি অঙ্গ/স্বস্তিতে থাকতে পারে না, বাকি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ/অন্যদের দুঃখ-কষ্টে তুমি যে নির্বিকার, তোমাকে মানুষ বলা অনুচিত, অবিচার।’ (গুলিস্তাঁ, ১ম অধ্যায়, হেকায়ত নং ১০)। ইসলাম ও পাশ্চাত্যের মানবাধিকারের ধারণার আরেকটি অভিন্ন উপাদান হলো মানুষের প্রকৃতিগত মূল্য ও তার প্রতি শ্রদ্ধা। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই সর্বোত্তম, যে সবচেয়ে ন্যায়নিষ্ঠ।’ আর সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণার মুখবন্ধে মানব পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের সহজাত গুণাবলির স্বীকৃতির কথা বলা হয়েছে। আমাদের মনে হয়, এ ঘোষণা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কুরআনের মাধ্যমে প্রভাবিত অথবা অন্ততপক্ষে উভয়টিই পরম কার্যকারণ এবং মানবিক প্রজ্ঞার ধারণার সঙ্গে সাজুয্যপূর্ণ।
ইসলাম আনুষ্ঠানিকতার নাম নয়, মানবকল্যাণ ও মানবতার মুক্তির কার্যকর আদর্শ। তাই আনুষ্ঠানিকতায় বন্দি না থেকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এদেশের আলেম ও সংস্কার কমিশনের বিজ্ঞ সদস্যদের মাকাসিদ আল শরিয়াহ বা ইসলামের সৌন্দর্যের আলো খুঁজে বের করা জরুরি। তবেই তাদের কাজে এর প্রতিফলন ঘটবে। তখনই তারা বুঝতে পারবেন, নো ইস্ট নো ওয়েস্ট, ইসলাম ইজ দ্য বেস্ট।
নো ইস্ট নো ওয়েস্ট, ইসলাম ইজ দ্য বেস্ট
আল্লামা ইকবাল, মুহাম্মদ আসাদসহ অনেক বিজ্ঞজনের নামে একটি উক্তি বহুল প্রচলিত, যদিও কোথায় তখন তারা এ উক্তি করেছেন, তা এ প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়েনি। উক্তিটি হলো, পাশ্চাত্যে আমি ইসলাম দেখেছি, কিন্তু মুসলমান দেখিনি। মুসলিম দেশগুলোয় মুসলমান দেখেছি, কিন্তু ইসলাম দেখিনি। তবে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য বিভাগের প্রফেসর হুসেইন আসকারি ইসলামের বিধান মেনে চলার ব্যাপারে একটি গবেষণাকর্ম সম্পন্ন করেন। সেই গবেষণায় তিনি দেখার চেষ্টা করেছেন, বিশ্বের কোন দেশগুলোয় দৈনন্দিন জীবনে ইসলামী বিধান (মাকাসিদ আল শরিয়াহ বা ইসলামের সৌন্দর্য) মেনে চলা হয়। তার এ গবেষণার দেশের মধ্যে কারা কতটা রাষ্ট্র পরিচালনা ও সমাজের মধ্যে ইসলামী বিধান মেনে চলে, সেসব বিবেচনা করা হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ইসলামী রীতি মেনে চলা দেশের তালিকার শীর্ষে ইসলামী কোনো দেশের নাম নেই। এমনকি তালিকার ৩৩ নম্বরে রয়েছে মালয়েশিয়া এবং কুয়েত রয়েছে ৪৮-এ। গবেষক হুসেইন আসকারি বলেন, মুসলিম দেশগুলো রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ইসলামী আইন ব্যবহার করে। এমন অনেক দেশ আছে, যেগুলো ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। তবে সেখানকার সমাজে ইসলামী আইন মেনে চলা হয় না, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে; এমনকি ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড চলছে সেখানে। গবেষণার ফলাফলে দেখানো হয়েছে, সমাজে ইসলামী বিধান মেনে চলার ক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও বেলজিয়াম তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইন ৬৪ নম্বরে এবং সৌদি আরব রয়েছে ১৩১ নম্বরে। অন্যদিকে তথাকথিত ইসলামী দেশগুলোয় মুসলমানরা নামাজ আদায় করেন, রোজা রাখেন, কুরআন-হাদিস পড়েন, নারীরা পর্দা মেনে চলেন, দাড়ি রাখার সংখ্যা বেশি, ইসলামী পোশাক নিয়ে সচেতন; তবে সমাজে দুর্নীতি আর পেশাগত জীবনে অসদুপায় অবলম্বনের নজির চতুর্দিকে। এর আগে ২০১০ সালেও এক গবেষণায় ইসলামী বিধান মেনে চলা দেশগুলোর তালিকার শীর্ষে ইসলামী রাষ্ট্রের নাম ছিল না। ওই গবেষণায় নিউজিল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ডস ছিল তালিকার শীর্ষে।
ইচ্ছে করলে বাংলাদেশের বর্তমান সংস্কার কমিশন তাদের কাজে ইসলামী আদর্শকে প্রাধান্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বকে এ লজ্জা থেকে বাঁচাতে পারে। তারা এমন একটি সংস্কার উপহার দেবে- যাতে দেশের মানুষ ইসলামী অনুশাসন মানতে বাধ্য হবে। এ কাজটি করতে সবার আগে কমিশনের যে কাজটি করা দরকার তা হলো, শিক্ষা কমিশন ঢেলে সাজানো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এ কমিশন ‘ইসলামবিদ্বেষী’ এমন বিতর্কের কারণে ভেঙে দেয়ার পর নতুন করে আর গঠন করা হয়নি। অন্যদিকে নারী সংস্কার কমিশন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ, দেশের সংবিধান ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় আদর্শবিরোধী সুপারিশ করেছে। কেন এ হীনম্মন্যতা? পাশ্চাত্য মানবাধিকার রক্ষায় ইসলামী উৎস থেকে অধিকারের মূলনীতিগুলো গ্রহণ করে ইসলামী আদর্শ অনুসরণে এক নম্বরে অবস্থান করছে। কিন্তু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হয়েও আমরা কেন পারছি না? পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এর কারণ বিগত দিনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ইসলামবিদ্বেষী ব্রাহ্মণবাদী প্রতিবেশী একটি দেশ ও বস্তুবাদের মোড়কে নাস্তিকতাবাদী বামপন্থীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ইসলামকে জঙ্গি, মৌলবাদ ইত্যাদি নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে ইসলামফোবিয়ায় আক্রান্ত করে ফেলেছিল গোটা জাতিকে। তবে আশার কথা হলো, আস্তে আস্তে এ ফোবিয়া কেটে সোনালি সুদিন আসছে। তাই এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রত্যাশার পারদও ওপরে উঠছে। অন্তর্বর্তী সরকার এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলে শুধু এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নয়, মানবতা ও মানবাধিকারের পক্ষের গোটা বিশ্বও পাশে পাবে, এতে সন্দেহ নেই। তাই ভয় নেই, বিজয় আসবেই।