সংক্ষিপ্ত বিশ্ব সংবাদ
২২ মে ২০২৫ ১৭:০৬
চীন-ভারত যুদ্ধ লাগিয়ে ফায়দা লুটতে চায় পশ্চিমা বিশ্ব : রাশিয়া
ভারত ও চীনের মধ্যে পশ্চিমারা সংঘর্ষ বাধানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। ভারত ও পাকিস্তানের উত্তেজনার মধ্যেই এমন দাবি করলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ল্যাভরভের দাবি, ভারত ও চীনকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে পশ্চিমা বিশ্ব। ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ অঙ্ক কষে এশিয়ার দুই শক্তিশালী দেশের মধ্যে সংঘাত তৈরি করতে তৎপর পশ্চিমা দেশগুলো। আর্থিকভবে তাদের দুর্বল করার এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। রুশ বার্তা সংস্থা তাসের সূত্রে গত ১৭ মে শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে বাসস। চীন ও ভারতকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর দিন। পশ্চিমের দেশগুলো চীনবিরোধী মনোভাব তুলে ধরতে ওই অঞ্চলকে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করতে শুরু করেছে। ওদের পরিকল্পনার ফলে আমাদের দুই বন্ধু রাষ্ট্র ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘাত আরো তীব্র হবে।’
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ল্যাভরভ আরো দাবি করেছেন, শুধু তাই নয়, পশ্চিমা বিশ্ব দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের সম্মিলিত গোষ্ঠী দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনের (আসিয়ান) ভূমিকাকে দুর্বল করতে তৎপর। ল্যাভরভ বলেছেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মতো পশ্চিমারা এখানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চায়।’ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এশিয়ায়। ভারতও অর্থনৈতিকভাবে নজর কাড়তে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে দুই দেশকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিলে লাভ হবে পশ্চিমা বিশ্বের। এশিয়ার বাকি দেশগুলোকে সহজে ব্যবহার করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো। তাই আপাতত চীন ও ভারত দুই প্রতিবেশীর আধিপত্য কমাতে দুই দেশকে সংঘাতের ময়দানে মুখোমুখি দাঁড় করাতে সক্রিয় হয়েছে পশ্চিমারা। বাসস।
গাজায় ‘ক্ষুধার্ত’ ২০ লাখ ফিলিস্তিনি: ডব্লিউএইচও প্রধান
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুই মিলিয়নের (২০ লাখ) বেশি ফিলিস্তিনি ‘ক্ষুধার্ত’ বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস। গত ১৯ মে সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ডব্লিউএইচও প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে সাহায্য বন্ধ করে দেয়ায় গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বাড়ছে। তিনি বলেন, ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য জাতিসংঘ সংস্থা ছিটমহলে সাহায্য পৌঁছে দিতে প্রস্তুত- যদি প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, ইসরাইল মার্চ মাস থেকে গাজা অবরোধ করে রেখেছে, সেখানকার জনগণকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার গাজায় সীমিত খাদ্য সহায়তা অনুমোদনের ঘোষণা দেয়ার পর বলেন, ‘কূটনৈতিক কারণে’ গাজায় দুর্ভিক্ষ রোধ করা ইসরাইলের জন্য জরুরি। বার্ষিক বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, সীমান্তে ১ লাখ ৬০ হাজার টন খাদ্য আটকে আছে। সর্বশেষ অবরোধের কারণে গাজায় দুই মিলিয়ন মানুষ অনাহারে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করতে পারছে না। অনেকেই বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। অন্যদিকে হাসপাতালে হামলা করার কারণে সেখানেও মানুষকে সেবা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হচ্ছে। এদিকে জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা আনরোয়ার প্রধান ঘোষণা করেছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় এ সংস্থার ৩০০ জনেরও বেশি কর্মী নিহত হয়েছেন। আনরোয়ার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি গত ১৮ মে রোববার সন্ধ্যায় সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এক্সে লিখেছেন, গাজা যুদ্ধের সময় আমি নিয়মিত যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংবাদ পাই, তা হলো আনরোয়ার কর্মীদের মৃত্যুর সংখ্যা।’ আজ এ সংখ্যাটি ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, জাতিসংঘের কর্মীদের হত্যার জন্য দায়ীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, কর্তব্য পালন করার সময় এবং তাদের কর্মীদের সেবা করার সময় অনেক লোক নিহত হয়েছে। লাজ্জারিনি আরো বলেন, নিহতরা মূলত জাতিসংঘের স্বাস্থ্যকর্মী এবং গাইড ছিলেন। আনরোয়ার প্রধান গাজার ওপর ইসরাইলি অবরোধের কথাও উল্লেখ করে জোর দিয়ে বলেন, পরিস্থিতি এখন দুর্ভিক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং গাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। আল-জাজিরা।
ভারতের বিরুদ্ধে চীন-পাকিস্তান আফগানিস্তান একজোট
ভারত শত চেষ্টা করেও আফগানিস্তানকে কাছে টানতে পারেনি। বরং সব বিরোধ ভুলে আবারও ভারতের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে পাকিস্তান, চীন ও আফগানিস্তান। এক যুদ্ধেই ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে কাছে টেনে নেয় আফগানিস্তান। জানা যায়, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তান এখন চীনের দিকে ঝুঁকছে। পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার গত ১৯ মে সোমবার চীন সফরে গেছেন। এ সফরে আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে তার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এছাড়া চীন সফরের সময় মঙ্গলবার ইসহাক দার আফগান নেতাদের সঙ্গেও ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ঐ বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পর নিরাপত্তা পরিস্থিতি, আঞ্চলিক বাণিজ্য এবং সহযোগিতা।
চীন আগেই পাকিস্তানের ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের সময় চীন পাকিস্তানকে ‘আয়রন-ক্ল্যাড বন্ধু’ বলেও উল্লেখ করে। সেই সময় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়মিত যোগাযোগ রাখে এবং উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানায়। এদিকে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার পাকিস্তানের দাবি নাকচ করে বলেছে, ভারত আফগান ভূখণ্ডে কোনো হামলা চালায়নি। বরং পেহেলগাম হামলার নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের বিচারের মুখে আনতে বলেছে। পাক-চীন সম্পর্কের এ ঘনিষ্ঠতা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের জন্য নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে- বিশেষত যখন তিনটি দেশই ভারতের সীমান্তবর্তী। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
যুক্তরাজ্যে ইসলামী মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিতে মসজিদে ভিন্নধর্মীদের আমন্ত্রণ
ভিন্নধর্মীদের মাঝে ইসলামী সৌন্দর্য ও মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিতে দারুণ এক উদ্যোগ গ্রহণ করে যুক্তরাজ্যের একটি মসজিদ। এ উপলক্ষে মসজিদ কর্তৃপক্ষ একটি উন্মুক্ত দিবসের আয়োজন করে, যেখানে স্থানীয় মুসল্লিদের পাশাপাশি ভিন্নধর্মীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। ওই মসজিদের নাম মসজিদে নাসের। এটি যুক্তরাজ্যের হার্টলপুলের দুরহাম কাউন্টিতে অবস্থিত। আরবি সংবাদমাধ্যম আলুকা জানায়, মসজিদ কর্তৃপক্ষের ওই উন্মুক্ত দিবসটি আয়োজনের আরো একটি লক্ষ্য ছিল মুসলিমদের সাথে ভিন্নধর্মীদের সম্পর্কের সেতুবন্ধ তৈরি করা। দিবসটি উপলক্ষে কর্তৃপক্ষ একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন করে, যেখানে দর্শনার্থীরা এসে ইসলামের সুমহান বাণীসংবলিত নানা ফেস্টুন দেখতে পান এবং একইসাথে তাদের সামনে উপস্থাপন করা হয় একাধিক ভাষায় পবিত্র কুরআনে কারিমের অনুবাদ। আলুকা।
সমাগত মুসল্লি ও স্থানীয় ভিন্নধর্মীদের মধ্যে মসজিদটিতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সাক্ষাৎপর্বও অনুষ্ঠিত হয়। সুন্দর এ আয়োজন সম্পর্কে মসজিদের ইমাম শায়খ তাহের সিলবি জানান, এরকম কর্মসূচি আয়োজন করে তারা নিজেদের খুব সৌভাগ্যবান মনে করছেন। তার মতে, এমন আয়োজন পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়ার দরজা উন্মুক্ত করে দেয়, মানসিক বাধা দূর করে এবং সমাজে বসবাসকারীদের মধ্যে সুদৃঢ় মূল্যবোধের প্রচার করে। ভিন্নধর্মী এক দর্শনার্থী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে লেখেন, তিনি এমন আয়োজনে শামিল হতে পেরে কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, মসজিদে এসে আমি অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পেরেছি। আয়োজকদের প্রতি শুকরিয়া। আলুকা।
ভারতে ১৬ দিনে মুসলিমদের ওপর ১৮৪ হামলা
জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার পর থেকে দেশজুড়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর বেড়েছে সহিংসতা, আক্রমণ, হামলা ও নির্যাতন। চলতি বছরের ২২ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত মুসলিমদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১৮৪টি বিদ্বেষমূলক ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ১০৬টি সহিংসতা, আক্রমণ, হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ সিভিল রাইটস (এপিসিআর) মানবাধিকার সংগঠনের এক রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি ‘পেহেলগামের পর ঘৃণা : সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের মানচিত্র’ শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এপিসিআর। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতেই সবচেয়ে বেশি মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণ, হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে। ঘৃণা ভাষণের ফলে কমপক্ষে ৩১৬ মুসলিম ব্যক্তিকে শারীরিক নিগৃহ ও নির্যাতন করা হয়েছে বলে রিপোর্টে উঠে এসেছে। সংস্থাটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুসলিমদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে যোগীর উত্তরপ্রদেশে। রাজ্যটিতে হামলা ও নির্যাতনের ৪৩টি ঘটনা ঘটেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপিশাসিত মহারাষ্ট্র ও উত্তরাখণ্ড। দুটি রাজ্যেই ২৪টি করে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ২০টি সহিংসতার ঘটনা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। রাজধানী দিল্লিতে ঘটেছে ৬টি ঘটনা। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে ৯টি, হরিয়ানায় ৯টি, বিহারে ৬টি, হিমাচল প্রদেশে ৬টি, পাঞ্জাবে ৪টি, রাজস্থানে ৩টি, তেলেঙ্গানায় ৩টি, ওড়িশায় ১টি, আসামে ১টি, জম্মু ও কাশ্মীরে ২টি, কর্ণাটক ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ে ৬টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই রাজ্যগুলোয় আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক নেতা থেকে প্রশাসনিক কর্তাদের ভূমিকা নিয়েও। এপিসিআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশজুড়ে ৮৪টি বিদ্বেষ ও ঘৃণা ভাষণ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসভা থেকে দেয়া ঘৃণা ভাষণ, রাজনৈতিক নেতাদের বিদ্বেষমূলক মন্তব্য এবং একশ্রেণির সংবাদমাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য। মুসলিমদের হুমকি দেয়া, বলপ্রয়োগ করে তাদের সম্পত্তি খালি করা, ব্যবসা বন্ধ করা এবং ধর্মীয় রীতি পালন না করতে ভয় দেখানোর ৬৪টি ঘটনা ঘটেছে। মুসলিমদের হয়রানি করার ৪২টি ঘটনা সামনে এসেছে। মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করে তাদের ওপর হামলার ৩৯টি ঘটনা ঘটেছে। মুসলিমদের মসজিদ, মাদরাসা ও দোকানপাট ভাঙচুরের ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। ১৪টি হুমকি, ৭টি মৌখিক গালিগালাজের ঘটনা ঘটেছে। রিপোর্টে উল্লেখিত ঘটনাগুলো নিয়ে দেশে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় ও ব্যক্তি স্বাধীনতা নিয়ে গভীর প্রশ্ন উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক মুসলিম পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে গোটা ঘটনা রেকর্ড করেছে মানবাধিকার সংগঠনটি। পুবের কলম।
এক দশক পর ইরান থেকে হজ ফ্লাইট চালু করলো সৌদির এয়ারলাইন্স
সৌদির একটি এয়ারলাইন্স প্রায় এক দশক পর ইরানি হজযাত্রীদের জন্য ফ্লাইট চালু করেছে, যা দুই দেশের মধ্যকার উষ্ণ সম্পর্কের সর্বশেষ ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সৌদি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা বলেন, ফ্লাইনাস তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে ইরানি হজযাত্রীদের জন্য ফ্লাইট চালু করেছে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ইরানের মাশহাদ থেকেও ফ্লাইট চালু করা হয়, যার মাধ্যমে ৩৫ হাজারের বেশি ইরানি হজযাত্রী সৌদি আরবে যেতে পারবেন। ফ্লাইনাস একটি বাজেট এয়ারলাইন্স, যা সৌদি আরব থেকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে পরিচালিত হয়। কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, এ ফ্লাইটগুলো বাণিজ্যিক নয়, শুধু হজযাত্রীদের পরিবহনের জন্য। চলতি বছর হজ জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়ার কথা এবং বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে হজযাত্রীরা এরই মধ্যে সৌদি আরবে আসা শুরু করেছেন। এএফপি।
শিয়া-অধ্যুষিত ইরান ও সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ সৌদি আরব ২০২৩ সালের মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় এক চুক্তির মাধ্যমে সাত বছর পর কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন করে। ২০১৬ সালে সৌদি আরবের শিয়া ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমর-এর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর ইরানে সৌদি দূতাবাস হামলা হয়। এরপর সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। সে বছর (২০১৬ সালে) কোনো ইরানি হজযাত্রী সৌদি আরবে যেতে পারেননি। কারণ দুই দেশ হজ প্রোটোকলে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে ইরান থেকে হজে অংশগ্রহণের অনুমতি মিললেও তারা শুধু ইরানি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে সৌদি আরবে যেতে পারতেন। কিন্তু ২০২৩ সালের মার্চে ইরান-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এএফপি।
ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বজুড়ে অভিবাসনের ইস্যু প্রতিনিয়ত জটিল হয়ে উঠছে। উন্নত জীবনের আশায় অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেন, আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির ভ্রমণ সংস্থা বিপুল অর্থের বিনিময়ে এ মানব পাচার চালিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে শক্ত অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সোমবার (১৯ মে) দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর ঘোষণা দিয়েছে ভারতের একাধিক ভ্রমণ সংস্থা এবং তাদের মালিক, প্রধান নির্বাহী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অভিযোগ, তারা সচেতনভাবে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোর কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স ও ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস প্রতিদিন মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কাজ করে চলেছে। যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তা করছে, তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ নিষেধাজ্ঞা শুধু সাধারণ ভ্রমণকারীদের জন্য নয়, বরং ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামের আওতায় থাকা ব্যক্তিরাও এর আওতায় পড়বেন। যুক্তরাষ্ট্র জানায়, কেবল মানুষকে অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করাই নয়, বরং যারা আইন ভাঙছে তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
এ নিষেধাজ্ঞা এমন এক সময়ে এলো, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি অবৈধ অভিবাসীদের দেশছাড়া করার সিদ্ধান্ত নেন এবং সেই অনুযায়ী ইতোমধ্যেই হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সেই তালিকায় ভারতীয়রাও রয়েছে। কিছু ভারতীয়কে হাত-পা বেঁধে বিমানে তুলে ফেরত পাঠানো হয়, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এসব পদক্ষেপ পরিষ্কারভাবে ইঙ্গিত দেয়, যুক্তরাষ্ট্র তাদের অভিবাসন নীতিতে কোনো ছাড় দিচ্ছে না এবং যেকোনো পর্যায়ের অবৈধতা কঠোরভাবে দমন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
নেদারল্যান্ডসে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিশাল সমাবেশ
গাজায় ইসরাইলের চলমান হত্যা-নৃশংসতার নিন্দা জানাতে নেদারল্যান্ডসে বিশাল সমাবেশ করেছে ফিলিস্তিনপন্থিরা। গত রোববার (১৮ মে) হেগে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। সিনহুয়ার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি ডাচ সরকারের সমর্থনের নিন্দা জানিয়ে বলেন, গত মার্চ থেকে গাজায় শত শত মানুষ ক্ষুধায় মারা গেছে। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার বহন করছিলেন। তারা মুখেও বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছেন। গাজার মানুষের আর্তনাদ ডাচ সরকারের কানে পৌঁছায় না বলে তারা সমালোচনা করেছেন। বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, নেদারল্যান্ডস অর্থ দিচ্ছে, আর তা দিয়ে ইসরাইল বোমা মারছে। ইসরাইল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫২ হাজারের বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ীÑ ১৮ হাজার শিশু মারা গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ১২ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। সিনহুয়া।
শাহবাজের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছে পিটিআই
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) মিত্রদের সাথে আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়টি বিবেচনা করছে। দলের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ইমরান খান, তার আইনজীবীরা ও পরিবারের সদস্যদের এক বৈঠকে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে সক্রিয় আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে ইমরান খানকে মিত্রদের অবস্থান জানানো হয়। এদের মধ্যে পাখতুনখোয়া মিলি আওয়ামী পার্টির নেতা মাহমুদ খান আছাকজাই রয়েছেন। তিনি প্রকাশ্যে স্পিকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন। সূত্রটি আরো জানায়, ইমরান খান দলের নেতাদের এবং বিরোধী মিত্রদের এ পরিকল্পনায় এগিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে সময়মতো কৌশল বাস্তবায়নের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, ইমরান খান মনে করেন যে, সরকারকে সংসদে এবং সংসদের বাইরে দুই জায়গাতেই চ্যালেঞ্জ করা উচিত।
এ বিষয়ে পিটিআই নেতা ও সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সার বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিকল্পটি খোলা রেখেছি। তবে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে আপাতত পিছিয়ে রয়েছি। এখন পদক্ষেপ নিলে এটি জাতীয় সংকটে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টার মতো দেখা যেতে পারে।’ তিনি আরো জানান, যথাযথ সময়ে অনাস্থার বিকল্পটি ব্যবহার করা হবে। তিনি পুনরায় উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার দুজনই বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ইতিহাসে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা প্রস্তাবে ক্ষমতাচ্যুত হন। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে মন্তব্য করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম শিক্ষক গ্রেফতার
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরিচালিত ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত অশোক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলী খান মাহমুদাবাদকে গত ১৮ মে রোববার গ্রেফতার করা হয়েছে। এনডিটিভি অনলাইন জানিয়েছে, ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড, সশস্ত্র বিদ্রোহ বা নাশকতামূলক কার্যকলাপের প্ররোচনা এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের অবমাননার সাথে সম্পর্কিত ফৌজদারি কার্যবিধির ধারায় অধ্যাপক আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৮ মে ফেসবুকে এক পোস্টে মাহমুদাবাদ লিখেছিলেন, “আমি খুব খুশি যে এত ডানপন্থী মন্তব্যকারী কর্নেল সোফিয়া কুরাইশির প্রশংসা করছেন, কিন্তু সম্ভবত তারা একইভাবে জোরে জোরে দাবি করতে পারেন যে, গণপিটুনি, নির্বিচারে বুলডোজার হামলার শিকার এবং বিজেপির ঘৃণা ছড়ানোর শিকার অন্যদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে সুরক্ষিত রাখা হোক। দুই নারী সেনার অনুসন্ধানমূলক উপস্থাপনের দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ, তবে দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে, অন্যথায় এটি কেবল ভণ্ডামি।”
পোস্টটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুসলিম কর্মকর্তা সোফিয়া কুরেশি এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে আক্রমণের বিষয়ে বলা হয়েছিল। এই সোফিয়া কুরেশি ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালে নিয়মিত প্রেস ব্রিফ করতেন। গত ১৯ মে সোমবার হরিয়ানা নারী কমিশন জানিয়েছে, অধ্যাপকের বক্তব্য ‘ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর মহিলা অফিসারদের অবমাননা করেছে এবং সাম্প্রদায়িক বৈষম্যকে উসকে দিয়েছে।’
পরে এক্স-এ এক পোস্টে অধ্যাপক মাহমুদাবাদ তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, “আমার পুরো মন্তব্যই ছিল নাগরিক এবং সেনা উভয়ের জীবন রক্ষা করার বিষয়ে। তাছাড়া আমার মন্তব্যে এমন কিছু নেই, যা নারীবিদ্বেষী বলে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।” তবে অধ্যাপক মাহমুদাবাদের এ মন্তব্যে নাশকতামূলক কার্যকলাপে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে গত ১৭ মে শনিবার হরিয়ানার ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) যুব শাখার সাধারণ সম্পাদক যোগেশ জাঠেরি মামলা করেন। আল-জাজিরা।
আফগানিস্তান ও রাশিয়ার সম্পর্কোন্নয়নে ৫ চুক্তি স্বাক্ষর
আফগানিস্তান ও রাশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। রাশিয়ার তাতারস্তান প্রজাতন্ত্রের কাজানে অনুষ্ঠিত ১৬তম আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের ফাঁকে আয়োজিত আফগান-রাশিয়া প্রথম বাণিজ্যিক ফোরামে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ফোরামের উদ্বোধন করেন আফগানিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গনী বরাদর আখুন্দ ও রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সেই ওভারচুক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাতারস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী, রুশ শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীসহ দুই দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা। ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে আফগান উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা বরাদর বলেন, “ইমারতে ইসলামিয়া ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এসেছে। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বেড়েছে এবং বিভিন্ন খাতে বড় ছোট বহু উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছি এবং রাশিয়া আমাদের পণ্যের জন্য সম্ভাবনাময় একটি গন্তব্য। আমরা শুল্কে ছাড় ও সহজ শর্তে বাণিজ্যিক প্রবেশাধিকার আশা করছি।”
মোল্লা বরাদর সালাং টানেলের দ্বিতীয় অংশ নির্মাণে রুশ সহযোগিতা কামনা করেন এবং আফগান-ট্রান্স প্রকল্প ও উত্তর-দক্ষিণ আঞ্চলিক করিডোরে আফগানিস্তানের সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তান এ আঞ্চলিক সংযোগ ব্যবস্থাকে কার্যকর ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করে তুলতে চায়। ফোরামের একাংশে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত পাঁচটি চুক্তি হলোÑ ১. আফগান ও রুশ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ট্রানজিট ও পরিবহন খাতে সহযোগিতা। ২. দুই দেশের চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে সমঝোতা। ৩. আফগানিস্তানে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন ও পরিশোধনে রুশ-আফগান যৌথ উদ্যোগ। ৪. একটি নতুন শিল্প-লজিস্টিক কমপ্লেক্স স্থাপন বিষয়ে সমঝোতা। ৫. আঞ্চলিক বাণিজ্য ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহযোগিতা।
ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সেই ওভারচুক বলেন, “রাশিয়া একটি স্থিতিশীল ও উন্নয়নশীল আফগানিস্তানের পক্ষে। আফগান প্রতিনিধিদলের উপস্থিতি প্রমাণ করে, তারা শান্তি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্বাসী।” তিনি জানান, রুশ কোম্পানিগুলো আফগানিস্তানে খনি খনন, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন, রেললাইন সম্প্রসারণ ও পরিবহনযান প্রস্তুতকরণে কাজ করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, মস্কো ও কাবুলের মধ্যে একটি যৌথ বাণিজ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ককে নতুন স্তরে নিয়ে যাবে। রাশিয়ার কাস্টমস বিভাগের এক প্রতিনিধি বলেন, তারা আফগান কৃষিপণ্য আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেবে এবং বাণিজ্যিক আমলাতন্ত্র সরল করতে একটি বিশেষ প্রটোকল বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে। রুশ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বলেন, আফগান-ট্রান্স প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়া ও উজবেকিস্তান যৌথভাবে কাজ করছে এবং শিগগির এর নির্মাণকাজ শুরু হবে। অনুষ্ঠানে তাতারস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী জানান, তাদের গাড়ি উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো আফগানিস্তানে কাজ করতে প্রস্তুত এবং সরকারি পর্যায়ে যৌথ সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবও দেন। আরটিএ ও আরিয়ানা নিউজ।
মৌরতানিয়ার প্রেসিডেন্টের ১৫ বছর কারাদণ্ড
আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ার একটি আদালত দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহামেদ ওলদ আবদেল আজিজকে দুর্নীতির মামলায় ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। গত ১৪ মে মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়। ‘দশকের দুর্নীতি’ নামে পরিচিত মামলাটিতে আজিজের ১০ বছরের শাসনামলে (২০০৯-১৯) তিনি ও তার বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচার, সরকারি চুক্তিতে অবৈধ সুবিধা প্রদান এবং রাষ্ট্রীয় স্বার্থের ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে। রায়ে আদালত ‘আল-রাহমা চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশন’ নামের দাতব্য সংস্থাটি বিলুপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এটি পরিচালনা করতেন আজিজের পুত্র বাদর ওলদ আবদেল আজিজ। একইসঙ্গে সংস্থাটির সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আজিজের আইনি দল রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। এ মামলাটি মৌরিতানিয়ার ইতিহাসে দীর্ঘতম বিচার প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মামলাটির শুনানি শুরু হয় এবং একই বছরের ডিসেম্বরে প্রাথমিক রায় দেওয়া হয়েছিল। পরে মামলাটি উচ্চ আদালতে যায়। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, মামলার অংশ হিসেবে কর্তৃপক্ষ মোট ৪১ বিলিয়ন উগুইয়া (১০ কোটি মার্কিন ডলার) মূল্যের সম্পদ জব্দ করেছে, যার অধিকাংশই ছিল আজিজ ও তার পরিবারের নামে। মোহামেদ ওলদ আবদেল আজিজ ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হননি; বরং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোহামেদ ওলদ ঘাজৌয়ানিকে সমর্থন দেন, যিনি পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। আনাদলু এজেন্সি।
সুদানে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিলেন সেনাপ্রধান
দীর্ঘদিন ধরে চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বিপর্যস্ত সুদানে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান এবং কার্যত দেশটির শাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। খার্তুম থেকে এএফপি জানায়, গত ১৯ মে সোমবার সেনাশাসিত অন্তর্বর্তী সার্বভৌম পরিষদের এক ঘোষণায় জানানো হয়, জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা কামিল ইদরিসকে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ঘোষণায় বলা হয়, ‘সার্বভৌম পরিষদের চেয়ারম্যান একটি সাংবিধানিক ডিক্রি জারি করে কামিল আল-তায়েব ইদরিস আবদেল হাফিজকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।’ কূটনীতিক হিসেবে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে কামিল ইদরিসের। তিনি জাতিসংঘের বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার (ডব্লিউআইপিও) মহাপরিচালক ছিলেন এবং সুদানের জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনে কাজ করেছেন। ইদরিস ২০১০ সালে সামরিক শাসক ওমর আল-বশিরের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানে সেনাপ্রধান বুরহানের নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনীর সাথে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে। আরএসএফ-এর নেতৃত্বে রয়েছেন বুরহানের সাবেক উপপ্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগলু। এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত লাখো মানুষ নিহত হয়েছেন, গৃহচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ এবং জাতিসংঘ এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সঙ্কট হিসেবে অভিহিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইদরিস এপ্রিলের শেষ দিকে বুরহানের নিযুক্ত দাফাল্লাহ আল-হাজ আলির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। দাফাল্লাহ আল-হাজ আলি মাত্র তিন সপ্তাহ দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে বুরহান বলেছিলেন, তিনি একটি যুদ্ধকালীন টেকনোক্র্যাট সরকার গঠন করেছেন, যাতে ‘সামরিক লক্ষ্য পূরণের বাকি কাজ, বিদ্রোহীদের কবল থেকে সুদানকে মুক্ত করা, সম্পন্ন করা যায়।’ অন্যদিকে এপ্রিলেই আরএসএফ ঘোষণা দেয়, তারা একটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার গঠন করবে। এর আগে কেনিয়ায় সামরিক ও রাজনৈতিক মিত্রদের একটি জোটের সাথে একটি সনদে স্বাক্ষর করে তারা। এ পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে, সুদান হয়তো স্থায়ীভাবে বিভক্ত হয়ে পড়বে, যেখানে উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংঘাত সুদানকে কার্যত বিভক্ত করে ফেলেছে, দেশটির উত্তর, পূর্ব ও কেন্দ্রীয় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে সেনাবাহিনী, আর দারফুরসহ দক্ষিণের একাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসএফ ও তাদের মিত্ররা। এএফপি।
প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত জো বাইডেন
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রোস্টেট ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গত রোববার (১৮ মে) তার দপ্তর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়েছে, যা তার শরীরের হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিবৃতিতে জো বাইডেনের দপ্তর জানিয়েছে, গত সপ্তাহে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্রাবের সমস্যা বাড়ে। তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার প্রোস্টেটে একটি গোল আকৃতির অংশ ধরা পড়ে। পরে, গত ১৬ মে শুক্রবার চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন, তিনি প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রাস্ত। ক্যান্সারটি বেশ আক্রমণাত্মক, যার গ্লিসন স্কোর ৯ (গ্রেড গ্রুপ ৫) এবং এটি হাড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ক্যান্সারটি হরমোন-সংবেদনশীল হওয়ায় এর চিকিৎসা সম্ভব। প্রেসিডেন্ট এবং তার পরিবার চিকিৎসকদের সঙ্গে বসে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করছেন। বাইডেনের কার্যালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা এ বিবৃতির বাইরে আর কোনো মন্তব্য করবেন না। নিউইর্য়ক টাইমস।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে ‘অবাঞ্ছিত সংস্থা’ ঘোষণা রাশিয়ার
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে ‘অবাঞ্ছিত সংস্থা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে রাশিয়া। গত ১৯ মে সোমবার দেশটির প্রসিকিউটর জেনারেলের দফতর এ ঘোষণা দেয়। এর ফলে রাশিয়ায় মানবাধিকার সংগঠনটির সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মস্কো থেকে এএফপি জানায়, প্রসিকিউটর জেনারেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের লন্ডন সদর দফতর হচ্ছে বিশ্বব্যাপী রুশোফোবিক (রাশিয়াবিরোধী) প্রকল্প তৈরির কেন্দ্র, যা কিয়েভ শাসকগোষ্ঠীর সহযোগীদের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।’ রাশিয়া আরো অভিযোগ করে, অ্যামনেস্টি ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে রুশবিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত রয়েছে। এএফপি।
পর্তুগালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও জয়ী ক্ষমতাসীন দল
পর্তুগালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মধ্য-ডানপন্থী দল এডি সর্বাধিক আসনে জয় পেলেও সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। একইসাথে চরম ডানপন্থী দল চেগার (এনাফ) উল্লেখযোগ্য উত্থান দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা দীর্ঘায়িত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রায় পূর্ণাঙ্গ সরকারি ফলাফলে দেখা যায়, গত ১৮ মে রোববারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রোর নেতৃত্বাধীন ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এডি) পেয়েছে ৩২.৭ শতাংশ ভোট। এতে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়াবে ৮৯-এ। কিন্তু ২৩০ আসনের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১১৬ আসনের চেয়ে এ সংখ্যা অনেক কম। ফল ঘোষণার পর সমর্থকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী মন্টেনেগ্রো বলেন, ‘মানুষ এ সরকার এবং এ প্রধানমন্ত্রীকেই চায়।’
সোশ্যালিস্ট পার্টি (পিএস) পেয়েছে ২৩.৪ শতাংশ ভোট, যা দলটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল। এর কাছাকাছি ২২.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে চেগা। দল দুটির প্রত্যেকে ৫৮টি আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন ও ব্যবসাবান্ধব দল লিবারেল ইনিশিয়েটিভ (আইএল) নির্বাচনে ৯টি আসন পেলেও, তাদের সমর্থন নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এডি) সংসদে আইন পাস করতে চাইলে চরম ডানপন্থী দল চেগার সহায়তা প্রয়োজন হবে। যদিও ৫২ বছর বয়সী মন্টেনেগ্রো স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি চেগার সাথে কোনো ধরনের জোটে যাবেন না, কারণ দলটি ‘বিশ্বাসযোগ্য নয়’ এবং ‘সরকার চালানোর উপযোগী নয়।’ বাসস।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘ভারতীয় প্রক্সি’ সংগঠনের ১২ সন্ত্রাসী নিহত
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান গ্রুপ এবং বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১২ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনীর মিডিয়া শাখা (আইএসপিআর)। দেশটিতে নিষিদ্ধ এ সংগঠনগুলোকে ভারত মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে পাকিস্তান। গত মঙ্গলবার (২০ মে) সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়, সামরিক বাহিনীর মিডিয়া শাখা জানিয়েছে, পাক সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ‘ভারতীয় প্রক্সি’ সংগঠনের ১২ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এছাড়া শহীদ হয়েছেন পাকিস্তানি সেনার দুই সদস্য। দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, গত শনি ও রোববার পাক সেনার সাথে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান গ্রুপ এবং বেলুচিস্তানে নিষিদ্ধ বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা ভিত্তিক অভিযান (আইবিও) পরিচালিত হয়েছে।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, লাক্কি মারওয়াত জেলায় একটি অভিযান চালানো হয়, যেখানে সেনারা শত্রুর অবস্থানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং ‘পাঁচজন ভারতীয় স্পনসরড’ সন্ত্রাসীকে “নরকে” পাঠিয়েছে। এছাড়া ওই জেলায় আরও একটি অভিযানে দুই ‘ভারতীয় স্পনসরড’ সন্ত্রাসী ‘সফলভাবে নিষ্ক্রিয়’ হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে। উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার মির আলীর জেনারেল এলাকায় আরেকটি ঘটনায় সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর একটি কনভয়ে অতর্কিত হামলা চালালে সেনাদের প্রতিক্রিয়ায় দুই ‘ভারতীয় মদদপুষ্ট’ সন্ত্রাসীকে ‘নরকে পাঠানো হয়’ বলে জানায় আইএসপিআর। সামরিক বাহিনীর মিডিয়া শাখা আরও বলেছে, তীব্র গুলি বিনিময়ের সময় দুই সাহসী সন্তান, সিপাহী ফরহাদ আলী তুরি (বয়স ২৯ বছর, কুর্রাম জেলার বাসিন্দা) এবং ল্যান্স নায়েক সাবির আফ্রিদি (বয়স ৩২ বছর, কোহাট জেলার বাসিন্দা) বীরত্বের সাথে লড়াই করে চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করে শহীদ হন। ডন।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : আবদুল কাইউম খান