![](images/1715781330Halim.jpg)
গত ১৪ মে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এনডিএম-এর উদ্যোগে তামাশার উপজেলা নির্বাচন এবং প্রশাসনের নির্লজ্জ দলীয়করণ : ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, সকল দলের অংশগ্রহণে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। সকলে মিলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বাংলাদেশের যে নির্বাচনগুলো সব মানুষের কাছে নিরপেক্ষ হিসেবে গ্রহণযোগ্য, সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেনি। কারণ বাংলাদেশের জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারলে আর আওয়ামী লীগ তামাশা করতে না পারলে, তারা ক্ষমতায় আসতে পারে না। জনগণের কাছে ক্ষমতা থাকলে তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা দেয় না। এখন জনগণের ভোটাধিকার কেন নেই, এখান থেকেই তা বোঝা যায়।
গত ১৪ মে মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) কর্তৃক আয়োজিত ‘ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোমিনুল আমিনের সঞ্চালনায় আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন, এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, নেজামে ইসলাম পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান প্রমুখ।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করেনি। এ নির্বাচন ডামি নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ৬৩টি দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। উপজেলা নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা নির্বাচন ও ৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর একটা স্লোগান তৈরি হয়েছিল, ১০টা হুণ্ডা, ২০টা গুণ্ডা, ইলেকশন ঠাণ্ডা। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৯১ সালে বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা হয়। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করে পেয়েছিল ৮৮ আসন। আর ১৯৮৬ সালে পেয়েছিল ৭৬ আসন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৬২ আসন। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ১৪৬ আসন পেয়েছিল। জাতীয় পার্টির সহায়তায় তারা ক্ষমতায় এসেছিল। ১৯৯১ সালে ৮৮ আসন পেলেও জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে তারা ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, আজকে প্রহসনের নির্বাচন হচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার নাই বললেই চলে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় রয়েছে।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, কোনো প্রলোভন মুচলেকা দিয়ে জামায়াতের কোনো নেতা জেল থেকে বের হননি। তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নয়। দেশপ্রেমিক দল হিসেবে সব দলকে নিয়ে আমরা চলতে চাই। আদর্শিক ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু দেশের প্রশ্নে, জনগণের ভোটাধিকারের প্রশ্নে এক টেবিলে বসতে অসুবিধা নেই। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমান, সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদূদী ও অধ্যাপক গোলাম আযম একই টেবিলে বসে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছিলেন আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে। এটা মুখের কথা নয়, ছবি আছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকারের প্রশ্নে ১৯৯৫ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদীয় দলের প্রধান মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছিলেন। সাজেদা চৌধুরী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এক টেবিলে ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, কোনো রাজনৈতিক দলই ছোট নয়। সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। সকলে মিলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ববি হাজ্জাজ বলেন, ইসলামিক শক্তিগুলোকে সরকার পরিকল্পিতভাবে বিভক্ত এবং নিষ্ক্রিয় করে রাখার কৌশল নিয়েছে। তবে সরকারের সব কূটকৌশলকে ব্যর্থ করে জাতীয়তাবাদী এবং মূলধারার ইসলামী শক্তিগুলোকে একত্রিত করে অচিরেই আবার আমরা রাজপথে নামব, ইনশাআল্লাহ।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- বিদেশি ঋণের চাপে সরকার
- কৃষি ও শিল্পোৎপাদন ব্যাহত
- মেয়েরা এগিয়ে, ছেলেরা পিছিয়ে
- কমছে ভোটের হার
- ছাত্রশিবির জাতিকে মেধাবী ও নৈতিকতাসম্পন্ন নাগরিক উপহার দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে : সেক্রেটারি জেনারেল
- দীর্ঘদিনের চুলকানিতে অবহেলা নয়
- দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে : মুহাম্মদ শাহজাহান
- মুসলিম জনসংখ্যা কমছে ভারতে
- কার ওপর হজ ফরজ
- দেশে উইলসন রোগের নতুন দুটি মিউটেশন শনাক্ত
- বেড়ায় মাওলানা নিজামীর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভা