সংবাদ শিরোনামঃ

গাজায় ইসরাইলি হামলা : বিপন্ন মানবতা ** ঈদের পর আন্দোলন ** ঈদবাজারের সিংহভাগই বিদেশী পণ্যের দখলে ** দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও দেশ গড়তে হলে রোজার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করতে হবে : মাওলানা আব্দুল হালিম ** রাজনীতিতে বদ্ধ ও গুমোট অবস্থা বিরাজ করছে ** ঈদের আনন্দ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে ** এ যেন সেই ‘ভাতে মারবো, পানিতে মারবো’র মতো ব্যাপার-স্যাপার! ** সারাদেশে বিভিন্ন সংগঠনের ইফতার মাহফিল ** ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ ** ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য ** সেকালের ঈদ **

ঢাকা, শুক্রবার, ১০ শ্রাবণ ১৪২১, ২৬ রমজান ১৪৩৫, ২৫ জুলাই ২০১৪

সোনিয়া সাইমুম বন্যা
আম্মার ইবনে ইয়াসীর,

শত্রুর মাঝে অকুতোভয়, সিংহ সাহসী বীর,

যার দু’টি চোখে ফিরদাউসের পাখি গড়েছিল নীড়,

শত জুলুম আর নির্যাতনেও হয়নি নত যে শির,

সুমাইয়া যার জননী আজো ইতিহাসে যার নাম

প্রথম শহীদ, শ্রদ্ধায় হয় বিনত হৃদয় বার বার।

বাবা ইয়াসির, আর জেহেলের নিষ্ঠুরতার বর্ম,

যতটা কঠিন তারও চেয়ে ছিলো প্রিয় শান্তির ধর্ম,

নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার আয়োজন ছিলো যত

পারেনি ফেরাতে রেখেছে শরীরে অগণন স্মৃতি ক্ষত।

তপ্ত মরুতে প্রখর রৌদ্র আগুনের মতো ঝরে

চোখে ভাসে আজো পাথর বুকেতে কাতরায় কেউ পড়ে।

আকাশ রাঙিয়ে আবীর ছড়ায় ঘুমায় রাতের তারা,

তবু বুঝি শেষ হয় না ওদের ব্যথার শোণিত ধারা।

ক্ষত-বিক্ষত নিষ্প্রাণ দেহে কালিমার সুধা পানে,

রাসূল প্রেমের ফুল যেন ফোটে জীবনের জয়গানে।

 

আম্মার ইবনে ইয়াসীরÑ

কত শত স্মৃতি ফুল সম ফুটে বুক জুড়ে করে ভীড়,

মরুর ধূলিতে খুশবু ছড়ায় অলৌকিক সে জোনাকী,

যার শেষ নেই তার কথা যায় ছন্দের তারে বোনা কি?

নবীজী দু’হাতে প্রসারি বলেন, ওগো দয়াময় রহমান,

ইয়াসীর পরিবার জুড়ে দাও সবরের ঢেউ বহমান।

নির্যাতনের আগুনে পোড়া যে ক্ষত-বিক্ষত শরীর,

আখেরী নবীর প্রতিশ্রুতি সে মেহমান হুর পরীর।

মদীনার প্রান্তরেÑ

আম্মার চলে কখনো হেঁটে

উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় অনিশ্চিত সে যাত্রা

মদীনা পৌঁছে সেই ভাবনায় ফিরে পেল নব যাত্রা

খোশ আমদেদ জানিয়ে তাকে, মদীনায় এলো বান-

মুবাশশির বিন মুনজির পেলো জান্নাতি মেহমান,

ক্রীতদাস পেলো স্বাধীন জীবন, পাখিরা মুক্ত,

“মসজিদে কোবা” যার সাথে আজো তার নাম হয়ে যুক্ত।

হিজরত পরে তারই প্রস্তাবে শুরু মসজিদ তৈরি,

আনসার আর মুহাজির যেন ভাই ভাই নয় বৈরী,

পাথরের পর পাথর কুড়িয়ে জড়ো করে যায় চারপাশ,

পাথরের ভাড়ে নুয়ে পড়া দেহে ঘন ঘন ওঠে নিঃশ্বাস।

তবুও কাজের নেই বিরতি বিনিময় দেবেন আল্লাহ,

এই ভাবনায় একে অপরের সাথে দিয়ে যায় পাল্লা।

নবীজীও সাথে যোগ দেন কাজে পাষাণ পাথর বইতে

এতটুকু তিনি বসতে নারাজ বিশ্রামটুকু সইতে।

বলেন, আমিতো মানুষের নবী তোমাদের সাথী ভাই,

ইসলাম বলে সাম্যের কথা কোনো ভেদাভেদ নাই।

নেই তাতে কোনো মনিব ভৃত্য, নেই ছোট-বড় কাজ,

আল্লাহর কাজে সকলি সমান নেই দ্বিধা নেই লাজ।

ক্রীতদাস আম্মারÑ

ব্যথিত হৃদয়ে ছুটে এসে নেন নবীজীর সেই ভার।

সবাই যখন একটি একটি পাথর করেছে জড়ো,

তার হাতে কাঁধে দু’টি তিনটি কখনো বা বেশি তারো,

সুরে সুরে গান “নাহলুল মুসলিমুন নাবাতিল মাসজিদ”

নবীও মেলান সুর “না আমা নাবানিয়াতাল মাসজিদ।”

সে সুরধ্বনি অনুরণিত হয়ে যায় সব বুকে,

সাহাবারা সব কাজের ভিড়ে গেয়ে উঠে মুখে মুখে।

আম্মার বিন ইয়াসীরÑ

মৃদুল বাতাসে দোদুল দোলায় ঝাটপাতা শির শির,

পাথরের ভাড়ে ন্যুব্জ দেহে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলে,

বুকেতে ঈমানী রোশনাই যার এভাবেই বুঝি জ্বলে?

কাধে পিঠে তার মুশরিকদের নির্যাতনের চিহ্ন,

নবীজীর স্নেহে বেদনার স্মৃতি পাপড়িরা হয় ছিন্ন।

ধুলিবালিময় আম্মার

সৌভাগ্যের ঝুলিটা এবার পূর্ণ হলো যে তার

দরদীয়া মন রাসূল আমার নিজ হাতে ধূলো ঝেড়ে,

বললেন, আছো শহীদ মিছিলে, সত্য তোমায় যাব না ছেড়ে।

সাহাবীরা ছিলো রাসূল অন্তঃপ্রাণÑ

বুঝে নিলো তারা, আম্মার পেলো ফেরদাউসের সুঘ্রাণ।

ইয়ামামা ময়দান

আবু বকরের সাথে আম্মার ছোটে সাহসের প্রাণ

ভণ্ড নবী মুসায়লামার যুদ্ধের কৌশলে,

ছত্রভঙ্গ মুসলিম সেনা পিছু হটে দলে দলে।

আম্মার বিন ইয়াসীরÑ

পিছু হটে যাওয়া সেনাদের তিনি ডেকে হন অস্থির,

বলেন, তোমরা ময়দান নাকি জান্নাত ছেড়ে যাচ্ছো?

ফিরো এসো সব, ভয় কি যাদের শহীদী সুবাস পাচ্ছো?

অসীম সাহসে খোলা তলোয়ারে আম্মার ঝলসায়,

মুসায়লামার স্বপ্নের তাজ খান খান হয়ে ভেঙে যায়।

ক্রীতদাস আম্মার

দ্বিতীয় খলিফা তার হাতে দেন কুফার শাসন ভার

বেদনা বিধূর কত কথা তার মন জুড়ে উঠে ভেসে,

অহঙ্কারের এতটুকু ছাপ আসে না আচারে-বেশে।

অলিতে গলিতে ঘুরে ঘুরে তার কেটে যায় হররোজ,

প্রজাদের সুখ দুঃখ ও ভালো মন্দের করে খোঁজ।

আম্মার বিন ইয়াসীর

সাহসে রঙিন প্রজাপতি যেন পাখা মেলে আছে

বয়সের ভার ও পারেনি নেভাতে ঈমানের ফুলকি

ফিনফিনে চলে বোরাক সম সাহসের ঘোড়া দুলকি।

ফোরাতের কূলে আম্মার আজ দুর্জয় সেনাপতি,

বয়স ছুয়েছে নব্বই তবু শৌর্যে আসেনি যতি।

ঈমানের কাছে জীবন তাদের ঝরাপাতা সম তুচ্ছ

সত্যের কাছে পরাভূত হয় অলীক আলোক গুচ্ছ,

একে একে গেলো সপ্তাহ পেরিয়ে তবু নেই ফয়সালা

আম্মার ভাবে ফুল হয়ে কবে সাজাব শহীদ মালা?

অষ্টম দিনে সাথীদের ডেকে কিছুটা খাবার চান,

মনে পড়ে তার নবীর বাণী “দুধ হবে শেষ পান।”

মৃদু হেসে তিনি বললেন, “আজ এসে গেছে সেই দিন।”

পেয়েছি মহান প্রভুর ইশারা শুধিবো তার সে ঋণ।”

বলেছে প্রভু জান্নাত দেবো জান-মাল বিনিময়ে,

বীর বিক্রমে ময়দানে নামে মরণ নেশার জড়ে।

ইবনে গামিয়া পিছু থেকে দেয় বিষের বর্ষা ছুঁড়ে,

হাসিমুখে যেন আম্মার যায় সবুজ পাখিতে উড়ে।

শাহাদাতের সুধা পিয়ে হয় ফিরদাউসের যাত্রী

তার বীরগাঁথা কাহিনীতে আজো আলোকিত হয় রাত্রি।

আম্মার বিন ইয়াসীর

ইতিহাস জুড়ে ধ্রুবতারা সম জ্বলজ্বলে এক মুসাফির।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।