বিশ্বে এক তৃতীয়াংশ মানুষ অধিক লবণ গ্রহণের ফলে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়ে থাকে : ডা. ব্রিগেডিয়ার (অব.) এ মালিক

অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ফলে আমাদের রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কিডনী ফেইলিয়র এবং হার্ট ফেইলয়ের ঝুঁকি বেড়ে যায়। লবণ কম গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে, ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলিয়র ঝুঁকি কমে যায়। ‘বিশ্ব লবণ সচেতনতা সপ্তাহ’ ২০১৫ উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের সহযোগিতায় আয়োজিত গণমুখী সেমিনারে প্রধান অতিথির ভাষণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) এ মালিক এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন বিশ্বে এক তৃতীয়াংশ মানুষ অধিক লবণ গ্রহণের ফলে উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত হয়ে থাকে। ব্রিগেডিয়ার এ মালিক বলেন প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য দিনে ৫ গ্রাম এর কম লবণ গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং শিশুদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ আরও কম হওয়া উচিত, তাই শৈশব থেকেই কম লবণযুক্ত খাদ্য খাওয়ানোর অভ্যাস করা বাঞ্ছনীয়। বিশ্ব লবণ সচেতনতা সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় “খাবারের লুকানো লবণের মাত্রাধিক্যতা সম্পর্কে সচেতন হোন।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ডা. এম এনায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে এবং পাবলিসিটি সেক্রেটারি আবু তালেব মুরাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তিলাওয়াত করেন মো. কামাল উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুস সবুর মিয়া, সিলেট স্কলার্সহোম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার (অব.) মো. জুবায়ের সিদ্দিকী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট এনসিডি মো. মনিরুজ্জামান।

শুরুতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আমিনুর রহমান লস্কর কর্তৃক স্বাগত বক্তব্যের পর, বিশ্ব লবণ সপ্তাহ ২০১৫ এর বিভিন্ন দিক এবং অধিক লবণ গ্রহণে কুফল তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্স ইনস্টিটিউটের এমিডেমিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ইউনাইটেড ফোরাম এগেইস্ট ট্যোবাকো এর সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ডা. সুহেল রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন খাবারের সাথে আলগা লবণ এবং অধিক লবণ খেলে বিভিন্ন জটিল রোগের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের শারিরীক সুস্থ্যতা এবং স্মৃতিবিভ্রাট এর ঝুঁকি বাড়ে। তিনি বলেন উচ্চ লবণযুক্ত খাবার গ্রহন করলে পাকস্থলীর ক্যান্সারসহ কিডনী রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে সেই সাথে পাকস্থলীর স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  প্রেস বিজ্ঞপ্তি।