কুষ্টিয়ায় হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতারণা

কুষ্টিয়া থেকে সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্থানে হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতারণা চলছে। চমকপ্রদ ব্যানার, পোস্টার ও ডিশ লাইনে প্রচারিত বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জেলার বিপুল জনগোষ্ঠী প্রতিদিন এই অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন। কুষ্টিয়ার অলিগলিতে এসব কবিরাজি চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। অশ্লীল লেখা পোস্টার, লিফলেট ও বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হারবাল চিকিৎসককে শাস্তি ও গ্রেফতার করলেও কিছুদিন পর আবার তারা স্বদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে অপচিকিৎসা। তবে, কথিত হারবাল চিকিৎসার মূলহোতারা থেকে যাচ্ছেন অগোচরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি বা অল্টারনেটিভ মেডিসিন বিশ্বের সর্বত্র স্বীকৃত। গাছ-গাছড়ার ভেষজ চিকিৎসা থেকে শুরু করে আকুপাংচার, হাইড্রোথেরাপি, অ্যারোমাথেরাপি ইত্যাদি ব্যতিক্রমী চিকিৎসা বিভিন্ন দেশে চালু আছে। হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদি কিংবা ইউনানি পদ্ধতিতে চিকিৎসার জন্য অনেক দেশে সরকারিভাবে হাসপাতালও প্রতিষ্ঠা করে দেয়া হয়। অথচ একটি অসাধু চক্র বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভেষজ বা হারবাল চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

সূত্রে  প্রকাশ ওষুধ প্রশাসন আইনে নিষিদ্ধ হলেও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে সহজ-সরল মানুষকে হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতারিত করছে একটি চক্র। এমএক্সএন হারবালের স্থানীয় হেকিম মফিজুল ইসলাম সাগর বলেন, এসব ওষুধের কোনো ভিত্তি নেই। মানুষের চিন্তা ভাবনা অনেক নিচে নেমে গেছে। বিভিন্ন টেলিভিশনে অভিনেতা-অভিনেত্রীও এ বিষয়ে বিজ্ঞাপনও দেন। ডা. সাদ্দাম হোসেন জুয়েল জানান, অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে হারবাল চিকিৎসা বিশ্বের সর্বত্র স্বীকৃত। চিকিৎসার মূল লক্ষ্য রোগীকে সুস্থ করা, তা সম্ভব না হলে উপসর্গগুলো কমানো এবং অবশ্যই কোনো ক্ষতি না করা। তাই যে পদ্ধতিতেই চিকিৎসা দেয়া হোক না কেন, তার পেছনে যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি। ভেষজ চিকিৎসা হলেও তা যথাযথ হতে হবে। এর পেছনে পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। মনগড়া যা খুশি তা করার সুযোগ নেই।