রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ৩য় সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ২২ চৈত্র ১৪৩০ ॥ ২৫ রমজান ১৪৪৫ হিজরী ॥ ৫ এপ্রিল ২০২৪

একটি দেশের প্রতি অতি আনুগত্য : চীনের সাথেও সম্পর্কে স্থবিরতা : নতুন টানাপড়েনে ঢাকা-ওয়াশিংটন

নিরাপত্তা সংকটের আশঙ্কা

॥ ফারাহ মাসুম ॥
একটি প্রতিবেশী দেশের ওপর অতি নির্ভরশীল হতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের আবারো টানাপড়েন দেখা দিতে শুরু করেছে। সৃষ্ট এ টানাপড়েন সামাল দিতে আবার রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। একই সাথে প্রতিবেশী দেশটির আপত্তির কারণে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের অচলাবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ ধরনের একটি পরিস্থিতি যেকোনো সময় দেশের জন্য নিরাপত্তা সংকট ডেকে আনতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন। সরকারের উচ্চপর্যায় এবং বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আবার টানাপড়েন
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশিত বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সংক্রান্ত এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ঘুষ-দুর্নীতিকে ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনো ব্যবসাবান্ধব নয় বলে উল্লেখ করা এ রিপোর্টটি এমন একটি সময়ে প্রকাশিত হলো যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অনেক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে। এ রিপোর্টটি প্রকাশের পর অনেকেই ধারণা করছেন যে, বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যাকফুটে চলে গেছেন।
সরকার সমর্থক একটি পোর্টালে উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার নতুন করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে টানাপড়েন তৈরি হচ্ছে। নির্বাচনের আগে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ভিসানীতি এবং অন্যান্য সতর্কবার্তা জারি ....বিস্তারিত

একান্ত সাক্ষাৎকারে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান

রাজনৈতিক দল ও জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলেই দেশে কল্যাণকর পরিবর্তন আসবে আশা করা যায়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশবাসী ও বিশ্বের কাছে বিশ্বাসযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য হয়নি। সে হিসেবে এ নির্বাচন ও সংসদের কোনো নৈতিক বৈধতা নেই। আর যে সংসদের নৈতিক বৈধতা নেই এবং যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি, তাদের দ্বারা দেশের বড় কোনো কল্যাণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আজকে দেশে সাধারণ মানুষের অধিকার নেই, ন্যায়বিচার নেই, এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। সাধারণ জনগণের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব বেশি, কিন্তু দেশবাসীরও দায়িত্ব আছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে শক্তি জোগানো, পাশে দাঁড়ানো এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রতিবাদ রাজনৈতিক দলগুলো করে তাতে সমর্থন দেয়া। রাজনৈতিক দলগুলো দেশ ও জাতির কল্যাণ চিন্তা করে ঐক্যবদ্ধভাবে উদ্যোগ নিয়ে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করবে এবং দেশবাসী যদি সেই ডাকে সাড়া দেয়, তাহলেই আমরা একটি পরিবর্তনের আশা করতে পারি এবং সেই পরিবর্তনটা হবে আপামর জনগণের জন্য কল্যাণকর।                      
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান সাপ্তাহিক সোনার বাংলার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সাপ্তাহিক সোনার বাংলার বার্তা সম্পাদক ফেরদৌস আহমদ ভূইয়া।
সোনার বাংলা : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদল অংশগ্রহণ করলো না, কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচন আয়োজন করলো, জনগণ ভোট দিতে গেল না। এ ....বিস্তারিত

বিরোধীদলীয় রাজনীতিতে বৃহত্তর ঐক্যের সুবাতাস

॥ জামশেদ মেহ্দী॥
অনেক দিন বলি কেন, বেশ কয়েক বছর পর বাংলাদেশের রাজনীতি; বিশেষ করে বিরোধীদলীয় রাজনীতিতে সুবাতাস বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রবল গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে অপসারণ করতে ব্যর্থতার পর বিরোধীদলের প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও জোটের মধ্যে সাফল্য ও ব্যর্থতার খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করা হয়। বর্তমানে বিরোধীদলের প্রধান তিনটি দল ও জোট যথা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং গণতন্ত্র মঞ্চের মধ্যে এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়। এসব আলোচনার পর এ তিনটি রাজনৈতিক দল বা জোটের মধ্যে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে ওঠে যে, বিরোধীদলসমূহ; বিশেষ করে প্রধান দুটি বিরোধীদল, অর্থাৎ বিএনপি এবং জামায়াত মিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারার ফলে মাঠের রাজনীতিতে তারা পিছিয়ে পড়েছে।
কিন্তু এ বিপর্যয়ের পর সবগুলো দলই এটি অনুধাবন করতে সমর্থ হয়েছে যে বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে সুকঠিন ঐক্য গড়ে তোলা কোনো দুরূহ ব্যাপার ছিল না। আদর্শগত প্রশ্নে দল দুটি দুই মেরুতে অবস্থান করছে না। বরং অনেকের তুলনায় এ দুটি দলের মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আদর্শগত মিল রয়েছে। রাজনীতিতে তখনই কোনো জোট বা মোর্চা গঠিত হয় যখন তারা তাদের আদর্শগত অবস্থান থেকে বিচ্যুত না হয়েও ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়। জোটের রাজনীতি এ উপমহাদেশে মোটেই অজানা নয়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে আদর্শগত অনেক অমিল থাকা সত্ত্বেও সোহরাওয়ার্দী-ভাসানীর আওয়ামী লীগ ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টির সাথে ....বিস্তারিত

রাজনৈতিক ভারসাম্যহীনতায় আওয়ামী লীগও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে

॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
ভারসাম্যহীনতার পরিণতি পঙ্গুত্ব- এ কথা ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনৈতিক দল সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কোনো দেশে শক্তিশালী বিরোধীদল ও জাতীয় সংসদ না থাকলে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। পরিণতিতে সেই জাতিও পঙ্গুত্ববরণ করে। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় ক্ষমতাসীনরা লাভবান হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবতা তা বলে না। শরীরের কোনো অঙ্গের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মানে, সেই অঙ্গের অতি স্বাস্থ্যবান হওয়া নয়, ক্যান্সারের মতো অসুস্থতা। যদিও তা স্ফীত হয়ে যায়। দেশের বিগত দেড় দশকের রাজনীতির অবস্থাও এমন হয়েছে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকদের অনেকে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী শাসনে রাজনীতিতে যে ভারসাম্যহীন অবস্থা বিরাজ করছে, তার পরিণতি শুধু বিরোধীদল নয়, আওয়ামী লীগকেও ভোগাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের একটি বক্তব্য বিশ্লেষণের দাবি রাখে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান আওয়ামী লীগের নিজের স্বার্থে তৈরি করা। ‘এটা দলের জন্য। এ সংবিধানকে কেটে এক-তৃতীয়াংশ করেছে তারা একজন ব্যক্তির জন্য এবং যেখানে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। এটা নাকি কোনোদিনই পরিবর্তন করা যাবে না। সংবিধান তো মানুষের জন্য! সেই মানুষের সংবিধান তারা নষ্ট করে ফেলেছে। আমার সবসময় মনে হয়, আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা- তারা নিজেদের এ দেশের মালিক মনে করে। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। এ বাস্তবতা থেকে যদি বেরিয়ে আসতে ....বিস্তারিত

ভারতীয় পণ্যে সয়লাব ঈদবাজার

॥ সৈয়দ খালিদ হোসেন ॥
বাংলাদেশে ভারতের ‘আগ্রাসন’র প্রতিবাদে ভারত ও ভারতীয় পণ্য বর্জনের লক্ষ্যে গত জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় প্রচারণা। এরই অংশ হিসেবে ‘ইন্ডিয়া আউট’ ও ‘বয়কট ইন্ডিয়ান প্রোডাক্টস’ শিরোনামে ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্সে (সাবেক টুইটার) ব্যাপক প্রচারণা চলে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এ প্রচারণায় দেশের বাজারের খুব একটা প্রভাব পড়েনি। বিশেষ করে দেশের ঈদ বাজারের কোনো প্রভাবই লক্ষ্য করা যায়নি। ক্রেতারা বলছেন, পণ্যের কোয়ালিটি (মান) ভালো হলে কোনো দেশের প্রোডাক্ট তা কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়। বিক্রেতারাও প্রায় একই সুরে কথা বলছেন। তাদের ভাষ্য, কাস্টমার ভারতীয় পণ্য বলে তা বয়কট করছেন এমনটা লক্ষ করা যায়নি। তবে যে প্রোডাক্ট ভালো, তা নিতেই বেশি আগ্রহী ক্রেতারা এক্ষেত্রে দাম ও প্রস্তুতকারী দেশ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
রাজধানীর মৌচাক মার্কেটের একাধিক দোকানির সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভারতীয় পণ্য বয়কট করার লক্ষ্যে যে প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে, তাতে দোকানে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। মৌচাকের ইশারা ফেব্রিক্সের একজন বিক্রেতা জানান, তারা এখানে সব সময়ই ভারতীয় পোশাক বিক্রি করেন, কিন্তু সম্প্রতি বিক্রি কমেনি। তিনি জানান, তাদের দোকানে ভারতীয় ছাড়াও চীনা পণ্য রয়েছে, কিন্তু দেশি পণ্যের পর ভারতীয় পণ্যই বেশি।  
একই মার্কেটের রিনি ফেব্রিক্সের কর্ণধার জানিয়েছেন, তাদের ....বিস্তারিত

আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শিক্ষার্থীরা ভোলেনি : অধ্যাপক আইনুল নিশাত

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে সাধারণ ছাত্রসমাজ

বিপরীত অবস্থানে ছাত্রলীগ
স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্রলীগ কর্তৃক শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনো কাটেনি। শিক্ষার্থীরা ওই ঘটনা ভুলে যাননি। সে কারণে তারা চান না- এখানো কোনো ছাত্ররাজনীতি চলুক এবং নতুন করে কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্ম হোক। সে কারণে ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে শিক্ষার্থীদের অবস্থান। তারা ছাত্ররাজনীতির নামে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনিষ্ট করার বিরুদ্ধে লড়ছেন। বুয়েটের অধিকাংশ শিক্ষক এবং প্রায় শতভাগ অভিভাবক এমনটাই চান। কারণ ছাত্ররাজনীতি থাকলে শিক্ষকদেরও বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়, আর ক্যাম্পাসে রাজনীতি চললে অভিভাবকদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। কেননা, তার সন্তান কখন কোন বিপদে পড়ে, তা নিয়ে শঙ্কায় থাকতে হয়। সাবেক শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়টিকে (বুয়েট) রাজনীতিমুক্ত দেখতে চান। তারা চান অন্তত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধার চর্চা হোক ঠিকভাবে।    
 সম্প্রতি বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে পাল্টাপাল্টিা অবস্থান দৃশ্যমান। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। গত কয়েকদিন ধরে বুয়েটে নিজেদের অবস্থান ফিরে পেতে ছাত্রলীগ মরিয়া হয়ে ওঠে। অন্যদিকে নিরাপত্তার স্বার্থে ছাত্ররাজনীতি নিষেধাজ্ঞার বহাল রাখতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের টানা চার দিন পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে এ বিষয়ে ১ এপ্রিল উচ্চ আদালতের ....বিস্তারিত

নিজের দল হারলেও দেশকে হারিয়ে দেননি তিনি

রাজনৈতিক ভাষ্যকার : বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও স্থানের উচ্ছ্বাসভরা নির্বাচনী খবরাখবর পড়তে হয় ভারাক্রান্ত মনে। কারণটা সবারই জানা। রজব তৈয়ব এরদোগানের অনেক ভক্ত আছেন বাংলাদেশে। ফলে তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে তার দলের পরাজয়ে অনেকের মন খারাপ হবে।
গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রজব তৈয়ব এরদোগান বেশ কষ্ট করেই জিতেছিলেন। দ্বিতীয় দফা পর্যন্ত সেই ভোট গড়িয়েছিল। এখন স্থানীয় নির্বাচনে তার দল হেরে যাওয়ায় স্পষ্ট হলো কেবল নিজের ইমেজ দিয়ে এরদোগান আর দলকে জিতিয়ে আনতে পারছেন না।
অর্থনৈতিক দুর্দশায় জনগণের মনোভাব জোরেশোরে পাল্টাচ্ছে। ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারাসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ শহরে বিরোধী জুমহুরিয়াত হাল্ক পার্টিসির কাছে এরদোগানের একে-পি হেরেছে। কিন্তু তারপরও তুরস্কের এ নেতাকে ইতিহাস অনেক এগিয়ে  রাখবে। কারণ পরাজয় ঠেকাতে কোনো জালিয়াতির আশ্রয় নিচ্ছেন না এরদোগান। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ক্ষত-বিক্ষত করে নিজের দলের রাজত্ব টিকিয়ে রাখছেন না এ নেতা।
এরদোগান  তুরস্কে গণতন্ত্রকে হত্যা করেননি। মুসলমানপ্রধান বিশ্বে এরকম রাজনীতিবিদের সংখ্যা বাড়া জরুরি। গণতন্ত্রের চলতি বৈশ্বিক দুর্দশার কালে এটা নজির হিসেবে অনন্য।
নিজের দল হারলেও ‘এরদোগান’ নিজের দেশকে জিতিয়ে রাখলেন। জনগণকে ট্রমায় ফেলে দেননি। যেমনটি ঘটে চলেছে মুসলমানপ্রধান  অনেক দেশের নির্বাচনে।


....বিস্তারিত

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা আমীরে জামায়াতের

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান গত ৩১ মার্চ রোববার প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “উন্নতমানের চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দেয়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানো উচিত। বেগম খালেদা জিয়া গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে তার ইচ্ছানুযায়ী বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দেয়া উচিত। এ বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা দরকার। তার চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে কোনো রাজনীতি করা উচিত নয়। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা সাংবিধানিক অধিকার। কোনোরকম কালবিলম্ব না করে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে আমি তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”  প্রেস বিজ্ঞপ্তি।


....বিস্তারিত

মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য : ওবায়দুল কাদের

বাসস : মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যারা বড় বড় রেস্টুরেন্টে ইফতার করে, মানুষের পাশে দাঁড়ায় না অথচ সরকারের সমালোচনা করে, তাদের কি লজ্জা করে না। গরিব মানুষের মাঝে ইফতার দিচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মানুষের পাশে দাঁড়ানো এটা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।’
সেতুমন্ত্রী গত ৩ এপ্রিল বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ গরিব মানুষের জন্য যারা মায়াকান্না করেন তারা কি ভুলে যান, তাদের আমলে বিশেষ করে জিয়াউর রহমানের আমলে উত্তরবঙ্গে দারিদ্র্যের কারণে নারীরা পতিতাবৃত্তিতে নামতে বাধ্য হয়েছিল।
দেশে গরিব বাড়ছে, ভিক্ষুক বাড়ছে- বিএনপি নেতাদের এ বক্তব্যের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, তাদের লজ্জা করে না- তারা একজন গরিব মানুষকেও রোজার মাসে সাহায্য করেননি। ইফতার বিতরণ করেননি। তারা বড় বড় হোটেলে ইফতার খেয়েছেন। গরিব মানুষের মাঝে ইফতার দিচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
তিনি বলেন, ঈদের সময় ঢাকাসহ বড় বড় শহরে দান খয়রাতের আশায় কিছু গরিব মানুষ আসে। কিন্তু এ পর্যন্ত না খেয়ে মানুষ রাস্তায় পড়ে মরে আছে এমন কেউ নেই। মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে কোন ....বিস্তারিত

স্মরণীয় সাংবাদিক মুহাম্মদ কামারুজ্জামান

সোনার বাংলা রিপোর্ট : মানুষ বেঁচে থাকে তাঁর কৃতিত্বপূর্ণ কাজের মাঝে। এমন একজন কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব ছিলেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও সাপ্তাহিক সোনার বাংলার সাবেক সম্পাদক মুহাম্মদ কামারুজ্জামান। তিনি  এ নশ্বর পৃথিবী থেকে চলে গেছেন আজ থেকে ৯ বছর আগে, ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল। কিন্তু তিনি এদেশের মানুষের মাঝে বেঁচে আছেন তাঁর কর্মের গুণে।
তিনি শুধু একজন সফল সাংবাদিকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করে দক্ষতা ও যোগ্যতার কারণে কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন দক্ষতার সাথে। সাংবাদিকতা এবং রাজনীতিÑ এ দুইয়ের সমন্বয়ে দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে পালন করার মতো সাহসী ও সফল মানুষ খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মাঝে এ দুই গুণের অবস্থান ছিল রীতিমতো ঈর্ষণীয় পর্যায়ের। মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ১৯৫২ সালের ৪ জুলাই শেরপুর জেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের মুদিপাড়া গ্রামে এক ধর্মপ্রাণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ইনসান আলী সরকার ও মাতা মরহুমা সালেহা খাতুন।
তিনি কুমরী কালিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পর শেরপুর জিকেএম ইনস্টিটিউশনে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। তিনি প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি ....বিস্তারিত

অরুণাচলের ৩০ স্থানের নতুন চীনা নাম

সোনার বাংলা ডেস্ক : অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন এলাকার নাম চীন অনেক দিন ধরেই বদলে দিচ্ছে। গত ৩০ মার্চ শনিবার তারা ওই প্রদেশের আরও ৩০টি এলাকার নাম তাদের পছন্দমতো বদলে দিয়েছে। এবার নিয়ে চতুর্থবারের মতো চীন অরুণাচলের কিছু এলাকার নাম পরিবর্তন করে নিজেদের মতো করে রাখল। এবার ১১টি আবাসিক এলাকা, ১২টি পার্বত্য এলাকা, ৪টি নদী, ১টি হ্রদ, ১টি গিরিপথ ও ১টি ফাঁকা ভূমির নাম রেখেছে চীন। এর আগে ২০১৭, ২০২১ ও ২০২৩ সালে চীন তিন দফায় অরুণাচলের বিভিন্ন এলাকার নাম নিজেদের মতো করে রেখেছিল। চীনের কাছে অরুণাচল প্রদেশের নাম ‘জাংনান’। তাদের দাবি, ওই এলাকা দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। মাঝেমধ্যেই তারা অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন এলাকার নাম তাদের মতো করে রাখে।
৩০টি অঞ্চলের নাম বদল ছাড়াও চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি জানায়, জাংনান (অরুণাচল প্রদেশ) চীনা ভূখণ্ডের অংশ। ভারত বেআইনিভাবে তার নাম অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে কর্তৃত্ব কায়েম রেখেছে। চীন তা মেনে নেয় না। তীব্র বিরোধিতা করে। চীনের এ মনোভাব নিয়েই জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারতীয় সৈন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় মোতায়েন আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, চীনের দাবি অবাস্তব। অরুণাচল প্রদেশের জনগণ উন্নয়নের সুফল ভোগ করে যাবে। এর আগে জয়শঙ্কর বলেছিলেন, চীনের সঙ্গে সীমান্ত আলোচনায় ভারত অবশ্যই ....বিস্তারিত

ইমরান খানের সাজা বাতিল করলো ইসলামাবাদ হাইকোর্ট

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা (রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বিক্রি) মামলায় দেয়া সাজা বাতিল করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। গত ১ এপ্রিল সোমবার এ আদেশ দেয়া হয়। এ মামলায় গত জানুয়ারিতে তাদের ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। আগের রায়ে তাদের সরকারি দায়িত্ব পালনে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল এবং প্রত্যেককে ৭৮৭ মিলিয়ন রুপি (২.৮ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা করেছিল। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের আরেক মামলায় ইমরান খানের ১০ বছরের সাজা হওয়ার পরদিন ৩১ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে তোশাখানা মামলায় সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল। ইমরান খান গতবছরের আগস্ট থেকে বিভিন্ন অভিযোগে কারাগারে আছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ইমরান রান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে সৌদি যুবরাজসহ বিদেশি বিশিষ্টজনদের দেয়া বিভিন্ন উপহার কিনে পরে সেগুলো বেশি দামে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয় ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকেও।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত হন ইমরান। তার পরে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তাকে কারাদণ্ড দেয় ইসলামাবাদ কোর্ট। আলজাজিরা, ....বিস্তারিত

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।