সংবাদ শিরোনামঃ

আন্তর্জাতিক চাপে সরকার ** গুমের সঙ্গে এই সরকার জড়িত ** যেমন কর্ম তেমন ফল ** শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ** উৎপাদন খরচ কমলেও বাড়লো বিদ্যুতের দাম ** গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : বিএনপি ** প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিক্ষোভ, উত্তাল মালয়েশিয়া ** দেশ আতঙ্কিত অথচ সরকার বলছে শান্তিপূর্ণ ** রাষ্ট্র ও সরকারকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ** অনুভূতির সাগরে কুরআনের দেশে ** গুম দিবসও গুম হয়ে গেলো! ** ছোটদের বন্ধু নজরুল ** বন্যায় সারাদেশে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি অপর্যাপ্ত সরকারি সাহায্য ** রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ** যশোরের শার্শায় বাণিজ্যিকভাবে বেদানা চাষ **

ঢাকা, শুক্রবার, ২০ ভাদ্র ১৪২২, ১৯ জিলকদ ১৪৩৬, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

দেশ আতঙ্কিত অথচ সরকার বলছে শান্তিপূর্ণ

॥ কামরুল হাসান॥
বর্তমানে সারাদেশে কেমন যেন একটা আতঙ্ক অবস্থা বিরাজ করছে। অথচ সরকার বলে বেড়াচ্ছে দেশে নাকি শান্তি-শৃঙ্খলা বিরাজমান!

রাহুল রাহার সঞ্চালনায় ‘সমসাময়িক রাজনীতি’ বিষয়ক আলোচনায় গত ৩১ আগস্ট বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ ২৪-এ প্রচারিত ‘মুক্তবাক’ অনুষ্ঠানে জাসাসের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরের সর্বোত্তম উপায় বা পদ্ধতি উদ্ভাবন করে। আর সেই প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে একটা ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি অতি পরিচিত রাজনৈতিক দল। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশে বিএনপি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও গণমানুষের দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । এই কারণেই বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবে। কিন্তু বর্তমানে দেশের এ কি অবস্থা?

তিনি আরো বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করার উপায় নেই। দেশের সব বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে শুধু শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন না করতে দেওয়ার জন্য। এটা কোন ধরনের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র?

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই

এখনো বাংলাদেশে ৬৮% বিদ্যুৎ গ্যাস থেকে তৈরি হয় এবং এই জ্বালানিটা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড মাত্র ১ ডলারে পায়। অর্থাৎ প্রতি ১ হাজার ঘনফুটের জন্য ১ ডলার। আমার জানামতে পৃথিবীর কোথাও কেউই এতো সস্তায় গ্যাস পায় না। এর পরেও তাদের উৎপাদন খরচ কিভাবে ৬ টাকা হয়? কারণ আমরা এখনও অদক্ষ পাওয়ার প্লান্টের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চালাচ্ছি। ফলে এতো কম দামে মূল জ্বালানি পাওয়ার পরেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে।

গত ৩০ আগস্ট ইনডিপেন্ডেন্ট চ্যানেলে প্রচারিত খালেদ মুহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় ‘আজকের বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে ‘দামের বাড়াবাড়ি’ বিষয়ক আলোচনায় বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে স্বল্পমাত্রায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোন প্রয়োজনীয়তা বা যৌক্তিকতা রয়েছে বলে মনে হয় না। একবার দাম বাড়ালে ১ বছরের মধ্যে আর বাড়ানো যাবে না এটাই নিয়ম। কিন্তু তা না করে বার বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। বার বার না বাড়িয়ে যতটুকু প্রয়োজন একবারে বাড়ালেই পারে। তাহলে সমাজে অস্থিরতার সৃষ্টি হয় না।

প্রকৃত এনকাউন্টার চাই

প্রকৃত আসামির শাস্তির ব্যাপারে আমরা কোনো দুর্বল গল্পের আশ্রয় নিতে চাই না। কারণ দুর্বল গল্প সন্দেহের সৃষ্টি করে। আমরা বাংলাদেশে এমন একটি আইনি ব্যবস্থা চাই, যেখানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সাহসের সাথে প্রকৃত এনকাউন্টার করতে পারবে এবং এর প্রতিটি গল্প আমরা পত্রিকায় প্রকাশ করতে চাই।

গত ২৮ আগস্ট রাতে আরটিভির ‘আওয়ার ডেমোক্রেসি’ অনুষ্ঠানে সিনিয়র সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান একথা বলেন। খন্দকার ইসমাইলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটির আলোচ্য বিষয় ছিল ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা ও চলমান রাজনীতি’।

নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা কখনই প্রযোজ্য নয় এবং এটা সবাই একবাক্যে স্বীকার করে নেবে। তবে এনকাউন্টার, ক্রসফায়ার কিংবা বন্দুকযুদ্ধ যদি প্রকৃত আসামির বেলায় হয়, তবে এটা নিয়ে কোনো বিতর্কের প্রশ্ন উঠবে না।

তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাস কিংবা সহিংসতা যারা করে, তারা সবসময় ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় লালিত এবং তাদের মদদেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেদারসে চলে। তবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সবসময় ক্ষমতাসীন দলের মধ্যেই নয় বরং শক্তিশালী বিরোধী দলের মধ্যেও এমন তৎপরতা দেখা যায়।

ষড়যন্ত্রে সমাজ-রাষ্ট্র নষ্ট ও কলুষিত হয়ে যায়

যখন কোন সমাজ বা রাষ্ট্র তার স্বাভাবিক গতিতে পরিচালিত না হয়, সমাজ বা রাষ্ট্রের সকল কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবে না চলে, তখনই সেই সমাজে নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু হয় এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্রকারীদের বিচরণ আমরা লক্ষ্য করি। বর্তমান বাংলাদেশে সঠিকভাবে গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে না। বর্তমান বাংলাদেশের মানুষ একটা নির্বাচিত সরকার দেখতে চায়, কিন্তু সেটা তারা দেখতে পাচ্ছে না। বাংলাদেশকে একটি গণতন্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিনির্মাণের যথেষ্ট চেষ্টা করার পরও আমরা সেটা করতে পারছি না। গণতন্ত্রের পথ ধরে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র তৈরির পথেও আমরা হাঁটতে পারছি না। সমাজ ও রাষ্ট্রের এ সকল স্বাভাবিক কার্যক্রম বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে সমাজ ও রাষ্ট্রে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র বাসা বাঁধে। এই ষড়যন্ত্রের কারণে সমাজ, রাষ্ট্র নষ্ট ও কলুষিত হয়ে যায়।

গত ২৭ আগস্ট নিউজ চ্যানেল ২৪ -এ প্রচারিত ‘মুক্তবাক’ অনুষ্ঠানে রাহুল রাহার সঞ্চালনায় ‘রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র’ বিষয়ক আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এডভোকেট আহমেদ আযম খান এসব কথা বলেন।

এডভোকেট আহমেদ আযম খান আরো বলেন, আমার বক্তব্য খুব স্পষ্ট, আমার মনে হয় শুধু বিএনপিকে গালাগাল দেওয়া এবং জিয়া পরিবারকে দোষারোপ করাই বোধহয় বাংলাদেশের রাজনীতিতে একমাত্র কাজ। বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া যে বাংলাদেশের রাজনীতি হবে এটা কেন জানি আওয়ামী লীগ তথা বর্তমান সরকারি দল কোনভাবে চিন্তা করতে পারে না।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে জাসদের ষড়যন্ত্র

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জাসদ একপর্যায়ে গণবাহিনী সৃষ্টি করে অসংখ্য আওয়ামী লীগ , যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করেছিলো। সেই সময়ে জাসদ বেছে বেছে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীদেরসহ এমপিদের পর্যন্ত হত্যা করেছে। শুধু হত্যাই করেনি, দেশে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে নিজেদের ছায়াতলে একত্রিত করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার নীলনকশা করেছিলো।

গত ২৫ আগস্ট রাতে ‘ইনডিপেন্ডেন্ট’ চ্যানেলে প্রচারিত ‘আজকের বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এসব কথা বলেন। খালেদ মুহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় ‘তৃণের মূল’ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ এবং রাজনীতিবিদ মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান।

কাজী ফিরোজ রশীদ আরো বলেন, বাংলাদেশে জাসদ সৃষ্টি না হলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র কেউ করতে পারতো না। এতোদিন পরে আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রবীণ নেতা শেখ সেলিমের যৌক্তিক বক্তব্যের মাধ্যমে সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এবং শেখ সেলিম তৎকালীন সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল সফিউল্লাহকে দায়ী করেছেন। শুধু শেখ সেলিমই নয় আমরা সকলেই তাকে দায়ী করি।

তিনি বলেন, সেই সময়ে বঙ্গবন্ধু বিপদ বুঝতে পেরে সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল সফিউল্লাহকে ফোন করেন কিন্তু ফোনের জবাবে বঙ্গবন্ধুকে তিনি বলেছিলেন- ‘আপনি সুযোগ পেলে বেরিয়ে চলে যান’। এখানেই অবাক লাগে একজন সামরিক বাহিনীর প্রধানের মুখে এমন কথা কিভাবে আসে। তখন সফিউল্লাহর উচিত ছিলো সৈন্যবাহিনী নিয়ে ছুটে আসা।

জাসদের সাথে আওয়ামী লীগের ভয়ঙ্কর একটা রাজনৈতিক শত্রুতা ছিলো

জাসদ পূর্বে যে রাজনীতি করেছে এবং এখন যে রাজনীতি করছে তার এই যে রূপান্তর বা পরিবর্তন, এটার জন্য তারা কখনও কৈফিয়ত দেয়নি। অর্থাৎ তাদের এই রূপান্তর বা পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা না দেয়ার কারণে সেই দায়টা জাসদের রয়েই গেছে এবং এ কারণেই আলোচনা হচ্ছে, আলোচনা হবে। শুধু এটাই নয় আমাদের দেশের নানান বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হচ্ছে, আলোচনা হবে।

গত ২৯ আগস্ট একাত্তর টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় ‘একাত্তর জার্নাল’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে জাসদের নির্বাচনী ঐক্য বা সমঝোতা সেটা যুক্তিসঙ্গত। জাসদের সাথে আওয়ামী লীগের ভয়ংঙ্কর একটা রাজনৈতিক শত্রুতা ছিলো। কিন্তু জাসদ একটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক দল অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ বিপক্ষের জায়গাটিতে জাসদ আওয়ামী লীগের জোট অংশীদার। এটা নিয়ে আমার কোন সংশয় নেই। তবে কারো কারো সংশয় থাকতে পারে।

হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে, অসহ্য কষ্টে ভয়াবহ পদ্ধতিতে বিদেশে যাওয়ার যৌক্তিকতা বা প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে আমাদের অর্থনীতি সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, এইভাবে বিদেশে যাওয়ার পেছনে কারণ রয়েছে। প্রথমত তারা তাদের স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে অর্থাৎ নিজের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের বিনিময়ে হলেও বাবা- মাসহ নিজের পরিবারকে একটু ভালো রাখার জন্য এমন করে। দ্বিতীয়ত আমাদের দেশে সামাজিকভাবে যেকোন কাজের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যার ফলে একটা শিক্ষিত ছেলে দেশের বাইরে যে কাজ নির্দ্বিধায় করতে পারে দেশে সেটা পারে না। ফলে কিছুটা বাধ্য হয়েই দালালের মাধ্যমে অবৈধ পথে বিদেশে যায়।

টাকা উপার্জনের আশায় দালালের খপ্পরে বাঙ্গালী

ইতালির প্রতিটি শহরে প্রচুর পরিমাণে বাঙালি রয়েছে। এর মধ্যে রোমে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার বাঙালি রয়েছে। এছাড়া সেখানে কিছুদিন থাকার পর সেখানকার কোন বৈধ কাগজ পেয়ে গেলে উন্মুক্তভাবে থাকার বৈধতা পেয়ে যায়। মুলত: এই সব কারণে বাঙালিদের ইতালি যাওয়ার প্রতি এতবেশি প্রবণতা দেখা যায়। ফলে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে ইতালি, লিবিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়।

গত শনিবার রাতে মতিউর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় চ্যানেল আই-এ অনুষ্ঠিত ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম. সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,  যেভাবে ঐ সকল মানুষ এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাচ্ছে সেটা আসলেই বিপজ্জনক। উত্তাল সমুদ্রপথে জীবনের র্ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন রুটে ঘুরে ঘুরে যায়। আবার যারা তাদের নিয়ে যায় কখনো কখনো মাঝসাগরে ফেলে রেখে যায়। রাডার ও কাণ্ডারী ছাড়া, সাগরে ভাসতে থাকে। দেখা যায় প্রতিনিয়ত এগুলো ঘটছে। তবে এবার বাংলাদেশীদের সংখ্যা অনেক বেশি।

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে

আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এত পরীক্ষা-নিরীক্ষার আসলেই দরকার ছিলো কিনা সে প্রশ্ন অবশ্যই করা যায়। আমরা যদি কুদরত-ই খুদার শিক্ষা কমিশনটাই শুধু বাস্তবায়ন করতাম তাহলে এত কিছুর কোন প্রয়োজন ছিলো না। সেখানে তিনি দু’টো বিষয়ে বলেছেন। প্রথমত মাতৃভাষা শিক্ষা এবং দ্বিতীয়ত একমুখী শিক্ষা। আমাদের বহু ধারার শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে, সে প্রশ্ন তো আছেই। যেমন মাধ্যমিক পর্যায়ে একসময় বলা হলো বস্তুনিষ্ঠ শিক্ষার কথা অর্থাৎ অবজেক্টিভ পদ্ধতি, পরবর্তীতে বলা হলো সৃজনশীল পদ্ধতি। কতরকম পদ্ধতিই না আমরা প্রয়োগ করেছি! কেনই বা করলাম! এসব পদ্ধতি আদৌ যুক্তিযুক্ত কিনা, সে বিষয়টি বোধগম্য নয়।

গত ২৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে সময় টেলিভিশনের ‘সম্পাদকীয়’ অনুষ্ঠানে ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা’ আলোচ্য বিষয়ের উপর পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব ও সদস্য অধ্যাপক শামসুল আলম এসব মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক শামসুল আলম আরো বলেন, ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থায় এত পরীক্ষা-নিরীক্ষা, এত পদ্ধতির প্রয়োগ হয়নি। তারা প্রথাগত শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা করছে এবং অনেক ভালো ভালো শিক্ষার্থী অবশ্যই বের হচ্ছে সেখান থেকে। এখন কথা হচ্ছে, আমরা মূল বিষয়টির ওপর জোর না দিয়ে পদ্ধতির ওপর বেশি জোর দিয়েছি। আমরা মনে করছি, পদ্ধতি আমাদের দক্ষ করবে, পদ্ধতির মাধ্যমেই শিক্ষাব্যবস্থার বা শিক্ষার মানের আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। কিন্তু আমরা কখনও ভাবিনি শিক্ষার্থীরা কতটুকু গ্রহণ করতে পারবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।