অ ব লো ক ন
ইসরাইল থেকে হাত সরাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র?
মাসুম খলিলী : বাইডেনের ইসরাইলনীতির ওপর বিস্ময়করভাবে সমর্থন কমতে শুরু করেছে। ইসরাইলের গণহত্যার প্রতি অব্যাহত সমর্থন দেয়ার কারণে এরই মধ্যে হোয়াটস হাউসের দুই কর্মকর্তা তাদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ৫৫ শতাংশ আমেরিকান বাইডেনের ইসরাইলনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিপরীতে তার এ নীতিকে অনুমোদন করছেন মাত্র ৩৬ শতাংশ। ডেমোক্রেট সমর্থকদের মধ্যে ইসরাইলনীতির বিরোধিতা বেড়েছে বিস্ময়করভাবে। আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দেয়া থেকে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যে প্রস্তাবে বাকি ১৪ সদস্য দেশ সমর্থন জানিয়েছে।
ইসরাইলের পক্ষে এ প্রথম ভেটো না দেয়ার বিষয়ে ইসরাইল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজা ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য দুই সিনিয়র ইসরাইলি মন্ত্রির যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করেছে। নেতানিয়াহু স্পষ্টতই উল্লেখ করেছেন যে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলনীতি থেকে ওয়াশিংটনের প্রস্থানের সুস্পষ্ট নমুনা। অন্যদিকে বাইডেন প্রশাসন বলছে, তাদের ইসরাইলনীতি আগে যা ছিল তাই রয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এবং বিপুল গোলাবারুদ ইসরাইলকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। আসলেই কি বাইডেন প্রশাসন ইসরাইলকে সমর্থন দেয়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে?
অর্ধেক ধাপ এগিয়ে, অর্ধেক পিছিয়ে
গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আনা নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ওয়াশিংটনের ভোটদানে বিরত থাকা একটি আনুষ্ঠানিক উন্নয়ন এবং এটি তার ....বিস্তারিত
পাশ্চাত্যের ইসলাম বিদ্বেষের নগ্ন উচ্চারণ ইসলামফোবিয়া
॥ প্রফেসর আবদুল লতিফ মাসুম॥
ইসলামফোবিয়া বা ইসলামভীতি শব্দটির উৎস নিয়ে নানামুনির নানা মত রয়েছে। অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি অনুযায়ী এ টার্মটির প্রথম ব্যবহার দেখা যায় ১৯২৩ সালে, ইংরেজি জার্নাল ‘থিউরোজিক্যাল স্টাডিজে’। ১৯৯৭ সালে রানিমেড ট্রাস্ট রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর শব্দটির ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ করা যায়। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ২০০৪ সালে এক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামভীতি প্রতিরোধে পদক্ষেপের কথা বলেন। সেই থেকে শব্দটি ক্রমবর্ধমান ইসলামফোবিয়া বা ইসলামভীতি, বৈরিতা, শত্রুতা ইত্যাদি অর্থে আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত হয়ে আসছে। ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা তথা ৯/১১-এর পর শব্দটির প্রায়োগিক ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিককালে এটি ব্যবহারে সতর্কতা লক্ষ করা যায়। অন্তত একাডেমিকভাবে ইসলামভীতির ধারণাকে অন্যায়, অযৌক্তিক ও অতিশয় উক্তি বলে প্রকাশ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মোদ্দাকথা বিষয়টি বিতর্কিত। অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী এ ধারণাকে বিদ্বেষপ্রসূত বলে মনে করেন। পাশ্চাত্যের নেতিবাচক বুদ্ধিজীবীগণ নানা যুক্তি-তর্কে এর বৈধতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। এর প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ব্যবহার ধর্মীয় ডিসকোর্স বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে সীমিত ছিল। সাম্প্রতিককালে এর ব্যাপ্তি রাষ্ট্র, রাজনীতি, কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বলয়কে অতিক্রম করেছে। এর কারণ হলো ৯/১১-এর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা পাশ্চাত্য কূটনীতির ভাষায় সৌজন্যমূলক শব্দ ব্যবহার করলেও কার্যত তারা ....বিস্তারিত