সংবাদ শিরোনামঃ

ভারতের নদী হত্যা অব্যাহত ** সরকার দ্রুত নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে ** সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ ** মোদি জিতলে ‘হারবে’ ভারত ** ১৮ দল আন্দোলনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ** বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ; বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য কোনো বিশেষ ধর্ম দায়ী হতে পারে না : সউদী রাষ্ট্রদূত ** বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ ** পহেলা বৈশাখে ‘ফিলদি রিচ’দের তাণ্ডব! ** বাংলা নববর্ষ ** সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ কুষ্টিয়াবাসী ** আত্রাইয়ে ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে উৎপাদন, পরিবেশ হচ্ছে দূষিত ** ক্ষুধার জ্বালায় হনুমানগুলো কাতর **

ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪২১, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৩৫, ১৮ এপ্রিল ২০১৪

॥ সৈয়দ খালিদ হোসাইন ॥
সরকার বিরোধী আন্দোলনে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করছে বিএনপি। আর এরই অংশ হিসেবে বিএনপির নিজ দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে দলের বিভিন্ন স্তরে একাধিক বৈঠকও করা হয়েছে। দলটির বিভিন্ন শাখা সংগঠনে ইতোমধ্যে নেতৃত্বের কিছুটা পরিবর্তনও আনা হয়েছে। অপরদিকে ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামীও মাঠে তৎপর রয়েছে। সরকার পতনের আন্দোলনের বাইরে দলটি জনস্বার্থেও কর্মসূচি পালন করছে। বিশেষ করে নাগরিক সমস্যাগুলো নিয়ে কর্মীদের মাঠে সক্রিয় রাখছে জামায়াত। এছাড়া ১৮ দলীয় জোটের বাকী শরিকদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও ১৮ দলীয় জোট নেতা বেগম খালেদা জিয়া। দলগুলোকে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি অর্জনের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

১৮ দলীয় জোটের শরিকদলগুলো সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে ঢাকা মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সফর এবং কর্মসূচি পালন করছেন বলেও বিভিন্ন দলীয় সূত্রে জানা গেছে। সম্মিলিতভাবে শক্তি অর্জনের পর ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম এক শীর্ষ নেতা। সাংগঠনিক তৎপরতার অংশ হিসেবে বুধবার সকালে বিএনপির নয়াপল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে যৌথসভা করেছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এ সভায় বিএনপির সকল অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এ সভায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পেশাজীবী ও রাজনৈতিক সংগঠনকে আগামী দিনে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এদিকে সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া তৃণমূলের সঙ্গে ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে বৈঠক করেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ওই বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিন রুশদী লুনাসহ দুই জেলার তৃণমূল নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আন্দোলনের একমাত্র এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করা হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তৃণমূল নেতাদের সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বিএনপি নেতা এডভোকেট আবদুল গফফার। অপরদিকে ১৩ এপ্রিল রাতে নেত্রকোনা ও নওগাঁ জেলা বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ওই বৈঠকে নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সভাপতি আশরাফ উদ্দীন খানসহ দুই জেলার তৃণমূল নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকেও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আরো বড় আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।

বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ, সহযোগী সংগঠন ও বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শাখার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ১৬ এপ্রিল  বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়াপারসর বেগম খালেদা জিয়া ১৮ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ধারাবাহিক এসব বৈঠকে সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন বেগম খালেদা জিয়া।

এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বসে আন্দোলনের আওয়াজ দিলে কোনো লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আন্দোলনের স্থান হচ্ছে রাজপথ। শহর নগর থেকে শুরু করে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় কর্মীদের বেড়িয়ে পড়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে আন্দোলনের ভাষায় কথা বলতে হবে। তিনি বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচারী সরকার বলে মন্তব্য করেন বলেন, সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে চাইলে আইন মেনে আন্দোলন করলে চলবে না। তিনি বলেন, সরকার যেভাবেই হোক ক্ষমতা হাত ছাড়া করতে চায় না। সরকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট ও দুর্নীতি করে বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণœ করছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন হলে আমরা ন্যায় বিচার পাব, সরকার ইচ্ছা করলেই হয়রানি করতে পারবে না। গয়েশ্বর বলেন, আজকে যাদের হাতে শাসন ব্যবস্থা রয়েছে তারা গণতন্ত্র বুঝে না, জানতেও চায় না। এ কারণে বিএনপিকে সংগঠিত করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। যেমন সরকার তেমন ওষুধ দিতে হবে। তিরি বলেন, সরকারের যে মতি গতি, তাতে মনে হচ্ছে এ সরকার আর কখনোই সংলাপে বসতে চাইবে না। বর্তমান সরকারের সব ধরনের অপকর্মের জবাব দিতে হলে রাজপথে নামার কোনো বিকল্প নেই। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারের পতন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ক্ষমতায় থেকে সরকার যেসব অপকর্ম করেছে তার জন্য একদিন অবশ্যই এ সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা। ১৫ এপ্রিল গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাকালে তিনি বলেন, আওয়ামী সরকারের সকল অপকর্ম, অপঃশাসন, অন্যায় ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য দেশে গুম, খুন ও হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। তারা বিরোধীমতের নেতাকর্মীদের হত্যা করে একদলীয় বাকশালী সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই দেশকে একটা নৈরাজ্যে পরিণত করেছে। যা একটা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি বলেন অতীতেও অপরাজনীতি করে কোনো সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি, বর্তমান সরকারও তা পারবে না। সরকার সকল অপকর্মের জবাব আন্দোলনের মাধ্যমেই দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ শীর্ষ নেতা।

বিএনপি বৃহত্তর গণআন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, জনগণের ঘাড়ের উপর সরকার যেভাবে বসে পড়েছে তা থেকে নামাতে হলে একটি বৃহত্তর আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান সরকারকে অবৈধ সরকার বলে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে কর্মীদের ঘরে বসে থাকলে চলবে না। সর্বশক্তি দিয়ে সরকার হটাও আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন ও দলের সিনিয়র নেতাদের সাম্প্রতিক বিভিন্ন তৎপরতাকে সরল কোনো দৃষ্টিতে দেখছেন না ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সাম্প্রতিককালে বিএনপির উদ্যোগে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। একাই সঙ্গে সরকারও সজাগ দৃষ্টি রাখছেন বিএনপির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের দিকে। বিএনপি ও তার রাজনৈতিক মিত্রদের সাম্প্রতিককালে তাৎপরতাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ১৫ এপ্রিল সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে এ ধরণেরই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার রাজধানীর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্কুলে কোতোয়ালী ও বংশাল থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, দল গুছিয়ে আন্দোলন করা বিএনপির পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তারা গোপনে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপি আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, তারা (বিএনপি) আমাদের শত্রু। সুতরাং তাদের সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রশ্নই আসে না। একই সঙ্গে বিএনপি আন্দোলনের হুমকি দিয়ে দেশে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তা প্রতিহত করবে। তাদেরকে (বিএনপিকে) আর ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম।

তবে সরকারের কোনো রক্ত চক্ষুই বিএনপিকে আন্দোলনের পথ থেকে সরাতে পারবে না বলে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন বিএনপির অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। তিনি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, সরকার ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের উপর গত পাঁচ বছরের যে অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছে তা অতীতের স্বৈরাচারী সরকারকেও হার মানিয়েছে। খুন, গুম ও হামলা-মামলা করে সরকার একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে থামিয়ে রাখতে চাইছে। কিন্তু সরকারের সেই আশা কখনোই পূরণ হবে না। কারণ, দেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায়ে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। এ প্রশ্নে জবাবে বিএনপির এ নেতা বলেন, দলকে সুসংগঠিত করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা তৃণমূল সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তৎপরতা শুরু করেছেন। তিনি বলেন এবার বিএনপি যে আন্দোলন ডাক দিবে এতে অতীতের সব অবস্থার চাইতে জনসম্পৃক্ততা বেশি থাকবে।

১৪ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন স্বৈরশাসককে হটিয়ে গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে তার দল। সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন সরকার পতন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি আবারো বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচারী ও অবৈধ সরকার আখ্যা দিয়ে বলেন এ সরকারকে বাংলাদেশের মানুষতো দূরের কথা কোনো বিদেশীও এ সরকারকে বৈধ সরকার বলছে না। তিনি বলেন, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। তাই নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে রাজপথে সক্রিয় থাকতে বলেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বিএনপির অপর এক শীর্ষ নেতা বলেন, শিগগিরই বিএনপি ঢাকা মহানগরের কমিটি পুনঃগঠন করবে। মহানগরের অধীনে সকল থানা ওয়ার্ড, ইউনিট ও পাড়া মহল্লায় কমিটি গঠন করা হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন শাখা সংগঠনে বিশেষ তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। অল্প সময়ের ব্যবধানেই রাজপথে গণআন্দোলন শুরু করা হবে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এ শীর্ষ নেতা।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।