আজহারের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্য ২৭ এপ্রিল

সাক্ষী রতনের তিন ভাইই থাকেন ভারতে

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষের ১০ম সাক্ষী রতন চন্দ্র দাসের জেরা শেষ হয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল রোববার সকালে তাকে জেরা করেন আজহারের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুস সুবহান তরফদার। ১১তম সাক্ষীর জন্য আগামী ২৭ এপ্রিল সময় নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। জেরায় সাক্ষী রতন চন্দ্র দাস বলেন, আমরা চার ভাই দুই বোন। আমরা চার ভাইই জীবিত আছি। বাকী তিন ভাই এদেশে নাই, ভারতে আছে। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে অপর দুই সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী রতন দাসের জেরা সম্পন্ন হয়। গাজীপুর জেলা কারাগারে আটক এটিএম আজহারুল ইসলামকে এ উপলক্ষে গত রোববার সকালে আনা হয়  ট্রাইব্যুনালে। সাক্ষ্য গ্রহণকালে তিনি এজলাস কক্ষের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনির, রায়হান উদ্দিন, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন প্রমুখ। অন্যদিকে সরকার পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম,তাপস কান্তি বল, রেজিয়া সুলতানা চমন প্রমুখ।

৯নং সাক্ষী রতন চন্দ্র দাসের জেরার বিবরণ : শোভা দিদির বাবা- মায়ের বাড়িতে আমি অল্প কয়েকদিন ছিলাম। সেখানে সে সময় শোভা দিদির বাবা, মা, ভাই ও বোনেরা সবাই বাড়িতে ছিল। শোভা দিদির গ্রামের বাড়ি থেকে আমার গ্রামের বাড়ি আনুমানিক ২০ মাইল দূরে। আমরা চার ভাই দুই বোন। আমার চার ভাই জীবিত আছেন। বাকী তিন ভাই এদেশে নাই, ভারতে আছে। আমার এক ছেলে এক মেয়ে। বর্তমানে আমার ছেলে আমাদের সংসারের ব্যয়ভার বহন করে। আমার ছেলের নাম রুবেল চন্দ্র দাস। রুবেল চন্দ্র দাস বর্তমানে বেকার নয়। ইহা সত্য নহে যে, ১৯৭১ সালে আমি রংপুরে ছিলাম না এবং ইহা মিথ্যা, বানোয়াট ও শিখানো। আমি শোভা দিদিদের বাড়িতে ১৯৭১ সালে যখন ছিলাম তখন শোভা দিদির ভাই বোন সকলকে চিনতাম না। আমি ঢাকায় এসে শোভা দিদি বা তার ভাইয়ের বাসায় ছিলাম না। আমি কোথায় ছিলাম বা আছি সেই জায়গার নাম সঠিকভাবে মনে করতে পারছি না। ১৯৭০/৭১ সালে কারমাইকেল কলেজের ছাত্রলীগের বা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক কে ছিলেন তাহা আমি বলতে পারব না। ইহা সত্য নহে যে, আমি যে আজহারুলের নাম বলেছি তা শিখানো মতে বলেছি। আমি যে রান্না-বান্নার কাজ করতাম তার স্বপক্ষে কোনো দালিলিক প্রমাণ আমার কাছে নাই। ইহা সত্য নহে যে, এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সত্য রঞ্জন দাসের যোগাসাজশে আমাকে পাচক হিসেবে পরিচিতি দিয়ে এই মামলায় সাক্ষ্য দেওয়াইয়াছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সুনীল বাবু ও রামকৃঞ্চ বাবু পার্শ¦à¦¬à¦°à§à¦¤à§€ যে গ্রামে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন সেই গ্রামের নাম আমি বলতে পারব না। ইহা সত্য নহে যে, ঐ বাঙ্গালী লোকজনের মধ্যে আমি একজনকে চিনতে পারিয়াছিলাম তাহার নাম আজহারুল নয়। আমি পেশায় একজন দিনমজুর। আমি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ কে ছিলেন তাহা বলতে পারব না। আমি তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট পিরোজপুর রেস্ট হাউজে বসে জবানবন্দী দিয়েছিলাম। তারিখ স্মরণ নাই। আমি যেদিন তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট জবানবন্দী দেই সেদিন একাই ছিলাম। আমি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে চিনি, তিনি অদ্য ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত আছেন। ইহা সত্য নহে যে, প্রসিকিউশন কর্তৃক শিখানো মতে কাঠগড়ায় একজন আসামি থাকায় আমি তাকে সনাক্ত করেছি। পাক আর্মি সম্ভবত বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি রংপুরে আসে। বিহারী এবং পাক আর্মিদের সাথে কারমাইকেল কলেজের ছাত্রদের সাথে গণ্ডগোল ছিল তাহা আমি জানি। ইহা সত্য নহে যে, আমি কারমাইকেল কলেজের শিক্ষক সুশীল বাবু ও রামকৃঞ্চ বাবুর পাচক ছিলাম না বা আমি আসামি এটিএম আজহারুল ইসলামকে চিনতাম না বা আমি আসামি এটিএম আজহারুল ইসলামকে কোনো দিন দেখি নাই বা চিনতাম না। ইহা সত্য নহে যে, আমি একজন শিখানো সাক্ষী।