সংবাদ শিরোনামঃ

আন্তর্জাতিক চাপে সরকার ** গুমের সঙ্গে এই সরকার জড়িত ** যেমন কর্ম তেমন ফল ** শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ** উৎপাদন খরচ কমলেও বাড়লো বিদ্যুতের দাম ** গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : বিএনপি ** প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিক্ষোভ, উত্তাল মালয়েশিয়া ** দেশ আতঙ্কিত অথচ সরকার বলছে শান্তিপূর্ণ ** রাষ্ট্র ও সরকারকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ** অনুভূতির সাগরে কুরআনের দেশে ** গুম দিবসও গুম হয়ে গেলো! ** ছোটদের বন্ধু নজরুল ** বন্যায় সারাদেশে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি অপর্যাপ্ত সরকারি সাহায্য ** রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ** যশোরের শার্শায় বাণিজ্যিকভাবে বেদানা চাষ **

ঢাকা, শুক্রবার, ২০ ভাদ্র ১৪২২, ১৯ জিলকদ ১৪৩৬, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

গত ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার প্রবল বর্ষণে রাজধানীর অধিকাংশ সড়কই পানিতে তলিয়ে যায় : সোনার বাংলা

সোনার বাংলা রিপোর্ট : একটু বৃষ্টিতেই ডুবে যায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট মহানগরী। অলিগলি রাজপথে পানি জমে। পানিবদ্ধতায় সৃষ্টি হয় চরম যানজট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনের ভিড়ে বন্ধ হয়ে যায় পায়ে চলা পথও। গত ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারের  বৃষ্টিতে দুর্ভোগ, যানজট আর পানিবদ্ধতায় বিপর্যস্ত নগরজীবনের এই চিত্র ঝড় তুলেছিল প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ায়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত  রাজধানীতে ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত ২৫ জুন দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছিল আবহাওয়া অফিস। সেদিনও পরিস্থিতির এত অবনতি হয়নি। কিন্তু গত ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার থেকে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকার জনজীবন। বিভিন্ন এলাকা সরজমিনে দেখা যায়, কাকরাইল-শান্তিনগর এলাকায় সড়কে হাঁটু পানি জমে গেছে। এতে যানবাহন আটকে পড়ে। সৃষ্টি হয় যানজটের। পানিবদ্ধতার কারণে অনেকগুলো সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে। অটোরিকশা পরিবর্তন করে অনেককে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় মানুষকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে।

মগবাজার, মৌচাক হয়ে মালিবাগ রেলগেট, রামপুরা ব্রিজ, মেরুল বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা এলাকায় হাঁটুপানি জমে যায়। জমে যাওয়া পানির কারণে অটোরিকশা ও অন্য যানবাহন রাস্তায় আটকে পড়ে। মধ্য বাড্ডায় রাস্তার ওপর ময়লার ভাগাড় পানিতে মিশে একাকার হয়ে সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দেয়। নর্দ্দা, কালাচাঁদপুর থেকে বারিধারা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যায়। এতে যানবাহন আটকে পড়ে। দুর্ভোগে পড়ে অফিসগামী যাত্রীরা।  ফলে রিকশায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে অনেককে অফিস ও কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। উত্তরার জসিম উদ্দিন রোড, এয়ারপোর্ট সড়ক, মহাখালী ফাইওভারের নিচে, আইসিসিডিডিআরবি থেকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত হাঁটু পানি জমে যায়।

কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকার সব সড়ক ও স্টেশনের প্রবেশ মুখ হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়ে মালামাল নিয়ে আসা যাত্রীরা। পানি দ্রুত নেমে না যাওয়ায় যাত্রীরা চরম বিড়ম্বনার শিকার হন। ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে সদরঘাট টার্মিনাল পর্যন্ত, ঢাকা মেডিক্যালের সামনের রাস্তা, গোলাপ শাহ মাজারের সামনে পানি জমে যায়। সদরঘাটমুখী যাত্রীদের ময়লা পানি মাড়িয়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে যেতে দেখা গেছে। কাকরাইল থেকে নয়াপল্টন হয়ে ফকিরাপুল, কমলাপুর পর্যন্ত পুরো রাস্তা ও আশপাশের গলি বৃষ্টিতে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে আছে। মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক বৃষ্টির পানিতে থই থই করতে দেখা যায়।

টানা বৃষ্টিতে মিরপুরের কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার বিভিন্ন রাস্তা ডুবে যায়। কোথাও কোথাও দোকানপাট ও বাড়ির নিচতলায় পানি ঢুকে পড়ে। এসব এলাকায় ওয়াসার লাইনের উন্নয়নকাজ চলার কারণে বিভিন্নস্থানে রাস্তা কাটা থাকায় এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। কাজীপাড়ার ইব্রাহিমপুরের আশি দাগ মোড় এলাকায় এক বাড়িতে ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। আর বাড়ির বাসিন্দারা বালতি দিয়ে সেই পানি বের করার চেষ্টা করছেন।

মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, ধানমন্ডি, পান্থপথ, গ্রিন রোডসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে যানবাহন থমকে ছিল। অ্যাম্বুলেন্সগুলোকেও ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল আলম চৌধুরী বলেন, বিদ্যমান ড্রেনেজ ব্যবস্থায় ঘণ্টায় ১৫-২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে পানি নিষ্কাশন সম্ভব। হঠাৎ করে এর চেয়ে বেশি হলেই পানিজট তৈরি হয়। আজ সে অবস্থা হয়েছে। এ ছাড়া আগের দু’দিনে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। অনেক এলাকায় আগে থেকেই পানিজট ছিল।

পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন, দুর্বল পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় এ জন্য দায়ী।

চট্টগ্রাম নগর জুড়ে থই থই পানি

চট্টগ্রাম থেকে প্রকশিত পূর্বকোণ লিখেছে, নগরীর ১২টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও আশপাশের কয়েকটি ওয়ার্ডও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্রমশ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নগরীর মানচিত্রের হিসাব অনুযায়ী, নগরীর এক-তৃতীয়াংশ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এবারের জোয়ারের পানি তারও দ্বিগুণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

চান্দগাঁও হামিদচর এলাকার ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন বলেন, ’৯১-এর ঘূর্ণিঝড়ের পর আমার ঘরে পানি উঠেনি। এবার পানি উঠেছে। এ রকম শত শত বাসা ও বাড়িতে পানিতে ঢুকেছে।’ তিনি বলেন, জোয়ারের পানি আগে এক ফুট উঠলেও এখন কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে হামিদচরসহ আশপাশের এলাকা। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান আমলে কালুরঘাট ব্রিজ থেকে হামিদচর এলাকা পর্যন্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। ৯১-এর ঘূর্ণিঝড় ও পরবর্তীতে সেই বাঁধ এখন বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। তাই নদীর পানিপ্রবাহ বিনা বাধায় অতি সহজেই জনবসতি এলাকায় ঢুকে যাচ্ছে।

১৮ নং বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুণ-উর-রশিদ পূর্বকোণকে বলেন, ‘আমার ওয়ার্ড কর্ণফুলী তীরে হওয়ার দ্রুত পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। আগে রাস্তাঘাটের পানি উঠলেও এখন বাড়িঘর, পুকুর, দোকানপাট তলিয়ে যাচ্ছে। হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে। একেবারে শোচনীয় অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সিটি মেয়র, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা সরেজমিন পরিদর্শন করে বেড়িবাঁধ ও স্লুইস গেট নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে চট্টগ্রামবাসী পানিবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগির আহমদ পূর্বকোণকে বলেন, ‘প্রতিবছর জোয়ারের পানিতে কোটি কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এভাবে জোয়ারের পানিতে চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আছাদগঞ্জের ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটা লাটে উঠার উপক্রম।

সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, মহেশখালী খালের জোয়ারের পানিতে আগে ২৪ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হতো।

এখন ওই দুটি ওয়ার্ড ছাড়াও ২৬, ৩৬ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও আশপাশের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নগরীর সাথে নদীর ও সাগরের সংযুক্ত খালের মোহনায় ৩৩টি স্লুইস গেট স্থাপনের প্রস্তাবনা ছিল। মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন না হওয়ায় দিন দিন জোয়ারের পানি সমস্যা বেড়েই চলেছে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।