চরফ্যাশনে সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষ অর্থনৈতিক সচ্ছলতার সম্ভাবনায় কৃষক


১৯ জুন ২০২৫ ১৪:২১

কামরুজ্জামান, চরফ্যাশন (ভোলা) : চরফ্যাশনে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষাবাদ। এই পদ্ধতিতে বারো মাস চাষাবাদ হওয়ায় কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে নিচু জমিতে এ চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে চরফ্যাশন উপজেলার হাজারিগঞ্জ, চরমাদ্রাজ, আসলামপূর, জাহানপূর, আবদুল্লাহপূর, আবুবকরপুর এ ইউনিয়নগুলোর প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে সর্জন পদ্ধতিতে ফসল চাষাবাদ হয়েছে।
হাজারিগঞ্জ ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, মাঠজুড়ে গড়ে উঠেছে সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষ। কৃষকরা ব্যস্ত সবজি খামারের পরিচর্যার কাজে।
কৃষক মোহাম্মদ আব্বাস (২৭) বলেন, বাবা কৃষি কাজ করতেন। তবে তখন বছরে দুবারই চাষাবাদের সুযোগ ছিলো। তাতেও গুনতে হতো লোকসান।
পরবর্তীতে মোহাম্মদ আব্বাস ও আইয়ুব আলী দুই ভাই মিলে আড়াই কানি (২৪০ শতক) জমিতে সর্জন পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেন।
এ বছর প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে আড়াই কানি (৪ শতক) জমিতে লাউ, করলা ও শসা চাষ করছেন।
বাজারদর ভালো থাকলে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা আয় হবে বলে আশা করেন। বারো মাস এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার সুবিধা থাকায় আর্থিকভাবেও সচ্ছল থাকা যায় বলে জানান তিনি।
এছাড়া তাদের দুই ভাইয়ের এমন উদ্যোগের কারণে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে অনেক খেটে খাওয়া মানুষের।
সারা বছর নিয়মিত দুজন শ্রমিক থাকলেও ফসলের ভরা মৌসুমে দৈনিক ভিত্তিতে ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করেন।
খামারে কাজ করা শ্রমিক মোহাম্মদ জাহিদ বলেন, সারা বছর তিনি ফসলের পরিচর্যা করেন। খামারের ফসলের কারণেই গড়ে উঠেছে তার কর্মসংস্থান। এতে তার পরিবার খেয়ে-পরে মোটামুটি ভালো জীবনযাপন করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজমূল হুদা জানান, চরফ্যাশন উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় সাতটি ইউনিয়নে বিপুল পরিমাণে সর্জন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হয়।
সর্জন পদ্ধতিতে সারা বছরে প্রায় পাঁচবার ফসল ফলানো যায় এবং বর্ষায় বাজারমূল্য ভালো থাকায় কৃষকরা অর্থিকভাবে লাভবানও হয়।