বন্ধু, বড় ভাই আসাদ বিন হাফিজ


১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:২০

॥ রফিক মুহাম্মদ ॥

কবি আসাদ বিন হাফিজ (জন্ম : ১ জানুয়ারি ১৯৫৮ – মৃত্যু : ১ জুলাই ২০২৪) বাংলাদেশের বিশ্বাসদীপ্ত সাহিত্য সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সিপাহসালারদের অন্যতম একজন। বিশেষ করে আশির দশকে বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বাসী চেতনায় উদ্ভাসিত করেছেন যে ক’জন কবি, তাদের মধ্যে আসাদ বিন হাফিজ ছিলেন সম্মুখসারির একজন। বিচিত্র সৃষ্টির বিত্ত-বৈভবে তিনি গড়ে তুলেছেন তার রচিত সাহিত্যভুবন। কবিতা, ছড়া, গান, প্রবন্ধ, ফিকশনসহ আরও নানাবিধ লেখায় তিনি ছিলেন একেবারেই সচল। তবে শিশুসাহিত্য তথা ছড়ার ক্ষেত্রে আসাদ বিন হাফিজ ছিলেন অত্যন্ত প্রাণবন্ত ও সাবলীল। তারপরও ‘কি দেখ দাঁড়িয়ে একা সুহাসিনী ভোর’ (১৯৯০) ও ‘অনিবার্য বিপ্লবের ইশতেহার’ (১৯৯৬) মাত্র এ দুটি কবিতার বই লিখে কবি হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত। যদিও তার লেখা শতাধিক গ্রন্থের মধ্যে ‘ভাষা আন্দোলন : ডান-বাম রাজনীতি’ (১৯৯০) ও ‘ইসলামী সংস্কৃতি’ (১৯৯৫) এ দুটি গ্রন্থ খুবই ঋদ্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে বিষয়েই তিনি লিখেছেন তার মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য একটাই। আর সেটা হলো ইসলামী চেতনা। ইসলামী মূল্যবোধ সামনে রেখেই তিনি তার রচনাকে সাজিয়েছেন। তার রচনার পুরোটাই বিশ্বাসী চেতনায় উদ্ভাসিত।
আশির দশকের এই উজ্জ্বল কবি নক্ষত্রের সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল খুবই আন্তরিক এবং ঘনিষ্ঠ। তিনি আমার বা আমাদের বড় ভাই হলেও সম্পর্কটা ছিল অনেকটা বন্ধুর মতো। বলা যায় যে, তিনি আমাকে বা আমাদের আদর স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে বন্ধুর মতো আগলে রাখতেন। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে আমার অস্থায়ী ঠিকানা অর্থাৎ চিঠিপত্র পাওয়ার যে ঠিকানা ছিল, সেটা ছিল ‘প্রীতি প্রকাশন’, ৪৩৫/ক বড় মগবাজার ঢাকা-১২১৭। আর এই প্রীতি প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী ছিলেন কবি আসাদ বিন হাফিজ। তাই বুঝতেই পারছেন যে প্রীতি প্রকাশন ও তার মালিক কবি আসাদ বিন হাফিজের সাথে সম্পর্কটা কতটা আন্তরিক ও গভীর ছিল। আমি এখানে আমার কথা বলতে গিয়ে কয়েকবার আমাদের শব্দটা লিখেছি। কারণ প্রীতি প্রকাশন তখন আমরা কয়েকজন বন্ধুর নিয়মিত আড্ডার জায়গা ছিল। শুধু প্রীতি প্রকাশন নয়, ওখানে দৈনিক সংগ্রাম অফিসের সামনে ছিল কবি গোলাম মোহাম্মদ ভাইয়ে ‘শিল্পকোণ’। আমি, সরদার ফরিদ আহমদ, শাহীন হাসনাত, নূরুজ্জামান বকুল, জাকির আবু জাফর, ওমর বিশ্বাসসহ আরও কয়েকজন প্রায় নিয়মিতই কবি আসাদ বিন হাফিজের প্রীতি প্রকাশন ও গোলাম মোহাম্মদ ভাইয়ের শিল্পকোণে আড্ডা দিতাম। এ আড্ডায় কখনো কখনো কবি গোলাম মোহাম্মদ, নাসির হেলাল, মুকুল চৌধুরী, হাসান আলিম, সোলায়মান আহসান, মতিউর রহমান মল্লিক, শরীফ আব্দুল গোফরান, খন্দকার আব্দুল মোমেন, বুলবুল সরওয়ার, কণ্ঠশিল্পী সাইফুল্লাহ মানছুর, শরীফ বায়জিদ মাহমুদ, হাসান আখতার, তাঁদের কেউ কেউ যুক্ত হতেন। আমাদের বন্ধুদের মধ্যে যাদের নাম উল্লেখ করেছি তার বাইরে, নিজাম সিদ্দিকী (মরহুম), মৃধা আলাউদ্দিন, আহমদ বাছির (মরহুম), সাইফুল্লাহ শিহাব, খালিদ সাইফুল্লাহ, নোমান আব্দুল্লাহ, নাসির মাহমুদ, সালেহ মাহমুদ, মুর্শিদ উল আলমসহ আরও অনেকে মাঝে মধ্যে আড্ডায় উপস্থিত থাকতেন। কখনো এ আড্ডার মধ্যমণি হয়ে আসতেন কবি আল মাহমুদ, আব্দুল মান্নান সৈয়দ, নজরুল গবেষক শাহাবুদ্দিন আহমদের মতো গুণি ব্যক্তিরা। উল্লেখ্য যে এই গুণি ব্যক্তিদের মধ্যে কবি আল মাহমুদ এবং আব্দুল মান্নান সৈয়দ বা মতিউর রহমান মল্লিক যেদিন আসতেন, সেদিন এ আড্ডার ব্যাপ্তি অনেক বড় হয়ে যেত। আমরা তখন মগবাজার ওয়ারলেছ এ উজ্জ্বল হোটেলে চলে যেতাম। ওই হোটেলের হালিম কবি আল মাহমুদ এবং আব্দুল মান্নান সৈয়দ দুজনেরই খুব প্রিয় ছিল।
কবি আসাদ বিন হাফিজ ছিলেন অত্যন্ত ভোজনরসিক মানুষ। তিনি নিজে যেমন রুচিশীল খাবার খেতে পছন্দ করতেন, তেমনি অন্যকে খাওয়াতেও ভালোবাসতেন। তিনি ছিলেন খুবই অতিথিপরায়ণ। প্রায় প্রতিদিন সকাল ১০টাকা থেকে ১১টার মধ্যে প্রীতি প্রকাশনে আমরা ঢুঁ মারতাম। আসাদ বিন হাফিজ ভাই পিছনে বসে কম্পিউটারে লেখালেখি করতেন। আমাদের দেখেই তিনি ঘাড় ঘুরিয়ে বলতেন, এই যে রফিক এসছো, আমি তো তোমাদের অপেক্ষায় বসে আছি। একা একা তো গরম গরম সিঙ্গাড়া খেতে ভালো লাগে না। এই বলেই তিনি নোমান ভাই বা তারেক কে সিঙ্গাড়া আনার অর্ডার করতেন। আমরা কাঁচামরিচ পেঁয়াজ দিয়ে গরম গরম সিঙ্গাড়া খেতাম। মাঝে মাঝে মুড়ি-চানাচুর সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে খাওয়া হতো। এ সবের আয়োজন করতো তারেক। রোজার সময় ইফতারের সময় হতো বাহারি আয়োজন। এর মধ্যে বাড়তি হিসেবে অবশ্যই নামাজের পর থাকতো হালিম।
কবি আসাদ বিন হাফিজের সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। অল্পতে সব স্মৃতি বলে শেষ করা যাবে না। আসলে আসাদ বিন হাফিজ ছিলেন আমাদের লেখালেখির বিষয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়ার একজন। তার সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয় ১৯৯০ সালে। আমি তখন ঢাকায় নতুন এসেছি। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর খোঁজ নিতাম ঢাকায় কোথায় কোথায় সাহিত্য সভা হয়। এর মধ্যে ১৯৯০ সালের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে একদিন একটি দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য পরিষদের গুণিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিষয় জানতে পারি। এই গুণিজনদের মধ্যে কবি আল মাহমুদের নামও ছিল। ছোটবেলা থেকেই কবি আল মাহমুদ ছিলেন প্রিয় কবিদের একজন। সেই প্রিয় কবিকে সামনা-সামনি দেখার জন্যই সেদিন বেইলি রোডের গাইড হাউজ মিলনায়তনে গুণিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেদিন ছিল শুক্রবার। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানটি সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়ার কথা। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সকাল ৯টার মধ্যেই সেখানে পৌঁছে গেলাম। গিয়ে দেখি, সেখানে আয়োজকদের অনেক লোক। আমি তো কাউকে চিনি না। তাই সাহস করে মূল মিলনায়তনের যে দরজা তার সামনে টেবিলে বই সাজিয়ে নিয়ে যিনি বসা ছিলেন তার কাছে গিয়ে আমার পরিচয় দিলাম এবং বললাম যে আমি এই অনুষ্ঠান দেখতে এসেছি। এখন কোনো টিকিট লাগবে কি না। ওই ভদ্রলোক মৃদু হেসে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করলেন এবং নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন আসুন আমার সাথে। তিনি আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন। অডিটোরিয়ামের ভিতরে দায়িত্বে থাকা আর একজনকে গিয়ে বললেন, আসাদ ভাই, এই ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছেন। উনি নতুন, সামনের দিকে একটু বসিয়ে দেন। এরপর যে লোকটি আমাকে ভিতরে নিয়ে এসে ছিলেন, তিনি বললেন, ভাই আপনি নিশ্চিন্তে অনুষ্ঠান উপভোগ করুন। আর আমি সামনে আছি যাওয়ার সময় আমার সাথে দেখা করে যাবেন। ওই লোকটি আর কেউ নন, তিনি কবি নাসির হেলাল। মূলত বাংলা সাহিত্য পরিষদ এবং ওই কেন্দ্রিক লেখকদের সাথে আমার যোগাযোগ ও পরিচয় ঘটে কবি নাসির হেলাল ভাইয়ের মাধ্যমে। ওইদিন একজন নবীন লেখকের সাথে কবি আসাদ বিন হাফিজ যে আন্তরিকতা দেখিয়েছিলেন তাতেই আমি তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এরপর থেকে প্রতি মাসের (ইংরেজি) ১০ তারিখে বাংলা সাহিত্য পরিষদের যে মাসিক সাহিত্য সভা হতো তাতে নিয়মিত যাওয়া শুরু করি। আর এর মাধ্যমে কবি আসাদ বিন হাফিজ, কবি মতিউর রহমান মল্লিক, মুকুল চৌধুরী, গোলাম মোহাম্মদ, সোলায়মান আহসান, হাসান আলিম, বুলবুল সরওয়ার, কথাসাহিত্যিক নাজিব ওয়াদুদসহ আশির দশকের এক ঝাঁক উজ্জ¦ল নক্ষত্রের সাথে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এছাড়া নব্বই দশকের এক ঝাঁক প্রতিভাবান তরুণ বন্ধু কবি সাহিত্যিকের বলয়ও তৈরি হয়। যাদের অনেকেই এখন সাহিত্যাঙ্গনে আলোচিত ও প্রতিষ্ঠিত বলা যায়।
আসাদ বিন হাফিজের সাথে আমাদের যে আড্ডা হতো তা মূলত লেখালেখিকে ঘিরে। তিনি কি লিখছেন, আমরা কী লিখছি এসব বিষয় আলোচনা হতো। তিনি সব সময় আমাদের লেখালেখির বিষয়ে উৎসাহ দিতেন। নবীন লেখক হিসেবে আমার একটি উপন্যাস ‘খণ্ডত’ তিনি তার প্রকাশনী তথা ‘প্রীতি প্রকাশন’ থেকে বের করেন। সেটা সেই ২০০৬ সালে। আসলে তিনি লেখালেখির বাইরে আর কিছু ভাবতেন না। সব সময় এই লেখালেখির মাধ্যমে একটি ইসলামী বিপ্লব কীভাবে ত্বরান্বিত করা যায় সেটাই ভাবতেন। তিনি ইসলামী চিন্তা-চেতনার বাইরে কোনো কিছুই ভাবতেন না। বাংলা সাহিত্যে নবী মোহাম্মদকে নিয়ে কবিতার সংকলন বের হয়েছে কবি আসাদ বিন হাফিজ ও কবি মকুল চৌধুরীর সম্পাদনায়। এ সময় তাদের লেখা সংগ্রহ করে সহযোগিতা করার কিছুটা সুযোগ আমার হয়েছিল। তাদের সম্পাদনায় ‘রাসূলের শানে কবিতা’ এই সংকলনটি প্রীতি প্রকাশন থেকে ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয়। এটি বাংলা সাহিত্যে একটি মূল্যবান সংযোজন বলা চলে। আসাদ বিন হাফিজের একটি অভ্যাস ছিল যে তিনি সারা রাত জেগে লিখতেন। অনেক সময় এমন হয়েছে যে তিনি প্রীতি প্রকাশনে বসে সারা রাত জেগে কম্পিউটারে যে লেখাটা লিখেছেন পরদিন সকালে আমরা আসার পরই খুব উৎসাহের সাথে বলতেন, আমার সদ্যোজাত একটি লেখা আছে। এখন সে লেখাটি আমি তোমাদের পড়ে শোনাতে চাই। তার পর শুরু হতো সে লেখা পাঠ এবং তার ওপর আলোচনা। কবি গোলাম মোহাম্মদ ভাই বা শাহীন হাসনাত খুব সুন্দর হয়েছে, ভালো হয়েছে এসব বলতেন এবং লেখার নান্দনিক দিকগুলোর প্রশংসা করতেন। তবে আলোচনা করতে গিয়ে আমি অনেক সময় খুব কঠোরভাবে সমালোচনা করতাম। এটি আসাদ বিন হাফিজ খুব সানন্দে গ্রহণ করতেন। তাই আসাদ ভাই আমাকে দিয়ে নতুন বইয়ের রিভিউ লেখাতেন। কবি আসাদ বিন হাফিজের সবচেয়ে আলোচিত যে কবিতা সেই ‘অনিবার্য বিপ্লবের ইশতেহার’ যেদিন রাত জেগে লিখেছিলেন তার পর দিনও প্রীতি প্রকাশনে এটি আমাকে পড়ে শুনিয়েছিলেন। সেদিন প্রীতি প্রকাশনে আমি একাই গিয়েছিলাম। আসাদ ভাই আমাকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেছিলেন, এই যে রফিক এসছো। আজ একটা নতুন কবিতা লিখেছি, সেটা পড়ে শোনাবো। তারেক তুমি আমাদের জন্য গরম গরম সিঙ্গাড়া নিয়ে এসো। এরপর কবি আসাদ বিন হাফিজ তার সদ্য প্রসূত কবিতাটি পড়া শুরু করলেন, ‘আমি আমার জনগণকে আরেকটি অনিবার্য বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলছি।…/ যে বিপ্লব সাধিত হলে মানুষের শরীর থেকে/খসে পড়ে শয়তানের লেবাস/জল্লাদের অশান্ত চিত্তে জন্ম নেয় বসরাই গোলাপ/অর্ধ পৃথিবীর দুর্দান্ত শাসক কেপেঁ উঠে ফোরাত কূলের কোন/অনাহারী কুকুরের আহার্য চিন্তায়।…সেখানেই বিপ্লব/যেখানে নগ্নতা ও বেহায়াপনার যুগল উল্লাস/সেখানেই বিপ্লব/যেখানে মিথ্যার ফানুস সেখানেই বিপ্লব/যেখানে শোষণ ও সুদের অক্টোপাস ক্যান্সার/সেখানেই বিপ্লব …। তার লেখা দীর্ঘ এ কবিতাটি আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছিলাম। সে দিন আমি তার কোনো সমালোচনা করতে পারিনি। আমার স্পষ্ট মনে আছে যে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলাম, আসাদ ভাই এই একটি মাত্র কবিতা আপনাকে অমর করে রাখবে।
কবি আসাদ বিন হাফিজের সাথে সম্পর্কের কিছুটা ভাটা পড়ে তিনি প্রীতি প্রকাশ ছেড়ে দেওয়ার পর। সেটা ২০১৩-১৪ সাল থেকে। এরপর তার সাথে ভার্চুয়ালি অর্থাৎ মোবাইলে অথবা ফেসবুকে যোগাযোগ চলতো। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের লেখা লিখে গেছেন। তার এসব লেখায় অনেক সময় কমেন্টস না করলে পড়ে অভিমান করে বলতেন, এখন তো আর আমার লেখা পড়ে দেখারও সময় পাওনা। তার এ অভিমানের মধ্যে কতটা যে আন্তরিকতা, স্নেহ ভালোবাসা জড়িয়ে থাকতো, সেটা এখন বুঝি। এখন আর কেউ এমন অভিমান করে অভিযোগ করে না। সত্যি আসাদ ভাই আপনার সেই স্নেহ মাখা আদরের ডাক এখনো কানে বাজে, ‘রফিক এসছো’। প্রীতিতে বসে পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে গরম গরম সিঙ্গাড়া খাওয়ার স্মৃতি কি করে ভুলি বলুন? আপনি তো সবসময় আল্লাহ এবং রাসূলের দেখানো পথে চলেছেন। আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য কাজ করেছেন। আমি তো তার একজন সাক্ষী। তাই আমি মহান আল্লাহ কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আপনাকে তার প্রিয় বান্দা হিসেবে কবুল করে জান্নাতের মেহমান করে নেন। আমিন।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, কবি, কথাসাহিত্যিক।