সংবাদ শিরোনামঃ

ভারতের নদী হত্যা অব্যাহত ** সরকার দ্রুত নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে ** সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ ** মোদি জিতলে ‘হারবে’ ভারত ** ১৮ দল আন্দোলনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ** বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ; বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য কোনো বিশেষ ধর্ম দায়ী হতে পারে না : সউদী রাষ্ট্রদূত ** বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ ** পহেলা বৈশাখে ‘ফিলদি রিচ’দের তাণ্ডব! ** বাংলা নববর্ষ ** সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ কুষ্টিয়াবাসী ** আত্রাইয়ে ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে উৎপাদন, পরিবেশ হচ্ছে দূষিত ** ক্ষুধার জ্বালায় হনুমানগুলো কাতর **

ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪২১, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৩৫, ১৮ এপ্রিল ২০১৪

ভোজ্যতেলেই এখন ভেজালের ব্যাপকতা। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (আইপিএইচ) পরীক্ষায় দেখা গেছে, দেশে বিক্রি হওয়া ভোজ্যতেলের ৮৭ শতাংশই ভেজাল। এসব ভোজ্যতেলে এসিটিক এসিডের মাত্রা অনেক বেশি। রয়েছে রক্ষণাবেক্ষণ দুর্বলতাও। এতে নষ্ট হয়েছে গুণগত মান। মান যাচাইয়ের জন্য সয়াবিন তেলের ৪০০টি নমুনা সংগ্রহ করে আইপিএইচ। পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় ৩৪৯টি বা ৮৭.২৫ শতাংশ নমুনায় ভেজাল শনাক্ত হয়।  ভোজ্যতেল, বিশেষ করে সয়াবিন তেলে এ ধরনের ভেজালের কারণে মানবদেহে শক্তির জোগান ও টিস্যু গঠন বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।  তাদের মতে, এসিটিক এসিডের অতিরিক্ত মাত্রা হার্টের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ হতে পারে। এমনকি ক্যান্সারের মতো রোগও হতে পারে এতে। উপরন্তু মানহীন সয়াবিন তেল হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিসসহ শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয়। আইপিএইচ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভোজ্যতেলের ৪০০ নমুনা সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটি। পরীক্ষার পর মাত্র ৫১টি বা ১২.৭৫ শতাংশ নমুনায় সব উপাদান সঠিক মাত্রায় পাওয়া যায়।

বাকি নমুনায় এসিটিক এসিডের মাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। সাধারণত ভোজ্যতেলে উপাদানটি ১ শতাংশের নিচে থাকার কথা থাকলেও ৮৭.২৫ শতাংশ নমুনায় উপাদানটি পাওয়া যায় তার চেয়ে বেশি মাত্রায়।

জনস্বাস্থ্য ল্যাবরেটরির পরীক্ষক ও মান বিশ্লেষক আইয়ূব খান বলেন, সয়াবিন তেলের মান পরীক্ষা করে উচ্চমাত্রার ভেজাল পাওয়া গেছে। এসব সয়াবিন তেলের মধ্যে পাম বা নিম্নমানের তেল মিশ্রণের প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া পরীক্ষায় অধিকাংশ কোম্পানির তেলে এসিডের মাত্রা বেশি রয়েছে। যেসব নমুনায় উপাদানগুলো সঠিক অনুপাতে পাওয়া যায়নি, সেগুলোকেই ভেজাল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) তথ্যানুযায়ী, সঠিক মানের সয়াবিন তেল নির্ণয় করতে এর রঙ, এসিড ও আয়োডিন ভ্যালু, রেজিস্টিভ ইনডেক্স ও মেল্টিং পয়েন্ট পরীক্ষা করা হয়। যেসব তেল সঠিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে পরিশোধন করা হয়, সেগুলোয় এসিড ভ্যালু কম থাকে। যেগুলোয় এসিড ভ্যালু বেশি থাকে, সেগুলো পরিশোধন ছাড়াই বা স্বল্প পরিশোধনে বাজারজাত করা হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (এফএও), গ্লোবাল ফোরাম ফর নিউট্রিশন ও আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশনের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, মানবদেহে দৈনিক প্রয়োজনীয় ক্যালরির ৩০ শতাংশ আসা উচিত ভোজ্যতেল থেকে।

অথচ বাংলাদেশে ৩০ শতাংশ তো দূরের কথা, ক্যালরির সামান্যই আসছে ভোজ্যতেল থেকে।

বর্তমানে দেশে মাথাপিছু বার্ষিক ভোজ্যতেল ব্যবহারের হিসাবে দৈনিক প্রাপ্ত ক্যালরির মাত্র ৯ শতাংশের উৎস ভোজ্যতেল। অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড, যা মানবদেহের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়, তারও উৎস হতে পারে ভোজ্যতেল। কিন্তু অতিমাত্রায় ভেজালের কারণে কাক্সিক্ষত মাত্রায় মিলছে না এসব। উল্টো স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও বিএসটিআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. গোলাম মাওলা বলেন, ভেজাল ও মানহীন ভোজ্যতেলের নিয়মিত ব্যবহার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। স্বল্পমেয়াদে বদহজম, গ্যাস্ট্রিক, খাবারে অরুচি ও হৃদপিণ্ডে ক্ষত সৃষ্টি করে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে হৃদপিণ্ড, যকৃৎ ও ফুসফুসও আক্রান্ত হতে পারে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার আগেই ভেজাল রোধে নজরদারি বাড়ানো জরুরি। পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির বিধানও আরো কঠোর করতে হবে। এদিকে কয়েক বছরের ব্যবধানে ভোজ্যতেলের বাজারের আকার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। দেশে প্রতি বছর ১৮-২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। বিপুল পরিমাণ এ চাহিদার বিপরীতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ২-৪ লাখ টন। অর্থাৎ চাহিদার প্রায় পুরোটাই মিটছে আমদানির মাধ্যমে।  বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ভোজ্যতেল ও তেলবীজ আমদানি ছিল ৮,১৬০ কোটি টাকার। পরের দুই অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮,৩৩৬ কোটি ও ১৪ হাজার ৪৭১ কোটি টাকায়।

তবে ২০১২-১৩ অর্থবছরে আমদানি কিছুটা কমে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরের (২০১৩-১৪) প্রথম প্রান্তিকেই আমদানি দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৪১ কোটি টাকায়। খাদ্যে ভেজাল নিরূপণসংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ সচিব এমএম নিয়াজ উদ্দিন।  তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্যে ভেজালের ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরীক্ষার প্রতিবেদন দেখা হয়েছে। জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করবে।                 সূত্র: বণিক বার্তা

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।