সংবাদ শিরোনামঃ

ভারতের নদী হত্যা অব্যাহত ** সরকার দ্রুত নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে ** সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ ** মোদি জিতলে ‘হারবে’ ভারত ** ১৮ দল আন্দোলনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ** বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ; বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য কোনো বিশেষ ধর্ম দায়ী হতে পারে না : সউদী রাষ্ট্রদূত ** বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ ** পহেলা বৈশাখে ‘ফিলদি রিচ’দের তাণ্ডব! ** বাংলা নববর্ষ ** সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ কুষ্টিয়াবাসী ** আত্রাইয়ে ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে উৎপাদন, পরিবেশ হচ্ছে দূষিত ** ক্ষুধার জ্বালায় হনুমানগুলো কাতর **

ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪২১, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৩৫, ১৮ এপ্রিল ২০১৪

স্টাফ রিপোটার : একদিকে মজুরি বৃদ্ধি, অন্যদিকে শ্রমিক নিরাপত্তার প্রশ্নে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা পড়েছে লোকসানের মুখে। গত ১৫ বছরে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি। ফলে কিছু পোশাক কারাখানা বন্ধ হয়ে গেছে। গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় নতুন মজুরি কার্যকর হয়। ৭৭ ভাগ মজুরি বৃদ্ধি পেয়ে শ্রমিকদের এখন সর্বনিম্ন মজুরি দাঁড়িয়েছে ৫,৩০০ টাকা। গত বছরের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১৩৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু এবং এর আগে তাজরীন ফ্যাশনস-এ আগুনের ঘটনায় শ্রমিক নিরাপত্তা এবং নিম্ন মজুরি নিয়ে চাপের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। এই চাপ এড়াতে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হয়। কিন্তু মজুরি বৃদ্ধির চাপ সহ্য করতে পারছে না অনেক পোশাক কারখানা। জার্মান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডিডব্লিউ  সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর কারণ, আন্তর্জাতিক ক্রেতারা পোশাকের দাম বাড়াচ্ছে না। ফলে ছোট ছোট অনেক পোশাক কারাখানা এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবনের সামনে বন্ধ হওয়া এ সব পোশাক কারখানার শ্রমিকরা প্রতিদিনই ভিড় করছেন।

গত সপ্তাহে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার এরকম একটি পোশাক কারাখানা বন্ধ করে দেয়ার পর সেই কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয় বিজিএমইএ ভবনের সামনেই। তারা জানান, মালিক কর্তৃপক্ষ দু’মাসের বেতন না দিতে পেরে কারাখানা বন্ধ করে দিয়েছে কিছু না জানিয়েই। একই ভবনের আরো কয়েকটি  গার্মেন্টসও বন্ধ হওয়ার পথে বলে জানান তারা। ৯৪৬টি পোশাক কারখানার ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে যে, তাদের মাত্র ৪০ ভাগ নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে পেরেছে মাত্র ৫ ভাগ কারখানা। বিজিএমইএ-র সহ সভাপতি শহীদুল আযিম জানান, ‘‘অনেক পোশাক কারখানারই নতুন মজুরি বাস্তবায়নে সক্ষমতা নেই।’ একই সঙ্গে রানা প্লাজা ধসের পর শ্রমিক নিরাপত্তা, কম মজুরি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা প্রশ্নে পশ্চিমা ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তারা ভারত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ায় চলে যাচ্ছেন। ব্যাবিলন গ্রুপ নামের একটি পোশাক কারাখানার পরিচালক ইমদাদুল হক জানান, গত বছর ফ্রান্সের একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এক লাখ ৩০ হাজার শার্ট নিয়েছে। আর এবার তারা নিচ্ছে অর্ধেকেরও কম মাত্র ৬০ হাজার পিস শার্ট। অন্যদিকে, সিমকো গ্রুপ একই ক্রেতাকে পোশাক সরবরাহ করে লাভের পরিবরর্তে শতকরা ২ ভাগ লোকসান গুনছে। পরিস্থিতি সামলাতে ক্রেতাদের পোশাকের দাম বাড়াতে অনুরোধ করলেও তারা সাড়া দিচ্ছেন না। জানা গেছে, এখন পাঁচটি পোশাক কারখানার মধ্যে চারটিই এই পরিস্থিতির মুখোমুখি। যেমন ব্যাবিলন গ্রুপ এর আগে ২.৬৯ ভাগ লাভ করলেও এখন তাদের উল্টো ২.৪২ ভাগ লোকসান হচ্ছে। গত চার মাসে বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় প্রবৃদ্ধির ধারা গত ১৫ বছরেও সর্বনিম্ন, যা পোশাক কারখানার জন্য অশনি সঙ্কেত। বিজিএমইএ-র সহ-সভাপতি শহীদুল আযিম বলেন, ‘‘একদিকে ক্রেতারা নানা প্রশ্নে অর্ডার কমিয়ে দিচ্ছেন আর অন্যদিকে রয়েছে বাড়তি মজুরির চাপ। এই দুই দিকের চাপ এখন সামাল দিতে হচ্ছে পোশাক কারখানার মালিকদের।”

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।