সংবাদ শিরোনামঃ

সাঁড়াশি অভিযানের আড়ালে প্রতিপক্ষ দলন ** ঈদের পরে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ২০ দল ** বাজেট বৈষম্যমূলক-অসহনীয়, ব্যবসাবান্ধব নয় ** সিয়ামের প্রকৃত শিক্ষাকে ধারণ ও বাস্তব জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে হবে : নূরুল ইসলাম বুলবুল ** বিরোধী রাজনীতিকদের চাপে রাখার কৌশল ** নিরপরাধ নেতাকর্মীদের জীবন নিয়ে নির্মম তামাশা মেনে নেয়া যায় না : ছাত্রশিবির ** দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম-গঞ্জে ** নেপথ্য খলনায়কদের আড়াল করতেই ক্রসফায়ার! ** সমাজে বিভক্তির কারণেই মৃত্যুর পরেও সম্মান পাননি মনিরুজ্জামান মিঞা : ড. এমাজউদ্দিন ** ‘অভিযান ছিল লোক দেখানো, বাণিজ্য হয়েছে পুলিশের’ ** ক্রসফায়ার : একটি ধারাবাহিক গল্প ** ক্রসফায়ার নয়, আদালতের মাধ্যমেই দোষীদের শাস্তি দিতে হবে ** টাকার ‘সাগর’ এবং অর্থমন্ত্রী ** রোজার তাৎপর্য ** একটি পারিবারিক বৈঠকের কিছু কথা ** ঈদকে ঘিরে ব্যস্ত কুষ্টিয়ার বুটিকস কারিগররা ** ‘বিশেষ’ অভিযান শেষ হলেও বন্ধ হয়নি গণগ্রেফতার ** সারাদেশে বিভিন্ন সংগঠনের ইফতার মাহফিল **

ঢাকা, শুক্রবার, ১০ আষাঢ় ১৪২৩, ১৮ রমজান ১৪৩৭, ২৪ জুন২০১৬

মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস
ভিন্ন ভিন্ন জাতি ও জনবসতিতে নবী রাসূলদের আগমন ঘটলেও তাদের দাওয়াতে কোন ভিন্নতা ছিল না। মানুষকে র্শিক থেকে ফিরিয়ে এনে এক আল্লাহর দাসত্ব কবুলের আহ্বান জানানোই ছিল সকল নবীর মিশন। যারা এর বিরোধিতা করতো তারা আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করতো না। তারা মনে করতো-বিশ্ব জাহানের একজন মালিক রয়েছেন। কিন্তু সমাজ-সামাজিকতা, আইন- অনুশাসন, অর্থনীতি রাজনীতি, প্রভৃতি ক্ষেত্রে তারা অন্যকে মানতো। অর্থাৎ তাদের বিশ্বাস ছিল এরকম-¯à§à¦°à¦·à§à¦Ÿà¦¾ থাকবে আসমানে, আর দুনিয়ায় মাতব্বরি করবে মানুষ। চলবে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো। এই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাদের কর্তৃত্বের আসনে বসে যায় বহু খোদা। এমন ধ্যান ধারণা ও বিশ্বাসকে আরবিতে র্শিক বলা হয়। যার প্রভাবে মানুষের জীবন লাগামহীন ঘোড়ার মতো হয়ে যায়। নাফ্স ও প্রবৃত্তি তাকে ইচ্ছে মতো টেনে নিয়ে বেড়ায়। জ্বেনা-ব্যভিচার, খুন-অপহরণ, ছিনতাই-রাহাজানি কোন কিছুকেই আর পাপ বলে মনে হয়না। আল কুরআনে যেখানে কাফির মুশরিকদের বর্ণনা দেয়া হয়েছে সেখানেই এ চিত্র ফুটে উঠেছে। বাস্তব জীবনে বহু খোদা মানার কারণেই তারা এসব পাপাচারে জড়িয়ে পড়ে। মহান আল্লাহ তাদের সংশোধনের জন্যে যুগে যুগে নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। তাই নবীদের দাওয়াতের প্রধান ও মূল বিষয়বস্তুই ছিল মানুষকে র্শিক থেকে মুক্ত করে সামগ্রিক জীবনে আল্লাহর প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা। এক লাখ বা দু’লক্ষাধিক নবী এ দাওয়াত নিয়ে এসেছিলেন বলে বিভিন্ন বর্ণনায় জানা যায়। অবশ্য আল কুরআনে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সকল নবীই ভিন্ন ভিন্ন জাতি ও জনপদে আগমন করলেও তাদের দাওয়াত ও মৌলিক দর্শন ছিল এক ও অভিন্ন। হজরত ঈসা (আ.) তার কওমকে ডেকে বলেছিলেন : হে বনি ইসরাইল, তোমরা শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনা ও দাসত্ব কর। তিনিই আমার ও তোমাদের প্রতিপালক। জেনে রেখো, যে ব্যক্তি আল্লাহর অংশীদার বানাবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন। তার আবাস হবে জাহান্নাম। আর জালিমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই। -সূরা আল মায়েদা : ৭২

হজরত শুয়াইব (আ.) এর দাওয়াত ছিল : আমি মাদইয়ানদের প্রতি তাদের ভাই শুয়াইবকে প্রেরণ করেছি। সে বললো : হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর। তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই।

-সূরা আরাফ : ৮৫

হজরত ইলিয়াস (রা.) এর দাওয়াতের সার কথা ছিল : নিশ্চয়ই ইলিয়াস ছিল রাসূল। সে তার সম্প্রদায়কে বললো: তোমরা কি ভয় করোনা? তোমরা কি তোমাদের তৈরি দেব-দেবীর ইবাদত করবে? এবং সর্বোত্তম ¯à§à¦°à¦·à§à¦Ÿà¦¾à¦•à§‡ পরিত্যাগ করবে? যিনি তোমাদের আল্লাহ তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ব পুরুষদের পালন কর্তা।

-সূরা আসসাফ

হজরত নুহ (আ.) তার সম্প্রদায়কে বলেছিলেন : হে আমার জাতি, তোমরা আল্লাহর হুকুম পালন কর। তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোনো ইলাহ নেই। তোমরা কি তোমাদের কৃতকর্ম ও পাপাচারের পরিণতির ভয় করো না?

-সূরা আরাফ : ৬৫

জ্ঞানে গুণে চরিত্র মাধুর্যে শ্রেষ্ঠ ছিলেন, হজরত ইউসুফ (আ.) তার সম্পর্কে আল কুরআনে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। মিসরের রূপসী মহিলারা তাকে পাপ কাজে নামাতে ব্যর্থ হয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করে। সেখানেও তিনি আল্লাহর দ্বীন প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন।

হে আমার কারাগারের সাথীরা, চিন্তা করে দেখ, বহু খোদা ভালো, নাকি একজন সর্বশক্তিমান আল্লাহ ভালো? তাকে বাদ দিয়ে তোমরা যার ইবাদত করছো, তারাতো মাত্র কতকগুলো নাম। সেগুলোতো তোমরা ও তোমাদের বাপ দাদারা সাব্যস্ত করে নিয়েছো। আল্লাহ এদের কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। আল্লাহ ছাড়া কারো বিধান দেয়ার ক্ষমতা নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করোনা। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানেনা। -সূরা ইউসুফ : ৩৯-৪০

প্রাচীন সভ্যতা ও জ্ঞান বিজ্ঞানের পীঠস্থান মিসর সাম্রাজ্যের স¤à§à¦°à¦¾à¦Ÿ ছিল মহাপরাক্রমশালী ফেরাউন। সে নিজকে মানুষের জীবন মৃত্যু ও কর্তৃত্ব প্রভূত্বের মালিক দাবি করে। হজরত মূসা (আ.) অকাট্য যুক্তি প্রমাণ ও মুজিজার মাধ্যমে তার দাবির অসারতা প্রমাণ করেন এবং এক আল্লাহর দাসত্ব কবুলের আহ্বান জানান।

আল কুরআনে বর্ণিত অন্যান্য নবী রাসূলের দাওয়াতেও কোন ভিন্নতা ছিল না। একই ভাষায় দাওয়াত দেন আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

হে আহলি কিতাবগণ, এসো আমরা এমন একটা কথার একত্রিত হই। যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য। তাহলো (১) আল্লাহ ছাড়া আর কারো বান্দাহ  হবেনা। (২) আল্লাহর উলুহিয়াতের সাথে কারো শরিক করবোনা এবং (৩) আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো অভিভাবক ও মালিক বলে মানবোনা। -সূরা আল ইমরান : ৬৪

অন্যত্র বলা হয়েছে : তোমরা কি আল্লাহর আনুগত্য ছাড়া অন্য কারো আনুগত্য করতে চাও? অথচ আকাশও পৃথিবীর প্রত্যেকাটি সৃষ্টি ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক তারই আনুগত্য করে যাচ্ছে। আর সকলেই তার কাছে ফিরে যাবে। -সূরা আল ইমরান : ৮৩

মোট কথা, যুগে যুগে যতো নবী-রাসূল এসেছেন তাদের সকলের দাওয়াতের সারকথা ছিল এক এবং অভিন্ন-বিশ্বাসে নিঃশ্বাসে, আচার আচরণে, সমাজ রাষ্ট্রে এক আল্লাহর প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করা।

দাওয়াতের প্রতিক্রিয়া

তখন জ্বেনা-ব্যভিচার, অশ্লীলতা-অপকর্মের সয়লাব বইছে ফিলিস্তিনে। চারদিকে পাপ পংকিল পরিবেশ। শিরকের ছড়াছড়ি। খোদ সরকারই ছিল তার পৃষ্ঠপোষক। যারা বিরোধিতা করতো, তাদের জান-মালের কোনো নিরাপত্তা ছিলনা। আল্লাহর নবী হজরত যাকারিয়া (আ.) এতে বাধা সৃষ্টি করেন। ইহুদিদের সত্য ন্যায়ের পথে আসার আহ্বান জানান। কিন্তু পাপিষ্ঠ শাসক ও নেতারা তাকে বরদাশত করতে পারে না। শেষ পর্যন্ত রাজা ইউআসের নির্দেশে ইহুদিরা পাথর মেরে হত্যা করে হজরত যাকারিয়া  (আ.)কে।

মাদইয়ান ও আইকাবাসীর নবী ছিলেন হজরত শুয়াইব (আ.)। তাদের পূর্ব পুরুষ হজরত ইব্রাহীম (আ.)। তার প্রচারিত দ্বীন ইসলামের উত্তরাধিকারী ছিলেন তারা। কিন্তু কয়েকশ বছরের ব্যবধানে তারা ইসলাম থেকে অনেক দূরে সরে যায়। মাদইয়ান ও আইকাবাসী যেসব পাপাচারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য à¦¹à¦²à§‹Ñ à¦°à§à¦¶à¦¿à¦•, ওজনে কম দেয়া, লেনদেনে হেরফের করা, ডাকাতি, ছিনতাই প্রভৃতি। এই দুটি কাওমকে সংশোধনের জন্য আল্লাহ হজরত শুয়াইব (আ.)কে নবী হিসেবে পাঠান। তিনি মর্মস্পর্শী ভাষায় তাদের সত্য ন্যায়ের পথে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা তা গ্রহণ না করে সাফ সাফ জানিয়ে দেয়, ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক না থাকলে আমরা তোমাকে পাথর মেরে হত্যা করতাম। একপর্যায়ে জনসভা ডেকে তার অনুসারী অনুগামীদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা দেয়, যারা শোয়াইবের দলে যোগ দেবে, তাদের ধ্বংস কেউ ঠেকাতে পারবেনা। নবী ও তার সঙ্গী সাথীদের উৎখাত করতে যখন তারা চুড়ান্ত সিন্ধান্তে উপনীত হয়, তখন আল্লাহ এ দুটি জাতিকে ধ্বংস করে দেন।

আল্লাহর প্রিয় নবী হজরত আইয়ুব (আ.) তাকে অনেক ধন সম্পদ ও সন্তান দান করা হয়। পরবর্তীতে তিনি কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তার ধন সম্পদ জমাজমি নষ্ট হয়ে যায়। সারা শরীরে দেখা দেয় যন্ত্রণাময় রোগ। স্ত্রী ছাড়া সকল আপনজন তাকে ছেড়ে চলে যায়। এমন অগ্নিপরীক্ষার পরও হজরত আইয়ুব (আ.) ধৈর্যহারা হননি। তিনি প্রতি মুহূর্তে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেন এবং তার কাছে সাহায্য চাইতেন।

হজরত মূসা (আ.) ছিলেন একজন বিখ্যাত নবী। তার ভাই হারুনও (আ.) ছিলেন নবী। প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি মিসরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং অলৌকিকভাবে বেড়ে ওঠেন। যে ফেরাউন তার আক্রমণ রোধ করতে শিশুদের ওপর গণহত্যা চালায়, সেই ফেরাউনের ঘরেই লালিত পালিত হন হজরত মূসা (আ.)। ফেরাউন ছিল খোদাদ্রোহী ও স্বৈরশাসক। তার জুলুম নির্যাতন ও স্বেচ্ছাচারিতা এতোটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, বনী ইসরাইলরা নিরাপত্তার অভাবে মুখ খুলতে পারতেন না। পরবর্তীতে আল্লাহর নির্দেশে সেই ফেরাউনের কাছে দাওয়াত নিয়ে যান হজরত মূসা (আ.)। তার সভাসদের অনেকেই মূসা (আ.) ওপর ইমান আনে কিন্তু পার্থিব স্বার্থে অন্ধ ফেরাউন তা গ্রহণ না করে তাকে হত্যার নির্দেশ দেয়। এমনি এক সঙ্কটময় মুহূর্তে হজরত মূসা (আ.) সঙ্গি সাথীদের নিয়ে হিজরতের উদ্দেশ্যে ফিলিস্তিনের সিনাই ভূখণ্ড অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। সামনে লোহিত সাগর। নারী পুরুষ শিশুদের নিয়ে তাকে এ সাগর পাড়ি দিতে হবে। এদিকে মুসলমানদের হিজরতের খবর জানতে পেরে ফেরাউন সৈন্য সামন্ত নিয়ে ধাওয়া করে। সামনে সাগর, পেছনে ফেরাউন বাহিনী। এ অবস্থায় দুর্বল ঈমানদাররা ভয়ে আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকে। হজরত মূসা (আ.) তাদের অভয় দিয়ে বলেন, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। অত:পর মুজিজার লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সাগরের ভেতরে রাস্তা হয়ে যায়। সে রাস্তা দিয়ে সহজে পার হয়। আর ফেরাউন বাহিনী পানিতে ডুবে মারা যায়।

পবিত্র আসমানি কিতাব ইঞ্জীলের ধারক বাহক ছিলেন হজরত ঈসা (আ.)। আল কুরআনে তাকে ঈসাহ আল-মসিহ ও ইবনে মারইয়াম নামে উল্লেখ করা হয়েছে। তার দ্বীন প্রচারে সবচাইতে বেশি বিরোধিতা করে ইহুদিদের রাব্বি বা পীর পুরোহিতরা। তারা পার্থিব সুযোগ সুবিধা ও স্বার্থ হাছিলের জন্যে আল্লাহর কিতাব তাওরাতকে ইচ্ছেমতো রদবদল করে নিয়েছিলেন। হজরত ঈসা (আ.) এর প্রতিবাদ জানালে তাদের গায় আগুন জ্বলে ওঠে। এক পর্যায়ে ইহুদি সমাজপতি ও পীর পুরোহিতরা বৈঠক করে একমত হয় যে, তাকে হত্যা করলে পথের কাঁটা দূর হয়ে যাবে। বিষয়টি বাদশাহকে জানানো হয়। পুরোহিতরা তাকে বুঝায় ঈসা ধর্মের নামে রাজনীতি শুরু করেছে। সে জনগণকে আপনার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে, কর দিতে নিষেধ করছে। এভাবে সে নিজেই ক্ষমতা দখল করতে চায়। তাদের এ অভিযোগ শুনে বাদশাহ ঈসা (আ.) কে হত্যার অনুমোদন দেয়। ইসলামী লেবাস ও বেশ ভুষাধারী একজন মুনাফিক একাজে সমাজপতি ও পুরোহিতদের সহায়তা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের খায়েশ পূরণ হয়না। আল্লাহ তায়ালা হজরত ঈসা (আ.) কে জীবিত অবস্থায় আসমানে তুলে নেন।

মুসলিম মিল্লাতের প্রাণ পুরুষ হজরত ইব্রাহীম (আ.)। তার পিতা আযর ছিল ধর্মীয় নেতা। সে নিজ হাতে মূর্তি তৈরি করতো। সেই মূর্তিকে সারাদেশের মানুষ দেবতা মনে করে উপাসনা করতো। এরা যে কিছুই করতে পারে না তা অকাট্য যুক্তির সাহায্যে তুলে ধরে মহান আল্লাহর দিকে আহ্বান জানান হজরত ইব্রাহীম (আ.)। তারা পাল্টা যুক্তি দিতে না পেরে তাকে নৃশংসভাবে হত্যার জন্যে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করে। কিন্তু আল্লাহ ইব্রাহীমের জন্যে আগুনের দাহ্য ক্ষমতা রোহিত করেন। ফলে আগুন তার একটি পশমও স্পর্শ করতে পারে না। এই দৃশ্য দেখে মুশরিকরা আরো ক্ষেপে যায় এবং নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। শেষমেশ হজরত ইব্রাহীম (আ.) সঙ্গি সাথীদের নিয়ে দেশ ত্যাগ করে ফিলিস্তিন ও পরবর্তীতে মিসরে গমন করেন। বৃদ্ধ বয়সে একটি পুত্র সন্তান লাভের পর আরেক অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন হন তিনি। আল্লাহর আদেশে শিশু সন্তান ইসমাইল ও স্ত্রী হাজেরাকে রেখে আসেন শত শত মাইল দূরে খাদ্য পানি ফল শস্যহীন মরুভূমিতে। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর আল্লাহ প্রিয়তম পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি করার নির্দেশ দেন। সন্তানের প্রতি ভালোবাসার বন্ধন তাকে আল্লাহর হুকুম পালনে বিরত রাখতে পারেনি। এভাবে বারবার ঈমানের অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছে মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইব্রাহীম (আ.)কে। এভাবে প্রত্যেক নবী রাসূলকেই আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত দিতে গিয়ে চরম প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।