সংবাদ শিরোনামঃ

আন্তর্জাতিক চাপে সরকার ** গুমের সঙ্গে এই সরকার জড়িত ** যেমন কর্ম তেমন ফল ** শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ** উৎপাদন খরচ কমলেও বাড়লো বিদ্যুতের দাম ** গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : বিএনপি ** প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিক্ষোভ, উত্তাল মালয়েশিয়া ** দেশ আতঙ্কিত অথচ সরকার বলছে শান্তিপূর্ণ ** রাষ্ট্র ও সরকারকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ** অনুভূতির সাগরে কুরআনের দেশে ** গুম দিবসও গুম হয়ে গেলো! ** ছোটদের বন্ধু নজরুল ** বন্যায় সারাদেশে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি অপর্যাপ্ত সরকারি সাহায্য ** রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ** যশোরের শার্শায় বাণিজ্যিকভাবে বেদানা চাষ **

ঢাকা, শুক্রবার, ২০ ভাদ্র ১৪২২, ১৯ জিলকদ ১৪৩৬, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

॥ মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম॥
আবর বসন্তের আন্দোলনে তছনছ ও এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল আরব বিশে^র অনেক দেশ। এগুলোর মধ্যে তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া, বাহরাইন অন্যতম। আরব বসন্তের পর কয়েকটি দেশ যেনতেনভাবে একটা সরকার ব্যবস্থা খাড়া করতে পারলেও লিবিয়া তা পারেনি। বিদ্যমান কার্যকর সরকার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় লিবিয়ায় এখন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হিংসা, হানাহানি, রক্তপাত এখন এ দেশের নিত্যদিনের ঘটনা। আর এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং উন্নত জীবনের আশায় লিবীয়দের অনেকে সমুদ্রপথে নৌকায় ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এটা করতে গিয়ে অনেকেরই পথে মৃত্যু হচ্ছে এবং যারা পৌঁছাচ্ছে তাদের ঠাঁই হচ্ছে উদ্বাস্তু শিবিরে। দেশটি ইতোমধ্যেই অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বলা হচ্ছে লিবিয়া এখন আরেকটি সোমালিয়া হতে চলেছে।

লিবিয়া উত্তর আফ্রিকার মাগরেব অঞ্চলের একটি দেশ। এদেশের সীমান্তে রয়েছে উত্তরে ভূমধ্যসাগর, পূর্বে মিসর, দক্ষিণ-পূর্বে সুদান, দক্ষিণে শাদ ও নাইজার এবং পশ্চিমে আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়া। দেশটি তিনটি ঐতিহ্যবাহী অংশ ত্রিপোলিতানিয়া, ফেজ্জান ও সাইরেনাইকায় বিভক্ত। ৭ লাখ বর্গমাইল আয়তনের এই দেশের জনসংখ্যা মাত্র ৬৫ লাখ। রাজধানী ত্রিপোলী। জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ মুসলিম। লিবিয়া আফ্রিকার চতুর্থ বৃহত্তম এবং বিশ্বের ১৭তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। তেল মজুদের দিক দিয়ে বিশে^ লিবিয়ার অবস্থান দশম।

১৯৬৯ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাদশাহ ইদ্রিসকে হটিয়ে মাত্র ২৭ বছর বয়সে ক্ষমতায় আসেন মুহাম্মার গাদ্দাফী। ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধের আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ৪১ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। তার আমলে লিবিয়া সমৃদ্ধি অর্জন করেছিল ঠিকই, কিন্তু রাজনৈতিক বিরোধের মুখে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা তখনও গড়ে ওঠেনি। আরব বসন্ত আন্দোলনে তিউনিসিয়া ও মিসরে শাসক পরিবর্তন হওয়ার পর লিবিয়ায় ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পূর্ণমাত্রার বিদ্রোহ শুরু হয়ে যায়। ন্যাটো, পাশ্চাত্য ও জাতিসংঘ এই গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহীদের সমর্থন যোগায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স এই যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে। তারা আকাশ পথে বিমান হামলা চালিয়ে লিবিয়ার সরকারি বাহিনীকে গুড়িয়ে দেয়। ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর গাদ্দাফী বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়েন এবং নিহত হন। কিন্তু গাদ্দাফী প্রশাসনের অবসানের পর লিবিয়ায় শান্তি ফিরে আসেনি, রাজনৈতিক বিরোধের অবসানও ঘটেনি বরং আরো জটিল আকার ধারণ করেছে। গৃহযুদ্ধকালে বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল বা জাতীয় উত্তোরণ পরিষদ নামে গড়ে তোলা প্রশাসনের এখন আর অস্তিত্ব নেই। বর্তমানে দু’টি রাজনৈতিক সংস্থা লিবিয়ার বৈধ সরকার বলে দাবি করছে। একটি হলো বৈধ সরকার হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত “দা কাউন্সিল অব ডেপুটিজ” বা ডেপুটিদের পরিষদ কিন্তু রাজধানী ত্রিপোলীতে এদের কোন পাত্তা নেই, এবং এরা পূর্বাঞ্চলীয় নগরী তবরুক থেকে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। অপরদিকে ইসলামপন্থীদের প্রাধান্য বিশিষ্ট “নতুন জেনারেল ন্যাশনাল কংগ্রেস” ২০১২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচিত জেনারেল ন্যাশনাল কংগ্রেসের বৈধ ধারাবাহিক উত্তরসূরী সরকার হিসেবে দাবি করে। বলা হয়ে থাকে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃত্বাধীন এই সরকারকে কাতার, সুদান ও তুরস্ক সহায়তা করে। ২০১৪ সালের জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর জেনারেল ন্যাশনাল কংগ্রেস ভেঙে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর জেনারেল ন্যাশনাল কংগ্রেসের সদস্যরা পুন:সংগঠিত হয়। ইসলামপন্থীদের কোয়ালিশন “লিবিয়া ডন” নিয়ন্ত্রিত ত্রিপোলীর সুপ্রিম কোর্ট ২০১৪ সালের নভেম্বরে তাবরুক ভিত্তিক সরকারকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার সহিংসতার হুমকির মুখে ঐ ঘোষণা দেয়া হয়েছে বলে তা প্রত্যাখ্যান করে। লিবিয়ার বহু অংশ এখন উভয় সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিভিন্ন ইসলামী, বিদ্রোহী ও উপজাতীয় মিলিশিয়ারা কিছু কিছু নগরী ও এলাকা শাসন করছে। পক্ষান্তরে জাতিসংঘ তাবরুক ও ত্রিপোলী ভিত্তিক উপদলগুলোর মধ্যে শান্তি আলোচনার আয়োজন করে চলেছে।

লিবিয়ার চরমপন্থী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। সঙ্কট নিরসনে আন্তর্জাতিক তথা পাশ্চাত্যের উদাসীনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। লিবিয়ায় চরমপন্থী গ্রুপগুলোর তৎপরতা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, ২০১৩ সালে তারা লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে অপহরণ করে। এরপর গত বছরের শুরুতে আরেকটি গ্রুপ মিসরীয় দূতাবাসের কর্মচারীদের অপহরণ করে। এসব ঘটনা সত্ত্বেও সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করার ইচ্ছার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।

এছাড়া আরো দুঃখজনক হলো জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবীয় সেনাবাহিনী গোলযোগ নিরসনের যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল তার প্রতি ইউরোপীয়রা সমর্থন যোগায়নি। ইউরোপীয়রা সমর্থন যোগালে হয়তো লিবীয় সেনাবাহিনীকে গড়ে তোলা এবং পরিচালনা করার একটা সুযোগ সৃষ্টি হতো। আর সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনী দেশকে ঐক্যবদ্ধ করা, জঙ্গিদের নির্মূল করা এবং রাজনৈতিক সমাধান আরোপ করার দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারতো। এরকম পরিকল্পনা সমর্থিত না হওয়ায় সঙ্কট বেড়েছে এবং চরমপন্থী গ্রুপগুলো বিস্তার লাভ করেছে।

ওদিকে ইউরোপের পক্ষ থেকে কথা বলতে গিয়ে ইতালীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জেনটিলোনি কয়েক সপ্তাহ আগে বলেছেন, “লিবীয়রা রাজনৈতিক চুক্তিতে সম্মত না হলে তারা সামরিক হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে।” কিন্তু কার্যত তাদের মধ্যে এরকম উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। লিবিয়া ইউরোপীয়দের নিরাপত্তা ও স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং ইউরোপের নিকট প্রতিবেশী।

কেউ বৈদেশিক হস্তক্ষেপের সময়কালে ফিরে যাওয়ার পক্ষপাতী নয় তবে যেখানে সকল ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বা দুর্বল হয়ে গেছে সেখানে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে এটাই একমাত্র সমাধান হতে পারে। লিবিয়ার অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া মর্মান্তিক। সম্প্রতি ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারগুলোর এক যৌথ বিবৃতিতে চলমান পরিস্থিতির নিন্দা করা ছাড়া তেমন কিছুই বলা হয়নি। তারা শান্তিপূর্ণ ও ঐক্যবদ্ধ জাতি প্রত্যাশী লিবিয়ার সকল পক্ষের প্রতি সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর সৃষ্ট হুমকি মোকাবেলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। পশ্চিমা দেশগুলো আবারও বলেছে, লিবিয়ার রাজনৈতিক সংঘাতের কোন সামরিক সমাধান নেই এবং তারা এই মর্মে উদ্বিগ্ন যে, সেখানে দিনদিন অর্থনৈতিক ও মানবিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। তাদের এই ধরনের বক্তব্য বিভিন্ন লিবীয় পক্ষগুলোর মধ্যকার স্থবির শান্তি আলোচনার ওপর কোন প্রভাব ফেলবে না। গত বছর মরক্কোয় সাময়িক চুক্তিতে উপণীত হওয়ার পর থেকে তারা নিস্তেজ হয়ে আছে।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত তবরুক ভিত্তিক সরকার ও পার্লামেন্ট লিবিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। জাতীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্র ও গোলাবারুদের চরম অভাব রয়েছে। এছাড়া প্রভাবশালী পশ্চিমা শক্তিগুলো সরকারের উপর্যুপরি অনুরোধ সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এমন কি বেনগাজিতে জঙ্গিরা জাতীয় সেনাবাহিনীকে অব্যাহতভাবে চ্যালেঞ্জ করে চলেছে।

লিবিয়ায় বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী ও উপজাতীয় জোট দেশকে বিভক্ত করে রেখেছে। লিবিয়া ইতোমধ্যেই অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে এবং ২০১১ সালের অক্টোবরে মুয়াম্মার গাদ্দাফীর ক্ষমতাচ্যুতির পর যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটিতে পশ্চিমাদের আগ্রহ মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে। লিবিয়াকে ত্যাগ করার মূল্য আঞ্চলিক ও বৈশি^ক উভয় দিক দিয়ে হবে চরম।

ওদিকে দায়েশ বা আইএস (ইসলামিক স্টেটস) লিবিয়ার রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে দারনায় এবং পরে সিরতেতে তাদের নিজের জন্য ঘাটি স্থাপন করে। অপরদিকে বিদেশী জিহাদীরা স্থানীয় উপজাতীয়দের সাথে হাত মিলিয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।  এটা হতবুদ্ধিকর যে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক কোয়ালিশন সিরিয়া ও ইরাকে দায়েশ অবস্থানের ওপর আঘাত হানলেও তারা কৌশলগতভাবে অবস্থিত এই দেশটিতে আইএস-কে গড়ে উঠার সুযোগ দিচ্ছে। ইউরোপের সৈকত থেকে মাত্র কয়েকশ’ মাইল দূরেই লিবিয়ার অবস্থান। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোই যে লিবিয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট কৌশল নিতে ব্যর্থ হয়েছে তা নয়। আরব দেশগুলোও বাগাড়ম্বরের বাইরে উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। লিবিয়া রাষ্ট্রের পতন মিসর, তিউনিশিয়া, ও আলজেরিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে। লিবিয়ার আসা-যাওয়ার দীর্ঘ মরু সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র ও যোদ্ধারা ঢুকছে। ওদিকে লিবিয়ায় জঙ্গি গ্রুপগুলোর হুমকি বৃদ্ধি পেলেও গুরুত্বপূর্ণ আবর দেশগুলো সম্মিলিত কৌশল গ্রহণে সম্মত হতে ব্যর্থ হয়েছে।

স্বীকৃত লিবীয় সরকার সিরতের সাম্প্রতিক পতন মোকাবেলায় বিমান হামলা চালানোসহ সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। আরব লীগের এরকম পরিস্থিতি মোকাবেলায় একটি যৌথ আরব বাহিনী গঠনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তবে তারা সেটা করতে পারে কিনা সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

আরবরা বা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় লিবীয় উপদলগুলোর অব্যাহত বিভক্তির প্রেক্ষাপটে যদি কোন পদক্ষেপ না নেয় তাহলে দায়েশ অব্যাহতভাবে সম্প্রসারিত হবে এবং তারা বর্তমান রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগিয়ে লিবিয়ার একটি অংশে খেলাফত কায়েম করবে। তখন এই অঞ্চল ও ইউরোপের প্রতি হুমকি নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে।

লিবীয়রা ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তিতে সম্মত হলে সেটাই হতো বিচক্ষণতার পরিচায়ক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে লিবীয় পক্ষগুলো এতটাই বিভক্ত যে তাদের পক্ষে শীঘ্রই একটি ঐক্য সরকারের ব্যাপারে সম্মত হওয়া প্রায় অসম্ভব। যদি তারা তা পারেও সেক্ষেত্রে চুক্তি বাস্তবায়ন সহজ হবে না। ২০১১ সালে লিবীয় সংঘাতে হস্তক্ষেপ একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে আছে এবং ঐ হস্তক্ষেপেই ইতোমধ্যেই ভঙ্গুর রাষ্ট্রের পতন ঘটেছে বলে বিশ^াস করা হয়ে থাকে। তবে দায়েশের বিষয়টি সবকিছু বদলে দিয়েছে।

পরিশেষে, পরিস্থিতি যাই হোক, বর্তমান সভ্য সমাজে লিবিয়াকে গোলযোগের আবর্তে পড়ে তিলে তিলে ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে সঙ্কট নিরসনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ আশু প্রয়োজন। আর লিবীয়রা নিজেরাই একটা রাজনৈতিক ঐকমত্যে আসতে পারলে সেটা সবচেয়ে বেশি উত্তম। লিবিয়ায় কার্যকর সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক, রক্তপাত, হানাহানি বন্ধ হোক এবং শান্তি-শৃক্সক্ষলা ফিরে আসুক এটাই আমাদের এই মুহূর্তের কামনা। 

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।