ড. হামিদুর রহমান আযাদের দাবি

বর্ষার আগে বেড়িবাঁধ সংস্কার করতে হবে


১ মে ২০২৫ ২২:৫৫

সাবেক সংসদ সদস্য ও উপকূলীয় উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, জরুরি ভিত্তিতে কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর উপকূলীয় এলাকা জলোচ্ছ্বাস ও সমুদ্র ভাঙন থেকে রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে বর্ষার আগেই টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও ভাঙন রোধ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। এ নিয়ে তিনি সম্প্রতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে চিঠি দিয়েছেন।
কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ কুতুবদিয়া ও মহেশখালী বর্তমানে ভয়াবহ ভাঙন ও জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই এসব এলাকায় বেড়িবাঁধ সংস্কারকাজ জরুরি ভিত্তিতে শুরু না হলে জীবিকা, জনবসতি ও সরকারি মেগা প্রকল্পগুলো মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।
একসময় ১২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দ্বীপ কুতুবদিয়া বর্তমানে ভাঙনে ক্ষয় হয়ে মাত্র ৬২ বর্গকিলোমিটারে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। সমুদ্রের লবণাক্ত পানি প্রতি বছর ভেঙেপড়া বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রবেশ করে কৃষিজমি, লবণের মাঠ ও জনপদে বিশাল ক্ষতি করে চলেছে। স্থানীয়দের মতে, কুতুবদিয়ার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে এর চারপাশে টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের কোনো বিকল্প নেই।
অন্যদিকে মহেশখালীর মাতারবাড়ী ও ধলঘাট এলাকার অবস্থাও অত্যন্ত সংকটাপন্ন। মাতারবাড়ী হচ্ছে বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রবন্দরের সম্ভাব্য কেন্দ্র, যেখানে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু নয়াপাড়া থেকে ধলঘাটের সাইটপাড়া পর্যন্ত প্রতিনিয়ত ভাঙনের কবলে পড়ে মেগা প্রকল্পের জমি ও স্থানীয় জনপদ ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। এছাড়া মহেশখালী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব অংশে ভাঙন এমন রূপ নিয়েছে যে বর্ষা মৌসুমে লোকালয় ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।